নিজস্ব ই-মেইল সেবা নিয়ে আসছে জুম

করোনার সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠা জুম এবার ব্যবহারকারীদের জন্য ই-মেইল সেবা চালু করছে। চলতি বছরের শেষে এই ফিচার উন্মুক্ত হবে।

বর্তমানে ভিডিও কল ও ই-মেইল একসাথে সেবা দিচ্ছে জি-মেইল। গুগল ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে ১.৫ বিলিয়ন অ্যাকটিভ ব্যবহারকারী রয়েছে জি-মেইলের।

লিটমাস এর পরিসংখ্যান অনুসারে, মেইলের ক্ষেত্রে জি-মেইলের চেয়েও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে অ্যাপেল ই-মেইলে। প্রায় ৫৭.৭২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার তাদের। যেখানে জি-মেইলের রয়েছে ২৯.৪৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার। মাইক্রোসফট আউটলুকের রয়েছে ৪.৩৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার।

শোনা গেছে, জুম তাদের ই-মেইল ও ক্যালেন্ডার প্ল্যাটফর্মের নাম রাখতে চলছে জেড-মেইল ও জেড-ক্যাল। জানা গেছে, প্রায় দু’বছর ধরে এই পরিষেবার উপর কাজ করছে জুম।

পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর দাবি, এই বছরের নভেম্বরে জুমটোপিয়া কনফারেন্স এই দুই পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য অথবা এই দুই প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করতে পারে জুম।




সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোনের মাধ্যমে জীবনযাত্রা সহজ করছে ‘ইনফিনিক্স’

চীনের মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ইনফিনিক্স’ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সম্বলিত বৈচিত্র্যময় ফিচারের স্মার্টফোন গ্রাহকের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্র্যান্ডটির ‘হট ১২’ এবং ‘নোট ১২’ সিরিজের ডিভাইসগুলো দেশের বাজারে পেয়েছে দারুণ জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ঢাকা: অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডটির নিত্যনতুন, অভিনব ও যুগোপযোগী মোবাইল বাজারে আনার মাধ্যমে প্রযুক্তি দুনিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। শক্তিশালী প্রসেসরের ইনফিনিক্সের ডিভাইস সমূহ একইসঙ্গে টেকসই, কার্যকরী ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের। ইনফিনিক্সের স্মার্টফোনগুলোর উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে, হাই-ডিফিনেশন ডিসপ্লে, সুপার-ফাস্ট চার্জিং, ডিজিটাল জুম সম্বলিত শক্তিশালী ক্যামেরা, কোয়াড ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস ফিচার, এআই ট্রিপল ক্যামেরা, সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য ডুয়েল ফ্ল্যাশের ফ্রন্ট ক্যামেরা ইত্যাদি।

