কমলনগরে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের ৬দিন কেটে গেলেও অপহৃতাকে উদ্ধার ও জড়িতদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সোমবার (০৯ অক্টোবর) সকালে ফলকন উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হাজিরহাট-লুধূয়া সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী হারুন অর রশিদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাকের, সহকারী শিক্ষক লিয়াকত হোসেন, শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার ও মিরাজ হোসেন প্রমুখ। এসময় বক্তারা অবিলম্বে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায়।
প্রসঙ্গত, হাজিরহাট বাজার সংলগ্ন জাঙ্গালীয় গ্রামের মমিন উল্লার ছেলে প্রবাসী মো. হারুন (২৬) উপজেলার ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরিবার বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে।




কমলনগরে উৎসবমূখর পরিবেশে ‘সবুজ উপকূল’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুর: উপকূলের পড়–য়াদের সবুজ সুরক্ষার আহবানের মধ্যদিয়ে ৮ অক্টোবর পূর্ব-উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘সবুজ উপকূল ২০১৭’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচির আওতায় ছিল রচনা লিখন, পত্র লিখন, ছবি আঁকা ও সংবাদ লিখন প্রতিযোগিতা। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ‘এসো সবুজের আহ্বানে, গড়ি সবুজ উপকূল’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং গাছের চারা রোপণ করা হয়। কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের একদল পড়–য়া পরিবেশ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। বিদ্যালয়ে প্রকাশিত হয় দেয়াল পত্রিকা ‘বেলাভূমি’র বিশেষ সংখ্যা।

উপকূলের পড়–য়াদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানো, সৃজনশীল মেধার বিকাশ, লেখালেখি চর্চার মাধ্যমে তথ্যে প্রবেশাধিকারসহ জীবন দক্ষতা বাড়ানো এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য। ব্যতিক্রমধর্মী পরিবেশ সচেতনতামূলক এ কর্মসূচি এবার তৃতীয় বছরে পা রাখলো। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে উপকূল বিষয়ক সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান ‘উপকূল বাংলাদেশ’।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাজীরহাট হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জায়েদ হোসাইন ফারুকী। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভেন্যু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু জাকের।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, ইসলামী ব্যাংক হাজীরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনছুরুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ইকবাল হোসেন, হাজীরহাট মিল্লাত একাডেমীর প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হলে শুধু পাঠ্য বইয়ের পড়া মুখস্ত করে পরিক্ষায় ভালো করলেই হবে না। জীবন দক্ষতা গড়ে তুলতে চারপাশের জগত সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। উপকূলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। ভালো ফলাফলের সঙ্গে সাধারণ জ্ঞানের সংমিশ্রনই পারে মানুষের মত মানুুষ করে তুলতে। তোমাদেরকে ভালো মানুষ হয়ে প্রদীপের মত আলো জ¦ালাতে হবে, যাতে তোমার আলোতে আরও অনেকজন আলোকিত হতে পারে।

সূচনা পর্বে বক্তব্য দেন কর্মসূচির স্থানীয় সমন্বয়কারী ও কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র খুদে সংবাদকর্মী জুনাইদ আল হাবিব। কর্মসূচির প্রেক্ষাপট ও উপকূলের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন সবুজ উপকূল ২০১৭ কর্মসূচির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ও আয়োজক প্রতিষ্ঠান উপকূল বাংলাদেশ-এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম মন্টু। অনুষ্ঠান সূচনা ও উপস্থাপনায় ছিল আয়োজক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মো. পারভেজ হোসেন ও অস্টম শ্রেণীর সামিয়া নাজনীন প্রীতি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরে ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. মিরাজ হোসেন এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণ দলের পক্ষ থেকে লুধুয়া এলাকার ভাঙণের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর নুসরাত জেবিন জেসিয়া।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সকালে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে কর্মসূচির সূচনা ঘটে।

