সাকিব-ম্যাথুস এবার সতীর্থ: ‘টাইমড আউট’-এর স্মৃতি এবং নিয়তির খেয়াল

কারণ, সরাসরি চুক্তিতে দুজনকে আগেই দলে ভিড়িয়েছে চিটাগং কিংস। তখনই হয়তো কারও কারও মনে গত বছর নভেম্বরে দিল্লির সেই ঘটনা উঁকি দিয়েছে। গতকাল প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর চট্টগ্রাম কিংসের ২০ সদস্যের খেলোয়াড় তালিকা দেখেও কেউ কেউ হয়তো ফিরে গিয়েছেন দিল্লির সেই বিকেলে। সাকিব আল হাসান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস…ব্যস, আর কিছু লাগে!

পরে এ নিয়ে কত বিতর্ক হলো, কত কথা হলো! নিয়মের বইপত্রও খুলে দেখা হলো। জানা গেল, সাকিব নিয়মের ভেতরে থেকেই ম্যাথুসকে ‘কাঁটা’ ফুটিয়েছেন। লঙ্কানদের মধ্যে সাক্ষরতার হার প্রায় শতভাগ। তবে কোনো জাতি কতটা প্রতিশোধপরায়ণ তা নির্ণয়ের কোনো যন্ত্রপাতি এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই লঙ্কানদের মধ্যে এই ধারা কতটা, তা বলা না গেলেও চিত্র দেখে আন্দাজ তো করে নেওয়া যায়। এ বছর মার্চেই বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর
সেই চিত্র যে খুব একটা দৃষ্টিসুখকর ছিল না, তা বোঝেন লঙ্কানরাও। কিংসকে তাই লঙ্কানরা ধন্যবাদ জানাতেই পারেন। কারণ, ম্যাথুসের পথে সাকিবকে যে এখন ‘ফুল’ বিছিয়ে রাখতে হবে!
ব্যাপারটা পুরোপুরি এমন না হলেও খুব দূরবর্তী ভাবনাও নয়। কিংস দুজনকেই দলে টেনেছে। অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলে সতীর্থ হিসেবে খেলবেন সাকিব ও ম্যাথুস। যেহেতু সতীর্থ, তাই বিপিএলে অন্তত ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করার সুযোগটা সাকিব পাচ্ছেন না। উল্টো, ম্যাথুস এমন কিছুর শিকার হলে সাকিবকে তাঁর হয়ে গলা ফাটাতে হবে। শুধু তা–ই নয়, সাকিব চাইলে কিছু বিষয় আগে থেকে ভেবেও রাখতে পারেন।
সাকিব ও ম্যাথুস—দুজনেই অলরাউন্ডার। ব্যাটিং পজিশনও তাই কাছাকাছি হবে। অর্থাৎ দুজনের একসঙ্গে ব্যাটিং করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তো, সাকিব তাঁর আগে নামলে পকেটে করে হেলমেটের অতিরিক্ত একটি স্ট্র্যাপ নিয়ে যেতে পারেন। কারণ, ম্যাথুস যেহেতু পরে নামবেন, তাঁর এটা লাগতে পারে। কিংবা সাকিব ক্রিজে থাকতে অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর তিনি দৌড়ে একটু এগিয়ে গিয়ে (অবশ্যই মাঠের সীমানার ভেতরে থাকতে হবে) ম্যাথুসকে ডাকতে পারেন, ‘ম্যাথুস, ম্যাথুস ডাক পাড়ি, টাইমড আউটের নেই বেশি (সময়) বাকি!’