সাম্প্রতিক সময়ে ইনফিনিক্সের যে মোবাইলগুলোর বাড়তি চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘হট ১২’ এবং ‘নোট ১২’ সিরিজের ডিভাইসগুলো অন্যতম। অত্যাধুনিক ফিচার ও প্রযুক্তির এই স্মার্টফোনগুলো সামাজিক যোগাযোগ, হাই-রেজ্যুলেশন এর ভিডিও স্ট্রিমিং এবং ভিডিও গেমিং এর জন্য গ্রাহকরা নির্ভাবনায় সার্বক্ষণিক ব্যবহার করছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে টেক রিভিউয়াররা ইনফিনিক্সের এই ডিভাইসগুলোর ইতিবাচক রিভিউ প্রদানের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনতে উৎসাহিত করছেন। সাশ্রয়ী বাজেটে গেমিং সহজলভ্য করেছে ‘হট ১২’ ‘হট ১২’ বাজারে এসেছে সেরা বাজেট ‘গেমিং স্মার্টফোন’ এর তকমা নিয়ে। মাত্র ১৬ হাজার টাকারও কম মূল্যের এই ডিভাইসটি স্মার্টফোনপ্রেমীরা হাতে পান চলতি বছরের মে মাসে। এরপর থেকে মোবাইল ফোনটির চাহিদা বেড়েই চলেছে। গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত এই ডিভাইসে রয়েছে হেলিও জি৮৫ প্রসেসর, ৯০ হার্টজের ৬.৮২” ইঞ্চি ‘প্রো-লেভেল পাঞ্চ হোল’ ডিসপ্লে, ১১জিবি র‌্যাম+১২৮জিবি রম এবং ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধাসম্পন্ন ৫০০০এমএএইচ টেকসই ব্যাটারি। বাহারি এই মোবাইল ফোনের নান্দনিক ‘স্ট্রেইট-এজ’ ডিজাইন প্রথম দেখাতেই সকলের মন কাড়বে। ব্যবহারকারীদের মতে, ‘হট ১২’ ডিভাইসটিতে মিডিয়াটেক জি৮৫ গেমিং চিপসেট এর সাহায্যে নির্বিঘ্নে ‘হাই ফ্রেম’ রেট এর গেম খেলা যায় এবং এতে ‘রেসপন্স টাইম’ও কম লাগে ও গেমিং কমিনিউকেশন দ্রুততর হয়। এছাড়া, ইনফিনিক্সের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ‘র‌্যাম ফিউশন টেকনোলজি’ ব্যবহার করে ‘হট ১২’ গ্রাহকরা বর্ধিত ৫জিবি র‌্যাম (সর্বোচ্চ ১১জিবি পর্যন্ত সমন্বিত র‌্যাম) ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এই ডিভাইসের অন্যতম আকর্ষণীয় ফিচার স্মার্টফোনের ৬.৮২” ইঞ্চির ৯০হার্টজ ‘প্রো-লেভেল ই-স্পোর্টস সিল্কি-স্মুথ স্ক্রিন’। মোবাইলটির ১৮০হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট সম্পন্ন ডিসপ্লে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরী এবং সহজেই হাই ফ্রেম রেট সামলিয়ে গ্রাহকদের ধারাবাহিক গেমিং এক্সপেরিয়েন্স দিতে সক্ষম। এছাড়া, ডিভাইসের টাইপ-সি ১৮ ওয়াট সুপারচার্জ ব্যবস্থা ৫০ মিনিটেই স্মার্টফোনের ৫০০০ এমএএইচ এর ‘বিগ ম্যাক’ ব্যাটারির ৫০ শতাংশ চার্জ পূরণে সক্ষম। এই মোবাইলে আরো রয়েছে, ৮ মেগাপিক্সেল এআই ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ১৩ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা। এক বাক্যে বলা যায়, এই স্মার্টফোনে ডার-লিংক ও গেমিং অপ্টিমাইজেশন অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের গেমিং এর যে অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা দিচ্ছে, তা এই দামের অন্য মোবাইল সেটে পাওয়া অসম্ভব। বিশেষ তিনটি রঙ-‘রেসিং ব্ল্যাক’, ‘লিজেন্ড হোয়াইট,’ এবং ‘অরিজিন ব্লু’তে গ্রাহকরা কিনতে পারবেন এই স্মার্টফোনটি। মোবাইলটির ৪জিবি(+৩জিবি) /১২৮জিবি র‌্যাম ভ্যারিয়েন্টের দাম ১৬,২৯৯ টাকা ও ৬জিবি(+৫জিবি) /১২৮জিবি র‌্যাম ভ্যারিয়েন্টের দাম পড়বে ১৮,২৯৯ টাকা। ‘স্পিড মাস্টার’ ও ‘অ্যামোলেড স্টানার’ খ্যাত সেরা পারফরম্যান্সের ‘নোট ১২’ সিরিজ মিডরেঞ্জ বা মাঝারি বাজেটের ডিভাইস হিসেবে দেশের মোবাইল বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে ইনফিনিক্সের ‘নোট সিরিজ’- এর স্মার্টফোনের। ব্র্যান্ডটির নোট সিরিজের সর্বশেষ স্মার্টফোন ‘নোট ১২’ এর দুটি ভার্সন- ‘নোট ১২ জি৯৬’ ও ‘নোট ১২ জি৮৮’ গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। চলতি বছরের জুনে বাজারে আসে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন ও মাত্র ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের কাঙিক্ষত স্মার্টফোন ‘নোট ১২ জি৯৬’। ‘স্পিড মাস্টার’ খ্যাত এই স্মার্টফোনে রয়েছে, ফেসিয়াল, ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক, মনস্টার গেম কিট ফিচারসহ অত্যাধুনিক নানান ফিচার। ৭.৮ এমএম আলট্রা-স্লিক ডিজাইনের এই ডিভাইসটি গ্রাহকে আরো দিচ্ছে, মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর, ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং ১৩ জিবি বর্ধিত র‌্যাম সুবিধা। ব্যবহারকারীদের মতে, স্মার্টফোনটিতে স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘক্ষণ গেম খেলা ও ভিডিও দেখা যায়, মোটেই বিরক্তি আসে না। স্মার্টফোনের ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল আল্ট্রা-নাইট ক্যামেরা যেন বিশেষ কিছু। এই সেট-আপ মৃদু আলোতেও দুর্দান্ত ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে পারে। ইনফিনিক্সের ‘নোট ১২ জি৯৬’ স্মার্টফোনের আরো একটি বড় সুবিধা মেমোরি ফিউশন টেকনোলজি।

