অবশেষে বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম

বিদ্যুতের পাইকারি দাম অপরিবর্তিত রেখে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল। বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানির প্রেক্ষিতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এর আগে গত ১৮ মে কোম্পানিগুলোর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের প্রস্তাবিত দামের ওপর গণশুনানি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিইআরসি আইন অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে আদেশ দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী আজ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদস্য মকবুল-ই ইলাহী, সদস্য বজলুর রহমান, সদস্য আবু ফারুক, বিইআরসি সচিব খলিলুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে গণশুনানিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বর্তমান দর ইউনিট প্রতি ৫ দশমিক ১৭ টাকা থেকে ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫৮ টাকা করার আবেদন করে। বিপিডিবির এই প্রস্তাব গ্যাসের আগের দর ইউনিট প্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা বিবেচনায়। ওই প্রস্তাবের পর ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ৫৭ পয়সা করে। বিইআরসি টেকনিক্যাল কমিটি ভর্তুকি ছাড়া ৮ দশমিক ১৬ টাকা করার মতামত দেয়। অতীতে কখনও এতো বেশি পরিমাণে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়ার নজির নেই। পরে যাচাই-বাছাই শেষে বিইআরসি ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে এনেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লোডশেডিংসহ নানা কারণে সেখান থেকে সরে এসেছে বিইআরসি।

এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি আরেক দফা বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। পাইকারি, খুচরা ও সঞ্চালন- এই তিন পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বড়ানো হয়। সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা করা হয়।

যা আগে ছিল প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭৭ পয়সা। ওইদিন বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট গড়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়। যা আগে ছিল প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৭৭ পয়সা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন মূল্যহার বা হুইলিং চার্জ প্রতি ইউনিটে ০ দশমিক ২৭৮৭ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ০ দশমিক ২৯৩৪ টাকা করা হয়ে। ১ মার্চ থেকে কার্যকর করে বিইআরসি।




সোনাইমুড়ী কাশিপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন সম্পুর্ন 

মোঃ বদিউজ্জামান  ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলার  সোনাইমুড়ী থানার ৪নং বারগাঁও ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী কাশিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন ১২ অক্টোবর সম্পুর্ন  হয়েছে,  সারা দিন ব্যাপি বিপুল  উৎসব উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ।
বিদ্যালয়ের সভাপতি দেশের খ্যাতনামা তমা গ্রুপের কর্ণধার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মোঃ আবুল কালাম আজাদের সার্বিক সহযোগিতায় সুস্থ সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পুর্ন  হয়েছে, নির্বাচন পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন, সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনঅর রশিদ, স্হানীয় বারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ত্যাগী আ-লীগ নেতা সামছুল আলম বিএসসি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুট বল ফেডারেশন ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি পরিচালক সোহেল খন্দকার (সোহেল)  এতে অভিভাবক  সদস্য পদে নির্বাচিত হন ১ম ডাঃ আলাউদ্দিন, ২য় শাহ আলম চৌধুরী, ৩য় আবদুস সামাদ আজাদ, ৪থ মনির হোসেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হন জুয়েনা আক্তার,  দাতা সদস্য পদে নির্বাচিত হন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল পাশা।



রামগঞ্জে কৃষকলীগ নেতার উপর হামলা

আবৃ তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশনের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম তছলিম মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা৷

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার উত্তর চন্ডিপুর বকশি বাজারে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত মেম্বারকে উদ্ধার করে প্রথমে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সংবাদ পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার তছলিম মোল্লা রামগঞ্জ থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় চন্ডিপুর বকসী বাজার নামক স্থানে এলে রাতের অন্ধকারে ৪/৫জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়৷ পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেম্বার তছলিম মোল্লা চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর চন্ডিপুর গ্রামের মেহের আলী মোল্লা বাড়ির মৃত গোফরান মোল্লার ছেলে।

৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম সুমন জানান, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই মেম্বারের উপর হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তারপরেও বিষটি প্রশাসন সহ সকলের সহযোগীতায় নিয়ে তদন্ত করে হামলাকারীদের চিহিৃত করা হবে।

রামগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত মেম্বার চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