২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক সাকিবের করা ২৪.২ ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে এসেছিলেন ম্যাথুস। ক্রিজে দাঁড়িয়ে টের পেলেন, তাঁর হেলমেটের স্ট্র্যাপে (ফিতা) কোনো একটা সমস্যা, সম্ভবত ছেঁড়া ছিল। ড্রেসিংরুমে ইশারা করলেন নতুন হেলমেটের জন্য। অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মাধ্যমে নতুন হেলমেট আনতে কিছুটা দেরি হলো। তখন ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’–এর আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। আইনসিদ্ধ হওয়ায় মাঠের আম্পায়ার আবেদন মেনে নিয়ে ম্যাথুসকে আউট ঘোষণা করেন। জন্ম হয় নতুন ইতিহাস ও বিতর্কের।

ম্যাথুস হলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ‘টাইমড আউট’ হওয়া ব্যাটসম্যান, আর ক্রিকেট–বিশ্বে বিভক্ত হলো ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’ নিয়ে। অর্থাৎ সাকিবের আচরণ খেলোয়াড়সুলভ ছিল কি না, এই প্রশ্নে বিভক্তি দেখা গিয়েছিল।

কিন্তু এখন বিভক্তি নয়, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিপক্ষকে ‘টাইমড আউট’ করার সময়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাথুস যেহেতু প্রথম ‘টাইমড আউট’ হওয়া ব্যাটসম্যান, আর সাকিবও এই আউটের আবেদন করে সফল হওয়া প্রথম অধিনায়ক (ক্রিকেটার)—তাই ‘টাইমড আউট’ কীভাবে হয় কিংবা কখন এই আউটের আবেদন করতে হবে, তা সাকিব-ম্যাথুসের চেয়ে ভালো জানবেন কে! অর্থাৎ বিপিএলে এই দুই ক্রিকেটারকে মিলেমিশে প্রতিপক্ষকে টাইমড আউট করতে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। লঙ্কানরাও এমন কিছু দেখলে নিশ্চয়ই শান্তি পাবেন।




ভিনিসিয়ুসকে নয়, বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে বেবেতো–বুনোচ্চি–লামরা সেই রদ্রিকেই বেছে নিলেন

এবারের ব্যালন ডি’অরে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম হয়ে গেছে। পুরস্কার ঘোষণার মাসখানেক আগে থেকেই ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই হচ্ছেন বর্ষসেরা ফুটবলার।

রিয়াল মাদ্রিদও নিজেদের খেলোয়াড়ের ব্যালন ডি’অর জয় উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছিল। কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে বদলে যায় পুরো দৃশ্যপট।

রদ্রির ব্যালন ডি’অর জয়ের খবর সামনে আসার পর রিয়াল কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্যারিস সফরও বাতিল করে দেয়।

তবে এর মধ্যেই রিয়ালকে আরেকবার হতাশাজনক খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। ব্যালন ডি’অরের মতো তারাও বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচন করেছে রদ্রিকেই।

গার্ডিয়ানের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের ২৩ সাবেক ফুটবলার। যে তালিকায় ইতালির কিংবদন্তি ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি, জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফিলিপ লাম এবং ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা বেবেতোও আছেন।

কোচদের মধ্যে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন গ্যালাতাসারাইয়ের কোচ ওকান বুরুক, আইসল্যান্ডের আফতুরেল্ডিং ক্লাবের কোচ মাগনাস মার এইনারসন এবং ব্রাজিলের ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের সহকারী কোচ ক্লেবের জাভিয়ার। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের শতাধিক সাংবাদিকও নিজেদের মত দিয়েছেন খেলোয়াড় নির্বাচনে।

খেলোয়াড় নির্বাচনে প্রত্যেক বিচারকের পছন্দের ক্রমের এক নম্বর খেলোয়াড় পেয়েছেন ৪০ পয়েন্ট করে এবং দ্বিতীয় পছন্দের খেলোয়াড় ৩৯ পয়েন্ট। এভাবে ৪০ নম্বর খেলোয়াড়টি পেয়েছেন ১ পয়েন্ট। এরপর সব ভোট এক করে একটি স্কোর নির্ধারণ করা হয়।

এবারের ভোটিংয়ে রদ্রি পেয়েছেন ৭৪৯৫ পয়েন্ট, আর রদ্রি পেয়েছেন ৭৪২৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ রদ্রি শেষ পর্যন্ত জিতেছেন ৬৮ পয়েন্টের ব্যবধানে। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯২ জন সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নিয়েছেন রদ্রিকে। আর ৭২ জনের প্রথম পছন্দ ছিলেন ভিনিসিয়ুস।

ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে শীর্ষ দুইয়ে মিল থাকলেও পরবর্তী স্থানগুলোয় কিছু অদল–বদল এসেছে। ব্যালন ডি’অরে তৃতীয় হয়েছেন জুড বেলিংহাম। যিনি গার্ডিয়ানের তালিকায় নেমে গেছেন পাঁচ নম্বরে। আর ব্যালন ডি’অরে পাঁচে থাকা হলান্ড গার্ডিয়ানে আছেন তিন নম্বরে।

 




অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিটের বিচ্ছেদ নিয়ে সমঝোতা

আট বছরের আইনি লড়াইয়ের পর সমঝোতায় এসেছেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। জোলির আইনজীবী বলছেন, এর মধ্য হলিউডের আলোচিত এই বিচ্ছেদ নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটেছে।

২০১৬ সালে আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন জোলি। তবে বিচ্ছেদপরবর্তী সন্তানের অভিভাবকত্ব, সম্পত্তির ভাগাভাগিসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ লেগে ছিল।

ফলে বিচ্ছেদপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছে। অবশেষে আট বছর পর এসে মতৈক্যে পৌঁছেছেন জোলি ও পিট। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বিচ্ছেদ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আর ব্র্যাড পিটের প্রথম পরিচয় ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমার সেটে।

৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন ব্র্যাড-জোলি। এর দুই বছর পর ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাঁরা। এই দম্পতির সংসারে ৬ সন্তান। ২১ বছরের ম্যাডক্স, ১৯ বছরের প্যাক্স, ১৮ বছরের জাহারা, ১৭ বছরের শিলো এবং ১৪ বছরের যমজ ভিভিয়েন ও নক্স।




ভিন্ন পরিচয়ে রিচি

অভিনয়ে থাকলেও ঠিক আগের সেই ব্যস্ততা নেই রিচির। এই অভিনয়শিল্পী আগের মতো অভিনয়ে ব্যস্ত হতেও চান না। তাই তো খুব ভেবেচিন্তে এখন নতুন কাজে যুক্ত হন। বেশির ভাগ সময় তাঁর ব্যস্ততা সংসার ও সন্তান নিয়ে। এর মধ্যে জানা গেল, ভিন্ন এক পরিচয়ে সবার সামনে এলেন তিনি। সেই পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করতে সেখানেই বেশি সময় দিতে চান রিচি। জানালেন, সময় যদি না দেন, তাহলে উদ্যোক্তা হতে পারবেন না।

ঢাকার উত্তরায় রিচি সোলায়মান চালু করেছেন একটি বিউটি স্যালুন। উত্তরার রবীন্দ্র সরণিতে ‘ইটারনাল বিউটি লাউঞ্জ’ নামের প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা ছিল তাঁর অনেক দিনের। এখানেই এখন সময় বেশি দেবেন বলে জানালেন এই অভিনয়শিল্পী ও মডেল। এমন একটি প্রতিষ্ঠান চালু করতে পেরে ভালো লাগছে বলেও জানালেন রিচি।

রিচি বললেন, ‘ভালো তো লাগছেই। এই ভালো লাগা কথা বা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কারণ, আমার জীবনে আমি যখনই যে কাজটা করেছি, তা ভালোবেসেই করেছি। খুবই নিবেদিত থেকে করেছি। যখন আমি অভিনয় করেছি; আন্তরিক ও নিবেদিত থেকেই করেছি। যখন আমি মা হয়েছি, তখন বাচ্চাদের লালন–পালন ছাড়া বাকি সবকিছুই বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ, তখন আমি খুব ভালো একজন মা হতে চেয়েছি। এখন যেহেতু অভিনয় কম করছি, ভাবলাম নতুন কিছু করি, যেটাতে আমি ব্যস্ত থাকব। একই সঙ্গে যা কিছুটা আমার কাজের সঙ্গে সম্পর্কিতও। সে জায়গা থেকে মনে হলো, আমি যদি বিউটি স্যালুনজাতীয় কিছু একটা করি, সেখানে আমি উদ্যোক্তা তো হবই, সামাজিকভাবে সমাজে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ২০ জন নারী কাজ করবেন। এই নারীরা তাঁদের পরিবারকে সাপোর্ট করবেন। এটা যত বড় হবে, ততই সবারই সুবিধা হবে। আরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। তত বেশি পরিবারও এই প্রতিষ্ঠান দ্বারা উপকৃত হবে।’

