সোমালিয়ার ৩৫ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ, ১৭ নাবিক উদ্ধার

সোমালিয়ার ৩৫ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ, ১৭ নাবিক উদ্ধার

শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এমভি রুয়েনের মাধ্যমে জলদস্যুদের ছিনতাইচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। এটি ভারতীয় উপকূল থেকে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল। এই অভিযানে আইএনএস সুভদ্র নামের আরেকটি জাহাজের ভারতীয় জাহাজও অংশ নেয়।
মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, মাল্টার পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনে থাকা ৩৫ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। আর জাহাজটি অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এই জাহাজটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে কার্গো জাহাজ ছিনতাই করা হয়েছে, তার জন্য এ জাহাজটিকে জলদস্যুরা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকতে পারে।
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এসআর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর পর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।
জলদস্যুদের উৎপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভারত মহাসাগরে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ জাহাজ চলাচলের নিয়ম। এছাড়া জাহাজের চারপাশে তারকাঁটার বেষ্টনী, হাইস্পিড ওয়াটারগানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু দস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহতে এসব ব্যবস্থার কোনোটিই নেওয়া হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির পানির ওপরের অংশের উচ্চতা কম হওয়ায় খুব সহজেই এটিতে চড়ে বসে দস্যুরা। যার ফলে অনেকটা বিনা বাধায় জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।



ভারত থেকে এলো ৪০০ মেট্রিক টন আলু

ভারত থেকে এলো ৪০০ মেট্রিক টন আলু

বাজারদর নিয়ন্ত্রণে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুদিনে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। চাল, ডাল, গম, ডিম, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের পাশাপাশি আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি খরচ পড়েছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি রোববার খালাস হবে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই চালানে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনো বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, বন্দরে ভারত থেকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে। এর আগে গত ২ ডিসেম্বরে তিন ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি করা হয়। এরপর আর কোনো আলু আমদানি হয়নি।



লোকাল ট্রেনগুলো চালু হবে কবে

১৯৩১ সালের দিকে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইন চালু হয়। তখন ৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করত এই রুটে। দোহাজারী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দক্ষিণ চট্টগ্রামের ১২টি স্টেশনে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী রেলসেবা পেতেন। পরে পর্যায়ক্রমে রুটটিতে কমতে থাকে ট্রেনের সংখ্যা। ট্রেনের সংখ্যা ৯০ দশকের দিকে এক জোড়ায় এসে ঠেকে। তবে যাত্রীদের দাবির মুখে ২০১৮ সালে আবারও এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। পরে ২০২১ সালে যুক্ত হয় এক জোড়া ডেমু ট্রেন।
কভিডকালে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল থেকে একই সঙ্গে ডেমু ও লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। পরে একই বছরের ১৯ আগস্ট দুই জোড়া ট্রেন পুনরায় চালু করা হলেও পরে ২০২৩ সালে কালুরঘাট সেতু মেরামতের জন্য তা বন্ধ করা হয়। এখন পর্যন্ত লোকাল ট্রেন আর চালু হয়নি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম- দোহাজারী রেলপথকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে প্রথম বাণিজ্যিক ননস্টপ আন্তনগর ট্রেন চলাচল শুরু করে। সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি থেকে যুক্ত হয় ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামে আরও এক জোড়া নতুন আন্তনগর ট্রেন। সঙ্গত কারণে এ দুটি ট্রেন মাঝখানে আর কোনো স্টেশনে থামে না।
পটিয়া, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালী এলাকার অনেক মানুষ চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন, যাঁরা নিয়মিত গ্রাম থেকে যাতায়াত করেন। অনেক শিক্ষার্থীকেও নগরের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া দোহাজারীতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির চাষাবাদ হয়। এসব শাকসবজি ট্রেনে করে চট্টগ্রাম নগরে বিক্রির জন্য কম খরচে নিয়ে যেতেন কৃষক ও পাইকারেরা। ট্রেন চালু থাকলে তাঁরা কম খরচে ভোগান্তি এড়িয়ে যাতায়াত করতে পারতেন।

