ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তিন বছর আগেই অবসর নিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় এ ব্যাটার। আইপিএলের শেষ মৌসুমে তাকে দলে ভেড়ায় নি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি।

এবার আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও অবসরের ঘোষণা দিলেন সুরেশ রায়না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন রায়না। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তও জানালেন সেই একইভাবে।

ভারতের হয়ে ১৮টি টেস্ট, ২২৬টি ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রায়না। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের অন্যতম সফল ক্রিকেটার ছিলেন রায়না। ২০৫ ম্যাচে ৩২.৫ গড়ে ও ১৩৬.৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫৫২৮ রান।

এক টুইট বার্তায় অবসরের ঘোষণা দিয়ে রায়না বলেন, ‘দেশ এবং আমার রাজ্য উত্তর প্রদেশের খেলাটা অনেক গর্বের ছিল। এখন আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা, চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজীব শুক্লাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য সমর্থকদেরও ধন্যবাদ।’




আবরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নকিয়া ফোন

এক সময় ফোনের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল নকিয়ার। দক্ষিণ এশিয়ার মোবাইল ফোনের বাজারে ৭০ শতাংশ দখল ছিল ফিনল্যান্ডের এই হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির।

কিন্তু অ্যানড্রয়েড ফোনের প্রচলন শুরু হলে বাজার হারাতে থাকে নকিয়া। হারানো বাজারে একটু একটু করে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে এইচএমডি গ্লোবালের মালিকানায় থাকা বিশ্বখ্যাত নকিয়া। বিক্রি বাড়িয়ে ফের একবার শিরোনামে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বিক্রির নিরিখে এই মুহূর্তে বিক্রির নিরিখে পঞ্চম স্থানে রয়েছে নকিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির নিরিখে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে আইডিসি।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে বিক্রির নিরিখে ১৫তম  স্থানে রয়েছে নকিয়া সি১০০। চলতি বছর নকিয়া সি২০০ মডেল বিক্রিতেও জোয়ার দেখেছে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার সংস্থাটি। একই সঙ্গে চলতি বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রথম ত্রৈমাসিকের থেকে বিক্রি বেড়েছে নকিয়ার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্টফোন বাজারে নিজের জমি ইতিমধ্যেই সংস্থাটি।মনে করা হয় যে ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আমেরিকায় নকিয়া ফোন বিক্রি আরও বাড়তে পারে।




বানিয়াচংয়ে দুরারোগ্যদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুদান

জুয়েল রহমান হবিগঞ্জ ,প্রতিনিধিঃ

বানিয়াচং উপজেলার দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি’র (ইউএনও ভারপ্রাপ্ত) সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রধান’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বেসরকারি সদস্যদের বিল ও বেসরকারি সদস্যদের প্রস্তাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এডঃ আব্দুল মজিদ খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তজিমুল হক চৌধুরী। উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সার, প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী,থ্যালাসেমিয়া, লিভারসিরোসিস সহ ছয়টি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পূর্বেই আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ২৬ জন কে মোট ১৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই চালু করা হয়েছে। এবং এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে ও জাননো হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় অস্ত্র মামলায় জুয়েল হোসেন (৩১) নামের এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা  করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরপাড়া
গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার চল্লিশপাড়া
গ্রামের মাঠের মধ্যে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জুয়েল হোসেনকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিনসহ তাকে আটক করে।

এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা
আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক এ মামলার
আসামিকে এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এ রায়ের
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।




মেঘনার ইলিশ আর পদ্মার ইলিশের মধ্যে তফাৎ কি?

জুনাইদ আল হাবিব:

নদীপ্রধান বাংলাদেশে মেঘনা আর পদ্মা নদী ইলিশ সম্পদের বিশাল ক্ষেত্র। এ জন্য মেঘনা ও পদ্মার সীমারেখায় এ পেশার মানুষদের সারিটাও বেশ লম্বা। সাধারণত পদ্মা আর মেঘনার ইলিশের মধ্যে যে পার্থক্যগুলো দেখা যায়, তা আমরা অনেকেই জানি না। ইলিশ বিশেষজ্ঞ লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মুহিবুল্লাহ বলছেন, সাগরের কাছাকাছি মোহনার ইলিশের স্বাদটাই বেশি। এ ইলিশ সাগরের মোহনা থেকে যত দূর যায়, তত তার ফ্যাট কমে যায়, যার সাথে স্বাদের বিষয়টাও জড়িত। সে দিক বিবেচনায় মেঘনার ইলিশের স্বাদ পদ্মার ইলিশের তুলনায় অনেক বেশি।

এ কর্মকর্তা আরো বলেন, সাগরের কাছে মোহনায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট খাবার থাকে। যা মোহনার ইলিশ খেতে পারে। এতে তাদের পেট মোটা থাকে ও আকৃতি মধ্যম হয়। এটা বলতে গেলে মেঘনার ইলিশের বেলায় প্রযোজ্য। অন্যদিকে সাগর থেকে পদ্মা নদীর দূরত্ব অনেক। সাগর থেকে যত দূরত্বে ইলিশ উপরে আসবে তত ইলিশ খাবার কম পাবে এবং ইলিশের আকার লম্বা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বলা চলা মেঘনার ইলিশ আর পদ্মার ইলিশ চেনার উপায় স্বাদ এবং আকৃতিতে।