কথায় কথায় রিচি জানালেন, অভিনয়টা যেহেতু এখন একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন, তাই সময়টা এখানেই বেশি দিতে চান। যুক্তি হিসেবে বললেন, ‘আমার নাম যেহেতু চলে আসছে, সময় না দিলে চলবে কী করে। এখন আমি যদি অভিনয়ে সময় না দিই, তাহলে তো ভালো অভিনয় করতে পারব না। আমি যদি বাচ্চাদের সময় না দিই, ভালো মা হতে পারব না। ঠিক সেভাবে, আমি যদি এই স্যালুনে সময় না দিই, তাহলে ভালো উদ্যোক্তা হতে পারব না।’

 




রাজধানীতে শীতের দাপট

সারা দিনে সূর্যের দেখা নেই। কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাজধানীতে শীতে মানুষের কষ্ট বেড়েছে। এর মধ্যে জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। রাজধানীতে আজ শুক্রবার শীতের মধ্যে জনজীবন নিয়ে সাজানো হলো এই ছবির গল্প।

দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীত সামলে নিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রাণিকুলও। পশুপাখিগুলো শীতে জবুথবু হয়ে বসে আছে

কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে মায়ের কাঁধে মাথা রেখে প্রশান্তির ঘুমে গরম কাপড়ে মোড়ানো শিশুটি

ঘন কুয়াশার মাঝে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে মাঝিদের

ঘন কুয়াশার কারণে সকালে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের আবদুল্লাহপুর এলাকায়,

ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে ডিজিটাল বোর্ডে সচেতনতামূলক নির্দেশনা নিয়ে টহলরত হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি। গতকাল রাতে কুয়াশার কারণে এই সড়কে দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়। ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের রাজেন্দ্রপুর এলাকায়,

কনকনে শীতের মধ্যে জাতীয় চিড়িয়াখানায় অভিভাবকের সঙ্গে গরম কাপড়ে মোড়ানো শিশু।

আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুকে সেবাশুশ্রূষা দিচ্ছেন এক অভিভাবক। মহাখালী,

এই শীতের মধ্যে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকেরা আসছেন রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬৭৫ রোগী আসছে। চিকিৎসক-নার্সরা ব্যস্ত শিশুদের চিকিৎসা দিতে। মহাখালী,




মাথাঢাকা শীতের পোশাকে সেলফি

কুয়াশার চাদরে আবৃত রমনা পার্ক। বিভিন্ন গাছগাছালির মধ্যে ছোট ছোট দলে শরীরচর্চায় ব্যস্ত কিছু মানুষ। কাঠবিড়ালি ও শালিকের খুনসুটি চলছে ঘাসের মধ্যে। হঠাৎ চোখ পড়ে বড় বড় গাছের মধ্যে ছোট একটি মাঠের মতো জায়গার।

একটি ছেলে ও মেয়ে বসে আছে। হাতের ব্যাগ দুটি ঘাসের ওপর রাখা। দুজনেই শীতের পোশাক হুডি পরেছেন।

শীতের হুডি পরবেন, এটার মধ্যে আবার বিশেষ কী আছে ভাবছেন? হুমম বিশেষ হচ্ছে, দুজনের পরনের হুডিগুলো একটু ভিন্ন রকম নকশার। জিপারটি নিচ থেকে ওপরের দিকে টেনে গলা পেরিয়ে মাথা পর্যন্ত ঢেকে যায়।

