এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে টিকটক

এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে পড়েছে জনপ্রিয় কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইতোমধ্যে এ বিষয়ক একটি বিল প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছে এই অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সব টিকটক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে দেওয়া সেই বার্তায় অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তুত করা হচ্ছে। মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের বলুন যে টিকটক আপনাদের সম্পত্তি এবং (পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করা হলে) তারা যেন ‘না’ ভোট দেন।’

শুক্রবার এক প্রতিবেদেনে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, টিকটক এই বার্তাটি দেওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের ফোনে ‘বন্যার মতো’ কল আসতে শুরু করে।

তবে টিকটক যে বার্তাটি দিয়েছে, তা সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সত্যিই একটি বিল প্রস্তুত হচ্ছে।

২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স প্রথম বাজারে আনে কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বাজারে আসার পরপরই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় অ্যাপটি। ২০২২ সালে এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের মধ্যেও টিকটক খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, দেশটির তরুণ প্রজন্মের দুই তৃতীয়াংশই নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন।

তবে ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়।




শঙ্কা ছড়িয়েছে ফেসবুক কিন্তু কেন!

সারাবিশ্বে এখনও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিবন্ধিতরা পুরোপুরি পরিষেবা পাচ্ছেন না। বহু নিবন্ধিত প্ল্যাটফর্ম অ্যাকসেস করতে সমস্যায় পড়ছেন। ফটো ও প্রোফাইল ছবি দেখতেও বিভ্রাটের মুখোমুখি হচ্ছেন, যার প্রভাব ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের নিবন্ধিতদের প্রভাবিত করেছে। ভক্তদের মধ্যে যা হতাশা ছড়িয়েছে। অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশে অনেকে ফেসবুকের বিকল্প সামাজিক মাধ্যমে খুঁজে বেড়িয়েছেন।

ইনস্টাগ্রাম, মেটা ও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা বিভ্রাটের বিষয়ে দাপ্তরিক কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানায়নি মেটা। তবে মেটাভুক্ত হলেও হোয়াটসঅ্যাপ নিবন্ধিতরা তেমন কোনো সমস্যায় পড়েননি।

শুধু ভারতেই ২০ হাজারের বেশি রিপোর্ট (অভিযোগ) ই-মেইল করা হয়। সব সমস্যাই হয় মূলত প্রধান শহরকেন্দ্রিক। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিতরাও ফেসবুক বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছেন। অ্যাডমিন (মেটা) সূত্রে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত সমস্যায় মাঝেমধ্যে আপডেট প্রয়োজন হয়, যা করতে গ্রাহকসেবা কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধান করা হয়। বিদ্যমান সমস্যাও ধীরে ধীরে সমাধান করা হবে। বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই এখন। তাৎক্ষণিক সমস্যায় ফেসবুক ভুক্তভোগীরা শঙ্কায় পড়েছিলেন। দ্রুতই তা সমাধানে কাজ করেছে মেটা।

নিবন্ধিত গ্রাহকরা মেটার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ও থ্রেড অ্যাপ ব্যবহারেও বিভ্রাটের শিকার হন। দ্রুতই মেটা সমস্যার উপস্থিতি স্বীকার করে বলেছে, সক্রিয়ভাবে সমস্যাটি সমাধানে যথাযথ কাজ চলমান। সব পরিষেবা পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়া অবধি পুনরুদ্ধার কাজ চলবে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

দ্রুতই মেটা-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের পরিষেবার পাসওয়ার্ড বদলে নেওয়া। অ্যাপ বা ডেস্কটপে নতুন পাসওয়ার্ডে লগইন ও লগআউট করা। পরের নির্দেশে নিরাপত্তার ইস্যুতে মেটা যে পরামর্শ দেবে, তা যথাযথভাবে পালন করা। ততোধিক ডিভাইসে ফেসবুক লগইনে সতর্ক থাকা।




ইলন মাস্ক-জাকারবার্গের কথার যুদ্ধ

বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে বিভ্রাট দেখা দেয় মঙ্গলবার রাতে। প্রায় দেড় ঘণ্টা নিষ্ক্রিয় ছিল মেটার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে সাড়ে ১০টার পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় ছিল সামাজিক মাধ্যমটি। কারিগরি ত্রুটির কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে পারছিলেন না। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় হইচই। ব্যবহারকারীরা যখন নিজের আইডি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে শুরু হয় কথার যুদ্ধ।  

এ বিষয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও থ্রেডস অ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ রাত ৯টা ৩৯ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘চিল গাইস, কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন, সব ঠিক হয়ে যাবে।’




এক ঘণ্টার বেশি সময় পর সক্রিয় হলো ফেসবুক

এক ঘণ্টার বেশি সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর সক্রিয় হলো মেটার আওতাধীন বিশ্বের বহুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সচল হতে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমটি।

এদিন রাত ৯টার পর থেকে সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। তারা জানান, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এমনকি যারা ফেসবুকে লগ–ইন করা অবস্থায় ছিলেন তারাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ–আউট হয়ে যান।

ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮১৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এরপর রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা এও জানতে চাচ্ছেন— কী হয়েছে সামজিক মাধ্যমটির? কেনই বা লগইন করা যাচ্ছে না? কখন ঠিক হবে?

এদিকে হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে— সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ডাউনডিটেক্টর ছাড়াও ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেসবুক বিভ্রাটের বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ব্যবহারকারীরা। সেই সঙ্গে এ অভিযোগের সংখ্যা আজ রাত ১০টার পর থেকে আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়।




ইজেনারেশনে নতুন ৩ স্বতন্ত্র পরিচালক

ইজেনারেশন লিমিটেডের পরিচালক পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ইসহক আলী খন্দকার, ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান এবং ড. মো. মুশফিকুর রহমান। দেশের প্রথম সফটওয়্যার প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির জন্য গত বছরের ২১ অক্টোবর আইপিও অনুমোদন পেয়েছে ইজেনারেশন।

ইজেনারেশনের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. ইসহক আলী খন্দকার বর্তমানে দেশের বৃহত্তম সুতা প্রস্তুতকারক কোম্পানি মাতম ফাইবার মিলস লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর একজন ফেলো সদস্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন।

নতুন আরেক স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রয়েল হোলোওয়ে, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ইনফরমেশন সিকিউরিটিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইসএসসি সম্পন্ন করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসএস এবং এমএসসি সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।

ইজেনারেশনের নবনিযুক্ত অপর স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৭ সালে জাপানের কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রফেসর ও ডিন ড. কাজুমি সুজুকির তত্বাবধায়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর একজন ফেলো সদস্য। তিনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে আইসিএমএবি এর একজন পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিজ্ঞপ্তি।




নিউইয়র্কে স্কুলে নিষিদ্ধ হলো ‘চ্যাটজিপিটি’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মেধা বিকাশে বিঘ্ন ঘটাতে পারে— এমন শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সরকারি স্কুলে নিষিদ্ধ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সফটওয়্যার ‘চ্যাটজিপিটি’।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওপেনএআই’ গত ৩০ নভেম্বর উন্মোচন করে ‘চ্যাটজিপিটি’। এটি নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ‘চ্যাটজিপিটি’ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

‘চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে’ উল্লেখ করে গত ৩ জানুয়ারি ‘নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

সংস্থাটির বক্তব্য হচ্ছে, ‘শিক্ষার্থীদের শিখনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবটে ফলাফল হিসেবে দেখানো বিষয়বস্তুর নিরাপত্তা ও নির্ভুলতার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে নিউইয়র্ক শহরের সরকারি স্কুলগুলোর নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসগুলোতে চ্যাটজিপিটি অ্যাক্সেস বাতিল করা হয়েছে। টুলটি প্রশ্নের দ্রুত এবং সহজ উত্তর দিতে সক্ষম হলেও এটি চিন্তা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করে না। এসব দক্ষতা শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আজীবন সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।’

চ্যাটবটটির আগের সংস্করণগুলোকে ভুল প্রশ্ন করা হলেও মনগড়া উত্তর দিত। তবে নতুন এই সংস্করণ প্রশ্নের ভুল ধরতে সক্ষম। ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ওপেন এআই। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেখকদের থেকে অনুমতি নেয়নি। এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন ‘বিং’-এর নতুন সংস্করণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। নতুন সংস্করণে ব্যবহার করা হবে চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’। আগামী মার্চের শেষ নাগাদ নতুন এই ফিচার চালু করতে পারে মাইক্রোসফট। ওপেন এআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাচ্ছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান




প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর চাকরি মেলা

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এ মেলা আয়োজন করা হয়। মেলা আয়োজনে সহযোগী ছিল সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি (সিএসআইডি)। গতকাল সকালে মেলা উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর অফিস ভবনে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ৫৪টি আইসিটিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং পাঁচ শতাধিক চাকরিপ্রার্থী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অংশ নেন। এর আগে সারাদেশ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সিভি জমা দেন অনলাইনে। ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কল সেন্টার এজেন্ট, প্রোগ্রামিংসহ নানা বিষয়ে পদের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে নিয়োগের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে আয়োজকরা জানান। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সক্ষম এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। প্রশিক্ষিত প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে যারা উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা সিডমানি হিসেবে পুঁজি প্রদানের সুযোগ রয়েছে। অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান, সিএসআইডির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রযুক্তি প্রতিদিন প্রতিবেদক




এন্ট গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ ছাড়ছেন জ্যাক মা

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট এন্ট গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ ছাড়ছেন জ্যাক মা। আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এন্ট গ্রুপ। আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চীনা ধনকুবের জ্যাক মা। জ্যাক মা বর্তমানে এন্ট গ্রুপের ১০ শতাংশের শেয়ারের মালিক। জ্যাক মা এন্ট গ্রুপে তাঁর শেয়ার পর্যায়ক্রমে বাজারে ছেড়ে দেবেন। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে এন্ট গ্রুপের সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা হারাবেন তিনি। ইতোমধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার হস্তান্তর শুরু করেছেন তিনি। রয়টার্স জানিয়েছে, ব্যবসায়িক কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এ কোম্পানিটি। এ পরিবর্তনে চীনা নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপ না থাকলেও সমর্থন আছে। তবে এ বিষয়ে জ্যাক মা কিংবা এন্ট গ্রুপ থেকে কিছু জানানো হয়নি।




টুইটারের ২০ কোটি ব্যবহারকারীর ই-মেইল হ্যাক

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের ২০ কোটি ব্যবহারকারীর ই-মেইল হ্যাক হয়েছে। এক নিরাপত্তা গবেষকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকাররা ই-মেইলগুলো হ্যাক করার পর সেগুলো একটি অনলাইন হ্যাকিং ফোরামে পোস্ট করেছেন।

ইসরায়েলের সাইবার সিকিউরিটি-মনিটরিং ফার্ম হাডসন রকের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যালন গাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে বলেন, ‘আমার দেখা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হ্যাকের ঘটনা এটি।’

এ নিয়ে অবশ্য টুইটারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এ ঘটনায় টুইটার কোনো তদন্ত শুরু করেছে কি না তাও স্পষ্ট নয়।

এদিকে হ্যাকিং ফোরামের তথ্যগুলো সঠিক কি না তা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। তবে হ্যাকিংসংশ্লিষ্ট কয়েকটি স্ক্রিনশট এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, ইলন মাস্ক টুইটার কেনার আগেই গত বছরের শুরুতে ই-মেইলগুলো হ্যাক হয়। তবে কোন স্থান থেকে ও কখন হ্যাকাররা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।




ভুয়া ওয়েবসাইট চিনবেন যেভাবে

অনলাইনে প্রতারণার জন্য বিচিত্র ফাঁদ পাতা থাকে। এরমধ্যে অন্যতম ভুয়া ওয়েবসাইট। অজান্তে এসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড গায়েব হতে পারে। এমনকি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ডও জালিয়াত চক্রু হাতিয়ে নিতে পারে। তাই ভুয়া ওয়েবসাইট চেনা জরুরি। জানুন কীভাবে ভুয়া ওয়েবসাইট শনাক্ত করবেন।

অনেকেই তথ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ দেন। সার্চ রেজাল্টে দেখানে ওয়েবসাইটের লিংকগুলো থেকে যেকোনো একটিতে প্রবেশ করেন। কিন্তু এতে আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন। ভুয়া ওয়েবসাইটের সাহায্যেই ছড়ানো হয় প্রতারণার জাল। যদিও এই ওয়েবসাইটগুলোকে আসল ওয়েবসাইটের মতোই দেখতে হয়।

অনেকেই আসল বা নকল ওয়েবসাইট চিনতে পারেন না। তখনই তৈরি হয় সমস্যা। তাই তথ্য জানার জন্য কোনও ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ভালভাবে যাচাই করে নিন যে ওয়েবসাইটটি আসল না নকল। ওয়েবসাইট আসল না নকল কীভাবে চিনবেন?

প্রথমে ওয়েবসাইটটিকে ভালভাবে লক্ষ্য় করুন। ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর যদি যোগাযোগের ঠিকানা বা ফোন নম্বর, কাস্টমার কেয়ার নম্বর না দেখতে পান তাহলে বুঝবেন সেই ওয়েবসাইটটি ভুয়া।

website‘ডোমেইন নেম’ খুঁটিয়ে দেখুন। যখন একজন ব্যক্তি বা কোম্পানি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে, তখন তাকে একটি অনন্য ‘ডোমেইন নেম’ কিনতে হয়। প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি আলাদা ‘ডোমেইন নেম’ রয়েছে। যদি একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম অন্য ওয়েবসাইটের মতো হয়,তাহলে বুঝবেন যে এই ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি ভুয়া বিষয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোম্পানি সম্পর্কিত সব তথ্য ভুয়া ওয়েবসাইটে থাকবে না।

অনলাইন জিনিস কেনার সময় ই-কমার্স সাইটে খেয়াল রাখবেন। কোনও জিনিস অনলাইন কেনার আগে ভালো করে রিটার্ন পলিসি পরে নিন। কী কী পেমেন্ট অপশন আছে দেখুন। কোনও ওয়েবসাইট কবে তৈরি হয়েছে তা জানতে হলে আগে ইন্টারনেটে যাচাই করে নিন।