এদিকে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চালু হতে যাচ্ছে এই রুটে লোকাল ট্রেন। প্রস্তাবিত কমিউটার ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে ষোলশহর, জানআলী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করাবে। সর্বশেষ ট্রেন গিয়ে থামবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে।
এটি ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও মার্চের মাঝামাঝিতে এসেও চালু হয়নি। কিন্তু এই কাজটি অগ্রাধিকার তালিকায় হওয়া উচিত ছিল। কারণ কালুরঘাটের একটি সেতুর কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। দ্বিতীয়ত রেলওয়ের মতো গণমুখী, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থাকে যেকোনো মূল্যে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কাজেই আমরা চাই দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ দেশের সব লোকাল ট্রেনগুলো পূর্ণমাত্রায় সচল হোক।




লংকানদের ২৮৭ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

 

শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করেছেন টাইগাররা। জিততে হলে শ্রীলংকাকে করতে হবে ২৮৭ রান। সর্বশেষ ৩৩ বলে ১৮ রান করে আউট হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। এতে তাওহিদ হৃদয় ও তানজিম সাকিবের জুটি ভেঙে যায়। এরপর মাঠে নামেন তাসকিন আহমেদ।

১০২ বলে ৯৬ রান করে বাংলাদেশকে অনেকটাই এগিয়ে রাখেন হৃদয়। আর তাসকিন করেন ১০ বলে ১৮ রান।  সর্বশেষ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হৃদয়ের সর্বশেষ ফিফটি ছিল সেটিই। ৮ ইনিংস পর আরেকটি ৫০ রানের ইনিংসের দেখা পেলেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার সপ্তম ফিফটি।
এদিকে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইনিংসের প্রথম বলে বোল্ড হয়েছিলেন লিটন দাস। গোল্ডেন ডাকের পর এবার খেলতে পারলেন মোটে ৩ বল। তবে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আজও ডাক খেয়েই ফিরেছেন এই ওপেনার। লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার করা প্রথম ওভারে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন লিটন।
শ্রীলংকার বিপক্ষে আজ ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয়, হারলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ম্যাচের জন্য। প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ের পর এখন অনেকটাই চাপমুক্ত টাইগাররা। শেষ দুই ম্যাচের একটি জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে দুই দল। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান।
শ্রীলংকা একাদশ: পাথুম নিশাঙ্কা, আবিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, জেনেথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, প্রমোদ মাদুশান, দিলশান মাদুশঙ্কা ও লাহিরু কুমারা।



সেহরির পর ধূমপান করলে রোজা হবে কি?

সেহরির পর ধূমপান করলে রোজা হবে কি?

পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ সময় সব মুসলমানের চেষ্টা থাকে সঠিক নিয়মে রোজা পালন করা। এখানেই সমস্যায় পড়ে অনেকে। এক্ষেত্রে যারা ধূমপান তরে থাকে তাদের সমস্যা একটু বেশি।

