কমলনগরে মেঘনা তীর রক্ষা বাঁধে চতুর্থবার ধস !

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে আবারও ধস দেখাদিয়েছে । এ নিয়ে গত তিন মাসে নির্মাণাধিন বাঁধে চার বার ধসনামে । অনিয়মের মধ্য দিয়ে নিন্মমানের কাজ করায় বার-বার বাঁধে ধস নামছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে কমলনগরের মাতাব্বরনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাধে গিয়ে দেখা যায়। বাধের দক্ষিণে অংশ ধসে গেছে । এতে ওই বাধের প্রায় ১০০ মিটার নদীতে ধসে পড়েছে। তাৎক্ষণিক ধস ঠেকাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালু ভর্তি কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এর আগে দুপুরে তীর রক্ষা বাধে ধস নামে। একই ভাবে কয়েক দিন পর-পর নদীর তীর রক্ষা বাধে ধস দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তীর রক্ষা বাঁধে নদীর ভিতরে ৪৫ মিটার জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ও ব্লক যাথযথভাবে ডাম্পিং না করে বাঁধ নির্মাণ করে। এছাড়াও নিম্মমানের বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে জুন মাসের শেষের দিকে বাঁধে প্রথমবার ধস নামে। এরপর ২৬ জুলাই ফের ধস নামে। পরবর্তীতে আগস্টে মাসেও আবার ধসনামে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকে বাঁধ নির্মাণ কাজ অনিয়মের মধ্যে হয়ে আসছে। যথাযথ বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহার না করে নিন্মমানের ব্যবহার করায় এনিয়ে চার বার তীর রক্ষা বাধে ধস নেমেছে। এছাড়াও অন্যত্র থেকে মা্টি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করায় বার-বার বাধে ধস নামছে।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এজিএম মাসুদ রানাবলেন, নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। তীব্র জোয়ারও আছে। ভাটার টানেবাধে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দ্রুত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছি । আশা করছি বাধ এখন ঝুঁকি মুক্ত।
এ ব্যাপারে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নিম্মাণ হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ইঞ্জিনিয়ারি কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে। এদিকে ওই বরাদ্দ থেকে ৪৮কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। অর্থবরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে।

কমলনগরে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস, নিম্মমানের কাজের অভিযোগ

কমলনগরকে রক্ষা করা যাবে তো!




লক্ষ্মীপুরে মেধাবীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও উপকরণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রী এর ঢাকা ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম আলাউদ্দিন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র ও শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মো. নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র মাকছুদুর রহমান স্বপন, ঢাকার ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ওমর ফারুক বাচ্চু, প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা ফোরামের আহ্বায়ক ও নরসিংদী কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জামাল উদ্দিন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এ্যাড. হেলাল আমিন, চন্দ্রগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মো. আব্দুল কুদ্দুছ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বুলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তণ ছাত্র ও অবসরপ্রাপ্ত অডিট এন্ড একাউন্ট অফিসার মো. নুরনবী, লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয়পার্টির সহ-সভাপতি সামছুদ্দিন পাটোয়ারী, প্রাক্তণ ছাত্র ও প্রতাপগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মো. মোস্তফা কাজল, পুলিশ হেড কোয়াটার্সের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত পুলিশ অফিসার ক্যাডেট মহিউদ্দিন, প্রাক্তণ ছাত্র ও চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মো. আলী হোসেন, এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি নাসির উদ্দিন, প্রাক্তণ ছাত্র কামরুজ্জামান নিজাম, বাবুল হোসেন ও আইনুল আহমেদ তানভীর প্রমুখ।
আলোচনা শেষে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৬৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি হিসাবে নগদ অর্থ ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এ সময় বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ ও শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।




লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. মমিন উল্যার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার মেয়র এম এ তাহের।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন পাঠান।
জেলা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকি, সহ-সভাপতি ছফি উল্যা খাঁন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, জজ আদালতের সহকারী পি পি অ্যাডভোকেট বাবু প্রেমধন মজুমদার, ইউসুফ জালাল কিসমত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল কাশেম মিজান ও জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের আহবায়ক মাহবুবুর রশিদ চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকগণ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার মানোয়ন্ন এবং ডিজিটাল শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। শিক্ষকদের চাকুরী জাতয়িকরণের দাবিতে প্রয়াত শিক্ষক নেতা কামরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ শিক্ষক সমতির পতাকা তলে সমবেত হওয়ার আহবান জানানো হয়।




মিয়ারমারে গণহত্যার প্রতিবাদে কমলনগরে বিক্ষোভ

লক্ষ্মীপুরঃ

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তোরাবগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) আছর নামাজের পর তোরাবগঞ্জ সমাজ কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশটি তোরাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে বাজার প্রদিক্ষণ শেষে বাজারের কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় প্রায় ২ সহ¯্রাধিক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া সিনিয়র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহীম শামীম, স্থানীয় আশরাফুল উলুম মাদরাসা পরিচালক মাওলানা মানজুরুল হক, তোরাবগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুজ্জাহের ভুইঁয়া, ফরাশগঞ্জ ফয়েজ আম আলীম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মমিন উল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মোঃ হারুন অর রশিদ, আরিফ হোসেন প্রমুখ।

পরে সমাবেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য দোয়া ও মুনাজাত করেনতোরাবগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ খতিব মাওলানা মহসিন।




 কমলনগরে টাকা লেনদেনের জের, ধর্ষণের মামলা !

 

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পাওনা টাকা আদায়ে আইনি নোটিশ করায় এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ব্যবসায়ী আবু তাহেরকে (৪২) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। এনিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় লোকজন। প্রতিবাদে তারা করুনানগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে।

এবিষয়ে ঘটনাস্থল চরজাঙ্গালিয়া গ্রাম ও করুনানগর বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী, স্থানীয় লোকজনসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলা হয়। এসময় মামলাটি সম্পূর্ণ সাজানো বলে তারা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ২০মে উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের অঞ্জন চন্দ্র দাস আবু তাহেরের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেয়। এসময় তিন মাসের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করার কথা বলে নিজের সোনালী ব্যাংক কমলনগর শাখার (হিসাব নম্বর-১০০০১৩১৫৯) একটি চেক দেওয়া হয়। পূর্ব নির্ধারিত ২২ আগস্ট তাহের চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে দেখেন, ওই হিসেবে টাকা নেই। ব্যাংক থেকে চেকটি ফেরত দেওয়া হয়। পরে ২৭ আগস্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজওনার করেন। পরদিন তাহেরের পক্ষে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবি আব্দুল ওদুদ আইনি নোটিশ পাঠান অঞ্জন চন্দ্র দাসকে। এসময় ৩০ দিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করার জন্য বলা হয়। নচেৎ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অঞ্জন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অঞ্জন চন্দ্র দাসের স্ত্রী (৩৫) বাড়ির পাশে পুকুর ঘাটে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আবু তাহেরসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন তার মুখ চেপে ধরে। পরে তাহের জোরপূর্বক তার মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় অন্যদের সহযোগীতায় একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। পরে খোঁজাখুজি করে ঘটনাস্থল থেকে তাকে বিবস্ত্র অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর অঞ্জনের ভাই সুদীপ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে কমলনগর থানায় মামলায় দায়ের করেন। এতে আবু তাহেরের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়।

তাহের প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত করুনানগর বাজারের মো. মনিরের মুদি দোকানের সামনে কাঁচামাল বিক্রি করেন। রোববার সাপ্তাহিক বাজার সেখানে। ওইদিন বিকেল থেকে রাত ১১ টায় পর্যন্ত তিনি কেনাবেচা করেছেন। অথচ মামলায় বলা হয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় চরজাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনি ধর্ষণ করেছেন।

 

সরেজমিনে চরজাঙ্গালিয়া গ্রাম ও করুনানগর বাজারের গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাহের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য অঞ্জনকে চাপ দিয়ে আসছে। স্থানীয়দের দিয়ে টাকা উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়েও তিনি ব্যর্থ হন। এজন্য সম্প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণ নাটক সাজানো হয়। আর ঘটনার সময় তাহের বাজারেই ছিলেন। শত-শত লোক তাকে বাজারে দেখেছেন।বাজার থেকে ঘটনাস্থলে যেতে এক-দেড় ঘন্টা সময় লাগবে। পরিকল্পিতভাবে তাবে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাহেরকে গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন বুধবার করুনানগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

পুলিশ হেফাজতে আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াই আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে আসতে হয়েছে। আমাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করার পর থানায় নিয়ে পুলিশ বেদম পিটিয়েছে। এখন হাত-পাসহ পুরো শরীরের ফোলা-জখম রয়েছে। আমি মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

মামলার বাদী সুদেব চন্দ্র দাস বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে তাহেরের লেনদেনের ঘটনা সত্য। মিনতি রানী ধষর্ণের কথা বলায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটিকে এখনই ধর্ষণ বলা যাবে না। তবে প্রাথমিকভাবে যৌনাঙ্গে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, প্রতিবেদন হাতে পেলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিন উদ্দিন বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি তাহেরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষা করানো হয়। পুলিশ হেফাজতে আসামিকে পেটানোর অভিযোগ সঠিক নয়। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না।




আরাকান রাজ্যের সহিংসতার পেছনে কাজ করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী …লক্ষ্মীপুরে ডিআইজি মনির-উজ-জামান

লক্ষ্মীপুর : বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস এম মনির-উজ-জামান বলেন, আরাকান রাজ্যে যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে, এর পেছনে কাজ করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পকিস্তানী সেনাবাহিনী এ সহিংসতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে এ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভোমত্ব কিভাবে বিপন্ন করা যায় তার বিরুদ্ধে সে পাকিস্তানের একাত্তরের রাজাকারের শক্তি তারা কিন্তু লেগে আছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ প্রাঙ্গনে আয়োজিত মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডাভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) কাজল কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান ও লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি সৈয়দ জিয়াউল হুদা আপলু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সিভিল সার্জন মোস্তফা খালেদ আহমেদ, র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাহ নেওয়াজ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া সমাবেশে সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর ও চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।




