জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়ার গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। তাদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসন করাটা ছিল তার বহুদলীয় গণতন্ত্র।

রবিবার বিকেলে যশোরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যার পর এ দেশ পরিণত হয়েছিল হত্যা, ক্যু, কারফিউর দেশ। লুটপাটের রাজত্বে কায়েম করা হয়েছিলো এ দেশে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কারফিউ জারি করে দেশ চালাতো। জিয়া কারফিউ দিয়ে ভীতিকর পরিবেশে দেশ চালাতেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়ার গণতন্ত্র ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। যে যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এ দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে, পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দিয়েছে, নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে পুরস্কৃত করাটা ছিল জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন।

এর আগে জনসভা মঞ্চে পৌঁছেই যশোরের উন্নয়নে ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।




প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাবে যেভাবে

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর)। মোবাইলে এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গণভবনে বেলা ১১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং দুপুর ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন দুই মন্ত্রী।

গণশিক্ষামন্ত্রী বেলা ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায়। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বেলা ২টায় হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ফল পাবে।

প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ির ফল www.dpe.gov.bd এবং http://dperesults.teletalk.com.bd থেকে পাওয়া যাবে।

এছাড়াও যেকোনো মোবাইল থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ফল পাওয়া যাবে। আর ইবতেদায়ির ফলাফলের জন্য EBT স্পেস শিক্ষার্থীর আইডি নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করলে ফল আসবে।

জেএসসি-জেডিসির ফলwww.educationboardresults.gov.bd ছাড়াও শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে মিলবে।

মোবাইলের মেসেজ অপশনে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ড লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে এসএমএস করলেও ফল পাওয়া যাবে।

গত ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন। দেশের সাত হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে মোট ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন। ইবতেদায়িতে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ জন।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়িতে এ পরীক্ষা হচ্ছে ২০১০ সাল থেকে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনীর ফল দেওয়া হচ্ছে। আগে পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা গত ০১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৮ নভেম্বর। এ বছর ২৮ হাজার ৬২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থী ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন।

জেএসসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ জন এবং জেডিসিতে পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন। জেএসসিতে ছাত্রের সংখ্যা নয় লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ জন এবং ছাত্রী ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪১ জন। জেডিসিতে ছাত্রের সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৪২ জন এবং ছাত্রী দুই লাখ ৫ হাজার ১০১ জন।

এবার বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী।




২০১৮ সাল নিয়ে নস্ত্রাদামুস’র ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী!

নস্ত্রাদামুস, ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বহু আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। আর সেই ভবিষ্যদ্বাণীর তালিকায় রয়েছে ২০১৮সালটিও। তার বহু কথা মিলে গেলেও, এ নিয়ে তর্ক বিতর্কও কম হয়নি। তবে সেসব দূরে রেখে চলুন দেখে নেওয়া যাক, আগামী বছর নিয়ে তার চিন্তা-ভাবনায় কি ছিল।

উনি এই বছর নিয়ে নাকি জানিয়েছিলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ভাঙন ধরতে পারে। শোনা যায়-

১. নস্ত্রাদামুসের একটি বইয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু আভাস দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সেও হামলা হতে পারে, যা পরে সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

২. ইতালিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যুরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।

৩. ২০১৮ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে, যার শুরু হবে আমেরিকা থেকে।

৪. নস্ত্রাদামুসের মতে ২০১৮ সালে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে ধূমকেতু বা ক্ষুদ্র কোনও গ্রহ নাকি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাবে।

৫. তার মতে, ২০১৮ সালে অর্থব্যবস্থার ভেঙে পড়তে পারে।

৬. চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য মানুষের আয়ু ২০০ বছরও হতে পারে।

৭. মানুষ পশু-পাখিদের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হবে বলেও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন।




এত মাস থাকতে কেন ১ জানুয়ারিতেই বছর শুরু?

নতুন বছর একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য তৈরি আট থেকে আশি সবাই। নতুন বছরের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অনেকে। কিন্তু, বছরের এতগুলো মাস থাকতে কেন ১ জানুয়ারি দিয়েই বছর শুরু হয় সেকথা ভেবেছেন কখনও?

১ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ, অনেক তারিখ দিয়েই শুরু হতে পারত বছর। কিন্তু কেন এই বিশেষ মাসটি বেছে নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে অনেকে অনেক ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। জ্যোতিষ থেকে পরিবেশ, বিভিন্ন ব্যাখ্যা উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়ে।

জানা যায়, এক রোমান দেবতার নাম ছিল ‘জানুস’। যাকে শুরুর দেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হত। এই দেবতার দুটি মুখ। একটি সামনের দিকে, যা ভবিষ্যতের প্রতীক আর আর একটি মুখ পিছনের দিকে, যা আসলে অতীতের দিকে তাকিয়ে থাকে। জানুয়ারি মাসটির নাম এসেছে ওই রোমান দেবতা জানুসের নাম থেকে। যখন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েছিল, তখন ‘জুলিয়াস সিজার’ জানুয়ারি মাসটিকেই তাই বছর শুরুর দিন হিসেবে বেছে নেন।

তবে, এক্ষেত্রে একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা যায়, জানুয়ারিতেই পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে চলে যায়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে Perihelion বলে। তাই এই সময়কে শুভ জিনিসের শুরু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

পরিবেশবিদদেরও এই সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। জানা যায়, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ডিসেম্বরেই সবচেয়ে ছোট দিনের সাক্ষী থাকে। জানুয়ারি থেকে একটু একটু করে বড় হতে থাকে দিন। তাই এটাকেই বছরের শুরু বলে ধরা হয়। সূত্র: কলকাতা ২৪.কম




রামগতির চর আলেকজান্ডার ইউপিতে আ’ লীগ প্রার্থী জয়ী

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৪৩ ভোট।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। গণনা শেষে রাতে রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বেসরকারিভাবে বিজয়ী আনোয়ার হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেএসডি প্রার্থী নাজমুল হাসান তারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৩৪৭ ভোট।




লক্ষ্মীপুরে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক ৪, ভোট কেন্দ্রে আতঙ্ক

লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপজেলার আলেকজান্ডার ইউপি নির্বাচনে জাল ভোট দিতে গিয়ে চার জন আটক হয়েছেন। পশ্চিম বালুর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার।
এদিকে, পশ্চিম চর আলেকজান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের প্রভাবিত করাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য প্রার্থী নুর ছলেমান হাওলাদার ও ফিরোজ কবির বাবুল হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষ লাঠি-সোটা হাতে নিয়ে ছোটাছুটি করলে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উৎসাহ উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এছাড়া আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর নিরাপত্তায় নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন।




লক্ষ্মীপুরের একটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে; একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ওই ইউনিয়নে নয়টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও উচ্চ আদালতের আদেশে একটি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। অপর ৮টি ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট চলেছে। এতে
৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ, সাধারণ সদস্য পদে ৩০ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ার হোসেন (প্রতীক-নৌকা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত মো. নাজমুল হাসান (তারা), বিএনপি মনোনীত হাবিব উল্যাহ বাহার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. রিয়াজ হোসেন (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র জাফর আহাম্মদ (চশমা)।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নে ৮ ওয়ার্ডের ৯ কেন্দ্রে ৬২টি বুথে ভোটগ্রহণ চলতে। এতে ২২ হাজার ৮২২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের আদেশে এ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। অন্য ৮ ওয়ার্ডে নির্বাচন চলছে।

পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছে।




লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি জামায়াতের অপরাজনীতি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌর শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর মার্কেটের সামনে গিয়ে মিলিছটি শেষ হয়।

 

পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতলব, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য কাজী বাবলু, লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শামীম, আলীয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা বলেন, বিএনপি জামায়াত দেশে অপরাজনীতি ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে। এ কারণে মানুষের মাঝে ক্রমেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে এসব নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করে যাবে।




সন্দেহ জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের দিকে লক্ষ্মীপুরে ২ সন্তানসহ গৃহবধূ নিখোঁজ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ফারজানা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ, তার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ফাইজা (১১) ছেলে মাসুদুল হক ফাইয়াজ (৬) গত চার দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে তারা নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারনা করছেন গৃহবধূর স্বামী কাজী ফয়সল আহমেদ।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের শেখ রাসেল সড়কের অর্নি-রাহি প্লাজা নামের একটি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। এই ঘটনায় পরের দিন সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন গৃহবধূর স্বামী।

গৃহবধূর স্বামী কাজী ফয়সল আহমেদ দত্তপাড়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টার্ড। তিনি ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত মাসুদুল হকের ছেলে। ফারজানা আক্তার রামগঞ্জ উপজেলা ভাদুর গ্রামের মৃত মাওলানা সালাহ উদ্দিনের মেয়ে। ২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখ থেকে তারা লক্ষ্মীপুর শহরের শেখ রাসেল সড়কে ওই বাসাতে ভাড়া থাকতেন।

স্বামী কাজী ফয়সল আহমেদ ধারনা করে বলছেন, গত ৫মাস আগে তার স্ত্রীকে কোন জিনের বাদশা বা অন্যকোন প্রতারক চক্র প্রলোভন কিংবা ভয় দেখিয়ে ৭ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই চক্র স্বামীসহ সন্তানকে মেরে ফেলবে এ ভয়ে আতংকে ছিল। এভাবে সে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর থেকে সে আমাকে এবং সন্তানদেরকে বাসা থেকে বের হতে বাধা দিত। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রীর চিকিৎসা ও সন্তানদের পড়ালেখার কথা ভেবে আমি লক্ষ্মীপুরে বাসা ভাড়া করে নিয়ে থাকছি। রোববার আমার অনুপস্থিতিতে ২ সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। এরপর থেকে তাদের আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে খুজ করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গৃহবধুর বড় ভাই হেলাল উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, বোনের স্বামী নিখোজ হওয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানিয়েছেন। তবে কি কারনে নিখোজ হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারি নি।

লক্ষ্মীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান, প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিখোজ রয়েছে মর্মে স্বামী কাজী ফয়সল আহমেদ সাধারন ডায়েরী করেছেন। তাদের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।




কমলনগরে ঝরাজীর্ন ঘরে থাকেন শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধা পরিবার

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে ঝরাজীর্ন ঘরে থাকেন শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধা পরিবার। উপজেলার চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তোরাবগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ী। ৬জন সদস্য নিয়ে ০৬শতাংশ জমির উপর একটি টিনের দোচালা ছাপড়া ঘরে বসবার করছে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবার।
জানা যায়, শহীদ মোস্তাফিজুর রহমানের জন্ম ১৯৪৬ সালে শহীদ হন ০৩/১০/১৯৭১ইং তারিখ। মৃত্যু কালে তার ১ছেলে ও স্ত্রী রেখে যান। বর্তমানে তার ১ছেলে মোঃ শাহজাহান (৪৭) ৩ নাতি মোঃ রাশেদ নবম শ্রেণীর ছাত্র, রেদওয়ান ২য় শ্রেনীর ছাত্র, শাহীন (৬) নাতনি জান্নাতুল ফেরদাউস ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ১স্ত্রীসহ মোট ৬সদস্য। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক বাহিনী এদেশের নিরস্ত্র জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়ার পর পরই মোস্তাফিজুর রহমান তার সাথীদের নিয়ে ভারতে গিয়ে যুদ্ধের উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ২নং সেক্টরের অধীন রনক্ষেত্রে কৃতিত্বের সাথে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। ০৩-১০-১৯৭১ ইং তারিখ সকাল বেলা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ১সাথী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানা (বর্তমানে কমলনগর উপজেলা) করইতলা ও তোরাবগঞ্জ রাজাকার মিলিটারী ক্যাম্প পর্যবেক্ষনে গিয়ে পাশ্ববর্তী খামার বাড়ীতে অবস্থান গ্রহন করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মিলিটারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে তাদের উপর আক্রমন করা। ঐ খামার বাড়ীতে ২জন মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান রাজাকাররা টের পেলে তারা মিলিটারীকে খবর পাঠায়, মিলিটারী তাৎক্ষনিক খামার বাড়ী ঘেরাও করে তাদের ধরে ফেলে অকথ্য নির্যাতনের মাধ্যমে গুলি করে হত্যা করে। তার একমাত্র পুুত্র সন্তান তেমন কোন পড়ালেখা করতে পারেন নাই বর্তমানে সে অসুস্থ অবস্থায় আছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় এই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারটি একটি দোচালা টিনের ছাপড়া ঘরে অবস্থান করছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা বলতে কোন কিছুই তাদের ভাগ্যে জোটে নাই। ছেলে শাহজাহানের সাথে একান্ত আলাপে বলেন আমি নিজেই অসুস্থ তার মধ্যে আমার চার ছেলে মেয়ে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করি। সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শুনেছি অনেক কিছু করছে কিন্তু আমি তার কিছুই পাই নাই। আমার বাবার নামে রাস্তায় তোরণ নির্মান করা হয়েছে কিন্তু আমাদের খোজ কেউ নিচ্ছে না। বতর্মানে আমার সন্তানদের লেখাপাড়া ও বসতঘর নিয়ে আমি দুঃচিন্তায় আছি। যদি সরকার বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানের নাতি ও নাতনিদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয় ও তাদের মাথা গোজার একটু ঠাই দেয় তাহলে এই শহীদের আত্মা শান্তি পাবে বলে আমি মনে করি।