রোজায় ধূমপান করতে গিয়ে রোজার কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না তা নিয়ে সংসয়ে পড়ে যায় অনেকে। এমন সংসয় থাকা স্বাভাবিক। কারণ ধূমপান করা এমনিতেই ঠিক না। ইসলামেও এটা নিষেধ করা হয়েছে।
রোজা থাকা অবস্থায় ধূমপান করলে রোজা ভঙ্গ হয়। তাই রমজানে দিনের বেলায় বিশ্বাসী মুমিন রোজাদার ব্যক্তি ধূমপান করেন না। এখন প্রশ্ন হলো সেহরিতে বা ইফতারের পর ধূমপান করলে রোজার ক্ষতি হয় কি না?
একটি বেসরকারি টেলিভিশন অনুষ্ঠান চলাকালে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহর কাছে এমন একটি প্রশ্ন করা হয়। যার জবাবে তিনি বলেন- যেটা হারাম, সেটা হারামই হবে। যেটা খারাপ, সেটা খারাপই। সুতরাং, এটা পরিহার করার জন্য চেষ্টা করুন। সেহেতু আপনি আল্লাহর বান্দা হিসেবে সিয়াম পালন করতে পারছেন, এই দীর্ঘ সময় আপনি ধূমপান ছাড়া থাকতে পারছেন, তাহলে বোঝা গেল আপনি এটা অবশ্যই পরিহার করতে পারবেন। আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্য সিয়াম পালন করছেন। হারাম কাজের মধ্যে নিজেকে জড়িত করে আপনি যতই সামনে দৌড়ান না কেন, আপনি সামনে যেতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, হারাম কাজ আপনাকে পেছনে নিয়ে যাবে। যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, মিথ্যাচার এবং যে গর্হিত বিষয় আছে, সেগুলো পরিহার করতে পারল না, তার সিয়াম শুধু লোক দেখানো হবে। এই সিয়ামের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর মূল উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না।



এডিপির আকার কমল ১৮ হাজার কোটি টাকা

এডিপির আকার কমল ১৮ হাজার কোটি টাকা

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে দেওয়া বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করতে না পারায় কাটছাঁটের পর এডিপির আকার দাঁড়াল ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমিশন সূত্র জানায়, সব মন্ত্রণালয় সময় মতো বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে পারছে না। ফলে এডিপির বাস্তবায়নে প্রত্যেকবারই ব্যয় কমানো হচ্ছে। মোট সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। যা টাকার অঙ্কে ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। যা কমে হচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া, বিদেশি সহায়তা থেকে বরাদ্দ কমছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।



অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রমজান মাসে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার যেমন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর তেমনি জনগণকেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই। সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে এবং অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য কৃত্রিম উপায়ে দাম বাড়ায়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা বিশ্বে উৎসব-পার্বণে দ্রব্যমূল্য কমে আর আমাদের দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বেশি রাখে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। অভিযানও চলমান। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণ যখন মোর্চা গড়ে তুলবে তখন তারা কোথায় যাবে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
মতবিনিময়ের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা সফর নিয়ে ব্রিফ করেন। তিনি জানান, ১ মার্চ তুরস্কে আনাতালিয়া ফোরামের সাইডলাইনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগন্যাসিও ক্যাসিসের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়সহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার কথা জানান তিনি।
৫ মার্চ সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
৮ ও ৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে তার বৈঠকের ওপর আলোকপাত করেন হাছান মাহমুদ।



সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনের বিকল্প নেই: ১২ দলীয় জোট

আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো সহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকায় মানববন্ধন পালন করেছে ১২ দলীয় জোট। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধনে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, দেশবাসীর সামনে একদফা সরকার পতনের আন্দোলনের বিকল্প নেই। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটের অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করা হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব;) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ন্যাপ- ভাসানী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম সহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নানাভাবে বাধাসৃষ্টি ও হয়রানি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে গণগ্রেফতার অভিযান। নির্বিচারে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল এজেন্ট আওয়ামী সরকারের গণতন্ত্র আজ যুদ্ধতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে হামলা মামলা গ্রেফতার ও নানাভাবে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নিজেদের জনসমর্থনহীনতার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।
বক্তারা বলেন, এতো উন্নয়ন করেছেন তাহলে জনগণের ভোট না পাওয়ার আতঙ্কে ভোগেন কেনো? কেনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভয় পান? কেনো জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে প্রশাসন ও পেশীশক্তি ব্যবহার করে বিনা ভোটে জয়লাভের হ্যাট্রিক করার চেষ্টা করছেন?