রায়পুরে গৃহবধূ নিখোঁজ, মায়ের জিডি

প্রদীপ কুমার রায়ঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্মৃতি আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি উপজেলার চরমোহনা গ্রামের আমির উদ্দিন ঢালি বাড়ির প্রবাসী মোঃ রফিকের মেয়ে। গত রবিবার দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে স্বামী ফখরুল ইসলাম টিটুর (২৫) রাখালিয়া গ্রামস্থ নুরুল ইসলাম পিয়ন বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন স্মৃতির মা মাহিনুর (৪৩)।

মাহিনুর বলেন,  বুধবার মেয়ে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত রোববার দুপুরে সে স্বামী ও শশুরের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে রওয়ানা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও না পৌঁছায় জামাতা টিটু আমাকে ফোন দিয়ে মেয়ের না যাওয়ার কারণ জানতে চায়। মেয়ে ওইদিন নির্ধারিত স্থানে না নেমে অন্য একটি স্থানে নেমে যায় বলে অটো রিকশার চালক জানিয়েছেন। ৮ দিন ধরে মেয়ে নিখোঁজ থাকলেও এখনো কোনো সন্ধান না পাওয়ায় আমরা চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। জামাতা ও শশুর পরিবারের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ ছিল না। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে রায়পুর থানায় জিডি করেছি।

গৃহবধূর শশুর নুর মোহাম্মদ (৬৫) বলেন, আমার স্ত্রী বেচে নেই। পুত্রবধূ স্মৃতিই ছিল আমাদের সংসারের প্রাণ। তাঁর হঠাৎ নিখোঁজে আমরা চিন্তিত। কারো বিরুদ্ধে পুত্রবধূর কখনো কোনো অভিযোগ ছিল না। তাঁর কাছে কোনো মোবাইলও ছিল না। তবে তাঁর ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়ারে কয়েকটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে। এগুলোর সূত্রধরেই হয়তো পুত্রবধূকে ফিরে পাবো এমন আশায় রয়েছি। সে বিপদগামি হয়েও যদি ফিরে আসে, তবে আমরা স্বাভাবিকভাবেই তাকে গ্রহণ করে নেবো। ব্যবহার ও কাজ দিয়ে সে পুত্রবধূ থেকে আমার মেয়ের স্থানটি দখল করে নিয়েছে।

স্মৃতি আক্তারের স্বামী ফখরুল ইসলাম টিটু বলেন, স্ত্রীকে ফিরে পেতে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমাকে স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেলেও এতোটা কষ্ট পেতাম না। কিন্তু এখন প্রতিটা মুহুর্ত তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আবেগের বশে খারাপ লোকের পাল্লায় পড়লে সে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সে যেখানেই আছে থাকুক। তবে আমরা তার সঠিক অবস্থানটি নিশ্চিত হতে চাই।

রায়পুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা মাহিনুর বাদি হয়ে জিডি করেছেন। দেশের সকল থানায় নিখোঁজ বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।




লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই ১৭ বছরের কিশোরী 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পূর্ব মাগুড়ি গোপালপুর গ্রামে বসত ঘরে আগুনের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কিশোরী আনিকা সুলতানা। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

#বিস্তারিত আসছে…..




যিনি নোবেল বিজয়ীদের ছবির কারিগর

পৃথিবী সেরা সবচেয়ে মূল্যবান এবং মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কারের নামটি নোবেল পুরস্কার। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীল অভূতপূর্ব কর্ম ও অসামান্য অবদানের জন্য অসাধারণ কীর্তিমানদের কপালেই জোটে এই দুর্লভ পুরস্কার। প্রতিবছর অক্টোবর মাস এলেই নোবেল বিজয়ীদের ঘোষণা আসে। সেই সাথে নোবেল বিজয়ীদের আঁকা ছবি প্রকাশিত হয়।

কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই ছবিগুলোর নেপথ্য? নোবেল বিজয়ীদের হুবহু স্কেচ দেখে অনেকেই মনে করেন এগুলো কম্পিউটারে আঁকা।

