লিগের সেরা হয়ে রেকর্ড গড়লেন মেসি

লিওনেল মেসি টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেজর লিগ সকার-এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার মেজর লিগ সকার এই ঘোষণা দেয়। ৩৮ বছর বয়সী মেসি ইন্টার মিয়ামিকে লিগ শিরোপা জিতিয়েছেন এবং পুরো মৌসুমে ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা। তিনি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবেও মৌসুম শেষ করেন।

মেসি তাতে একটা রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। তিনি এখন এমএলএস ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় যিনি টানা দুই বছর এমভিপি জিতলেন। তিনি দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি মোট দুইবার এই পুরস্কার পেলেন। এর আগে ১৯৯৭ ও ২০০৩ সালে প্রেদরাগ রাদোসাভ্লজেভিচ এই পুরস্কার দুবার পেয়েছিলেন। মেসি ২৯টি গোল করেছেন, যা এমএলএস ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তিনি ১৯টি অ্যাসিস্ট দিয়ে গোল্ডেন বুট জিতেছেন।

মেসি বলেন, ‘আমি এই পুরস্কার পেয়ে খুশি। এবং এই লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুই বছর ধরে এটি জিততে পেরে আনন্দিত। আমি খুব কৃতজ্ঞ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত পুরস্কার পাওয়া ভালো লাগে। কিন্তু আমি এটি আমার সতীর্থদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।’

তিনি লিগে গোল ও অ্যাসিস্ট—দুই বিভাগেই শীর্ষে উঠে আসা দ্বিতীয় খেলোয়াড়। এর আগে শুধু সেবাস্টিয়ান জিওভিনকো ২০১৫ সালে এ কৃতিত্ব দেখান। প্লে-অফেও তিনি দাপট দেখান। ছয় গোল করেন এবং আরও নয়টি অ্যাসিস্ট দেন। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালে ইন্টার মিয়ামিকে ৩–১ গোলে জিতিয়ে এমএলএস কাপ এমভিপিও হন। সে ম্যাচে তিনি দুটি অ্যাসিস্ট করেন।

গত অক্টোবরে ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে মেসি তিন বছরের চুক্তি নবায়ন করেন। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করলেন আরেকটি মাইলফলক। তার ক্যারিয়ারে রয়েছে আটটি ব্যালন ডি’অর, তিনটি ফিফা বর্ষসেরা এবং দুটি বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল।

এবার তিনি বিপুল ভোটে এমভিপি হয়েছেন। মোট ভোটের ৭০.৪৩ শতাংশ মেসি পেয়েছেন। সান ডিয়েগো এফসির আন্দের্স ড্রেয়ার পেয়েছেন ১১.১৫ শতাংশ। মিডিয়া ভোটে মেসি পান ৮৩.০৫ শতাংশ, ক্লাব ভোটে ৭৩.০৮ শতাংশ এবং খেলোয়াড় ভোটে ৫৫.১৭ শতাংশ।

মেসি এমএলএসে এক মৌসুমে ১০টি মাল্টি-গোল ম্যাচ খেলে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে স্টার্ন জন, মামাদু দিয়ালো এবং ইব্রাহিমোভিচের রেকর্ড ছিল আটটি।

তিনি প্রথম এমভিপি জেতেন ২০২৪ সালে। সে বছর ১৯ ম্যাচে ২০ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ২০২৩ সালে ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি দলকে সেই বছর লিগস কাপ জিতিয়েছিলেন এবং ২০২৪ মৌসুমে সাপোর্টার্স শিল্ড অর্জনে নেতৃত্ব দেন।




দলে না নেওয়ায় ভারতে কোচকে হত্যাচেষ্টা

পন্ডিচেরিতে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের কোচ ভেঙ্কটরামনকে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব পন্ডিচেরি মাঠের ভেতর নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ, তিন স্থানীয় ক্রিকেটার তাকে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির দলে না নেওয়ার জন্য দায়ী করে। ঘটনার পর পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা করেছে এবং তাদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরের পর কোচ ভেঙ্কটরামন নেট সেশনে অনুশীলন দেখছিলেন। ওই সময় কার্তিকায়ান, অরবিন্দরাজ এবং সন্তোষ কুমারন নামে তিন ক্রিকেটার তার কাছে গিয়ে দলে না নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। অভিযোগ, হঠাৎ তারা একটি ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে কোচকে আঘাত করতে শুরু করে এবং একাধিক বার আঘাত করার পর দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, ‘আক্রমণটি পরিকল্পিত ছিল এবং খুবই ভয়ংকর।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনজনই এখনও পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’