একজন পরেছেন সাদা রঙের হুডি, অন্যজন কালো রঙের। দুজনেই মাথা পর্যন্ত ঢেকে দিল। ছেলেটি মুঠোফোন বের করে তা সেলফিতে ধারণ করল।

সঙ্গে সঙ্গে আমার ক্যামেরাটিও মুহূর্তটি ধারণ করে ফেলল। বুঝতে অসুবিধা হলো না যে শীতের পোশাকের অন্য রকম উপস্থাপনের জন্য নিজেদের ছবি তুলছিলেন তাঁরা দুজন। পরমুহূর্তে কাছে গিয়ে ছবি তোলার বিষয়ে সম্মতিটি নিয়ে নিই।

শীতের এ বিশেষ ধরনের পোশাকটির নাম স্পাইডার হুডি। ফেসবুকভিত্তিক শপ ক্লথিংস (‘ClothinX’) থেকে কেনা হয়েছে। একেকটির দাম পড়েছে ৯৫০ টাকা। জানলাম তাঁদের কাছ থেকেই।

আগ্রহ নিয়ে পেজটির অনলাইনে ঢুকলাম। দেখা গেল, বিভিন্ন বয়সীদের জন্য এই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটা ঠিক মুখঢাকা শীতপোশাকের এই ভিন্নতার কারণে ক্যামেরায় হঠাৎ ক্লিক করতে উৎসাহিত হয়েছিলাম।

শীতের হুডি পরবেন, এটার মধ্যে আবার বিশেষ কী আছে ভাবছেন? হুমম বিশেষ হচ্ছে, দুজনের পরনের হুডিগুলো একটু ভিন্ন রকম নকশার। জিপারটি নিচ থেকে ওপরের দিকে টেনে গলা পেরিয়ে মাথা পর্যন্ত ঢেকে যায়।

একজন পরেছেন সাদা রঙের হুডি, অন্যজন কালো রঙের। দুজনেই মাথা পর্যন্ত ঢেকে দিল। ছেলেটি মুঠোফোন বের করে তা সেলফিতে ধারণ করল।

সঙ্গে সঙ্গে আমার ক্যামেরাটিও মুহূর্তটি ধারণ করে ফেলল। বুঝতে অসুবিধা হলো না যে শীতের পোশাকের অন্য রকম উপস্থাপনের জন্য নিজেদের ছবি তুলছিলেন তাঁরা দুজন। পরমুহূর্তে কাছে গিয়ে ছবি তোলার বিষয়ে সম্মতিটি নিয়ে নিই।

শীতের এ বিশেষ ধরনের পোশাকটির নাম স্পাইডার হুডি। ফেসবুকভিত্তিক শপ ক্লথিংস (‘ClothinX’) থেকে কেনা হয়েছে। একেকটির দাম পড়েছে ৯৫০ টাকা। জানলাম তাঁদের কাছ থেকেই।

আগ্রহ নিয়ে পেজটির অনলাইনে ঢুকলাম। দেখা গেল, বিভিন্ন বয়সীদের জন্য এই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটা ঠিক মুখঢাকা শীতপোশাকের এই ভিন্নতার কারণে ক্যামেরায় হঠাৎ ক্লিক করতে উৎসাহিত হয়েছিলাম।




লাল লিপস্টিক কীভাবে আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক হয়ে উঠল

গাঢ় লাল ঠোঁট, হালকা সোনালি চুল, আকর্ষণীয় সাজসজ্জায় কোটি ভক্তের নজর কেড়েছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো। সাত দশক পরেও তাই আজও তাঁকে মনে রেখেছে দর্শক। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকা টেলর সুইফটের কথাই ধরুন না! অসাধারণ সংগীত–প্রতিভার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে তাঁর সিগনেচার লাল লিপস্টিক। স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে লালরঙা ঠোঁটই কেন বেছে নেন তারকারা? কীভাবেই–বা লাল লিপস্টিক হয়ে উঠল আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদার প্রতীক?