কর্মসূচিতে সহ-আয়োজক হিসাবে থাকছে উপকূলের স্কুল পড়–য়াদের সংগঠণ আলোকযাত্রা দল, আইটি পার্টনার হিসাবে থাকছে ডটসিলিকন, মিডিয়া পার্টনার হিসাবে থাকছে এটিএন বাংলা ও দৈনিক সমকাল।

সবুজ উপকূল ২০১৭-এর দশম কর্মসূচি ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো। এবার উপকূলের ১৪টি জেলার ১৯টি উপজেলার ২০টি স্থানে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। কর্মসূচিতে ১০০ স্কুলের প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এ নিয়ে তিন বছরে উপকূলের ২৫৬টি স্কুলে ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী সবুজ উপকূল কর্মসূচির আওতায় আসছে। স্কুল শিক্ষার্থীরা পেয়েছে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা, যা তাদের প্রাত্যহিক জীবনে কাজে লাগছে।

এবার সাতক্ষীরার শ্যানগরের মুন্সীগঞ্জ, গাবুরা, খুলনার পাইকগাছা, বাগেরহাটের সদর ও শরণখোলা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া, বরগুনার তালতলী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ও চরমোন্তাজ, ভোলার চরফ্যাসন ও তজুমদ্দিন, চাঁদপুরের হাইমচর, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া, ফেনীর সোনাগাজী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং কক্সবাজারের টেকনাফ ও মহেশখালীতে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২০১৫ সাল থেকে সবুজ উপকূল কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ২০১৫ সালে ১০টি জেলার ১৩টি উপজেলার ৪০টি স্কুলের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়। পরের বছর ২০১৬ সালে ১৪টি জেলার ২৫টি উপজেলার ১১৬টি স্কুলের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এবারের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে তিন বছরে উপকূলের ২৫৬টি স্কুলে ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী সবুজ উপকূল কর্মসূচির আওতায় আসবে।




কমলনগরে চলতি মৌসুমে ১২০০ কি.মি. কাঁচা সড়কের ক্ষতি

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চলতি মৌসুমের অতিবৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৮শ’ তালিকাভুক্ত সড়কের ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ কাঁচা সড়কের কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে; বর্তমানে বেশ কিছু সড়কের বেহাল দশা।

লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা। মেঘনা নদী ভাঙন কবলিত কমলনগর উপজেলা। এখানকার মেঘনাপাড়ে বেড়ি বাঁধ না থাকায় এ উপকূল অরক্ষিত। যে কারণে বর্ষা মৌসুমের প্রায় প্রতিদিনই তীব্র জোয়ারে বিস্তৃর্ণ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এছাড়াও এবারের অতিরিক্ত বৃষ্টিতে উপজেলার কাঁচা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উপজেলার পাটারিরহাট, চর ফলকন, সাহেবেরহাট, চর কালকিনি, চর মার্টিন ও চর লরেন্সসহ প্রায় সব কয়েকটি মেঘনা উপকূলীয় ইউনিয়ন। বেড়ি বাঁধ না থাকায় বর্ষা মৌসুমের প্রায় প্রতিদিন এই জনপদের বিস্তৃর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসময় উপকূলীয় বেশিরভাগ রাস্তাঘাট পানির নিচে ডুবে যায়। এতে অভ্যন্তরীণ কাঁচা সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে, জোয়ার ছাড়াও অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার চর কাদিরা, তোরাবগঞ্জ ও হাজিরহাট ইউনিয়নের সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

সরেজমিন কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, জোয়ার ও অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তার দুপাশের মাটি সরে গেছে। রাস্তায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং ভেঙে গেছে। এখন সামান্য বৃষ্টিতে পানি-কাঁদা জমে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, এবার অতিবৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় মেঘনা নদীতে জোয়ারের চাপও বেশি ছিলো। বেড়ি বাঁধ না থাকায় প্রায় প্রতিদিন জোয়ারের পানি রাস্তাঘাট ও ডুবে যেতো। বাড়ির ওঠান মাড়িয়ে বসতঘরেও পানি উঠেছে। এতে করে বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, বিগত সময়ে তাদের ইউনিয়নের অভ্যান্তরীণ সড়কে যেসব কাজ হয়েছে চলতি বর্ষা মৌসুমের অতিবৃষ্টিতে ওইসব রাস্তায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার প্রয়োজন।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন, তার ইউনিয়নের পাটারিরহাট সড়ক, ফিসঘাট সড়ক, খায়েরহাট সড়ক, লেচকি রাস্তা ও গাড়িঘাটা রাস্তাসহ প্রায় সব কয়েকটি সড়ক বৃষ্টি ও জোয়ারে ক্ষতি হয়। ওই সব সড়কের তালিকা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানাবেন বলে তিনি জানান।

কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রায় ৮শ’ তালিকাভুক্ত সড়কের প্রায় ১হাজার ২৩৫ কিলোমিটার রাস্তায় বিভিন্ন সময়ে অতি দরিদ্রদের কর্মসূচি, এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ডানিডার আওতায় নির্মাণ ও সংস্কার কাজ হয়েছে। চলতি মৌসুমের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে বেশিরভাগ রাস্তার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় ভোক্তভোগীরা তালিকা জমা দিচ্ছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. বোরহান উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করা হচ্ছে। এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।




লক্ষ্মীপুরে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরে ইসরাত জাহান নুসরাত (০১)নামে এক শিশুকন্যা পানিতে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে।

শনিবার (০৭অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের আবিরনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা শিশুকন্যাকে  মুমূর্ষু অবস্থা উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নুসরাত আবিরনগর গ্রামের রনি ও রানুর দম্পতির কন্যা।

নিহত শিশুর দাদা দুলাল হোসেন বলেন, সকলের অজান্তে নুসরাত ঘরের পিঁছানে একটি ছোট ডোবাতে পড়ে যায়। আমরা সবস্থানে খোঁজখবর নিয়েও তাকে না পেয়ে  ওই ডোবাতে জাল মারলে তার সন্ধান পায়।পরে তাকে হাসপাতাল নিলে ডাক্তার মৃত বলেন।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কমলা শীষ রায় শিশু মৃত্যু বিষয় নিশ্চিত করেছেন।




কমলনগরের জেএসডি নেতা অসুস্থ্য

লক্ষ্মীপুর: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)’র লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিরব ঢাকার আল নুর আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার তিনি হাসপাতালের কর্তব্যরত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শক্রমে চোখের ছানি অপারেশন হয়। বর্তমানে তিনি সিনিয়র আই কনসালটেন্ট একেএম মামুনুর রশিদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি দীর্ঘ দিন থেকে চোখের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। জেএসডি নেতা শাহাদাত হোসেন নিরবের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া কামনা করা হয়েছে।




কমলনগরে স্কুলছাত্রী অপহরণ

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের তিন দিন কেটে গেলেও অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে অপহৃত স্কুল ছাত্রীর বাবা কমলনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় স্থানীয় করিম মৌলভী বাড়ির সামনে থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত স্কুলছাত্রীর মামা মো. খোরশেদ জানান, হাজিরহাট বাজার সংলগ্ন জাঙ্গালীয় গ্রামের মমিন উল্লার ছেলে ওমান প্রবাসী মো. হারুনের (২৬) জন্য তার ভাগনীর বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়েকে পড়া-লেখা শেখাবে বাল্যবিয়ে দিবে না বলে পরিবারের লোকজন ছেলে পক্ষকে জানিয়ে দেয়। যে কারণে ওই ছেলেসহ (প্রবাসী হারুন) ছেলে পক্ষের ৫/৬জন আতœীয় বুধবার সকালে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. তৌহিদুল ইসলামকে বলেন, স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অবগত করি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

 




লক্ষ্মীপুরে আবারও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সংগ্রহ করার জেরে রাকিব হোসাইন রনি নামের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে আজাদ নামের এক ভূমিদস্যু। এর আগে সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষীপ্ত হয়ে ইসমাইল হোসেন জবু নামের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে সুমন নামের এক সন্ত্রাসী।
সাংবাদিক রাকিব হোসাইন রনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন পত্রিকা শীর্ষ সংবাদ ডটকম’র নির্বাহী সম্পাদক এবং পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সোনালী কলোনী এলাকায় জহির নামে এক প্রবাসীর বাউন্ডারী দেয়াল ভেঙে হামলা চালিয়ে ঘর দখল এবং লুটপাট করে ভূমিদস্যু আজাদের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা। এসময় দু’জন আহত হয়। এমন খবর শুনে ঘটনাস্থলের ছবি ধারণ ও সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় সাংবাদিক রাকিব হোসাইন রনি। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে ভূমিদস্যু আজাদ। এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দেয় সে।
এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর ক্ষতিগ্রস্থরা সদর থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা করলে, পুলিশ আজাদসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে ভূমিদস্যূ আজাদ জামিনে বেরিয়ে এসে আপন বোন আনোয়ারা বেগমকে বাদী করে সাংবাদিকসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে। ভূমিদস্যু আজাদ লক্ষ্মীপুর সোনালী কলোনী এলাকার মোহাম্মদ উল্যার ছেলে।
সাংবাদিক রাকিব হোসাইন রনি জানান, আজাদ এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। এর আগেও সে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। প্রবাসীর বাড়িতে হামলার সংবাদ সংগ্রহ করায় সে ক্ষীপ্ত হয়ে নিজ বোনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাই।




লক্ষ্মীপুরে মহানবী ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি : গণধোলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করায় মাহামুদুল হাসান মামুন নামের এক কম্পিউটার অপারেটরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার সকালে রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত মামুন ফতেহপুর জামিউল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ও মজুপুর গ্রামের পন্ডিত বাড়ির মাওঃ আব্দুল হকের ছেলে।।

স্থানিয়রা জানায়, ফতেহপুর জামিউল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অফিস সহকারী মাহামুদুল হাসান মামুন তার ব্যবহৃত ফেইজবুক আইডি (মামুন পন্ডিততে) বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কটুক্তি করে একটি পোস্ট দেয়। পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথে গ্রামবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাকিবুল হাসান মাসুদ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জরুরী সভা ডেকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি নেয়। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মাল ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিএস নজরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সহেল চৌকিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়ে পোস্টের ব্যাখ্যা দাবী করে। এসময় মাহামুদুল হাসান নিরবতা পালন করায় ক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মী ও সম্মিলিত গ্রামবাসী তাকে গনপিটুনী দেয়।

মাদ্রাসার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাকিবুল হাসান মাসুদ বলেন, ফেইজবুকে পোস্টটা দেখা মাত্রই আমি মাদ্রাসাতে উপস্থিত হয়ে বিষয়গুলো জেনে রেজুলেশন খাতায় লিখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করি। এরি মাঝে উত্তেজিত গ্রামবাসী ও ছাত্রলীগ নেতারা তাকে মারধর করেছে।

অভিযুক্ত মাহামুদুল হাসান মামুন বলেন, আমার ফেইজবুক আইডি হ্যাকাররা হ্যাক করে পোস্টটি করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু ইউসুফ বলেন, অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ বলেন, গনপিটুনীর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার ও তথ্য-উপাত্ত্ব সংগ্রহ করেছি। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে




রামগতিতে ২ জেলের কারাদন্ড

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার অপরাধে ২ জেলের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজগর আলী তাদেরকে ১ মাসের করে কারাদন্ডের আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চর গাজী ইউনিয়নের বয়ার চর এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে শরীফ (১৮) ও একই এলাকার হাসিমের ছেলে জুয়েল (২০)। এর আগে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) গভীর রাতে মেঘনা নদীর বয়ার চর এলাকা থেকে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ অভিযান পরিচালনা সময় তাদেরকে আটক করে।

 




প্রেম কত প্রকার ও কী কী?

মনের মত মন খুঁজে সত্যিকারের প্রেম করা এক ধরণের শিল্প। মুখে বললেও প্রেমের মানে বুঝতে সারা জীবন লেগে যায়।
তাই প্রেমের কোনও নিদিষ্ট বয়স হয় না। প্রথম প্রেমের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খুব কম বয়সে প্রথম প্রেম এসে থাকে। প্রথম প্রেম বেশিরভাগ সময়ই আদতে প্রেম হয়না, সেটাকে বলা হয়ে থাকে মোহ। প্রথম প্রেম যে কারও সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে।
প্রথম প্রেম ছাড়াও মনুষ্য জীবনে প্রেমের অনেক প্রকারভেদ আছে। কি সেই প্রকারভেদ সেটাই আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নেওয়া যাক-
১। প্রথম দেখায় প্রেম=
প্রথম দেখাতেই এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেম অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়। এ ধরনের প্রেমে প্রায় অবধারিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের সাহায্যের দরকার পড়ে। এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাতে রূপ স্মরণীয় ও দৈহিক সৌন্দর্যের ভূমিকাই বেশি।
২। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম-
এই ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে প্রেমিক ও প্রেমিকা দু’জনেই প্রথমে বন্ধু থাকে। তবে এধরনের প্রেম অনেক সময়ই অকালে ঝরে যায় কোন একতরফা সিদ্ধান্ত বা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। অনেকে বন্ধুত্বের এই রূপান্তর মেনে নিতে পারেনা বলে অনুশোচনায় ভোগে। বিশেষত মেয়েরা।
৩। বিবাহোত্তর প্রেম-
এই প্রেম শুধুমাত্র স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দেখা যায়। বিয়ের ঠিক পর পর প্রথম কয়েক মাস এই প্রেম প্রবল থাকে। বিবাহোত্তর প্রেম ফলাতে হানিমুনের জুড়ি নেই।
৪। পরকীয়া প্রেম-
বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে। এই পরকীয়া প্রেমতো আদিযুগ থেকে চলে আসছে।
৫। অপরিণত প্রেম-
এ ধরনের প্রেম সাধারণত স্কুলে পড়ুয়া অবস্থায় হয়ে থাকে। মেয়েরাই এ ধরনের প্রেমে বেশি পড়ে। তবে ছেলেরাও যে পড়ে না তা বলা ভুল হবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের দু’জনই সমবয়সী হতে পারে।
৬। কর্মক্ষেত্রে প্রেম-
কর্মসূত্রে দু’জন মানুষের পরিচয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। বেসরকারী সংস্থাতে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।
৭। মোবাইল প্রেম-
বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বা ফোনবুক থেকে চুরি করে, পাড়ার ফোনের দোকান থেকে সংগ্রহ করে, অন্য কোন সূত্র থেকে নাস্বার পেয়ে বা নিতান্তই মনের মাধুরী মিশিয়ে কোন নাম্বার বানিয়ে তাতে ফোন করে কোন মেয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত।
৮। ইন্টারনেটে প্রেম-
ইন্টারনেটে চ্যাটিংয়ে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রেম এটা এখন হামেশাই হচ্ছে। দু’জনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেমে উভয়পক্ষেরই ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে অনেক।
৯। ত্রিভুজ প্রেম-
এ ধরনের প্রেমকে বলা যেতে পারে একজন মেয়েকে নিয়ে দু’জন ছেলের দড়ি টানাটানি। একই মেয়ের প্রতি দু’জন ছেলের ভালোবাসা এই প্রেমের মূলকথা। উক্ত মেয়েকে পেতে দু’জন ছেলেই পাওয়ার জন্যে মরিয়া হয়ে থাকে।
১০। বহুভুজ প্রেম-
একই মেয়ে বা ছেলের প্রতি দু’এর অধিক ব্যাক্তির অনুরাগই মূলত, বহুভুজ প্রেম। এক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে বা ছেলেটি স্বভাবতই দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্যের অধিকারী হয়ে থাকেন। সবাই তার সাথে প্রেম করতে চায় এই বিষয়টি তাকে ব্যাপক আনন্দ দেয়।
১১। ঘানি টানা প্রেম-
প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছ থেকে কোন বিশেষ সুবিধা লাভই এ ধরনের প্রেমের উদ্দেশ্য। মেয়েদের মধ্যে এ ধরনের প্রেমের প্রচলন বেশি দেখা গেলেও ছেলেদেরকেও মাঝে মাঝে করতে দেখা যায়।
১২। অব্যক্ত প্রেম-
নীরবে এক অপরকে ভালোবেসে গেলেও পরিস্থিতি, সময় বা মনোবলের অভাবে প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে কেউই একে অপরকে কোনোদিন বলেনি। অব্যক্ত প্রেম হারানোর বেদনা খুব কষ্টদায়ক, জীবনের অন্যতম বড় ভুল হিসেবে মনে থাকে।
১৩। সুপ্ত প্রেম-
একে অপরকে ভালোবাসে কিন্তু কেউই কাউকে বলছে না, পুরো ব্যাপারটাই লুকিয়ে যাচ্ছে এমন প্রেমই সুপ্ত প্রেম। সুপ্ত প্রেম আজীবন সুপ্ত থেকে গেলে তা পরিণত হয় অব্যক্ত প্রেমে।
১৪। চুক্তিবদ্ধ প্রেম-
এ ধরনের প্রেম হয় পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে। সাধারণ অর্থে প্রেম বলতে যা বোঝায় তা এই ধরনের প্রেমে অনুপস্থিত থাকে। কোন ভবিষ্যৎ থাকেনা এসব সম্পর্কের।
১৫। অসাম্প্রদায়িক প্রেম-
এ ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে দু’জনে দুই ধর্ম বা সম্প্রদায়ের অনুসারী হয়ে থাকে। সমাজ এ ধরনের সম্পর্ককে সমর্থন করেনা। বিশেষত, হিন্দু-মুসলমান ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম বেশি বিতর্কের সৃষ্টি করে।
১৬। ভাড়াটে প্রেম-
এ ধরনের প্রেমের প্রেমিক বা প্রেমিকারা বলতে গেলে ভাড়া খাটে। তারা সকালে একজনের গার্লফ্রেন্ড তো বিকেলে আরেকজনের। কোন নির্দিষ্ট ঠিক ঠিকানা নেই। ব্যাপারটা অনেকটা মাসে মাসে মোবাইল হ্যান্ডসেট চেঞ্জ করার মতো।
১৭। ঝগড়াটে প্রেম-
সারাক্ষণ দু’জনের মধ্যে খিটির-পিটির লেগে থাকাটা এই প্রেমের বৈশিষ্ট্য এ ধরনের প্রেমে ঝগড়াগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু খুব ঘনঘন হয়। ঝগড়াগুলো অধিকাংশই হয় ফোনে।
১৮। ‘আজো তোমায় ভালোবাসি’ প্রেম-
এই প্রেমে প্রেমিক-প্রেমিকার বিচ্ছেদ ঘটেছে আগেই। তবুও আজো তারা একে অপরকে ভালোবাসেন। হাই হুতাশ আর চোখের পানিতেই কেটে গেলো এই প্রেম।
১৯। ব্যর্থ প্রেম-
সবশেষে আছে ব্যর্থ প্রেম। এ প্রেম শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায়। ব্যর্থ প্রেমিকার চাইতে ব্যর্থ প্রেমিকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। ব্যর্থ প্রেমের শেষটা হয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান দিয়ে। কখনো কখনো ছেলেদের ভাগ্যে জোটে থাপ্পড়, মেয়েদের জুতার বাড়ি আবার কখনও উধুম গণধোলাই।
সংগৃহীত: