লক্ষ্মীপুরে বাড়ির ছাদে থানকুনি চাষ

সাজ্জাদুর রহমান: থানকুনি পাতার উপকারিতার জুড়ি নেই। এর ব্যবহার আদি আমল থেকেই। রোগ নিরাময়ে এ মহৌষধ এখন তেমন চোখে না পড়লেও একজন স্বাস্থ্য সচেতন শিক্ষক বাড়ির ছাদে শখ করে থানকুনির চাষ করেছেন। বহু রোগ উপশম হওয়া ভেষজ গুণসমৃদ্ধ এ উদ্ভিদ তিনি নিজেও ব্যবহার করেন; অন্যকে দিয়েও সহযোগিতা করেন।

লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম। তিনি শহরের মদিন উল্লাহ হাউজিংয়ের বাড়ির ছাদে টবে সবজি চাষ করেন। বিভিন্ন শাক-সবজির পাশাপাশি থানকুনিও রয়েছে তার আবাদের তালিকায়। মৌসুম ও প্রকৃতির সঙ্গে মিলেয়ে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করলেও সারা বছর থানকুনির চাষ থাকে তার বাড়ির ছাদে।

আমাদের দেশে উদ্ভিদটিকে কমবেশি প্রায় সবার চেনা। আগে গ্রামের রাস্তার পাশে, পরিত্যক্ত জমি ও বাড়ির আঙিনায় ছায়াযুক্ত স্থানে এ উদ্ভিদের দেখা মিলতো। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষি জমি হ্রাসসহ নানা কারণে গ্রাম-গঞ্জে আগের মতো থানকুনি চোখে পড়ে না। শহরে তো এর দেখাই মেলা ভার। বর্তমান নগরজীবনে বাড়ির ছাদে স্কুল শিক্ষকের থানকুনি চাষের উদ্যোগ সত্যিই ব্যতিক্রমী।

টবে থানকুনি চাষ-ছবি-বাংলানিউজসরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির ছাদ যেন একটি সবজি ও ভেষজ উদ্ভিদ বাগান। পুরো ছাদে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির টব। টবে চাষ করা হয়েছে বেগুন, ঢেঁড়শ, মরিচ ও শাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি। এছাড়াও রয়েছে থানকুনি, তুলসী ও মেহেদীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ভেষজ গাছ। বাড়ির ছাদ জুড়ে আছে ১৪/১৫টি থানকুনির টব। এতে গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। কয়েকটি টবে ঢেঁড়স, মরিচ ও বেগুনের সঙ্গে থানকুনি বেড়ে উঠতে দেখা গেছে।

স্কুল শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, শখ করে অবসর সময়ে ছাদে শাকসবজি ও কিছু ভেষজ উদ্ভিদের চাষ করি। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত এসব শাকসবজি পারিবারিক চাহিদা মেটাই।

থানকুনি বিষয়ে তিনি বলেন, অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে নানা নামে ডাক‍া হয়। প্রয়োজনে শহরে এটি খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজের ও অন্যের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে গত কয়েক বছর ধরে টবে থানকুনির চাষ করছি।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নোয়াখালীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মহী উদ্দীন চৌধুরী বলেন, থানকুনির বৈজ্ঞানিক নাম সেনটেলা এসিয়াটিকা। খ্রিস্টপূর্ব ৯০০ থেকে এটি ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ এলাকায় ফল ও সবজি বাগানে ছায়াযুক্ত স্থানে সমন্বিতভাবে কৃষকরা থানকুনি আবাদ করছেন। কৃষকের জন্য এটি বাড়তি লাভ। থানকুনি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না। লাগে না বাড়তি খরচ। প্রয়োজনীয় যত্ন নিলে পাওয়া যায় অর্থ ও সুস্বাস্থ্য।

থানকুনি পাতায় রয়েছে ওষুধি গুণ। থানকুনি পাতা সব ধরনের পেটের রোগের মহৌষধ। এর ভেষজ গুণাবলি ছাড়াও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করা যায়। অনেকেই ভাতের সঙ্গে থানকুনি পাতার ভর্তা ও সালাদ খান। কেউ-কেউ শাক হিসেবেও রান্না করেন। মুখে ঘা, ক্ষত, সর্দির জন্য উপকারী।

আলসার, বাতের ব্যাথা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্য চর্মরোগ মুক্তিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিয়মিত থানকুনির রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুর্নগঠনেও সাহায্য করে।

বাংলানিউজ সংগৃহীত




কমলনগরে ১০ জুয়াড়ির জরিমানা

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ১০ জুয়াড়ির জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা তাদের প্রত্যেকের ৫০০ টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর উভুতি গ্রামের সফিক উল্লার ছেলে নুরু ইসলাম (২৮), কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার ওসমান আলীর ছেলে মো. খোকন (২২), একই এলাকার মফিজ উল্লার ছেলে আব্বাস উদ্দিন (৪০), সাহাব উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন (৩২), শাহ আলমের ছেলে সাদ্দাম (১৯), চর লরেন্স এলাকার হানিফের ছেলে মাইন উদ্দিন (২৬), একই এলাকার নুরুল হুদার ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৫), রমজান আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন (২৩), মফিজুল হকের ছেলে মো. নিজাম (২৮) ও চর মার্টিন এলাকার ছেলে মো. মোস্তফা (২৮)।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তোরাবগঞ্জ বাজারের একটি দোকান ঘর থেকে জুয়া খেলার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাদের প্রত্যেকের ৫০০ টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




লক্ষ্মীপুরে বজ্রপাতে জেলে নিহত

রামগতি প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বজ্রপাতে মেহরাজ উদ্দিন (৩৫) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছেরাজ উদ্দিন ও বেচু মিয়া নামে আরও দুই জেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছেরাজকে নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অপরজনকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রামগতিরহাট মাছঘাটের  আশ্বিনী খালের মোহনায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহরাজ চর গাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর এলাকার শফিক উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় চর গাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাওহিদুল ইসলাম সুমন জানান, মেহরাজ, ছেরাজ ও বেচুসহ ১৪-১৫ জন জেলে স্থানীয় মুকিত মাঝির ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরে ঘাটে ফিরছিলেন। আশ্বিনী খালের মোহনায় এলে তাদের ট্রলারে উপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মেহরাজ নিহত হন এবং ছেরাজ ও বেচু আহত হন।




নিজের ফেসবুক পেজেই তুলোধুনো সু চি

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ইস্যু এখন রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যা। দেশটির আরকান রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম নির্যাতন আর বিভৎস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে সে দেশের সেনাবাহিনী।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই চলছে প্রতিবাদ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন নিশ্চুপ থাকালেও উল্টো সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয়ায় দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চি তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছেন। মানবাধিকারের কথা বলে ক্ষমতায় আসা সু চি কেন এখন মানবতাবিরোধী এমন একটি সরকারি কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

তার বিরুদ্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভ মিছিল, র‌্যালি হলেও সমালোচনা থেমে নেই তার ফেইসবুক পেইজে’ও। শান্তিতে নোবেল পাওয়া এই নেত্রীকে নিজের ফেসবুক পেজেই বিভিন্ন পোস্টে কটাক্ষ আর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেকেই তার নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবি করেছেন। তবে এসব কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছেনা না তিনি। সম্প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনেও যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সু চি।

রবিবার সু চির ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে গিয়ে দেখা যায়, তার কভার ফটোতে নানা সমালোচনা, প্রতিবাদ আর কটাক্ষে ভরপুর। বিকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সু চি’র পেজের শুধু কাভার ফটোতেই মন্তব্য পড়েছে সাড়ে ১৭ হাজারের মতো, যার সিংহভাগই করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়ে। এছাড়া ছবিটি শেয়ার করেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।

২০১৬ সালে ১৩ এপ্রিল পোস্ট করা কাভার ফটোতে দেখা যাচ্ছে সু চি শপথ নিচ্ছেন। ছবিটিতে মন্তব্যকারী সবাই যে রোহিঙ্গা ঢলে আক্রান্ত বা উদ্বিগ্ন বাংলাদেশি তা নয়। সবাই মুসলিমও নন। কিন্তু নির্যাতন বন্ধের ইস্যুতে তারা প্রায় সবাই-ই একমত।

এছাড়াও অনেকের বক্তব্য ছিল, তারা আগে অং সান সু চি’কে খুব পছন্দ করতেন। এমনকি মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা গৃহবন্দী সু চি’কে ভালোও বাসতেন তারা। মানবতার পক্ষে লড়াইয়ের প্রতীক মনে করতেন। কিন্তু এখন সু চি তাদের কাছে ঘৃণিত একটি নাম।

এভাবে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা, বোঝানো, ধমকানো, তর্কবিতর্ক ছাড়াও রোহিঙ্গাদের বিপদমুক্তি এবং সু চি ও তার সরকারের শুভবুদ্ধির উদয়ের প্রার্থনা জানিয়েও কমেন্ট করেছেন বহু ফেসবুক ব্যবহারকারী।




চাকুরি জাতীয়তরণের দাবীতে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ
নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্ত ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ সহ বিভিন্ন দাবীতে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন করেছে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করে তারা।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের আহবায়ক, এ কে এম মাহবুবুর রশিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক নেতা রুহুল আমিন মাষ্টার, মঞ্জুরুল হক, আহমদ মিজানুর রহমান, কামাল হোসেন জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শাহজাহান কামাল প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ৫% বৃদ্ধি বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয় করণ করার জোর দাবী জানান, পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় মানববন্ধনে অংশ নেয় রায়পুর, রামগতি, রামগঞ্জ ও কমলনগর উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

 




এমপি আবদুল্লাহর প্রেস সচিব রাসেল পাটওয়ারী

 লক্ষ্মীপুর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র প্রেস সচিবের দায়িত্ব পেয়েছে সাংবাদিক মোহাম্মদ রাসেল পাটওয়ারী।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এমপি আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- উন্নয়ন, অগ্রগতি ও রাজনৈতিক কর্মসূচীর তথ্য সংগ্রহ, স্থিরচিত্র, ভিডিও সংরক্ষণ এবং সকারের উন্নয়নের ব্যাপক প্রচারের সুবিধার্থে মোহাম্মদ রাসেল পাটওয়ারীকে তার (এমপি’র) ব্যক্তিগত প্রেস সচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। মোহাম্মদ রাসেল পাটওয়ারী স্থানীয় মাসিক সাম্প্রতিক স্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার সবুজ গ্রামের মৃত আবদুল কাদের পাটওয়ারীর ছেলে।




কমলনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চর কাদিরা ইউনিয়নের সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, হোসেন কারী, মাহফুজা, মো: হিরন। হোসেন কারীকে কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে চর কাদিরা ইউনিয়নের কারী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা হলেন আবুল কালামের ছেলে মোঃ ওমর (৩০), হেলালের ছেলে মোঃ ইউসুফ(১৮), ছায়েদল হকের ছেলে আবুল কালাম (৬২), আবুল কালামের ছেলে মোঃ সেলিম (৩৫) ও মোঃ হেলাল (৪০) সহ আরো অনেকে এ হামলা চালায়।

হোসেন কারী জানান আমার গাছ থেকে আবু কালামের ছেলেরা সুপারি পাড়িয়া নেওয়ার সময় আমি বাধা সৃষ্টি করলে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় দলবল নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়।

আবু কালামের জামাতা ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল মালেকে বলেন ওয়ারিশি সম্পদ ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।




কমলনগরে ছাত্রীদের সচেতন করতে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ

লক্ষ্মীপুর : স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের মাঝে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাজিরহাট তোয়াহা’র স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮০০ ছাত্রীর মাঝে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জাহিদ বিল্লাহ।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, ছাত্রীদের সচেতন করতে এডিপির অর্থ থেকে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের মাঝে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হবে।




লক্ষ্মীপুরে প্রতিবন্ধী ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরে প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত নির্যাতনকারী মোরশেদুল ইসসলাম মহসিনের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার কামানখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয় কামানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামানখোলা পলিটেকনিক হাই স্কুল ও কামানখোলা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা।

বক্তব্য দেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহম্মদ ভূইয়াঁ, সহকারি প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন কামাল, মাদ্রাসা সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মারুফ হোসেন সুজন প্রমুখ।

গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে বাড়ির সামনের দোকানদার মোরশেদুল ইসলাম মহসিন চকলেটের লোভ দেখিয়ে যৌনর্নিযাতন করে। এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তকে মহসিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।




এবার রাম রহিমের ডেরায় মিলল গর্ভপাতের প্রমাণ

বিস্ফোরক, নিজস্ব মুদ্রা, যৌন গুহার পর এবার রাম রহিমের ডেরায় মিলল গর্ভপাতের প্রমাণ। অপরাধের আখড়া হয়ে উঠেছিল রাম রহিমের ডেরা।
বাবা জেলে যাওয়ার পর থেকেই তার একের পর এক অবৈধ ক্রিয়াকলাপ সামনে আসছে।

বাবার গোপন ডেরায় যথেচ্ছ যৌনাচারের প্রমাণ মিলেছিল আগেই। এবার জানা গেল এ চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডেরার মধ্যে এক হাসপাতালে অবাধে চলত গর্ভপাত।
প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে থাকা বাবার আশ্রমে হানা দিয়ে এই ঘটনার একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। প্রায় ৩০-৪০ জন সাধ্বী যে বাবার যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন, তা জানা গিয়েছিল আগেই। বিলাসের জন্য জলের তলায় সেক্স কেভ বানিয়েছিল রাম রহিম। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর গর্ভনিরোধক ও কন্ডোম।

এ অবস্থায় অবৈধ গর্ভপাতের মতো ঘটনা সামনে আসার পরেও অবাক হচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। শাহ সতনম জি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রেকর্ড বুকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়েছে। ডেপুটি কমিশনার প্রভোজৎ সিং এই অসঙ্গতির কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সাধারণ যে নিয়মকানুন রয়েছে, তা বাবার ডেরায় মানা হতো না। ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ভাবেই গর্ভপাত হত ওই হাসপাতালে, সন্দেহ এমনটাই।

মনে করা হচ্ছে, অন্তত ছ’টি ক্ষেত্রে এই কাজ করা হয়েছে এবং এর শিকার হয়েছে মূলত সাধ্বীরাই। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।