লাল লিপস্টিক কীভাবে আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক হয়ে উঠল

গাঢ় লাল ঠোঁট, হালকা সোনালি চুল, আকর্ষণীয় সাজসজ্জায় কোটি ভক্তের নজর কেড়েছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো। সাত দশক পরেও তাই আজও তাঁকে মনে রেখেছে দর্শক। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকা টেলর সুইফটের কথাই ধরুন না! অসাধারণ সংগীত–প্রতিভার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে তাঁর সিগনেচার লাল লিপস্টিক। স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে লালরঙা ঠোঁটই কেন বেছে নেন তারকারা? কীভাবেই–বা লাল লিপস্টিক হয়ে উঠল আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদার প্রতীক?

ইতিহাসের পাতায় লাল লিপস্টিক

ঠোঁট রাঙাতে লাল রঙের ব্যবহার সেই প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার যুগ থেকে। পাথর গুঁড়া করে তার সঙ্গে সাদা সিসার মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট রাঙাতেন তখনকার উচ্চবিত্ত ও রাজপরিবারের নারীরা। লিপস্টিকের বিবর্তনের ইতিহাসে সৌন্দর্যের রানি ক্লিওপেট্রার নামও চলে আসে। প্রাচীন মিসরে রানি ক্লিওপেট্রা নিজেই একধরনের পোকা থেকে প্রাপ্ত কারমাইন দিয়ে তাঁর ঠোঁট লাল করতেন। এ ছাড়া মিসরীয়রা অ্যালজিন, আয়োডিন ও ব্রোমিনের মিশ্রণে লাল রং তৈরি করে ঠোঁটে ব্যবহার করতেন। উচ্চবিত্ত ও রাজপরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের কারণে তখন থেকেই লালরঙা ঠোঁট শক্তি-ক্ষমতা ও সামাজিক মর্যাদার নিদর্শন হয়ে ওঠে।




যে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেন ভিক্টোরিয়া

এই প্রথম ডেনমার্ক পেল মিস ইউনিভার্সের খেতাব। ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগকে মুকুট পরিয়ে দেন ২০২৩ সালের বিজয়ী, নিকারাগুয়ার শেনিস প্যালাসিওস

মিস ইউনিভার্স ডেনমার্ককে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রথমে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘কেউ যদি আপনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে, আপনি কীভাবে বাঁচবেন?’

ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘আমি আমার মতোই বাঁচব। প্রতিদিনের নিয়মে বাঁচব। অন্য কেউ নির্ধারণ করে দেবে না যে আমি কীভাবে বাঁচব। কেউ যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে, সেটা তার সমস্যা। আমার নয়।’

পরে ভিক্টোরিয়ার জন্য প্রশ্ন ছিল, ‘মিস ইউনিভার্স প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নারীদের অনুপ্রাণিত করে আসছে। আজকের রাতে এ মুহূর্তে আপনাকে যে নারীরা দেখছেন, তাঁদের উদ্দেশে আপনার কী বলার আছে?’

উত্তরে ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা আমাকে দেখছেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, আপনি কোথা থেকে এসেছেন, আপনার অতীত কী—এসবের কিছু দিয়ে আপনাকে বিচার করা যাবে না। যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। আপনাকে সংগ্রাম করে যেতে হবে। আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, কেননা আমি বদলে দিতে চাই। আমি ইতিহাস গড়তে চাই।’

ভিক্টোরিয়া ছোটবেলা থেকেই নাচে পারদর্শী। পেশাগত এই নৃত্যশিল্পী আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। মানসিক সেবা নিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেন। এ ছাড়া প্রাণী অধিকার নিয়ে সচেতন

নিজের একটি বিউটি ব্র্যান্ডও আছে এই সুন্দরীর। ২০২২ সালে মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের সেরা ২০-এ স্থান পেয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া

মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এর শুরু থেকেই তাঁকে একজন শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে ভাবা হচ্ছিল

প্রতিযোগিতায় মিস নাইজেরিয়া প্রথম রানারআপ ও মিস মেক্সিকো হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ।

চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে ছিলেন মিস থাইল্যান্ড ও মিস ভেনেজুয়েলা। ভারতের রিয়া সিংহ সেরা ৩০-এ স্থান পেলেও সেরা ১২ থেকে বাদ পড়ে যান

 




ইসরায়েলি অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চায় ৫২ দেশ

ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৫২টি দেশ ও দুটি সংস্থা। জাতিসংঘে চিঠিটি জমা দিয়েছে তুরস্ক। জিবুতিতে তুরস্ক-আফ্রিকা পার্টনারশিপ শীর্ষ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

ফিদান বলেন, আমরা একটি যৌথ চিঠি লিখেছি। সেখানে সব দেশকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি। এই চিঠিটি ১ নভেম্বর জাতিসংঘে হস্তান্তর করেছি, যেখানে ৫৪ জন স্বাক্ষরকারী রয়েছে। আমাদের প্রতিটি সুযোগে পুনরাবৃত্তি করতে হবে যে, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা মানে এর গণহত্যায় অংশ নেওয়া।

স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সৌদি আরব, ব্রাজিল, আলজেরিয়া, চীন, ইরান এবং রাশিয়া ছিল; দুটি সংস্থা আরব লিগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা রয়েছে। এর আগে, অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবারের হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার ৪০০ জন। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৭ জন নিহত এবং ১৫৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ধারণা, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারের বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

অন্যদিকে বিদেশি গণমাধ্যমে গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এক শীর্ষ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। ইসরায়েলের বিরোধী নেতারা বলছেন, ফাঁস করা গোয়েন্দা তথ্য ছিল ভুয়া। আর এই কাজ ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্য চুক্তিকে নস্যাৎ করার চক্রান্তের অংশ। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।




ভালোবাসায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে জাপানের কিশোর-কিশোরীরা

ভালোবাসায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে জাপানের কিশোর-কিশোরীরা। এতে জন্মহার কমে বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি জাপান সোসাইটি ১২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি জরিপ করে। সেখানে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরদের মধ্যে ৮০ শতাংশ এখনও ভালোবাসায় জড়ায়নি। আর মেয়েদের মধ্যে এই হার ২৫ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের পর এটিই ছিল সবচেয়ে কম।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কভিড-১৯ মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ এবং শারীরিক সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব বাধা সৃষ্টি হয়েছে।

২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশটির নিম্ন জন্মহার এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে এটা দেশের কার্যক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এ ছাড়া কিছু গবেষক বলছেন, দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১২ কোটি ৫০ লাখ থেকে শতাব্দীর শেষ নাগাদ ৫ কোটি ৩০ লাখে নেমে যেতে পারে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জাপানে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশটির ১০ শতাংশ মানুষ এখন ৮০ বছর বয়সী।
জাপানে প্রতিনিয়ত জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছে। এ জন্য আরও বেশি সংখ্যক নারী কর্মজীবনে যুক্ত হচ্ছে। আগ্রহ হারাচ্ছে বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে। অন্যদিকে জন্মনিরোধক ব্যবস্থার সহজলভ্যতাও জন্মহার হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে জাপানের ভবিষ্যৎ জনসংখ্যা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। বিবিসি।




নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে রাশিয়া, অভিযোগ মার্কিন গোয়েন্দাদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়াসহ ‘প্রতিপক্ষ’ দেশগুলো হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার তারা বলেছে, ওই দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা নষ্ট করতে চায়। খবর বিবিসির।

মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, প্রতিপক্ষ দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দেশগুলো আমেরিকানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চায়।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় ওডিএনআই এবং সাইবার ও অবকাঠামো নিরাপত্তা সংস্থা যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী। ভোট কারচুপির মিথ্যা দাবি তুলে সেসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরুর ঠিক আগে এমন অভিযোগ তুলল দেশটির অভ্যন্তরীণ এই তিন গোয়েন্দা সংস্থা।




আমি খুব আত্মবিশ্বাসী, ভোট দিয়ে বললেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি খুব আত্মবিশ্বাসী।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাম বিচে ম্যান্ডেল রিক্রিয়েশন সেন্টারে ভোট দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে  আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। তার দাবি, এমনকি তার কাছাকাছি ভোটও কেউ পাবে না।