কোচ ভেঙ্কটরামন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার কাঁধ ও পাঁজরে ভাঙন ধরা পড়েছে। কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে এবং সেখানে ২০টি সেলাই দিতে হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানায় পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা আরও জানান, মাঠের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো কাজ করছিল না।

ঘটনাটি স্থানীয় ক্রিকেট মহলে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের হামলা তরুণ ক্রিকেটারদের চাপ, হতাশা ও শৃঙ্খলা ভাঙার বিপজ্জনক দিক তুলে ধরছে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, পুলিশ তদন্ত শেষ হলে তারা নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।




অনন্য নজির গড়ে সাকিবদের এলিট ক্লাবে বুমরাহ

ক্রিকেটবিশ্বে পঞ্চম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাটেই ১০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন বুমরাহ। এদিক থেকে তিনি প্রথম ভারতীয় বোলার।

বুমরাহর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই ন্যূনতম ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন– শ্রীলংকার সাবেক তারকা লাসিথ মালিঙ্গা, নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি। এলিট লিস্টে নতুন করে যুক্ত হলেন বুমরাহ। তিন ফরম্যাটে সবমিলিয়ে ২২২ ম্যাচে বুমরাহর শিকার ৪৮৪ উইকেট।

গতকাল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংসের শুরুতে বিপাকে পড়ে যাওয়া ভারত; হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। ২৮ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন পান্ডিয়া।

১২০ বলে ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৭৪ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি সর্বনিম্ন স্কোর। এদিন ভারত ৬ জন বোলারকে ব্যবহার করে। প্রত্যেকে অন্তত একটি করে উইকেট শিকার করেন।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, ভরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির শততম উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে কেবল একটি শিকার প্রয়োজন ছিল বুমরাহর। আর্শদীপের পর দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে তিনি সেই কীর্তি গড়েছেন।

৮১ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১৭.৯১ গড়ে বুমরাহর শিকার ১০১ উইকেট। আর্শদীপ ৬৯ ম্যাচে ১৮.৩৭ গড়ে ১০৭ উইকেট শিকার করেছেন।

এদিনই চতুর্থ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০টি ছক্কার রেকর্ড গড়েন পান্ডিয়া। তার আগে এই কীর্তি গড়েন রোহিত শর্মা (২০৫), সূর্যকুমার যাদব (১৫৫) ও বিরাট কোহলি (১২৪)। ভারতীয় আরেক তারকা লোকেশ রাহুল ইতোমধ্যে ৯৯টি ছক্কা হাঁকিয়ে মাইফলফলক স্পর্শ করার পথে।




যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অধিকার সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অধিকার সংগঠন সিএআইআর’কে (দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস) ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করেছেন ফ্লোরিডা সরকার। একই সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এক্স-এ এক পোস্টে নির্বাহী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেস্যান্টিস। গত মাসে এমন সিদ্ধান্ত নেয় টেক্সাস অঙ্গরাজ্যও। খবর এপি’র

তবে ফ্লোরিডার এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিএআইআর। তারা সিদ্ধান্তটিকে অসাংবিধানিক ও মানহানিকর আখ্যা দিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও মার্কিন ফেডারেল সরকার এখনও সিএআইআর কিংবা মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেনি।




মস্কোতে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৭

রাজধানী মস্কোর কাছে রুশ সামরিক বাহিনীর একটি মালবাহী (কার্গো) বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে পাইলটসহ ওই বিমানটিতে থাকা সাত যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মস্কোর নিকটবর্তী ইভানোভো ঘটেছে এই ঘটনা। খবর তাস নিউজের।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল এএন-২২ মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট এয়াক্রাফট সিরিজের একটি বিমান। রুশ সামরিক বাহিনীতে এ সিরিজের বিমানগুলো কার্গো বিমান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিমানটির ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সেই ত্রুটি মেরামতের পর পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো (টেস্ট ফ্লাইট) হয়েছিল বিমানটিকে। এ সময় বিমানটিতে পাইলটসহ সাত যাত্রী ছিলেন।

সামরিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার কিছুক্ষণ পরই সেটি ইভানোভো জেলার একটি এলাকায় আছড়ে পড়ে। রাজধানী মস্কো থেকে ইভানোভোর দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি একটি বিরান, জনশূন্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে পাইলট ও যাত্রীরা ছাড়া আর কারো নিহত বা আহত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

আরও বলা হয়েছে, বিমান বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। সেই কমিটি ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে।




যে কারণে পুরস্কার নিতে যাচ্ছেন না শান্তিতে নোবেলজয়ী মাচাদো

বেশ কিছুদিন ধরেই এ বছরের শান্তিতে নোবেলজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন। তিনি অসলো এসে সশরীরে নোবেল গ্রহণ করবেন- এমন গুজব শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, আজকের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না মাচাদো। মাচাদোর পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করবেন তার মেয়ে আনা কোরিনা। আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

গত বছরের আগস্টে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাওয়ার পর মাচাদোকে একবারই জনসম্মুখে দেখা গেছে। ভেনেজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর তাকে নির্বাসনে যেতে হয়। ইতোমধ্যে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ৫৮ বছর বয়সী মাচাদো দেশ ছেড়ে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে গেলে তাকে ‘পলাতক’ আসামি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এমন আশঙ্কা আছে।

আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় এ অনুষ্ঠান শুরুর কথা রয়েছে। মাচাদো আদৌ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা, সেই বিষয়টি নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে নোবেল ইনস্টিটিউটের মুখপাত্র এরিক আশহেইম এএফপিকে নিশ্চিত করেন- আসছেন না মাচাদো।

নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভাইকেন নরওয়ের এনআরকে রেডিওকে বলেন, ‘মায়ের প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ে আনা কোরিনা মাচাদো পুরস্কার গ্রহণ করবেন। তবে তিনি মারিয়া কোরিনার লেখা বক্তব্য পড়ে শোনাবেন।’

হার্পভাইকেন জানান, মাচাদো কোথায় আছেন সে বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। সিটি হলে অনুষ্ঠিতব্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও লাতিন আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশের নেতারা অসলো এসেছেন। মাচাদোর মা ও তিন সন্তানও সেখানে থাকছেন।

পলাতক মাচাদো

আয়োজকরা এর আগে আভাস দিয়েছিলেন, পুরস্কার নিতে সশরীরে হাজির হবেন মাচাদো। তবে প্রথাগতভাবে নোবেলজয়ীদের সঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শুরুতে বিলম্বিত ও পরে বাতিল হয়। যার ফলে মাচাদোর না আসার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়।

মাদুরোর বিরুদ্ধে কারচুপি করে ২০২৪ সালের নির্বাচন জেতার অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলের নেতা মাচাদো। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের অনেক দেশও ওই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মাচাদোর পাশে দাঁড়িয়েছে।

হার্পভাইকেন গত সপ্তাহে বলেন, ‘শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে এরকম ঘটনা অনেকবারই ঘটেছে, যখন পুরস্কার বিজেতাকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। সেসব ক্ষেত্রে পুরস্কারজয়ীর পরিবারের সদস্যরা তার প্রতিনিধি হিসবে তা গ্রহণ করেন ও বক্তব্য দেন।’

উল্লেখ্য, নিজের নোবেল পুরস্কারটি ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেন মাচাদো।




পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মর্মান্তিক মৃত্যু

কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রৌমারী উপজেলার জাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- কর্তিমারী এলাকার শাহজাহানের ছেলে শাহবাব মণ্ডল (২) ও দিগলাপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে আবু তোহা মণ্ডল (৩)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। নিহত তোহা মন্ডল শাহজাহানের বাড়িতে বেড়াতে এসে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে দুই শিশু বাড়ির সামনে খেলাধুলা করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুর থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