ইতিহাসের পাতায় লাল লিপস্টিক

ঠোঁট রাঙাতে লাল রঙের ব্যবহার সেই প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার যুগ থেকে। পাথর গুঁড়া করে তার সঙ্গে সাদা সিসার মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট রাঙাতেন তখনকার উচ্চবিত্ত ও রাজপরিবারের নারীরা। লিপস্টিকের বিবর্তনের ইতিহাসে সৌন্দর্যের রানি ক্লিওপেট্রার নামও চলে আসে। প্রাচীন মিসরে রানি ক্লিওপেট্রা নিজেই একধরনের পোকা থেকে প্রাপ্ত কারমাইন দিয়ে তাঁর ঠোঁট লাল করতেন। এ ছাড়া মিসরীয়রা অ্যালজিন, আয়োডিন ও ব্রোমিনের মিশ্রণে লাল রং তৈরি করে ঠোঁটে ব্যবহার করতেন। উচ্চবিত্ত ও রাজপরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের কারণে তখন থেকেই লালরঙা ঠোঁট শক্তি-ক্ষমতা ও সামাজিক মর্যাদার নিদর্শন হয়ে ওঠে।




রাবাদা-ইয়ানসেনে পাকিস্তানকে অবিশ্বাস্যভাবে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

রোমাঞ্চকর এক সমাপ্তির আভাস নিয়েই আজ সেঞ্চুরিয়নে শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান প্রথম দিনের চতুর্থ দিনের খেলা।

যারা আজ সুপারস্পোর্ট পার্কে খেলা দেখতে গেছেন, তাঁরা হতাশ হননি। হতাশ হননি যাঁরা টেলিভিশনের সামনে বসে এই খেলা দেখেছেন তাঁরাও। কী রোমাঞ্চকর এক লড়াই-ই না উপহার দিল দুই দল!

রুদ্ধশ্বাস সেই লড়াই শেষে শেষ হাসিটা হাসল দক্ষিণ আফ্রিকা।  ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা প্রোটিয়ারা ৯৯ রানেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। তিন বছর পর পাকিস্তানের টেস্ট দলে ফেলা পেসার মোহাম্মদ আব্বাস ৬ উইকেট নিয়েই দারুণ এক জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন পাকিস্তানকে। কিন্তু মার্কো ইয়ানসেনের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানিদের সেই স্বপ্ন কেড়ে নিলেন কাগিসো রাবাদা।

আব্বাসের করা ইনিংসের ৪০তম ওভারের তৃতীয় বলটাকে মার্কো ইয়ানসেন পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে সীমানাছাড়া করতেই ‘বিশ্বজয়ের’ উদ্‌যাপনে মাতল দক্ষিণ আফ্রিকানরা। প্রায় হেরে বসা ম্যাচে এমনভাবে জিতেই বিশ্বজয়ের আরেকটু কাছে পৌঁছে গেল দলটি। ২ উইকেটের এই জয়েই যে প্রথম দল হিসেবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা

শেষ চারটি মেরে যখন দলকে জেতালেন ইয়ানসেন, তাঁর নামের পাশে অপরাজিত ১৬ রান। ৫০ রানের নবম উইকেট জুটিতে সঙ্গী রাবাদার রান ২৬ বলে ৩১।

দক্ষিণ আফ্রিকা দিনটা শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে। দলটির ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন এইডেন মার্করাম। আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার তোলা ২৭ রানের ২২-ই এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সেই মার্করাম আজ অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে দিনের প্রথম ঘণ্টাটা নিরাপদেই পাড়ি দেন। ৩ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে ড্রিংকস বিরতিতে যায় প্রোটিয়ারা।

বিরতির পর খেলা শুরু হতেই বদলে যায় সব। প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ আব্বাসের কিছুটা নিচু হয়ে যাওয়া নিখুঁত লেংথের এক বলে বোল্ড মার্করাম (৬৩ বলে ৩৭ রান)। মার্করাম বিদায় নিলেও অবিচলই ছিলেন বাভুমা। ডেভিড বেডিংহামকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করে ফেলেন অধিনায়ক।

এরপর কী যেন হলো বাভুমার। আব্বাসের করা মোটামুটি নিরীহ এক বলকে আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়ে মিড উইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। কিন্তু বলটি বাভুমার ব্যাটে বাতাস লাগিয়ে চলে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। হালকা শব্দ শুনেই আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। সেটি মেনে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান বাভুমা। সেখানে ফিরে নিশ্চিত সতীর্থদের ভর্ৎসনা শুনেছেন বাভুমা, টিভি রিপ্লেতে যে আলট্রা এজ প্রযুক্তি বল ব্যাটের সংযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি। এই ঘটনার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২৯.৪ ওভারে ৯৬/৫।

পরের ওভারের নাসিম শাহ বোল্ড করে দেন কাইল ভেরেইনাকে। ৯৯ রানের প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে হঠাৎই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করা পাকিস্তানকে পরের ওভারে আরও ২টি উইকেট এনে দেন আব্বাস। ডেভিড বেডিংহামকে কিছুটা শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করার পরের বলেই অভিষিক্ত করবিন বশকেও একইভাবে ফেরান আব্বাস।

তাতে ৪ বলের মধ্যে ৯৯/৫ থেকে ৯৯/৮ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তিন বছর পর টেস্টে ফিরেই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং পেয়ে যান আব্বাস। ২৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৬ উইকেট পেয়ে পেছনে ফেলেন ২০১৮ সালে আবুধাবিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গড়া রেকর্ডকে (৫/৩৩)।

ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে বারবার চাপের মুখে ভেঙে পড়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করছে দক্ষিণ আফ্রিকা, এমনটাই মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু রাবাদা ও ইয়ানসেনের ইতিহাসের উল্টো স্রোতে হাঁটার ইচ্ছেই হলো। আব্বাসের সেই ওভারে চতুর্থ বলে চার মেরেই চাপটাপ সব দূরে সরানোর কাজ শুরু করেন রাবাদা। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দলের স্কোরটাকে ১১৬ রানে নিয়ে লাঞ্চে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এরপর খেয়েদেয়ে মাঠে ফিরে ৬ ওভারের মধ্যেই পাকিস্তানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে অবিশ্বাস্য সেই জয় রাবাদা-ইয়ানসেনদের।

৩ জানুয়ারি কেপটাউনে শুরু হবে সিরিজের শেষ টেস্ট।




চাকমা ভাষায় নির্মিত প্রথম সিনেমা দেখার সুযোগ

সেন্সর বোর্ডে ৯ বছর ধরে আটকে আছে চাকমা ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ‘মাই বাইসাইকেল-মর থেংগারি’। অং রাখাইন পরিচালিত সিনেমাটি নানা কারণে সেন্সর পায়নি। সেই সিনেমাটি আজ দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হওয়া চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে।

সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের আয়োজনে পশ্চিম পান্থপথ লেক সার্কাসে আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনের সিনেমা প্রদর্শনী। এই আয়োজনে আগামীকাল শেষ দিনে দেখা যাবে অং রাখাইনের সিনেমাটি। তবে প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন না এই পরিচালক। তিনি বলেন, ‘দর্শকদের সিনেমাটি নিয়ে সব সময়ই আগ্রহের কথা শুনেছি। কিন্তু সেন্সর না পাওয়ায় সিনেমাটি সবাইকে দেখাতে পারিনি। এখনো সেন্সর নিয়ে আমি আশাবাদী নই। সেন্সর নিয়ে আর ভাবছেন না।’