.কিন্তু একেবারেই তা নয়, এক কারিগরের হাতেই আঁকা এই ছবিগুলো। প্রতিভাবান সেই ব্যক্তি নিকোলাস এলমেহেদ। যিনি পেশায় একজন সুইডিশ ফ্রিল্যান্সার। নিকোলাস ২০১২ সাল থেকে তিনি নোবেলজয়ীদের ছবি আঁকছেন। তাকে নোবেলজয়ীর শিল্পীও বলা হয়।

জানা গেছে, নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বিজয়ীদের ছবি পাঠানো হয় নিকোলাসকে। সেগুলো চটজলদি এঁকে ফেলেন তিনি। প্রতিবার নোবেল ঘোষণার পর বিজয়ীদের আঁকা অবয়ব দেখি আমরা। নিকোলাস ২০১২ সালে নোবেল মিডিয়ায় যোগ দেন।

সে বছরই প্রথম হাতে-আঁকা নোবেলজয়ীর ছবি প্রকাশিত হয়। সেবছর যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাচ্ছিল না, তাদের ছবি আঁকার নির্দেশনা পেয়েছিলেন তিনি। দুই বছর পর নোবেল মিডিয়ার চাকরিটা ছেড়ে দিলেন শিল্পী। তবে নোবেল মিডিয়া ছাড়ল না তাকে। প্রথম বছরেই ঠিক হয়ে যায় সব নোবেলজয়ীর ছবিই এরকম হবে এখন থেকে। আর তাই গত আট বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন নিকোলাস।

এরপর গত ১০ বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন নিকোলাস। ২০১৭-১৮ সালে নীল আর হলুদ রঙে এঁকেছিলেন নোবেলজয়ীদের। ২০১৭ সাল থেকে সাদা-কালো মাধ্যমের সঙ্গে ধাতব ফয়েল দিয়ে সোনালি রং এনেছেন তিনি। তবে যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি না হয়ে প্রতিষ্ঠান নোবেল পায় তাহলে প্রতিষ্ঠানটির কাজকেই ফুটিয়ে তোলেন ছবিতে। যেমন দুই বছর আগে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’।

মুঠোয় ভরা শস্যের লোগো আঁকেন নিকোলাস। নোবেল জয়ীদের ছবি সামনে এলেও পেছনেই রয়ে গেছেন প্রতিভাবান শিল্পী নিকোলাস। খুব একটা মিডিয়ার সামনে আসেন না তিনি। আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন।




আবারো বাড়ছে বিদ্যুতের দাম, ঘোষণা বৃহস্পতিবার

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মধ্যেই দেশে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য (বিদ্যুৎ) মোহাম্মদ বজলুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, ‘কমিশন আজ আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দাম ঘোষণা করব। ৫০-৬০ পৃষ্ঠার একটা রায়, প্রতিটি শব্দ দেখে দিতে হয়। এজন্য একটু সময় লাগছে। রায় ঘোষণার কাজটি ফাইনাল স্টেজে আছে।

এর আগে বিইআরসি সূত্র জানায়, তারা একটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এনেছেন। তবে সরকারের কিছু নীতি-সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। বিশেষ করে ভর্তুকি ইস্যু। দাম না বাড়িয়েও কোনো উপায় করা যায় কি না সেটা চিন্তা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, এই দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ালেও তা ২০ শতাংশের বেশি হবে না।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরের আগে বিদ্যুৎ সংকট কাটার কোনো আভাস আপাতত নেই। যদিও তিনি এর আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।




পাকিস্তানকে ১৩০ রানে থামাল নিউজিল্যান্ড

ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড।

প্রথম সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়া নিউজিল্যান্ড এবার বাবর আজমদের আটকে দিয়েছে ১৩০ রানেই।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তবে এই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান।

বিস্তারিত আসছে…




বিয়ের ১০ বছর পর প্রসব একসঙ্গে ৪ সন্তান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের ১০ বছর পর এক সঙ্গে ৪ সন্তান প্রসব করেন রিপা বেগম (২৩) নামের এক প্রসূতি।

সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে জেলা শহরের জেলরোডে লাইফ কেয়ার শিশু ও জেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানার তত্ত্বাবধানে নবজাতকগুলো প্রসব করেন তিনি।

গাইনি ও প্রসূতি বিদ্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

baby

রিপা জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে ধীতপুর গ্রামের কৃষক সাগর আলীর স্ত্রী। নবজাতক গুলোর মধ্যে ১ ছেলে ও বাকী ৩ মেয়ে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘এই প্রসূতির আগে এক শিশু প্রসবের সময়ই মারা যায়। এরপর প্রথম থেকেই আমার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরমাঝে গর্ভবতী অবস্থায় তার করোনা পজিটিভ হয়েছিল। পজিটিভ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে সে করোনা নেগেটিভ হয়। পরে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান। রোগীর পরিবারের সদস্য আমার কথা শুনেছেন। তাই প্রসূতি এবার আগে আগেই রক্ত প্রদান করে প্রসবের জন্য ফিট ছিলেন।’




যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের সম্পর্কে নবীজি যা বলেন

আল্লাহর ভয়ে নির্গত চোখের পানির মূল্য আল্লাহর নিকট অনেক বেশি। হাদিসে এসছে, ‘আল্লাহর নিকট দুটি ফোঁটা ও দুটি চিহ্নের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কিছু নেই। এক. আল্লাহর ভয়ে নিঃসৃত অশ্রুফোঁটা। দুই. আল্লাহর রাস্তায় নির্গত রক্তের ফোঁটা।’ (তিরমিজি : ১৬৬৯)

যার চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি নির্গত হয়, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জাহান্নামে যাওয়া এমন অসম্ভব, যেমন দোহনকৃত দুধ পুনরায় ওলানে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। আর আল্লাহর পথের ধুলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনও একত্রিত হবে না।’ (তিরমিজি : ১৬৩৩)

অন্য হাদিসে , ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, ‘জাহান্নামের আগুন দুটি চোখকে স্পর্শ করবে না। এক. আল্লাহর ভয়ে যে চোখ ক্রন্দন করে। দুই. আল্লাহর রাস্তায় যে চোখ পাহারা দিয়ে বিনিদ্র রাত কাটায়।’ (তিরমিজি : ১৬৩৯)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে মুমিন বান্দার দুচোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি বের হয়, যদি তা মাছির মাথার পরিমাণও হয়, এবং তা চেহারা বেয়ে পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। (ইবনে মাজাহ, কিতাবুজ জুহুদ: ৪১৯৭) হাশরের কঠিন দিনেও আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জন্য বিশেষ ঘোষণা রয়েছে হাদিসে। সেদিনের কঠিন পরিস্থিতিতে সাত শ্রেণির মুমিন আরশের নিচে আশ্রয় পাবেন। তাদের এক শ্রেণি সম্পর্কে রাসুল (স.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণের সময় তার দুই চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে থাকে।’ (বুখারি: ৬৬০; মুসলিম: ৭১১)

রাসুলুল্লাহ (স.) সাহাবিদের বেশি বেশি কান্না করার উপদেশ দিতেন। কেননা মহাপ্রতাপশালী আল্লাহ যেখানে গুনাহের শাস্তি হিসেবে বান্দাকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিতে পারেন, সেখানে রহমত করছেন, বান্দাকে দিয়ে যাচ্ছেন অবারিত সুযোগ-সুবিধা; ভাবতেই তো মুমিনের চোখ দিয়ে পানি চলে আসার কথা। তাই তো রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন— ‘..আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা খুব কম হাসতে, বেশি কাঁদতে এবং বিছানায় স্ত্রীদের উপভোগ করতে না, বাড়ী-ঘর ছেড়ে পথে-প্রান্তরে বেরিয়ে পড়তে এবং চিৎকার করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে যে- আল্লাহর শপথ! হায়, আমি যদি একটি গাছ হতাম এবং তা কেটে ফেলা হত!’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৯০; মেশকাত: ৫৩৪৭; সহিহাহ: ১৭২২)

অতএব আমাদের উচিত, মহান আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে কৃত গুনাহর জন্য ইস্তেগফার করা, তওবা করা। ইনশাআল্লাহ, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের সব পাপ সাফ করে দেবেন এবং জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর অন্তরে তাঁর ভয় জাগ্রত করে দিন। তাঁর আদেশ নিষেধ পুরোপুরি মেনে চলার তাওফিক দিন। আমিন।