শঙ্কা ছড়িয়েছে ফেসবুক কিন্তু কেন!
সারাবিশ্বে এখনও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিবন্ধিতরা পুরোপুরি পরিষেবা পাচ্ছেন না। বহু নিবন্ধিত প্ল্যাটফর্ম অ্যাকসেস করতে সমস্যায় পড়ছেন। ফটো ও প্রোফাইল ছবি দেখতেও বিভ্রাটের মুখোমুখি হচ্ছেন, যার প্রভাব ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের নিবন্ধিতদের প্রভাবিত করেছে। ভক্তদের মধ্যে যা হতাশা ছড়িয়েছে। অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশে অনেকে ফেসবুকের বিকল্প সামাজিক মাধ্যমে খুঁজে বেড়িয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম, মেটা ও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা বিভ্রাটের বিষয়ে দাপ্তরিক কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানায়নি মেটা। তবে মেটাভুক্ত হলেও হোয়াটসঅ্যাপ নিবন্ধিতরা তেমন কোনো সমস্যায় পড়েননি।
শুধু ভারতেই ২০ হাজারের বেশি রিপোর্ট (অভিযোগ) ই-মেইল করা হয়। সব সমস্যাই হয় মূলত প্রধান শহরকেন্দ্রিক। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিতরাও ফেসবুক বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছেন। অ্যাডমিন (মেটা) সূত্রে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত সমস্যায় মাঝেমধ্যে আপডেট প্রয়োজন হয়, যা করতে গ্রাহকসেবা কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধান করা হয়। বিদ্যমান সমস্যাও ধীরে ধীরে সমাধান করা হবে। বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই এখন। তাৎক্ষণিক সমস্যায় ফেসবুক ভুক্তভোগীরা শঙ্কায় পড়েছিলেন। দ্রুতই তা সমাধানে কাজ করেছে মেটা।
নিবন্ধিত গ্রাহকরা মেটার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ও থ্রেড অ্যাপ ব্যবহারেও বিভ্রাটের শিকার হন। দ্রুতই মেটা সমস্যার উপস্থিতি স্বীকার করে বলেছে, সক্রিয়ভাবে সমস্যাটি সমাধানে যথাযথ কাজ চলমান। সব পরিষেবা পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়া অবধি পুনরুদ্ধার কাজ চলবে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
দ্রুতই মেটা-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের পরিষেবার পাসওয়ার্ড বদলে নেওয়া। অ্যাপ বা ডেস্কটপে নতুন পাসওয়ার্ডে লগইন ও লগআউট করা। পরের নির্দেশে নিরাপত্তার ইস্যুতে মেটা যে পরামর্শ দেবে, তা যথাযথভাবে পালন করা। ততোধিক ডিভাইসে ফেসবুক লগইনে সতর্ক থাকা।