নির্বাচনের আগেই ‘এমপি নিশ্চিত’— জামায়াত প্রার্থীর বক্তব্যে তোলপাড়

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই নিজেকে ‘নিশ্চিত নির্বাচিত’ বলে দাবি করলেন কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমর্থিত সংসদ সদস্য প্রার্থী শহীদুল আলম বাহাদুর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় ‘ইয়ান তো সিল মারা অইগেইয়ু, আই এমপি অইয়ুম হনো সন্দেহ নাই ইনশাআল্লাহ।’ যার শুদ্ধ বাংলা ‘এটি তো সিল মারা হয়ে গেছে। আমি এমপি হবএ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, ইনশাআল্লাহ।’

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ‘রবিন খান’ নামের একটি প্রোফাইল থেকে ভিডিওটি পোস্ট করার পর মুহূর্তেই তা নানা মহলে আলোচনা সৃষ্টি করে। ফেসবুকে প্রশ্ন এখন কক্সবাজারে এমপি কে হবে?

ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি বাহাদুরকে প্রশ্ন করছেন এখন কক্সবাজারে এমপি কে হবে? আপনার কি মনে হয়? প্রশ্নের জবাবেই আসে বাহাদুরের এই বিতর্কিত মন্তব্য।

রবি নামে এক ব্যবহারকারী লিখেন, ‘যেই যা বলুক শুনবার টাইম নাই। আমি দাঁড়িপাল্লায় নিয়ে পড়ে থাকব’। ওসমান নয়ন মন্তব্য করেন, ‘জেগেছে যুবক, জেগেছে ভোটার। ফেব্রুয়ারিতে হবে নির্বাচনবিজয় হবে দাঁড়িপাল্লার।’

মোস্তফা কামাল মন্তব্য করেন, ‘সিল মারা হয়ে গেছে তাহলে এত প্রচারের প্রয়োজন কী! এই কথাই শেখ হাসিনাও বলত। এবার কি হাসিনা স্টাইলে ভোটের আশা জামায়াত করছে? ’

ফোরকান নিশো লিখেছেন, দাম্ভিকতার পতন হবেই। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

ছাত্রনেতা থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল আলম বাহাদুর কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি)। সেই পরিচয় থেকেই স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘ভিপি বাহাদুর’ নামে বেশি পরিচিত। তিনি সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন।

নির্বাচনী মাঠ গরম করতে তিনি গত ২৯ নভেম্বর ‘রান উইথ ভিপি বাহাদুর’ শিরোনামে কক্সবাজার শহরে গণদৌড়ের আয়োজন করেন।

বাহাদুর বলেন, ‘জনগণের সমর্থন এবং আল্লাহর রহমতে আমরা বিজয়ী হবো। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা পূরণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুবকদের শিক্ষা ও প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতে কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 




মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হৃদয়ের, রাজনীতির নয়: হান্নান মাসউদ

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

মনোনয়ন ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, শাপলা প্রতীক আমার জন্য গৌরবের। তবে প্রতীকের চেয়েও বড় হলো মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসা। হাতিয়ার মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হৃদয়ের, রাজনীতির নয়।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দলটির প্রথম ধাপের ১২৫ জন মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে এনসিপি। ঘোষিত তালিকায় নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে ৩টিতে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন আবদুল হান্নান মাসউদ।

ঘোষিত তিন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন— নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আবদুল হান্নান মাসউদ। এছাড়া নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী), নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) এবং নোয়াখালী-৪ (সদর–সুবর্ণচর) আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

হান্নান মাসউদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও দুর্গত মানুষের পাশে ছিলেন তিনি। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙন—প্রতিটি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থেকে সহায়তা করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও জীবিকা সংকটে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছেন।

হাতিয়ার অন্যতম প্রধান সংকট নদীভাঙন বলে উল্লেখ করেন হান্নান মাসউদ। তিনি বলেন, নদীভাঙনে কত মানুষ বাড়িঘর হারায়, সেই বেদনা আমি কাছ থেকে দেখেছি। তাই এটি শুধু নির্বাচনি অঙ্গীকার নয়, আমার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি—হাতিয়ার মানুষকে নদীভাঙনের ভয় থেকে রক্ষা করা। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দাবি, আন্দোলন ও সরকারি দপ্তরসমূহে অনুসরণ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

