ঢাকার কেরানীগঞ্জে কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদের অফিসে এই অভিযোগ দায়ের করেন কোনাখোলা সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভারগন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,প্রতিদিন কোনা খোলা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটো রক্সা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত কাজে ঘোরাফেরা করেন। তার কাছে সিএনজির গ্যাস এবং ভাড়া চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে মারধর করেন এবং তার সিএনজিটিও ভাঙচুর করেন। এভাবে তিনি ৮থেকে ১০ জন ড্রাইভারকে মারধর করেছেন এবং একাধিক সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছেন। সিএনজি অটো রিক্সার ড্রাইভারগন ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমানের এসব কাজের প্রতিবাদ করলে তিনি তাদেরকে মামলার ভয় দেখান।
সিএনজি অটো রিক্সার ড্রাইভার মোঃ সেলিম সেলিম জানান, কোনাখোলা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আটি বাজার, আব্দুল্লাহপুর ও কদমতলী গোলচত্তর এলাকায় প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। এই সিএনজি অটো রিক্সা চালিয়ে তারা কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু প্রতিদিন এই সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান নানা অজুহাতে ২/৩টি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। ভাড়া বাবদ কোন টাকা পয়সা দেন না এমনকি গাড়ির গ্যাস পর্যন্ত তিনি দেন না। প্রতিবাদ করলে তিনি মারধর করেন গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। গাড়ি নিয়ে তিনি এই অবস্থা করলে আমরা তাহলে কি করে খাব।
মোঃ শওকত আলী নামে অপর এক সিএনজি অটো রিক্সার ড্রাইভার জানান, সরকারি কাজে প্রতিদিন আমরা একটি করে সিএনজি তার অফিসে দিয়ে থাকি। এতে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত কাজে আমাদের কাছ থেকে জোর করে সিএনজি অটো রিক্সা নিয়ে ভাড়া না দিয়ে সারাদিন খাটায়। আমরা তার এই নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে চাই।
এ ব্যাপারে কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ ফজলুর রহমান জানান, আমি কোন ব্যক্তিগত কাজে সিএনজি অটো রিক্সা নেইনি। শুধু সরকারি কাজের জন্যই তাদের কাছ থেকে রিকুজেশন করে সিএনজি অটোরিকশা নেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সিএনজি অটো রিক্সা ড্রাইভার দের করা অভিযোগ সঠিক নয়।