শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আইনি সহায়তা দিবে লিগ্যাল এইড: রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ

মাজহারুল ইসলাম চপল ব্যুরোচীফ: কুচকাওয়াজের মুহু মুহু শব্দ ও মনোমুগ্ধকর আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে জাতীয় আইন সহায়তা দিবস ২০২৪।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় রাজশাহী আদালত চত্বরে দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে নানা আয়োজনে পরিপূর্ণ ছিল। শুরুতে শান্তির প্রতীক পায়রা ও ফেস্টুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব শেখ মফিজুর রহমান। উদ্বোধন শেষে র‌্যালিতে অংশগ্রহন করেন তিনি। র‌্যালিটি জেলা ও দায়রা জজ চত্বর থেকে বের হয়ে নগরীর ভেঁড়িপাড়া (ডিআইজি রেঞ্জ কার্যালয়) মোড় হয়ে আবারও ফিরে আসে আদালত চত্বরে।
র‌্যালি শেষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও লিগ্যাল এইডের মেলা পরিদর্শন করেন এবং ফিতা কেটে স্টলগুলোর উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় স্টলের আয়োজকরা আইনি সহায়তা নিয়ে নানা উদ্যোগ এবং কিভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে আইনি সহায়তা পৌছানো যায় তা তুলে ধরেন।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায়, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম ও জেলা যুগ্ন জজ লুনা ফেরদৌস এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার, বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোঃ জাকির হোসেন, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ও স্মার্ট বক্তব্য দিয়ে সকলকে আকর্ষিত করেন বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ জনাব আল আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামান। এমময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দ, প্যানেল আইনজীবী, লিগ্যাল এইড ক্লায়েন্ট, লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যবৃন্দ, কোর্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ, বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্লাস্ট, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্র্যাক, সচেতন, এইড কুমিল্লা, এসিডি, ওলার, পরিবর্তন, দিনের আলো হিজড়া সংঘ, অনগ্রসর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা এবং অন্যান্য সকল স্তরের জনসাধারণ। আলোচনা সভায় দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সেরা প্যানেল আইনজীবীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে লিগ্যাল এইড দিবসের তাৎপর্য নিয়ে মুক্ত আলোচনা ও আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ আরিফুল ইসলাম ।
সভাপতির সমাপণী বক্তব্যে জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান সম্মানিত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব শেখ মফিজুর রহমান সরকারি আইনগত সহায়তা বিষয়ে বর্তমান সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “স্মাট লিগ্যাল এইড স্মাট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”। আর্থিক অসচ্ছলতা ও অন্যান্য কারণে যাঁরা বিচার পেতে অসমর্থ বা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন, তাঁদের জন্য বিচারের পথ সুগম করতেই আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ প্রণীত হয়েছিল। এটি একটি যুগান্তকারী ও জনবান্ধব আইন। দরিদ্র জনগণের প্রতি বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সরকার সকল জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করেছেন। দরিদ্র জনগণের আইন সহায়তা প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে সরকার লিগ্যাল এইড অফিসার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, বেঞ্চ সহকারী ও পিয়নের পদ সৃষ্টি করেছেন। লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে সকলের অংশগ্রহণ জরুরী বলে জানান এবং দরিদ্র মানুষের আইনগত অধিকার প্রাপ্তিতে সকলকে সাহায্য করার আহবান জানান। চলমান মামলার জট নিরসনে আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (এডিআর) এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিস হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত ১৪,৯৮২ টি মামলায় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে- ১১,৬৫১ টি, মামলা চলমান আছে- ৩,৩৩১ টি। ২০১৭ সাল হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত ৩,০৩৫ জন আইনি পরামর্শ গ্রহণ করেছে। ২০১৬ সাল হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য (এডিআর) আবেদন করেছেন- ১৬৪৮ জন। যার মধ্যে নিস্পত্তি হয়েছে- ১৫২৯ টি, চলমান রয়েছে- ১১৯ টি এবং এডিআর এর মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়েছে- ১,৮৪,০৩,৮১১/- (এক কোটি চুরাশি লক্ষ তিন হাজার আটশত এগার) টাকা। আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি খুব দ্রুত রাজশাহী শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে লিগ্যাল এইড আইনি সহায়তা পৌছে যাবে।
পরে ২০২৩ সালের সেরা প্যানেল আইনজীবীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এ বছর সেরা প্যানেল আইনজীবী নির্বাচিত হয়েছেন এড. নীলিমা বিশ্বাস। সর্বশেষ তিনি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 




সারা দেশে আজ বিঘ্নিত হবে ইন্টারনেট সেবা

সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আজ শনিবার (২ মার্চ) দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে আজ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলবে। এ কারণে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
বিষয়টি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)-এর পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত বুধবার নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক গৃহীত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য ২ মার্চ সকাল ৭টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা এই ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে।
তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন (সি-এমই-ডব্লিউই-৫) ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে গ্রাহকদের আগাম তথ্য জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এবং মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে অপারেটর কোম্পানিগুলো। এসব বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহারে অসুবিধা হতে পারে।



কারো মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কী করতে হয়?

বিশ্বের কয়েকশ কোটি মানুষ সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। দিনের অনেকটা সময় কাটায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রোল করে। নিয়মিত ছবি, ভিডিও পোস্ট করে। সেগুলোর আবার লাইক, শেয়ার চেক করা হয়। এছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করা হয় সারাক্ষণ। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে মৃত্যুর পর তার অনলাইনে উপস্থিতির কী হবে। অনেক সময় অ্যাকাউন্টের কী হবে তা ব্যবহারকারী নিজেই ঠিক করতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি অনেকেই হয়তো জানেন না। এছাড়া স্বজন সামাজিক মাধ্যমকে ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে কিছু না জানানো পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মৃত্যুর খবর জানালে কিছু সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইল বন্ধ করে দেয়ার সুযোগ দেয়। আবার কিছু সামাজিক মাধ্যম দেয় ভিন্ন বিকল্প। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে ব্যক্তির মৃত্যু সনদপত্র দিলে হয় অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দেয়া হয় অথবা মেমোরিয়ালাইজড করে দেয়া হয়। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টটি একটি সময়ে আটকে যাবে এবং ব্যবহারকারীকে স্মরণ করবে। এ সময় অন্যরা অ্যাকাউন্টটিতে ছবি ও স্মৃতি পোস্ট করতে পারবে। মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের নামের পাশে ‘ইন মেমোরিয়াম’ বা ‘স্মরণে’ লেখা থাকবে। কেউই ওই অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে বা চালাতে পারবে না, যদি না ব্যবহারকারী মৃত্যুর আগে কোনো ‘লিগ্যাসি কন্টাক্ট’ দিয়ে যায়।
সাধারণত পরিবারের কোনো সদস্য বা বন্ধুকে ‘লিগ্যাসি কন্টাক্ট’ হিসেবে দেয়া যায়। তারা মৃত ব্যক্তির একাউন্টের কন্টেন্ট পরিচালনা কিংবা ডিএক্টিভেটের (নিষ্ক্রিয়) অনুরোধ করতে পারে।  ফেসবুকে ‘পিপল ইউ মে নো’ বা ‘যাদের হয়তো আপনি চেনেন’ তালিকায় সম্ভাব্য ভার্চুয়াল বন্ধুদের কাছে মেমোরিয়ালাইজড অ্যাকাউন্ট দেখানো হয় না। আর মৃত ব্যক্তির বন্ধুদের কাছে তার জন্মদিনের কোনো নোটিফিকেশনও যায় না।
যেভাবে লিগ্যাসি কন্টাক্টের ফিচারের সুবিধা নিবেন
ফেসবুকের এ ফিচারটির সুবিধা পেতে হলে আপনাকে প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর অ্যাপ থেকে ফেসবুকে গিয়ে ঠিক ডানদিনে প্রোফাইল পিকচারের ছবিটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর একদম নিচে প্রাইভেসি অ্যান্ড সেটিংস অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে সেটিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে।
সেখানে ক্লিক করার পর সেখানে বেশকিছু অপশন আসবে। সেখান থেকে অ্যাক্সেস অ্যান্ড কন্ট্রোল অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর মেমোরিয়ালাইজেশন সেটিংসে গেলে ‘চুজ লিগেসি কন্টাক্টস’ অপশনটি আসবে।
সেখানে গিয়ে আপনি যার নামে অ্যাকাউন্টটি রেখে যেতে চান সার্চ অপশনে গিয়ে তার নাম লিখুন। এরপর ওই ব্যক্তির নাম আপনার স্ক্রিনে আসবে। সেখান থেকে আপনি তার নামে অ্যাকাউন্টটি করে দিতে পারবেন। তবে এটি করার জন্য ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড হতে হবে।
আপনি যখন কাউকে বেছে নেবেন তখন সঙ্গে সঙ্গে তার কাছেও একটি মেসেজ চলে যাবে। সেখানে লেখা থাকবে আপনি তাকে আপনার অবর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টের ক্ষেত্রে কারো প্রোফাইল মেমোরিয়ালাইজড করার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে ব্যক্তির মৃত্যু হলে কিংবা একাউন্টের মালিক তা ব্যবহারে অক্ষম হলে অ্যাকাউন্টটি কেবল ডিএক্টিভেট করা যাবে।



ইসরায়েলে বিনিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ করায় গুগলের ২৮ কর্মী বরখাস্ত

ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিরোধিতা করায় ২৮ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে গুগল। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউ ইয়র্কে তাদের দপ্তরে ১০ ঘণ্টা কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করে ওই কর্মীরা। সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নো টেক ফর অ্যাপারটাইড’ নামে কর্মীদের একটি গ্রুপ এই বিদ্রোহ করে। ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়েই তারা অসন্তুষ্ট। বিশেষ করে প্রজেক্ট নিমবাস। এই প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে ইসরায়েল ও গুগল।
এই ঘটনার পরেই বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের গুগলের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। এমনকি যারা আন্দোলনের সমর্থক, কিন্তু সরাসরি অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেননি তাদের কাছেও নোটিশ যায় সংস্থার এমপ্লয়ি রিলেশনশ গ্রুপের পক্ষ থেকে।
গুগলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক অভ্যন্তরীণ বিবৃতিতে কর্মীদের জানানো হয়েছে, আমাদের সংস্থায় এই ধরনের বিক্ষোভের কোনও জায়গা নেই এবং আমরা এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করবো না।
বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে এক বিবৃতিতে গুগল জানিয়েছে, শারীরিকভাবে অন্য কর্মীদের কাজে বাধাদান আমাদের নীতির বিরোধী এবং এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই কর্মীদের বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা অফিসের অঞ্চল ছেড়ে যেতে রাজি না হওয়ায় অফিসের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের অফিসের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। আমরা আপাতত ২৮ জন কর্মীকে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত করেছি এবং পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত চলছে।



চীনা অ্যাপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট

মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল চীনা সরকারের আদেশ মানতে চীনে নিজস্ব অ্যাপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ও থ্রেডস অ্যাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করেছে দেশটির সরকার।
জানা যায়, অ্যাপল সম্প্রতি তাদের অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড সাইট অ্যাপ স্টোর থেকে মেটার মালিকানাধীন দুটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডস সরিয়ে নিয়েছে। যদিও শুধু অ্যাপ স্টোর চীনা শাখায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা এখনো এ দুটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারছেন।
মার্কিন টেক জায়ান্টটি জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে চীনা সরকার তাদের এ নির্দেশ দিয়েছে। চীনে হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হলেও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য মেটার অ্যাপগুলো কিন্তু এখনো অ্যাপ স্টোরে চালু রয়েছে।
এমনকি ইউটিউব এবং টুইটার (বর্তমানে এক্স) প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো অ্যাপগুলো এখনো ডাউনলোড করা যাচ্ছে। ফলে নির্দিষ্টভাবে হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডস কিভাবে দেশটির জন্য জাতীয় হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠেছে তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না।



ম্যাকগার্ককে বিশ্বকাপের দলে চান ক্লার্ক

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের নতুন পাওয়ার হিটার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলে দেখতে চান দেশটির সাবেক অধিনায়ক মাইকেল 

চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাকগার্কের পাওয়ার হিটিংয়ে মুগ্ধ হয়েছেন ক্লার্ক। তিনি জানান, ম্যাকগার্কের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারনে বিশ্বকাপের জন্য তাকে ভাবতে হবে নির্বাচকদের।

এবারের আইপিএলে প্রথমবারের মত খেলার সুযোগ পান ম্যাকগার্ক। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই চমক দেখান তিনি। তিন নম্বরে নেমে ১৫৭ স্ট্রাইক রেটে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটার।

এরপর সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বিপক্ষে নিজের ভয়ংকর রুপ দেখান ম্যাকগার্ক। ৩৬১ স্ট্রাইক রেটে ৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১৮ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। ঐ ম্যাচে ১৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করে এবারের আইপিএল দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েন তিনি। এ ম্যাচেই থেমে যায়নি ম্যাকগর্কের পাওয়ার হিটিং।

গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে নামেন ম্যাকগার্ক। এবার মুম্বাইয়ের বোলারদের তুলোধুনো করে আবারও ১৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। নিজের রেকর্ড স্পর্শ করা ম্যাচে ৩১১ স্ট্রাইক রেটে ১১টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ম্যাকগার্ক।

দিল্লির হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ইনিংসে ২৩৭ স্ট্রাইক রেটে ও ৪৯ গড়ে ২৪৭ রান করেছেন ম্যাকগার্ক। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণেই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলে ম্যাকগার্ককে চান অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ক্লার্ক।

আইপিএলের ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকক্ষে ক্লার্ক বলেন, ‘ম্যাকগার্ককে নিয়ে এখন ভাবতে হবে নির্বাচকদের। দল সাজানোর জন্য আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সত্যি বলতে, সে যেভাবে খেলছে তাকে বাদ দেওয়া কঠিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ওয়েস্ট ইন্ডিজেও কন্ডিশন একই হবে। স্লোয়ার উইকেটে পাওয়ার প্লেতে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন।  নিজের সম্ভাবনা তৈরি করেছে সে এবং আমি তাকে ১৫ জনের দলে দেখতে চাই।’

 




বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্বে উইলিয়ামসন

কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নবম আসরের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)।

আগামী ২ থেকে ৩০ জুন যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের জন্য সবার আগে দল দিল নিউজিল্যান্ড। সোমবার তারা দল ঘোষণার সাথে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আদলে নিজেদের জার্সিও উন্মোচন করে।

অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থবারের মত কিউইদের নেতৃত্ব দিবেন উইলিয়ামসন। সব মিরিয়ে ষষ্ঠবার খেলবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক টিম সাউদি। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৫৭ উইকেটের মালিক ৩৫ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ পেসার।

ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাতাবেন আরেক অভিজ্ঞ পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। সাউদির সাথে বোলিং আক্রমনে থাকবেন এই ৩৪ বছর বয়সী।

প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে মনোনয়নের তালিকায় থাকা পেসার ম্যাট হেনরি এবং ব্যাটিং অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রকে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড বলেন, ‘আপনি যখন বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন তখন আপনার অভিজ্ঞতার দরকার হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি দারুন একটি দল যেখানে ভারসাম্য, উইকেট এবং কন্ডিশন বিবেচনা করে আমাদের কেনের মত অনেক বিকল্প আছে।’

ইনজুরির কারণে দলে সুযোগ হয়নি পেসার এডাম মিলনে এবং কাইল জেমিসনের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ড দল: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লুকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি ও টিম সাউদি।

 




উইকেট শিকারীদের তালিকায় শীর্ষে ফিরলেন মুস্তাফিজ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চেন্নাই সুপার কিংসের বড় জয়ের ম্যাচে টুর্নামেন্টে উইকেট শিকারী বোলারদের তালিকার শীর্ষে ফিরেছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

রোববার রাতে টুর্নামেন্টের ৪৬তম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে ৭৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই।

এ ম্যাচে ২.৫ ওভার বল করে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এর ফলে দুই পেসার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জসপ্রিত বুমরাহ ও পাঞ্চাব কিংসের হার্সাল প্যাটেলের সাথে ১৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে তালিকার শীর্ষে ফিরলেন মুস্তাফিজ। বুমরাহ ও প্যাটেল ৯টি করে এবং মুস্তাফিজ ৮টি ম্যাচ খেলেছেন।

নিজেদের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে ৯ রানে আউট হলেও অধিনায়ক ঋুতুরাজ গায়কোয়াড় ও নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেলের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানের বড় সংগ্রহ পায় চেন্নাই।

জবাবে খেলতে নেমে চেন্নাইয়ের বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করেন হায়দারাবাদ। ৭ বল বাকী থাকতে ১৩৪ রানে অলআউট হয় তারা।

ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ। ১৯তম ওভারে তৃতীয়বারের মত আক্রমনে এসে ৫ বলে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কাটার মাস্টার।

আইপিএলে বোলারদের পার্পল ক্যাপ জেতার প্রধান মানদণ্ড উইকেটসংখ্যা। একাধিক বোলার সমানসংখ্যক উইকেট পেলে ম্যাচ বা স্ট্রাইক রেট দেখা হয় না। বিবেচনায় নেওয়া হয় ইকোনমি, অর্থাৎ ওভারপ্রতি কে কেমন রান দিয়েছেন। ঠিক এ জায়গাতেই বুমরার চেয়ে পিছিয়ে মোস্তাফিজ। মুম্বাইয়ের বুমরা এখন পর্যন্ত ৩৬ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৩৯ রান, ওভারপ্রতি ৬.৬৩ করে। আর মোস্তাফিজ ৩০.২ ওভারে ২৯৬ রান দিয়েছেন ৯.৭৫ ইকোনমিতে।

পাঞ্জাবের হার্শাল অবশ্য রান দিয়েছেন আরও বেশি হারে—ওভারপ্রতি ১০.১৮ করে। সব মিলিয়ে পার্পল ক্যাপের লড়াইয়ে বুমরা এখন এক নম্বরে, মোস্তাফিজ দুই আর হার্শাল তিন নম্বরে।

 




দারুণ জয়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে রইল রূপগঞ্জ

দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। সেই লড়াইয়ে কোনো বিভাগেই প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারল না গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি। তাদের উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের টিকে থাকা নিশ্চিত করেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে সোমবার ৭ উইকেটে জেতে রূপগঞ্জ টাইগার্স। বোলারদের মিলিত প্রচেষ্টায় গাজী টায়ার্সকে ২০৬ রানে গুটিয়ে দেয় দলটি। পরে জয়ের সহজ পথ তৈরি করে দেন দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন। রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচটিতে ২০৭ রানের লক্ষ্য ৯৫ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে তারা।

রূপগঞ্জ টাইগার্স সব মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে জিতল ৪টিতে। আগের ম্যাচে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে জিতলেও শেষ ম্যাচ হেরে আবার প্রথম বিভাগে নেমে গেল গাজী টায়ার্স। প্রথমবার ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে এসে স্রেফ এক আসর টিকতে পারল তারা।

গাজী টায়ার্সের আগেই অবনমিত হয়েছে ১৩ ম্যাচে স্রেফ ২ জয় পাওয়া সিটি ক্লাব। এই দুই দলের জায়গায় প্রথম বিভাগ থেকে উন্নীত হয়ে আগামী মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ খেলবে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গাজী টায়ার্সের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। কিন্তু ইনিংস টেনে লম্বা করতে পারেননি কেউই।

সাত নম্বরে নামা অধিনায়ক গাজী তাহজিবুল ইসলামের ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫২ রানের ইনিংসে কোনোমতে দুইশ পেরোয় দল।

রূপগঞ্জের কোনো বোলার একাধিক উইকেট নিতে পারেননি। তবে আঁটসাঁট বোলিংয়ে সম্মিলিত অবদান রাখেন সবাই।

রান তাড়ায় মাহফিজুল ও জসিমের ব্যাটে ১৫১ বলে ১৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। ২৬তম ওভারে শামিম মিয়ার বলে ফেরেন দুজনই। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ বলে ৭৪ রান করেন মাহফিজুল। জসিমের ব্যাট থেকে আসে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ বলে ৭৭ রান।

চতুর্থ উইকেটে ৩১ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করেন সালমান হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

৭৪ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মাহফিজুল। ১১ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ৪১০ রান করে এবারের লিগ শেষ করলেন ২০২২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা এই ওপেনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি: ৫০ ওভারে ২০৬/৭ (মহব্বত ২৭, ইফতেখার হোসেন ২৭, আশিকুর ১৭, হাফিজুর ২১, শামিম ৩২, আশরাফুল ২, তাহজিবুল ৫২*, ইফতেখার সাজ্জাদ ১৪, আরিদুল ১*; মহিউদ্দিন ১০-০-৩৫-১, আরিফুল ৬-১-১৯-১, মামুন ৮-০-৩৫-০, হাশিম ১০-২-৩৩-১, সোহাগ ১০-০-৪২-১, গালিব ৫-০-২৭-১, আইচ ১-০-১১-০)

রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৩৪.১ ওভারে ২০৭/৩ (মাহফিজুল ৭৪, জসিম ৭৭, শামসুর ৭, সালমান ২৩*, মামুন ২০*; ইকবাল ৩-০-২৩-০, লিওন ৫-০-১৬-০, আরিদুল ৮-০-৩৮-১, ইফতেখার হোসেন ৪-০-৩৬-০, ইফতেখার সাজ্জাদ ৪-০-২৫-০, হাফিজুর ৩-০-১৭-০, শামিম ৫-০-৪৪-২, আশরাফুল ২.১-০-৮-০)।

ফল: রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী।




ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে প্রশাসনকে নির্দেশ

খেয়াল খুশিমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে যাতে সরকারের অনুমোদন ব্যতীত কাঁচামাল আমদানি করতে না পারে।

এছাড়া দেশের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর বেআইনিভাবে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়া কেন অবৈধ নয় এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।