নিজের রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে হান্নান মাসউদ বলেন, রাজনীতি আমার কাছে পদ-পদবির বিষয় নয়। এটা মানুষের সেবা করার পথ। জনগণই আমার শক্তি, আমার অনুপ্রেরণা। তারা যে ভালোবাসা দিয়েছে, সেই বিশ্বাসের মর্যাদা আমৃত্যু রক্ষা করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, হাতিয়ার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে আমি সর্বদা নিবেদিত থাকব। জনগণের রায়কে শ্রদ্ধা করি। বিশ্বাস করি, একসঙ্গে আমরা একটি উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ হাতিয়া গড়ে তুলতে পারব।




পরিচ্ছন্ন আবাসযোগ্য পিরোজপুর গড়ে তোলার প্রত্যয় মাসুদ সাঈদীর

‎পরিচ্ছন্ন একটি আবাসযোগ্য পিরোজপুর গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বদলে দিব বাংলাদেশ- এ স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মাসুদ সাঈদী বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত জেলাগুলোর একটি ছিল পিরোজপুর। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, সরকারি দপ্তরসহ সর্বত্র গড়ে উঠেছিল একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেট- যারা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। ন্যায়বিচার ছিল কোণঠাসা, আর উন্নয়ন ছিল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। মানুষ তখন সবচেয়ে বেশি ভুগেছে নিরাপত্তাহীনতা, বেকারত্ব ও সামাজিক বৈষম্যের কারণে।

বুধবার জেলা হাসপাতালে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ‎কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী মাসুদ সাঈদী।

‎এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আমির মো. ইসহাক আলী খানসহ বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী। এ সময় তারা হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে ঝাড়ু দেওয়া, ময়লা অপসারণ এবং মানুষকে পরিষ্কার পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করার প্রচার চালান।

‎উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাসুদ সাঈদী বলেন, মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে একটি বাসযোগ্য পিরোজপুর গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আজকে আমরা এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন করেছি। ইনশাআল্লাহ এটা চলমান থাকবে। আমরা পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকা যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাব রয়েছে সেগুলো বাছাই করে গোটা পিরোজপুরকে পরিচ্ছন্ন একটি আবাসযোগ্য পিরোজপুর গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

তিনি বলেন, আজ পিরোজপুরবাসীর মনে আশা ও পরিবর্তনের যে নতুন বাতাস বইছে, তা আমাদের সবার সম্মিলিত অর্জন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির ঘৃণ্য চক্র ভেঙে দিয়ে একটি স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও বাসযোগ্য পিরোজপুর নির্মাণ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, জনসম্পৃক্ততা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা। আমি পিরোজপুরের সকল ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে এই মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ— এই জেলার প্রতিটি মানুষকে নিরাপদ পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন নগর-গ্রাম এবং উন্নয়নমূলক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে আমি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

‎মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলা, শিক্ষায় উত্তরণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নৈতিক মূল্যবোধের চর্চার দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয়–প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। একইভাবে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি এবং তা বাস্তবায়নে জনগণই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি।

তিনি বলেন, পিরোজপুরের উন্নয়নে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনের পিরোজপুর হবে এমন একটি জেলা—যেখানে মানুষ নিরাপদে রাত কাটাবে, যেখানে মা-বোনেরা নির্ভয়ে চলাফেরা করবে, যেখানে যুব সমাজ গড়বে নিজের ভবিষ্যৎ, এবং যেখানে দুর্নীতি নামক অভিশাপ আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

‎তিনি পিরোজপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, এ পরিবর্তনের অভিযাত্রায় আপনাদের প্রত্যেকের সহযোগিতা ও সমর্থনই আমাদের শক্তি। সন্ত্রাস–মাদকমুক্ত একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও বাসযোগ্য পিরোজপুর গঠনে আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাব—এই হোক আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার।

‎পিরোজপুর পৌরসভার আমীর ইসহাক আলী খানের সভাপতিত্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কর্মসূচি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান, মেডিকেল অফিসার (আবাসিক) ডা. মো. নিজামউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলার সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, পৌর সেক্রেটারি মো. আল আমিন, পৌর সহকারী সেক্রেটারি আনসারুজ্জামান হালিম, মাজলিসুল মুফাসসিরীনের জেলা সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পৌর সভাপতি সিরাজুল ইসলামসহ পৌরসভার সব ওয়ার্ডের সভাপতি-সেক্রেটারিরা।