মেঘনাতীরের মতিরহাট ইলিশঘাটের সাবেক সভাপতি ও কমলনগরের চর কালকিনি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান লিটন নদীতে ইলিশ কম আসার কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, নদীতে ডুবোচরগুলোর কারণে ইলিশ আসতে সমস্যা। তিনি বলেন, নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠার কারণে ইলিশ আসতে বাঁধা পায়। যার কারণে মেঘনায়ও বিগত বছরগুলোর তুলনায় ইলিশের পরিমাণ অনেক কমেছে। আর মেঘনায় ইলিশ না আসলে পদ্মায় যাবে কিভাবে৷ এ অবস্থার কারণে ইলিশ তাঁর গতিপথ বদল করে সাগরেই থাকছে। যার কারণে সাগর থেকে ঘাটে প্রচুর ইলিশ আসে। যেগুলোর স্বাদ নেই তেমন। যদি ডুবোচরগুলো খনন করা যেত, তাহলে অবাধে ইলিশ মেঘনার মোহনায় বিচরণ করতে পারতো। তাহলে ইলিশের উৎপাদনও বাড়তো, আমরা স্বাদের ইলিশ পেতাম। আর ইলিশের অভিযানের বিষয়েও আমাদের আপত্তি আছে। ইলিশের অভিযান আরো পিছিয়ে দেয়া উচিত।

সারা বছর ইলিশের মৌসুম বা মৌসুম ছাড়াও জেলেদের বিচরণ নদীগুলোতে চোখে পড়ে। তো এ পেশার মানুষগুলো কেমন আছেন? খোঁজ নিতে কথা হয়েছিলো মেঘনাপাড়ের মতিরহাট ইলিশ ঘাটের বেশ কয়েকজন জেলের সাথে। মেঘনায় ১৫বছর ধরে ইলিশ ধরেন জাহাঙ্গীর আলম(৩৭)। তিনি বলছিলেন, ইলিশ ধরে কোন রোকম(রকম) জীবনডা পার করি। চলতে অসুবিধা, খাইতে অসুবিধা। নদীতে কামাই করে মোটামুটি চলি। এই নৌকা কিনতে এক লাখ টাকা ঋণ নিছি, এখনো শোধ করতে পারিনাই। নদীতে মাছ কয় দিন আছে, কয় দিন নাই। ডাকাতের কারণে রাত নদীতে নাউ বাইতে পারি না। আমাদের আটকিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেয় ডাকাতরা। মুখ থেকে কিছু বললেতো শেষ করে দিবে।

জেলে মুহম্মদ নুর নবী। বয়সের সীমানা ৬৫গড়িয়েছে। মেঘনায় ইলিশ ধরেন ২০বছর ধরে। শুরু থেকে অন্য মাঝিদের সাথে ইলিশ ধরলেও এখনো তার অবস্থার বদল হয়নি। তিনি বলেন, ইলিশ আমরা ধরি ঠিকই। লাভের বেলায় আমরা জিরো। এখানে মহাজনদের লাভ বেশি। আমরা দাদন নেই, ১৫হাজর, ২০হাজার করে। দাদন থেকে যে টাকা নেই, সেটাও শোধ করতে পারি না। কারণ, ইলিশ খুব কমই ধরা পড়ে। এ জেলে আরো জানান, মহাজনের কাছ থেকে ১লাখ টাকা দাদন নিলে ১০হাজার টাকা বছরে দিতে হয়। এছাড়াও নদীতে চোর-ডাকাতের আতংক, ঝড়-ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগের ভেতর আমাদের মাছ ধরতে নদীতে যেতে হয়। না গিয়েও পারি না। আশায় থাকি, অন্তত দুইটা মাছ পেলেও পেট চলবে। আমাদের অবস্থা এমনই থাকে। বদলায় না।

মেঘনায় ইলিশ শিকার করে বেঁচে থাকা এ জেলেদের জীবনটাও স্বাভাবিক সময়েও অস্বাভাবিক থাকে। দেশের মূল ধারার জনগোষ্ঠীর চেয়ে এ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নানান সুযোগ-সু্বিধা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু জেলে এবং তাদের বিভিন্ন সংগঠনের কোন অভিযোগই যেন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী মহলে পৌঁছেই না।

জেলেদের অভিযোগ, নদীতে এসে কারেন্ট জাল পোড়ার প্রয়োজন কি। কারেন্ট জালের উৎপাদন ফ্যাক্টরি থেকে বন্ধ করে দিলেই ঝাটকা ইলিশ নিধন হবে না। এ ছাড়াও জেলেরা বলছেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত জেলে কার্ড নেই। যে সব জেলের জমি-জমা নেই, তাদের মাঝে চরের খাস জমি বন্টন করার দাবিও তুলছেন এসব জেলেরা।

ডুবোচর খনন করলে একদিকে যেমন নদীভাঙন ঠেকানো সম্ভব অন্যদিকে এ ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন নিয়ে এক ধরণের সমাধানও মিলবে। আর অন্যদিকে জেলেদের যে সব দাবি দাওয়া রয়েছে, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে একদিকে যেমন জেলেদের জীবনের পরিবর্তন ঘটবে, ঠিক অন্যভাবে নদীতে ইলিশ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।




চরভদ্রাসনে পদ্মানদীতে অভিযান চালিয়ে জাল জব্দ ও পুড়িয়ে বিনষ্ট

সাজ্জাদ হোসেন সাজু,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মানদীর নমোরশ্যাম কোলে অভিযান চালিয়ে ১ টি বেড় জাল (আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা মূল্যমানের) জব্দ ও বিধিমোতাবেক পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযান পরিচালনা হয়, ০৫ সেপ্টেম্বর,  দুপুর ১২.৩০ হতে ২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তানজিলা কবির ত্রপা, আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, পুলিশ এ এস আই ইকবাল সাহেব এবং আনসার ও পুলিশ সদস্য।



নরসিংদীতে সুজিত হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান কারাগারে

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি-

নরসিংদীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্কাশ্যে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সুজিত সূত্রধর (৫৩) কে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় জামিন নামঞ্জুর করে ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

অভিযুক্ত ইউসুফ খান পিন্টু হাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোস্তাক আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু ও তার ভাইয়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত সুজিত ইউপি সদস্য থাকার সময়ের পরিষদের চাল ও গম বিতরণে অনিয়মসহ নানা বিষয় নিয়ে সুজিতের সঙ্গে হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টর বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে পিন্টুর নামে একাধিক মামলা করেন সুজিত। মামলার জের ধরে সুজিতের ওপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে।

এরই মধ্যে গত ২২ জুন সন্ধার পর সুজিত সূত্রধর বাড়ি থেকে হাজিপুর কাঠবাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। রাত ৮টার দিকে হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান পিন্টুর ভাই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুজিতকে কুপাতে থাকে।

এসময় ঠেকাতে গেলে সুজিতের ছেলে সুজন ও দোকানের কর্মচারীদেরও পিটিয়ে আহত৷ করা হয়। পরে আহত সুজিতকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে সুজন।

এরই প্রেক্ষিতে সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে পিন্টু ও তার ভাই মনিরুজ্জামান খানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।




তজুমদ্দিনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বসত ঘরে আগুন

ভোলা প্রতিনিধি:

 ভোলার তজুমদ্দিনে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শশীগঞ্জ গ্রামে কবির মাঝীর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘরসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা মালামাল পুড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।

বাড়ির মালিক হুমায়ুন কবির জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে আমার বসতঘরসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হুমায়ুন কবিরের ছেলে মোঃ শাফায়াত জানান, ঘরে লাগা আগুনে মালপত্রের সাথে তার ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র পুড়ে গেছে।

তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এবং দ্রুত পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।




তজুমদ্দিনের মেঘনায় ভাসমান অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভোলা প্রতিনিধি:

 ভোলার তজুমদ্দিনের কোস্টগার্ড সদস্যরা মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ ভোলা মর্গে প্রেরণ করেছে।

কোস্টগার্ড ও পুলিশ সূত্র জানায় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে এগারো টার সময় মেঘনা নদীর বাসনভাঙ্গা ও চর কাঞ্চন এলাকার মধ্যবর্তী এলাকায় কোস্টগার্ড সদস্যরা টহলরত অবস্থায় একটি ভাসমান লাশ দেখতে পায়। পরে তারা লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ পল্লী নিউজকে জানান উদ্ধারকৃত লাশের মাথায় (টাক) চুল নেই, পরনে মেরুন কালার পাঞ্জাবি সাদা পায়জামা এবং একটি হাতঘড়ি ছিল।

বয়স অনুমান ৪০ থেকে ৪৫ হবে। লাশ ফুলে গেছে।পোস্টমর্টেমের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 




বরগুনা-২ আসনে বিএনপি’র সাবেক এমপি মনিসহ ৪০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা-২ আসনে বিএনপি’র সাবেক এমপি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনিসহ ৪০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু। ইতোমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফায়জুল মালেক সজিব, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম শরীফ, রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন, ছাত্রদলের কর্মী হাসিব ও শাওন।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুল ছালাম সোমবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি রোববার বিকেলে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে পাথরঘাটায় পৌঁছলে নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সিএন্ডবি এলাকায় নুরুল ইসলাম মনির সাথে থাকা লোকজনকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নির্দেশে প্রতিরোধ করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর সাথে থাকা লোকজনও এ সময় পাল্টা হামলা চালায়। হামলায় নুরুল ইসলাম মনিসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ সময় অগ্নিসংযোগসহ অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় এসেছিলেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি। জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করার কথা ছিল। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, আমরা কেন্দ্র ঘোষিত তেল গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। পাথরঘাটা থানায় লিখিত অনুমতি চেয়েছিলাম। অনুমতি পাওয়ার আগেই গতকাল নুরুল ইসলাম মনির ওপরে হামলা হয়েছে। নুরুল ইসলাম মনি গতকালই বরিশালে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চলে গিয়েছেন।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।