যার ফলে মোবাইলটির ৮ জিবি র‌্যামকে সহজেই ১৩ জিবি অবধি বাড়ানো যায় এবং গ্রাহকরা মাল্টি-টাস্কিংয়ে সুবিধা পান। ফোর্স ব্ল্যাক, স্নোফল হোয়াইট ও জুয়েল ব্লু এই তিন রঙে গ্রাহকরা সহজেই পেতে পারবেন ডিভাইসটি। এর আগে, গত এপ্রিলে বাজারে আসা ‘নোট ১২’ স্মার্টফোন সিরিজের ‘নোট ১২ জি৮৮’ ভার্সনটিও ইনফিনিক্স ভক্তরা পছন্দ করেছেন। ‘অ্যামোলেড স্টানার’ তকমায় এই স্মার্টফোনে রয়েছে আকর্ষণীয় ৬.৭ এফএইচডি+ ট্রু কালার অ্যামোলয়েড ডিসপ্লে যা গ্রাহকদের ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম।




নেটওয়ার্ক না থাকলেও কল করা যাবে নতুন আইফোনে

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাজারে এলো আইফোন ১৪। বুধবার অ্যাপল তাদের সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইফোন ১৪ সিরিজের চারটি ফোন উন্মুক্ত করে। এগুলো হলো-আইফোন ১৪, আইফোন ১৪ প্লাস, আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফো ১৪ প্রো ম্যাক্স। এসব ফোনে রয়েছে দুর্দান্ত ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশন।

নতুন আইফোনগুলোর অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে এর স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি। নেওয়ার্ক না থাকলেও নতুন আইফোন দিয়ে কল করা যাবে। 

নতুন চারটি আইফোনেই থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি। বিপদের সময় ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকলে কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আপৎকালীন মেসেজ পাঠাতে পারবে ফোনগুলো।

এছাড়াও কোন কারণে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তা নিজে থেকেই বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় মেসেজ নিজে থেকেই পাঠাতে পারবে আইফোন ১৪ সিরিজের ৪টি ফোন। এই ফোনগুলোতে রয়েছে আরও অনেক দুর্দান্ত ফিচার। আইফোন ১৪ সিরিজের ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট বা উপগ্রহের মাধ্যমে কল, বার্তা ও ছবি আদান-প্রদানের সুবিধা।

সরাসরি কৃত্রিম উপগ্রহে কানেক্ট করবে আইফোন ১৪। টেক্সট-ছবি পাঠিয়ে ভয়েস কলও করা যাবে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। যেখানে কোন কোম্পানির ফোনের নেটওয়ার্ক নেই, সেখানেও চালানো যাবে নতুন আইফোন।

নতুন আইফোনে প্রাথমিক ভাবে স্যাটেলাইট পরিষেবাটি কেবল মাত্র টেক্সট করার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। পরবর্তীতে ছবি এবং ভয়েস কলিংয়ের সাপোর্টও মিলবে।


আইফোন ১৪ ও আইফোন ১৪ প্লাস মডেলে ডিসপ্লের উপরে আগের মতো নচ ব্যবহার হলেও আইফোন ১৪ প্রো ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মডেলে ডিসপ্লের ওপরে পিল কাট-আউট দেখা গিয়েছে। আইফোন ১৪ মডেলে রয়েছে ৬.১ ওলিড ডিসপ্লে। অন্যদিকে আইফোন ১৪ প্লাসে ৬.৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে অ্যাপল।

এই দুইটি ফোনের ওলিড ডিসপ্লেতে থাকছে সর্বোচ্চ ১২০০ নিটস ব্রাইটনেস। ফোনের ভেতরে থাকছে এ১৫ বায়োনিক চিপ।  অ্যাপলের দাবি আগের থেকে নতুন আইফোনে ভালো ব্যাটারি ব্যাক আপ পাওয়া যাবে।

এই দুইটি ফোনেই ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম দেখা যাবে। প্রাইমারি ক্যামেরায় রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের সেন্সর শিফট ওআইএস। সেলফি তোলার জন্যে থাকছে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ফোন থেকে বাদ যাচ্ছে সিম ট্রে। বদলে ই-সিমের মাধ্যমে সেলুলার নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হবে এই ফোন।




নতুন তিনটি মডেলের ল্যাপটপ আনল নকিয়া

নতুন তিনটি মডেলের ল্যাপটপ আনল নকিয়া। এগুলো হলো-নকিয়া পিওরবুক ফোল্ড, পিওরবুক লাইট এবং পিওরবুক প্রো। জার্মানির বার্লিনে আয়োজিত আইএফএ ২০২২ ইভেন্টে শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স নির্মাতারা তাদের একাধিক নতুন ডিভাইসের ওপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ফিনল্যান্ডের নকিয়া। নকিয়া ল্যাপটপ ব্র্যান্ডের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অফ গ্লোবাল পিওরবুক সিরিজের নতুন ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে।

নকিয়ার নতুন ল্যাপটপের মধ্যে ১৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে যুক্ত ‘ফোল্ড’ এবং ‘লাইট’ মডেল দুটি ইনটেল পেন্টিয়াম সিলভার এন৬০০০ প্রসেসর দ্বারা চালিত। তবে বড় ১৫.৬ ইঞ্চির ‘প্রো’ মডেলে ব্যবহার করা হয়েছে ইনটেল কোর আই থ্রি ১২২০পি প্রসেসরটি। ইভেন্টে এই নয়া ল্যাপটপগুলোর দামের বিবরণ প্রকাশ করেনি সংস্থা।

যদিও, এর প্রায় সকল স্পেসিফিকেশনই প্রকাশ করা হয়েছে। নকিয়া পিওরবুক ফোল্ড এবং পিওরবুক লাইট-এ ১৪ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে রয়েছে, তবে পিওরবুক প্রো এসেছে ১৫.৬ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লের সাথে। তিনটি ল্যাপটপই ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ১,৯২০× ১,০৮০ পিক্সেলের ফুল-এইচডি+ রেজোলিউশন এবং ২৫০ নিট পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে।

এছাড়া, পিওরবুক ফোল্ডে একটি টাচ ডিসপ্লেও রয়েছে। ফোল্ড এবং লাইট মডেলগুলো ইন্টেল পেন্টিয়াম সিলভার এন৬০০০ প্রসেসর দ্বারা চালিত হয়, যেখানে প্রো মডেলে রয়েছে উচ্চতর ইন্টেল কোর আই৩ ১২২০পি চিপ।  এন্ট্রি লেভেলের চিপসেটটি ইন্টেল কোর আই৩-এর চেয়ে আরও সাশ্রয়ী মূল্যের হবে। এই মডেলগুলোতে ৮ জিবি র‍্যাম পাওয়া যাবে। মেমোরির ক্ষেত্রে, ফোল্ড এবং লাইট মডেলে ১২৮ জিবি এসএসডি স্টোরেজ, আর পিওরবুক প্রো-এ ৫১২ জিবি এসএসডি স্টোরেজ মিলবে।

অপটিক্সের জন্য, নকিয়া পিওরবুক প্রোতে একটি ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং অ্যালুমিনিয়াম টপ ফ্রেম রয়েছে। আর ছোট মডেলগুলো একটি ১ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং প্লাস্টিকের ফ্রেমের সঙ্গে এসেছে।




শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের চাহিদা নিরুপণে তথ্য চায় অধিদপ্তর

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের চাহিদা নিরুপনে তথ্য চায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ইমেইলে তথ্য পাঠাতে বলা হয়। অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়ে মঙ্গলবার সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে অধিদপ্তর বলছে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানরত স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলেজ ও মাদরাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের চাহিদা নিরুপনে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী তথ্য আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ইমেইলে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও এক্সএল ফরমেটে ছকে নিকশ ফন্টে তথ্য পূরণ করে ইমেইলে (mmcdshe@gmail.com) ঠিকানায় পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

জানা যায়, ছকে অঞ্চলের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, ইআইআইএন, মোট শিক্ষক সংখ্যা, মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা, মোট ক্লাসরুম সংখ্যা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সংখ্যা (আইসিটি ল্যাব ছাড়া), মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের অবস্থা (সচল বা অচল কিনা), কম্পিউটার বা আইসিটি ল্যাবের বিষয়ে তথ্য মন্তব্যসহ লিপিবদ্ধ করে তা নির্ধারিত ফরমেটে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।




আবরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নকিয়া ফোন

এক সময় ফোনের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল নকিয়ার। দক্ষিণ এশিয়ার মোবাইল ফোনের বাজারে ৭০ শতাংশ দখল ছিল ফিনল্যান্ডের এই হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির।

কিন্তু অ্যানড্রয়েড ফোনের প্রচলন শুরু হলে বাজার হারাতে থাকে নকিয়া। হারানো বাজারে একটু একটু করে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে এইচএমডি গ্লোবালের মালিকানায় থাকা বিশ্বখ্যাত নকিয়া। বিক্রি বাড়িয়ে ফের একবার শিরোনামে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বিক্রির নিরিখে এই মুহূর্তে বিক্রির নিরিখে পঞ্চম স্থানে রয়েছে নকিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির নিরিখে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে আইডিসি।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে বিক্রির নিরিখে ১৫তম  স্থানে রয়েছে নকিয়া সি১০০। চলতি বছর নকিয়া সি২০০ মডেল বিক্রিতেও জোয়ার দেখেছে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার সংস্থাটি। একই সঙ্গে চলতি বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রথম ত্রৈমাসিকের থেকে বিক্রি বেড়েছে নকিয়ার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্টফোন বাজারে নিজের জমি ইতিমধ্যেই সংস্থাটি।মনে করা হয় যে ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আমেরিকায় নকিয়া ফোন বিক্রি আরও বাড়তে পারে।




মাত্র এক সেকেন্ডে চার্জ হবে স্মার্টফোনে!

একটা সময় স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জ হতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগতো। এখনকার ফাস্ট চার্জিঙ ফোনগুলো ১-২ ঘণ্টায় চার্জ হয়। কিন্তু অপো ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি ভবিষ্যতে মাত্র ১ সেকেন্ডে স্মার্টফোন চার্জ হওয়া সম্ভব হবে।

ফাস্ট চার্জিংয়ের ভবিষ্যত কী?

টেকরাডার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে অপোর চার্জিং টেকনোলজি ল্যাবের প্রধান এডওয়ার্ড টিয়ান জানিয়েছেন, ‘ফাস্ট চার্জিং দুনিয়ার একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আমার কাজ সব বাধাকে অতিক্রম করা।

যতদিন না পর্যন্ত ১ সেকেন্ডে ফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হচ্ছে ততদিন প্রযুক্তির উন্নতিতে আমাদের গবেষণা চলবে।’

তিনি জানান, ‘চার্জিং স্পিড বাড়ানো সবথেকে চ্যালেঞ্জিং বিষয় নয়, তবে গ্রাহককে ভালো ফাস্ট চার্জিং অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য আরও অনেক বিষয়ে নজর দিতে হয়। সুরক্ষা ও চার্জিংয়ের সময় সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা সবথেকে কঠিন বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও ব্যাটারির আয়ু ও চার্জারের আকারের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হয়।

ফাস্ট চার্জিং কতটা সুরক্ষিত?

অনেকেই বলেন ফোনের ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করলে তা ব্যাটারির দীর্ঘায়ুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও দ্রুত ব্যাটারি চার্জ করলে কমে ব্যাক আপের সময়। এই কথাকে পুরপুরি খারিজ করে দেননি টিয়ান বলেন, ‘ফোনের ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করতে সেলের ভিতরে সি রেট বেশি থাকতে হবে। যা এনার্জি ডেনসিটি কমিয়ে দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভালো ব্যাটারি ব্যাক আপ পেলে তবেই ফাস্ট চার্জিংয়ের সঠিক মানে দাঁড়ায়।’

ফোন চার্জ করার সঠিক উপায় কী?

ফোন চার্জিংয়ের সঠিক পদ্ধতি কী? উত্তরে টিয়ান জানিয়েছেন, ‘কিছু ব্যবহারকারী ফোন গরম হলের তা ব্যবহার চালিয়ে যান। এছাড়াও কিছু গ্রাহক ১০০ অথবা ০ শতাংশতে দীর্ঘক্ষণ রেখে দেন ব্যাটারি।যা ব্যাটারির আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।’ অর্থাৎ ফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চার্জার খুলে নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে ফোনের ব্যাটারি কখনই শেষ করা উচিত নয়।