ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘পূর্ণ’ জাতিসংঘ সদস্যপদ সমর্থন করে চীন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘পূর্ণ’ জাতিসংঘ সদস্যপদ সমর্থন করে চীন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বৃহস্পতিবার বলেছেন, বেইজিং জাতিসংঘে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘পূর্ণ’ সদস্যপদ সমর্থন করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক সদস্য হিসেবে সমর্থন করি।

ওয়াং বলেন, ‘গাজার বিপর্যয় আবারও বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড যে দীর্ঘকাল ধরে দখল করা হয়েছে তা আর উপেক্ষা করা যাবে না।
ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত আকাঙ্ক্ষা একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আর এড়ানো যাবে না। যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের সহ্য করা অবিচার সংশোধন না করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেটি চলতে পারে না।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে বেইজিং। চীন ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থনকারী। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুদ্ধের সমাধানের জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের’ আহ্বান জানিয়েছেন।



এক ঘণ্টার বেশি সময় পর সক্রিয় হলো ফেসবুক

এক ঘণ্টার বেশি সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর সক্রিয় হলো মেটার আওতাধীন বিশ্বের বহুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সচল হতে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমটি।

এদিন রাত ৯টার পর থেকে সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। তারা জানান, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এমনকি যারা ফেসবুকে লগ–ইন করা অবস্থায় ছিলেন তারাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ–আউট হয়ে যান।

ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮১৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এরপর রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা এও জানতে চাচ্ছেন— কী হয়েছে সামজিক মাধ্যমটির? কেনই বা লগইন করা যাচ্ছে না? কখন ঠিক হবে?

এদিকে হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে— সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ডাউনডিটেক্টর ছাড়াও ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেসবুক বিভ্রাটের বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ব্যবহারকারীরা। সেই সঙ্গে এ অভিযোগের সংখ্যা আজ রাত ১০টার পর থেকে আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়।




ইরানে ইসরায়েলি গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইরানে ইসরায়েলি গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়ার্কশপে ব্যর্থ ড্রোন হামলার দায়ে ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা বা মোসাদের এক সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রবিবার (৩ মার্চ) মোসাদের ওই গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান। ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইস্ফাহানস্থ একটি ওয়ার্কশপে কয়েকটি ছোট্ট ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানো হয়।

কিন্তু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সহযোগিতায় ওই হামলা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। একটি ড্রোনে আঘাত হানা হয়েছে এবং অন্য দু’টি ড্রোনকে কৌশলে আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এরপর ওই দু’টি ড্রোনও বিস্ফোরিত হয়েছে।
এ সম্পর্কে ইস্ফাহানের বিচার বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম জাফারি বলেছেন, এই ব্যর্থ হামলার পর মোসাদের ওই গুপ্তচর নিজের পরিচয় গোপন করে ইরান থেকে পালিয়ে যায়। এর ১৩ দিন পর ইরানের বিচার বিভাগের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় তাকে একটি প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শেষে গতকাল (৩ মার্চ) মোসাদের ওই সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।



খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে ঢাকার হাসপাতালে একজনের মৃত্যু

 

খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি একজন মধ্যবয়সী পুরুষ। রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলেন। অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন আরও জানান, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটা এ বছর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি মানিকগঞ্জে।

নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর আইইডিসিআর আয়োজিত এক সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে ওই সময় (গত ১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৩৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪০ জন রোগী মারা গেছেন। দেশে ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সাধারণত খেজুরের কাঁচা রস পানের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়।
আইইডিসিআরের ওই সভায় আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালে (১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন এবং তার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন। রোগী অনুপাতে মৃত্যুহার ৭১ দশমিক ৪২ শতাংশ। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন সভাটিতে নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার এবং ঝুঁকিবিষয়ক একটি তথ্যনির্ভর উপস্থাপনা তুলে ধরেন। উপস্থাপনায় ওই অধ্যাপক জানান, নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস। এ ভাইরাসের বাহক টেরোপাস (ফল আহারী) গোত্রীয় বাদুড়। বাদুড় থেকে মানুষে এই রোগের সংক্রমণ হয়। মানুষের মধ্যে এ সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় মালয়েশিয়ায় ১৯৯৮ সালে।
তাহমিনা শিরীন বলেন, বাংলাদেশে ২০০১ সালে মেহেরপুর জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব চিহ্নিত হয়। এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে হলে খেজুরের কাঁচা রস পান থেকে বিরত থাকতে হবে



দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে : নসরুল হামিদ

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অভ্যন্তরীন সকল উৎস হতে দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পেট্রোবাংলা ৪৬টি কূপ খনন, পুন:খনন এর কার্যক্রম শুরু করেছে যা থেকে ৬১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। ২০২৩ সালে এই কার্যক্রমের আওতায় এরই মধ্যে ১১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ভোলার গ্যাসকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। একই সাথে দেশের বিদ্যুৎ ও ইন্ড্রাস্ট্রি খাতে যেখানে সংকট রয়েছে সেখানে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, পাইপলাইন দিয়ে ৩ বছরের মধ্যে ভোলার গ্যাস মূল ভূ-খ-ে নেয়া হবে। ভোলাদ্বীপ একটি গ্যাস সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে আরও ৯টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভোলার নদী এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পণ জরিপ করা হবে। তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলায় শিল্প খাতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে ভোলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। বর্তমানে ভোলা থেকে সিএনজি করে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেশের মূল ভূ-খ-ের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা ২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোলা পৌর এলাকায় আবাসিক ও গৃহস্থলী কাজেও মিটারের মাধ্যমে সংযোগ দেয়ার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এ সময় ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি বোরহানউদ্দিনে ২২০ ও ২২৫ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ভোলা সদরের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিঃ ডিআরএস পরিদর্শন ও সিএনজি পরিদর্শন করেন।



মাঘের শুরুতে এসে শীত জেঁকে বসেছে মৌলভীবাজারে, বিপর্যস্ত জনজীবন

 

মাঘের শুরুতে এসে অবশেষে শীত জেঁকে বসেছে মৌলভীবাজারে। মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এ জেলায় এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

এর আগে সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শীতের তীব্রতা, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শ্রীমঙ্গলের জনজীবন। সকালবেলা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। হঠাৎ করে শীত বেড়ে যাওয়ায় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী, সাধারণ শ্রমজীবী ও অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
খানিক সূর্যের পরেই নগরীতে কুয়াশার চাদর, কনকনে শীতখানিক সূর্যের পরেই নগরীতে কুয়াশার চাদর, কনকনে শীত রাতভর শীতের তীব্রতার পর সকালে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি। তাপমাত্রা উঠানামার সাথে শীত জেঁকে বসায় দুর্ভোগ বেড়েছে চাবাগানসহ পাহাড় ও হাওর এলাকার কম আয়ের মানুষের। কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।



হাড় ও জোড়া লেগে যাওয়া রোগ “এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস”

 

এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস কী?

এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (এএস) হলো এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক আর্থ্রাইটিস যা প্রাথমিকভাবে মেরুদন্ড এবং স্যাক্রোইলিয়াক (SI) জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করে। এটি মেরুদন্ড চলমান একীকরন প্রক্রিয়া যার ফলে মেরুদ- শক্ত হয়ে যায় এবং অচলতা দেখা দেয়। এটি মেরুদন্ডকে কুঁজো করে দেয়। পাঁজর আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও অসুবিধা হতে পারে।
কাদের এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হতে পারে?
যে কারো এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হতে পারে, যদিও এটি মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের বেশী হয়ে থাকে। এই রোগের উপসর্গ সাধারণত ১৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায়। এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস একটি জেনেটিক রোগ যা পারিবারিক ভাবে হতে পারে।
লক্ষণ:
১. পিঠে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া, যা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বেশি হয় এবং চলাফেরার সাথে সাথে
কমে আসে।
২. মেরুদ-ের গতিশীলতার প্রগতিশীল ক্ষতি, যার ফলে মেরুদন্ড শক্ত হয়ে যায়।
৩. স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টের ব্যথা, পিঠের নিচের অংশে এবং নিতম্বে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যায়।
৫. এনথেসাইটিস, যা হাড়ের সাথে টেন্ডন বা লিগামেন্টের সংযুক্ত স্থানে প্রদাহ।
৬. ক্লান্তি এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা হ্রাস।
৭. ইউভাইটিস বা চোখের মাঝখানের স্তরের প্রদাহ।
৮. সোরিয়াসিস
কারণ:
এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই, যদিও জেনেটিক কারণ জড়িত বলে মনে হয়। বিশেষ করে, যাদের HLA-B27 নামক জিন আছে তাদের এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। যাইহোক, শুধুমাত্র জিনসহ কিছু মানুষের এই রোগের বিকাশ ঘটে।
রোগ নির্ণয়:
১. ইতিহাস
২. শারীরিক পরীক্ষা ইমেজিং স্ক্যান: ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) স্ক্যানগুলি সাধারণত এক্স-রের চেয়ে আগে মেরুদন্ড সমস্যা সনাক্ত করতে পারে।
৩. রক্ত পরীক্ষা: রক্ত পরীক্ষা HLA-B27  জিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে পারে।
জটিলতা:
১. কশেরুকা জোড়া লেগে যাওয়া (এ্যাঙ্কাইলোসিস)।
২. কাইফোসিস (মেরুদ-ের সামনের বক্রতা)।
৩. অস্টিওপোরোসিস (হাড় ছিদ্র রোগ)।
৪. বেদনাদায়ক চোখের প্রদাহ (আইরাইটিস বা ইউভাইটিস) এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা  (ফটোফোবিয়া)।
৫. হৃদরোগ, যার মধ্যে অ্যাওর্টাইটিস, অ্যারিথমিয়া এবং কার্ডিওমায়োপ্যাথি।
৬. বুকে ব্যথা যা শ্বাসকে প্রভাবিত করে।
৭. চোয়ালের প্রদাহ।
৮. কাউডা ইকুইনা সিন্ড্রোম
করনীয়:
চিকিৎসাঃ
*ঔষুধঃ
১. নন স্টেরয়েডাল বিরোধী প্রদাহজনক ওষুধ (NSAIDs)
২. রোগ পরিবর্তনকারী অ্যান্টি-রিউম্যাটিক ড্রাগস (DMRD)
৩. স্টেরয়েডাল থেরাপি।
সার্জারিঃ
এ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত অল্প সংখ্যক লোকের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। জয়েন্ট
রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিতে একটি কৃত্রিম জয়েন্ট ইমপ্লান্ট করা হয়। কাইফোপ্লাস্টি করে বাঁকা মেরুদ- সংশোধন করা
হয়।
*ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসাঃ
১. স্ট্রেচিং ব্যায়াম: মৃদু প্রসারিত ব্যায়াম মেরুদন্ডের গতিশীলতা বজায় রাখতে এবং শক্ত হওয়া রোধ করতে
সাহায্য করে।
২. শক্তিশালীকরণ (Strenthening) ব্যায়াম: মেরুদ-কে সমর্থনকারী পেশীগুলির জন্য লক্ষ্যযুক্ত
শক্তিশালীকরণ (Strenthening) ব্যায়াম দেহ ভঙ্গি উন্নত করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৩. অ্যারোবিক ব্যায়াম: সাইক্লিং, সাঁতারের মতো হালকা অ্যারোবিকস ব্যায়াম হার্টের ফিটনেস এবং সামগ্রিক
স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে বেশ কার্যকর।
৪. দেহভঙ্গির উন্নতি: সঠিক দেহভঙ্গি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং মেরুদ-ের জোড়া লেগে যাওয়া প্রতিরোধ
করতে পারে। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীকে সঠিক দেহভঙ্গি এবং শরীরের মেকানিক্স শেখাতে
পারেন।
৫. চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে শ্বাসের ব্যায়াম।
৭. ইলেকট্রোথেরাপি
৮. মেনুয়ালথেরাপি



সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে নৌকার বিপক্ষে কাজ করার আভিযোগ আবদুল কাহার আকন্দের

 

কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদকে হুঁশিয়ারি দিলেন এই আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি নূর মোহাম্মদের উদ্দেশে বলেন, ‘আর এক পা আগাবেন না। হয় নৌকার সঙ্গে থাকুন, না হয় কটিয়াদী ছেড়ে ঢাকা চলে যান। আর যদি আপনি একটি কথা নৌকার বিরুদ্ধে বলবেন, তাহলে আপনার বাড়ি ঘেরাও করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর সদর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নৌকার প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘নৌকার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র চলছিল। যড়যন্ত্রে আমার যাঁরা চেয়ারম্যান, মেম্বার ছিলেন, যাঁরা আওয়ামী লীগের লোকজন ছিলেন, তাঁদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ভয় দেখিয়ে ট্রাক মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এই ভয়ে অনেকে আজ ঘরে বসে আছেন।’ জনতার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত আছেন, আপনাদের আমি বলতে চাই। এটার পেছনে আমাদের বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদ জড়িত আছেন। এই নূর মোহাম্মদ আমার লোকগুলোকে ডেকে নিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ট্রাকের লোকদের সেই টাকা দিচ্ছেন। এটার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
জনসভায় পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী এম এ আফজল। এ সময় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন।
কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-২ আসন। এখান থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, আবদুল কাহার আকন্দ ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এর মধ্যে আবদুল কাহার আকন্দকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মো. সোহরাব উদ্দিন ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। নূর মোহাম্মদ মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে এই আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব) আখতারুজ্জামানের ট্রাক প্রতীককে সমর্থন জানান। এ নিয়ে এই আসনের নির্বাচনের মাঠ গরম আছে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে আজ বুধবার সকালে নূর মোহাম্মদকে মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি। তবে গত সপ্তাহে  বলেছিলেন, অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আখতারুজ্জামানকে তাঁর কাছে সাহসী ও যোগ্য মনে হয়েছে, তাই তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। নিজের অনুগত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আখতারুজ্জামানের পক্ষে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আখতারুজ্জামান এক দিকে দলের বিরোধিতা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, অপর দিকে বক্তৃতায় একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।