বিধবা মায়ের সংবাদ সম্মেলনে: কমলনগরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মুক্তিযোদ্ধা মো. মহসিনের ছেলে মাহমুদুল হাছান হিরুকে একটি হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যমূলক অভিযুক্ত করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ মামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করেছে পরিবারটি। এ নিয়ে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলনগর প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেবেকা মহসিন জানান, উপজেলার চর জাঙ্গালীয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা স্বামী মো. মহসিন ২০১২ সালে মারা যান। তিনি হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমীর শিক্ষক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর সৎ ভাই (দেবর) মো. ছানা উল্যাহ তহশিলদারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তার স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি দখল করার জন্য ছানা উল্যা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। ২০১৬ সালের ২৯ মে চরলরেন্স এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের পিয়ন মো. মাকসুদ (২৬) নিখোঁজ হয়। ঘটনার ৮দিন পর ছানা উল্যার বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে পুলিশ তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বেলাল হোসেন ওই দিন রাতে অজ্ঞাতনামা ৪-৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারে তার ছেলের নাম ছিল না। পরবর্তীতে ছানা উল্যাসহ একটি কুচক্রি মহল পুলিশকে ম্যানেজ করে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান হিরুকে ৩নম্বর অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দাখিল করায়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনার সাথে আমার ছেলে সম্পৃক্ত নয়। আমিও এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার চাই। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জব্দ করা আলামতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জুুডিশিয়াল তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনার উম্মোচন হবে। এজন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

 

 




রামগতির খোকন বাহিনীর প্রধান খোকন গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরের রামগতির খোকন বাহিনীর প্রধান দস্যু খোকনকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়ার কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেনেন্ট বোরহান উদ্দিন অভিযান চালিয়ে ঘাসিয়ার চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এসময় তার কাছ থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি, বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, রামগতির চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি খোকন। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ভোলার তজুমুদ্দিন ও নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও ধর্ষনসহ ১৮-২০টি মামলা রয়েছে।

রামগতির চরগজারিয়া, চর আবদুল্লাহসহ মেঘনা নদীতে খোকন বাহিনী ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে। বিভিন্ন সময়ে তার অস্ত্রধারী বাহিনী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় থেকে খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে।

 




রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বার্তা জানিয়েছেন।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমারের সঙ্গে একই সুরে রোহিঙ্গা সংকটকে একটি ‘ইসলামী সন্ত্রাসী ইস্যু’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। এখন তার অবস্থানের বড় পরিবর্তন হল। আর এই অবস্থান পরিবর্তনের নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

দিল্লির একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় বাংলাদেশ বেশ বিলম্ব করেছে। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ উদ্যোগ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লির অবস্থান পরিবর্তনের কথা জানান।

ঢাকার একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, সুষমা টেলিফোনে শেখ হাসিনাকে জানান যে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানেই বিশ্বাস করে ভারত। এছাড়াও, বহুপক্ষীয় এবং গোপনীয় বৈঠকেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা বলবে ভারত।

নিউইয়র্ক সফরকালে শেখ হাসিনা ও সুষমা স্বরাজের একই ফ্লাইটে যাওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেন ঢাকা ও দিল্লির কর্মকর্তারা। তারা আবুধাবি থেকে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একই ফ্লাইটে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জার্নি করে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমেই নামেন সুষমা স্বরাজ। তারপর বিমান থেকে শেখ হাসিনাকে বেরিয়ে আসতে দেখে সবাই নিশ্চিত হন যে, বিমানে তাদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করে যে, তাদের মধ্যে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। এ বিষয়ে দু’দেশের করণীয় নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।




মালয়েশিয়ায় গণ-আদালতে সু চি ও সেনাপ্রধানের বিচার শুরু

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধানসহ অন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার একটি আন্তর্জাতিক গণআদালতে বিচার শুরু হয়েছে। শুক্রবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়। কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল অংশ নেয়।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্ট্যাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকার অভিযুক্ত।

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারের সর্বস্তরে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। ওই শুনানিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকও অংশ নেন।

আজ ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারে মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। বিকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য শেষে বিবাদী পক্ষ বক্তব্য রাখবেন।

বৃহস্পতিবার দিনভর বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা তাদের বক্তব্য পেশ করবেন। আট সদস্যের বিচারক প্যানেলে রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও আইনজীবীরা।

পিপিটি মালয়েশীয় শাখার সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি চন্দ্র মোজাফফর বলেছেন, পাঁচ দিনের অধিবেশনে বিচারকরা প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক, বিশেষজ্ঞ সাক্ষীদের মতামত, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি বিচার বিশ্লেষণ করবেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রায় ঘোষণা হবে। বিচারকদের এ রায় জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে।