সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনের বিকল্প নেই: ১২ দলীয় জোট

আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো সহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকায় মানববন্ধন পালন করেছে ১২ দলীয় জোট। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধনে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, দেশবাসীর সামনে একদফা সরকার পতনের আন্দোলনের বিকল্প নেই। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটের অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করা হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব;) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ন্যাপ- ভাসানী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম সহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নানাভাবে বাধাসৃষ্টি ও হয়রানি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে গণগ্রেফতার অভিযান। নির্বিচারে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল এজেন্ট আওয়ামী সরকারের গণতন্ত্র আজ যুদ্ধতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে হামলা মামলা গ্রেফতার ও নানাভাবে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নিজেদের জনসমর্থনহীনতার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।
বক্তারা বলেন, এতো উন্নয়ন করেছেন তাহলে জনগণের ভোট না পাওয়ার আতঙ্কে ভোগেন কেনো? কেনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভয় পান? কেনো জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে প্রশাসন ও পেশীশক্তি ব্যবহার করে বিনা ভোটে জয়লাভের হ্যাট্রিক করার চেষ্টা করছেন?

তারা আরও বলেন, দেশের অবস্থা ভীষণ খারাপ। একদল গডফাদার দস্যু দেশটাকে লুটপাট করে ফোকলা বানিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। সরকারি দলের ব্যবসাযীরা সিন্ডিকেট বানিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চাল ডাল আটা তেল লবণ মাছ মাংস ডিম এমনকি গরিবের প্রোটিন ফার্মের মুরগীর দাম ১৩০/১৪০ থেকে ২৫০ টাকায় তুলেছে। দেশে নিরব দূর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে গণবিরোধী অবৈধ সরকার দফায় দফায় জ্বালানি গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েই চলেছে!!

তারা বলেন, অবৈধ অনির্বাচিত সেবা দাস সরকারের অসম গোপন বিদ্যুৎ চুক্তির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া বানানোর পথে নিয়ে গেছে। অবিলম্বে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি বাতিল করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবীর পক্ষে জনজোয়ার অবৈধ সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দেশ ও জনগণের একমাত্র দাবি হয়ে উঠেছে।




ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

কে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ। গুণে গুণে অর্ধডজন বল দিলো তাদের জালে। ফলে অপরাজিত থেকেই শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাঘিনীরা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শুক্রবার ভুটানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলে হারায় বাংলাদেশের নারীরা। তুলে নেয় আসরে হ্যাটট্রিক জয়।

ফাইনালে আগেই পা রেখেছিল বাংলাদেশ, নেপাল আর ভারতকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছিলো শিরোপার লড়াই। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। তবুও ম্যাচটাকে বেশ গুরুত্বের সাথেই নেয় বাঘিনীরা৷ ম্যাচের মাত্র ১৩ মিনিটের মাথায় গোল উৎসবে মাতে বাংলাদেশ। দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকা দলকে প্রথ উপলক্ষ এনে দেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। তার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফাতিমা আক্তারের লম্বা ক্রস ধরতে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি।
২০ মিনিটের ব্যবধানে স্কোর দ্বিগুণ করেন ফাতিমা। ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন তিনি। উল্লাস থামার আগেই ফের গোল পায় বাংলাদেশ। ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে ব্যবধান বাড়ান থুইনুই। ফাতিমার কর্নার ধরর হেডে খুঁজে নেন জাল। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও ভুটানের জালে বল পাঠায় বাংলাদেশ। এবার মৌমিতা খাতুনের আড়াআড়ি ক্রসে প্রীতি পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোলমুখেই পেয়ে যান সাথী। টোকা দিয়ে বাকি কাজ সারেন তিনি।
৬৯ মিনিটে ব্যবধানটা আরো বড় করেন থুইনুই। আগের মিনিটেই তার একটি শট ঠেকিয়ে দেন ভুটান গোলকিপার। তবে এবার আর পারেননি। মৌমিতা খাতুনের ক্রস ধরে দূর পোস্টে জোরালো শট নেন তিনি, বল ভুটান গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-০। ৭৭ মিনিটে দলের হয়ে শেষ গোলটি করেন প্রীতি। একক চেষ্টায় তিনজনকে কাটিয়ে পেনাল্টি এরিয়ায় ঢোকে বল জালে জড়ান তিনি। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।



এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে টিকটক

এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে পড়েছে জনপ্রিয় কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইতোমধ্যে এ বিষয়ক একটি বিল প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছে এই অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সব টিকটক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে দেওয়া সেই বার্তায় অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তুত করা হচ্ছে। মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের বলুন যে টিকটক আপনাদের সম্পত্তি এবং (পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করা হলে) তারা যেন ‘না’ ভোট দেন।’

শুক্রবার এক প্রতিবেদেনে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, টিকটক এই বার্তাটি দেওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের ফোনে ‘বন্যার মতো’ কল আসতে শুরু করে।

তবে টিকটক যে বার্তাটি দিয়েছে, তা সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সত্যিই একটি বিল প্রস্তুত হচ্ছে।

২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স প্রথম বাজারে আনে কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বাজারে আসার পরপরই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় অ্যাপটি। ২০২২ সালে এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের মধ্যেও টিকটক খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, দেশটির তরুণ প্রজন্মের দুই তৃতীয়াংশই নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন।

তবে ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়।




ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘পূর্ণ’ জাতিসংঘ সদস্যপদ সমর্থন করে চীন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘পূর্ণ’ জাতিসংঘ সদস্যপদ সমর্থন করে চীন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বৃহস্পতিবার বলেছেন, বেইজিং জাতিসংঘে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘পূর্ণ’ সদস্যপদ সমর্থন করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক সদস্য হিসেবে সমর্থন করি।

ওয়াং বলেন, ‘গাজার বিপর্যয় আবারও বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড যে দীর্ঘকাল ধরে দখল করা হয়েছে তা আর উপেক্ষা করা যাবে না।
ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত আকাঙ্ক্ষা একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আর এড়ানো যাবে না। যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের সহ্য করা অবিচার সংশোধন না করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেটি চলতে পারে না।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে বেইজিং। চীন ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থনকারী। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুদ্ধের সমাধানের জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের’ আহ্বান জানিয়েছেন।



এক ঘণ্টার বেশি সময় পর সক্রিয় হলো ফেসবুক

এক ঘণ্টার বেশি সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর সক্রিয় হলো মেটার আওতাধীন বিশ্বের বহুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সচল হতে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমটি।

এদিন রাত ৯টার পর থেকে সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। তারা জানান, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এমনকি যারা ফেসবুকে লগ–ইন করা অবস্থায় ছিলেন তারাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ–আউট হয়ে যান।

ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮১৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এরপর রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা এও জানতে চাচ্ছেন— কী হয়েছে সামজিক মাধ্যমটির? কেনই বা লগইন করা যাচ্ছে না? কখন ঠিক হবে?

এদিকে হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে— সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ডাউনডিটেক্টর ছাড়াও ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেসবুক বিভ্রাটের বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ব্যবহারকারীরা। সেই সঙ্গে এ অভিযোগের সংখ্যা আজ রাত ১০টার পর থেকে আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়।




ইরানে ইসরায়েলি গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইরানে ইসরায়েলি গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়ার্কশপে ব্যর্থ ড্রোন হামলার দায়ে ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা বা মোসাদের এক সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রবিবার (৩ মার্চ) মোসাদের ওই গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান। ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইস্ফাহানস্থ একটি ওয়ার্কশপে কয়েকটি ছোট্ট ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানো হয়।

কিন্তু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সহযোগিতায় ওই হামলা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। একটি ড্রোনে আঘাত হানা হয়েছে এবং অন্য দু’টি ড্রোনকে কৌশলে আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এরপর ওই দু’টি ড্রোনও বিস্ফোরিত হয়েছে।
এ সম্পর্কে ইস্ফাহানের বিচার বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম জাফারি বলেছেন, এই ব্যর্থ হামলার পর মোসাদের ওই গুপ্তচর নিজের পরিচয় গোপন করে ইরান থেকে পালিয়ে যায়। এর ১৩ দিন পর ইরানের বিচার বিভাগের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় তাকে একটি প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শেষে গতকাল (৩ মার্চ) মোসাদের ওই সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।



খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে ঢাকার হাসপাতালে একজনের মৃত্যু

 

খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি একজন মধ্যবয়সী পুরুষ। রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলেন। অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন আরও জানান, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটা এ বছর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি মানিকগঞ্জে।

নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর আইইডিসিআর আয়োজিত এক সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে ওই সময় (গত ১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৩৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪০ জন রোগী মারা গেছেন। দেশে ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সাধারণত খেজুরের কাঁচা রস পানের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়।
আইইডিসিআরের ওই সভায় আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালে (১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন এবং তার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন। রোগী অনুপাতে মৃত্যুহার ৭১ দশমিক ৪২ শতাংশ। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন সভাটিতে নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার এবং ঝুঁকিবিষয়ক একটি তথ্যনির্ভর উপস্থাপনা তুলে ধরেন। উপস্থাপনায় ওই অধ্যাপক জানান, নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস। এ ভাইরাসের বাহক টেরোপাস (ফল আহারী) গোত্রীয় বাদুড়। বাদুড় থেকে মানুষে এই রোগের সংক্রমণ হয়। মানুষের মধ্যে এ সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় মালয়েশিয়ায় ১৯৯৮ সালে।
তাহমিনা শিরীন বলেন, বাংলাদেশে ২০০১ সালে মেহেরপুর জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব চিহ্নিত হয়। এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে হলে খেজুরের কাঁচা রস পান থেকে বিরত থাকতে হবে



দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে : নসরুল হামিদ

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অভ্যন্তরীন সকল উৎস হতে দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পেট্রোবাংলা ৪৬টি কূপ খনন, পুন:খনন এর কার্যক্রম শুরু করেছে যা থেকে ৬১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। ২০২৩ সালে এই কার্যক্রমের আওতায় এরই মধ্যে ১১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ভোলার গ্যাসকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। একই সাথে দেশের বিদ্যুৎ ও ইন্ড্রাস্ট্রি খাতে যেখানে সংকট রয়েছে সেখানে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, পাইপলাইন দিয়ে ৩ বছরের মধ্যে ভোলার গ্যাস মূল ভূ-খ-ে নেয়া হবে। ভোলাদ্বীপ একটি গ্যাস সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে আরও ৯টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভোলার নদী এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পণ জরিপ করা হবে। তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলায় শিল্প খাতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে ভোলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। বর্তমানে ভোলা থেকে সিএনজি করে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেশের মূল ভূ-খ-ের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা ২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোলা পৌর এলাকায় আবাসিক ও গৃহস্থলী কাজেও মিটারের মাধ্যমে সংযোগ দেয়ার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এ সময় ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি বোরহানউদ্দিনে ২২০ ও ২২৫ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ভোলা সদরের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিঃ ডিআরএস পরিদর্শন ও সিএনজি পরিদর্শন করেন।



মাঘের শুরুতে এসে শীত জেঁকে বসেছে মৌলভীবাজারে, বিপর্যস্ত জনজীবন

 

মাঘের শুরুতে এসে অবশেষে শীত জেঁকে বসেছে মৌলভীবাজারে। মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এ জেলায় এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

এর আগে সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শীতের তীব্রতা, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শ্রীমঙ্গলের জনজীবন। সকালবেলা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। হঠাৎ করে শীত বেড়ে যাওয়ায় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী, সাধারণ শ্রমজীবী ও অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
খানিক সূর্যের পরেই নগরীতে কুয়াশার চাদর, কনকনে শীতখানিক সূর্যের পরেই নগরীতে কুয়াশার চাদর, কনকনে শীত রাতভর শীতের তীব্রতার পর সকালে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি। তাপমাত্রা উঠানামার সাথে শীত জেঁকে বসায় দুর্ভোগ বেড়েছে চাবাগানসহ পাহাড় ও হাওর এলাকার কম আয়ের মানুষের। কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।



হাড় ও জোড়া লেগে যাওয়া রোগ “এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস”

 

এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস কী?

এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (এএস) হলো এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক আর্থ্রাইটিস যা প্রাথমিকভাবে মেরুদন্ড এবং স্যাক্রোইলিয়াক (SI) জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করে। এটি মেরুদন্ড চলমান একীকরন প্রক্রিয়া যার ফলে মেরুদ- শক্ত হয়ে যায় এবং অচলতা দেখা দেয়। এটি মেরুদন্ডকে কুঁজো করে দেয়। পাঁজর আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও অসুবিধা হতে পারে।
কাদের এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হতে পারে?
যে কারো এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হতে পারে, যদিও এটি মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের বেশী হয়ে থাকে। এই রোগের উপসর্গ সাধারণত ১৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায়। এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস একটি জেনেটিক রোগ যা পারিবারিক ভাবে হতে পারে।
লক্ষণ:
১. পিঠে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া, যা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বেশি হয় এবং চলাফেরার সাথে সাথে
কমে আসে।
২. মেরুদ-ের গতিশীলতার প্রগতিশীল ক্ষতি, যার ফলে মেরুদন্ড শক্ত হয়ে যায়।
৩. স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টের ব্যথা, পিঠের নিচের অংশে এবং নিতম্বে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যায়।
৫. এনথেসাইটিস, যা হাড়ের সাথে টেন্ডন বা লিগামেন্টের সংযুক্ত স্থানে প্রদাহ।
৬. ক্লান্তি এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা হ্রাস।
৭. ইউভাইটিস বা চোখের মাঝখানের স্তরের প্রদাহ।
৮. সোরিয়াসিস
কারণ:
এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই, যদিও জেনেটিক কারণ জড়িত বলে মনে হয়। বিশেষ করে, যাদের HLA-B27 নামক জিন আছে তাদের এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। যাইহোক, শুধুমাত্র জিনসহ কিছু মানুষের এই রোগের বিকাশ ঘটে।
রোগ নির্ণয়:
১. ইতিহাস
২. শারীরিক পরীক্ষা ইমেজিং স্ক্যান: ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) স্ক্যানগুলি সাধারণত এক্স-রের চেয়ে আগে মেরুদন্ড সমস্যা সনাক্ত করতে পারে।
৩. রক্ত পরীক্ষা: রক্ত পরীক্ষা HLA-B27  জিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে পারে।
জটিলতা:
১. কশেরুকা জোড়া লেগে যাওয়া (এ্যাঙ্কাইলোসিস)।
২. কাইফোসিস (মেরুদ-ের সামনের বক্রতা)।
৩. অস্টিওপোরোসিস (হাড় ছিদ্র রোগ)।
৪. বেদনাদায়ক চোখের প্রদাহ (আইরাইটিস বা ইউভাইটিস) এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা  (ফটোফোবিয়া)।
৫. হৃদরোগ, যার মধ্যে অ্যাওর্টাইটিস, অ্যারিথমিয়া এবং কার্ডিওমায়োপ্যাথি।
৬. বুকে ব্যথা যা শ্বাসকে প্রভাবিত করে।
৭. চোয়ালের প্রদাহ।
৮. কাউডা ইকুইনা সিন্ড্রোম
করনীয়:
চিকিৎসাঃ
*ঔষুধঃ
১. নন স্টেরয়েডাল বিরোধী প্রদাহজনক ওষুধ (NSAIDs)
২. রোগ পরিবর্তনকারী অ্যান্টি-রিউম্যাটিক ড্রাগস (DMRD)
৩. স্টেরয়েডাল থেরাপি।
সার্জারিঃ
এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত অল্প সংখ্যক লোকের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। জয়েন্ট
রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিতে একটি কৃত্রিম জয়েন্ট ইমপ্লান্ট করা হয়। কাইফোপ্লাস্টি করে বাঁকা মেরুদ- সংশোধন করা
হয়।
*ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসাঃ
১. স্ট্রেচিং ব্যায়াম: মৃদু প্রসারিত ব্যায়াম মেরুদন্ডের গতিশীলতা বজায় রাখতে এবং শক্ত হওয়া রোধ করতে
সাহায্য করে।
২. শক্তিশালীকরণ (Strenthening) ব্যায়াম: মেরুদ-কে সমর্থনকারী পেশীগুলির জন্য লক্ষ্যযুক্ত
শক্তিশালীকরণ (Strenthening) ব্যায়াম দেহ ভঙ্গি উন্নত করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৩. অ্যারোবিক ব্যায়াম: সাইক্লিং, সাঁতারের মতো হালকা অ্যারোবিকস ব্যায়াম হার্টের ফিটনেস এবং সামগ্রিক
স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে বেশ কার্যকর।
৪. দেহভঙ্গির উন্নতি: সঠিক দেহভঙ্গি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং মেরুদ-ের জোড়া লেগে যাওয়া প্রতিরোধ
করতে পারে। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীকে সঠিক দেহভঙ্গি এবং শরীরের মেকানিক্স শেখাতে
পারেন।
৫. চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে শ্বাসের ব্যায়াম।
৭. ইলেকট্রোথেরাপি
৮. মেনুয়ালথেরাপি