চাকমা ভাষায় থেংগারি শব্দের অর্থ বাইসাইকেল। সিনেমার ইংরেজি নাম মাই বাইসাইকেল। সিনেমার কাহিনি আবর্তিত হয়েছে পাহাড়ঘেড়া এক গ্রামের কমল নামের চাকমা যুবককে ঘিরে। শহরে জীবিকা অর্জনে বিফল হয়ে একটি বাইসাইকেল নিয়ে গ্রামে ফেরত আসেন তিনি। বাইসাইকেলে মানুষ ও মালামাল পরিবহন করে জীবিকার সন্ধান করতে থাকেন তিনি। সিনেমাটি নিয়ে অং রাখাইন বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে আর মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা নেই। তবে কেউ আগ্রহ নিয়ে কোনো প্রদর্শনী করতে চাইলে আমরা সিনেমা প্রদর্শন করতে চাই।’

প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এই আয়োজনে আজ রোববার দেখা যাবে জাফর মুহাম্মদের ‘ডোন্ট প্যানিক! অর্গানাইজ’, ইভান মনোয়ারের ‘দ্য সাউন্ড ইজ লাউড’, এলিজাবেথ ডি কস্টার ‘৩৫ জুলাই’, হাবিবুর রহমানের ‘ইছামতী’ এবং জাঈদ আজিজ ও ফারজানা ববির ‘ফুলবাড়ির সাত দিন’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলো।
শেষ দিনের আয়োজনে আগামীকাল দেখা যাবে ফারজানা জেরিনের ‘দ্য ভ্যালিয়েন্ট মার্টার শাকিল’, এস কে শুভর ‘ডিয়ার মাদার’, এডিট দেওয়ানের ‘ড্রিম ওর রিয়্যালিটি’, ব্রাত্য আমিনের ‘কোম্পানি দেশ’ ও ‘মানুষ হয়ে মরবো’।




যে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেন ভিক্টোরিয়া

এই প্রথম ডেনমার্ক পেল মিস ইউনিভার্সের খেতাব। ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগকে মুকুট পরিয়ে দেন ২০২৩ সালের বিজয়ী, নিকারাগুয়ার শেনিস প্যালাসিওস

মিস ইউনিভার্স ডেনমার্ককে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রথমে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘কেউ যদি আপনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে, আপনি কীভাবে বাঁচবেন?’

ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘আমি আমার মতোই বাঁচব। প্রতিদিনের নিয়মে বাঁচব। অন্য কেউ নির্ধারণ করে দেবে না যে আমি কীভাবে বাঁচব। কেউ যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে, সেটা তার সমস্যা। আমার নয়।’

পরে ভিক্টোরিয়ার জন্য প্রশ্ন ছিল, ‘মিস ইউনিভার্স প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নারীদের অনুপ্রাণিত করে আসছে। আজকের রাতে এ মুহূর্তে আপনাকে যে নারীরা দেখছেন, তাঁদের উদ্দেশে আপনার কী বলার আছে?’

উত্তরে ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা আমাকে দেখছেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, আপনি কোথা থেকে এসেছেন, আপনার অতীত কী—এসবের কিছু দিয়ে আপনাকে বিচার করা যাবে না। যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। আপনাকে সংগ্রাম করে যেতে হবে। আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, কেননা আমি বদলে দিতে চাই। আমি ইতিহাস গড়তে চাই।’

ভিক্টোরিয়া ছোটবেলা থেকেই নাচে পারদর্শী। পেশাগত এই নৃত্যশিল্পী আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। মানসিক সেবা নিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেন। এ ছাড়া প্রাণী অধিকার নিয়ে সচেতন

নিজের একটি বিউটি ব্র্যান্ডও আছে এই সুন্দরীর। ২০২২ সালে মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের সেরা ২০-এ স্থান পেয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া

মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এর শুরু থেকেই তাঁকে একজন শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে ভাবা হচ্ছিল

প্রতিযোগিতায় মিস নাইজেরিয়া প্রথম রানারআপ ও মিস মেক্সিকো হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ।

চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে ছিলেন মিস থাইল্যান্ড ও মিস ভেনেজুয়েলা। ভারতের রিয়া সিংহ সেরা ৩০-এ স্থান পেলেও সেরা ১২ থেকে বাদ পড়ে যান