তারা আরও বলেন, দেশের অবস্থা ভীষণ খারাপ। একদল গডফাদার দস্যু দেশটাকে লুটপাট করে ফোকলা বানিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। সরকারি দলের ব্যবসাযীরা সিন্ডিকেট বানিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চাল ডাল আটা তেল লবণ মাছ মাংস ডিম এমনকি গরিবের প্রোটিন ফার্মের মুরগীর দাম ১৩০/১৪০ থেকে ২৫০ টাকায় তুলেছে। দেশে নিরব দূর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে গণবিরোধী অবৈধ সরকার দফায় দফায় জ্বালানি গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েই চলেছে!!

তারা বলেন, অবৈধ অনির্বাচিত সেবা দাস সরকারের অসম গোপন বিদ্যুৎ চুক্তির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া বানানোর পথে নিয়ে গেছে। অবিলম্বে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি বাতিল করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবীর পক্ষে জনজোয়ার অবৈধ সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দেশ ও জনগণের একমাত্র দাবি হয়ে উঠেছে।




ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

কে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ। গুণে গুণে অর্ধডজন বল দিলো তাদের জালে। ফলে অপরাজিত থেকেই শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাঘিনীরা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শুক্রবার ভুটানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলে হারায় বাংলাদেশের নারীরা। তুলে নেয় আসরে হ্যাটট্রিক জয়।

ফাইনালে আগেই পা রেখেছিল বাংলাদেশ, নেপাল আর ভারতকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছিলো শিরোপার লড়াই। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। তবুও ম্যাচটাকে বেশ গুরুত্বের সাথেই নেয় বাঘিনীরা৷ ম্যাচের মাত্র ১৩ মিনিটের মাথায় গোল উৎসবে মাতে বাংলাদেশ। দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকা দলকে প্রথ উপলক্ষ এনে দেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। তার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফাতিমা আক্তারের লম্বা ক্রস ধরতে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি।
২০ মিনিটের ব্যবধানে স্কোর দ্বিগুণ করেন ফাতিমা। ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন তিনি। উল্লাস থামার আগেই ফের গোল পায় বাংলাদেশ। ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে ব্যবধান বাড়ান থুইনুই। ফাতিমার কর্নার ধরর হেডে খুঁজে নেন জাল। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও ভুটানের জালে বল পাঠায় বাংলাদেশ। এবার মৌমিতা খাতুনের আড়াআড়ি ক্রসে প্রীতি পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোলমুখেই পেয়ে যান সাথী। টোকা দিয়ে বাকি কাজ সারেন তিনি।
৬৯ মিনিটে ব্যবধানটা আরো বড় করেন থুইনুই। আগের মিনিটেই তার একটি শট ঠেকিয়ে দেন ভুটান গোলকিপার। তবে এবার আর পারেননি। মৌমিতা খাতুনের ক্রস ধরে দূর পোস্টে জোরালো শট নেন তিনি, বল ভুটান গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-০। ৭৭ মিনিটে দলের হয়ে শেষ গোলটি করেন প্রীতি। একক চেষ্টায় তিনজনকে কাটিয়ে পেনাল্টি এরিয়ায় ঢোকে বল জালে জড়ান তিনি। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।



এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে টিকটক

এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে পড়েছে জনপ্রিয় কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইতোমধ্যে এ বিষয়ক একটি বিল প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছে এই অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সব টিকটক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে দেওয়া সেই বার্তায় অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তুত করা হচ্ছে। মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের বলুন যে টিকটক আপনাদের সম্পত্তি এবং (পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করা হলে) তারা যেন ‘না’ ভোট দেন।’

শুক্রবার এক প্রতিবেদেনে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, টিকটক এই বার্তাটি দেওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের ফোনে ‘বন্যার মতো’ কল আসতে শুরু করে।

তবে টিকটক যে বার্তাটি দিয়েছে, তা সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সত্যিই একটি বিল প্রস্তুত হচ্ছে।

২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স প্রথম বাজারে আনে কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বাজারে আসার পরপরই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় অ্যাপটি। ২০২২ সালে এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের মধ্যেও টিকটক খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, দেশটির তরুণ প্রজন্মের দুই তৃতীয়াংশই নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন।

তবে ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়।