ট্রাম্প বলেন, আমি খুব আত্মবিশ্বাসী বোধ করছি। আমি শুনেছি, আমরা সব জায়গায় খুব ভালো করছি।

তিনি বলেন, তিনটি প্রচারণার মধ্যে এটি ছিল সেরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২৪ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ডেমোক্র্যাট দলীয় কমালা হ্যারিসের মাঝে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কানেকটিকাট, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং ভার্জিনিয়াসহ আট রাজ্যের ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৬টায়। এছাড়া দেশটির ইনডিয়ানা ও কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যেও সকাল ৬টায় ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় কিছু রাজ্যে সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট শহর ডিক্সভিল নচের একটি ভোটকেন্দ্রে মধ্যরাতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমালা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প সমসংখ্যক ভোট পেয়েছেন।




ট্রাম্প ১৬২ ও কমলা পেয়েছেন ৬২ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর ধীরে ধীরে ফলাফল আসতে শুরু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো অঙ্গরাজ্য-ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করছে। ফলাফলের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডায় এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস ম্যাসাচুসেটসে জয়ী হয়েছেন।

বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা। ফলে ১৬২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। আর কমালা হ্যারিস পেয়েছেন ৬২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।

মূলত এখন পর্যন্ত ফলাফলে কোনো অঘটন ঘটেনি। দেশটির অঙ্গরাজ্যেগুলোতে যা ফলাফল দেখা যাচ্ছে, ফল সেরকম হবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩৮ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে এবং এর মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন। তবে গত এক বছরের জনমত জরিপ এবং অতীত নির্বাচনের আলোকে ৪৩টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে আছে।

আর সাতটি অঙ্গরাজ্যে— জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, পেন্সিলভানিয়া, অ্যারিজনা, নেভাদা আর নর্থ ক্যারলাইনায় কে জিতবে, তা নিশ্চিত ছিল না। এই রাজ্যেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলা হয় এবং সেখানে মোট ৯৩টি ইলেক্টরাল ভোট আছে।

অর্থাৎ, নির্বাচনে জয়ের জন্য একজন প্রার্থীকে এই সাতটি সুইং স্টেটের অন্তত চারটিতে জয়লাভ করতে হবে।




তরুণদের সমর্থন চাইলেন কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় সোমবার নির্বাচনি প্রচারণার শেষ ভাষণটি দিয়েছেন কমলা হ্যারিস।

জনসমক্ষে ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, এ প্রচারণা আমেরিকার সব কোণের সব শ্রেণির মানুষকে এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য বড়- আমরা শক্তি, আশাবাদ ও আনন্দ নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করেছিলাম। ঠিক সেভাবেই শেখ করছি এখন।

তিনি তরুণ ও নতুন ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের আমি বিশেষভাবে বলছি, আমি তোমাদের শক্তি দেখি এবং আমি তোমাদেরকে নিয়ে গর্বিত।

আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জানেন যে এবারের নির্বাচনে জয়ী হতে হলে তাকে তরুণ ভোটারদের সমর্থন পেতে হবে।

শেষ প্রচারণায় সংগীতশিল্পী ক্যাটি পেরি ও লেডি গাগা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হ্যারিসের আগমনের আগে উপস্থিত জনতাকে গান গেয়ে উজ্জীবিত করেন।

অন্যদিকে মিশিগানে ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বনির্ধারিত ভাষণ। রিপাবলিকান দলের সমর্থকরা তার নির্বাচনী প্রচারণার এই সর্বশেষ ভাষণ শোনার জন্য কয়েক ঘণ্টা ধরে জড়ো হন।

দুই প্রার্থীই তাদের সমাপ্তি টানেন দেশটির বড় রাজ্যগুলোতে। দেশটির প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করতে এই রাজ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।




ট্রাম্প-কমলা: কে জিতলে বাংলাদেশের কী হবে?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জাতীয় এ ভোট পরবর্তী প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি প্রতিনিধি সভা ও সিনেট গঠনও নির্ধারণ করবে।

এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

গত কয়েক সপ্তাহের জরিপে দুজনেরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেছে। ভোটের ফল যা-ই হোক না কেন, তা আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন রাজনীতি এবং পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করবে। আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ভারমন্টে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কানেকটিকাট, ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, মেইন, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক এবং ভার্জিনিয়ার ভোটাররাও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

ট্রাম্প বা কমলা, মার্কিন মসনদে যিনিই বসুন, বাংলাদেশের কী হবে? দক্ষিণ এশীয় দেশটির বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটিও বড় প্রশ্ন। তাছাড়া ভারতই বা এখানে কতটা ফ্যাক্টর হতে পারে? কিংবা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন রাজনীতিদের সম্পর্ক কি কোনো ভূমিকা রাখবে?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বিশেষ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইটকে ঘিরে সেই আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অতীতে মার্কিন রাজনীতিকদের, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট নেতাদের ভালো সম্পর্ক দেখা গেছে।

বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোয় জোর দেয় ডেমোক্র্যাট প্রশাসন। কমলা হ্যারিস বা ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলে ব্যবসা-বাণিজ্য, সহযোগিতার জায়গাগুলো বাংলাদেশের জন্য সহজ থাকার সুযোগটা বেশি বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও লেখক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, কমলা হ্যারিস জয়ী হলে বর্তমান সম্পর্কের ধারাবাহিকতা ও সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে।

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে।

মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আমার মনে হয় না ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান সম্পর্কের কাঠামোকে সমর্থন করবেন। যেখানে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির উন্নয়ন, সংস্কার ও অন্যান্য সহায়তা বা সমর্থন করছে। ট্রাম্প ও তার প্রশাসন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রদানের ওপর জোর দেওয়ার মতো সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বিশ্বজুড়েই আমেরিকার মানবিক সহযোগিতার জায়গা কমে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য অনিশ্চয়তার জায়গা হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুও বড় বিষয়। কারণ জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য আসা সহায়তার বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রের।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহনাজ মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথাগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখা যায়নি। তিনি যেভাবে বৈদেশিক নীতির জায়গাগুলো বিবেচনা করেন, সেটি ঘিরে অনিশ্চয়তাও থাকে। সাধারণত প্রেসিডেন্ট বদল হলেও বৈদেশিক নীতিতে খুব বড় পরিবর্তন হয় না। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা বা কাঠামোগুলোর একটা শক্তিশালী ভূমিকা থাকে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পকে আমরা দেখেছি কিছু প্রচারণায় ইনস্টিটিউশনকে বদলে দেওয়ার কথা বলছেন। সেটা হলে একটা বড় পরিবর্তন হতে পারে। যদিও বিষয়টি আদৌ কতদূর সম্ভব হবে বা পররাষ্ট্র নীতির জায়গায় প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংখ্যালঘু নির্যাতন সংক্রান্ত একটি টুইট আলোচনা সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশে। তবে বিশ্লেষকেরা এটিকে ভবিষ্যৎ নীতির চেয়ে নির্বাচনে আমেরিকার হিন্দু ভোটার টানার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জায়গা থেকে তারা ধারণা করছেন, কিছু লবি গ্রুপ হয়তো বা এটাকে ইনফ্লুয়েন্স করতে চেয়েছে এবং সেই আলোকেই তার এই স্টেটমেন্টটা এসেছে।

লবি গ্রুপ বলতে আওয়ামী লীগ অথবা ভারতকে বোঝানো হয়েছে, এমন আলোচনাও রয়েছে।

বাংলাদেশে বিগত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে শক্ত অবস্থানে থাকলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি ভারতের সমর্থনই একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছেন যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, দুই পার্টির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভালো সম্পর্ক থাকায় এবং দুই শিবিরেই তার বন্ধু থাকায় এই নির্বাচনের ফলাফলে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।

সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশ-আমেরিকার সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলা হলেও, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করেন মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে যখন ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছিলেন তার সমালোচনা করেছিলেন ইউনূস। তাদের রাজনৈতিক আদর্শ বা মতাদর্শের জায়গাও ভিন্ন।

ফ্রান্সের এইচইসি প্যারিস নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. ইউনূস ট্র্যাম্পের জয়কে ‘সূর্যগ্রহণ’ বা অন্ধকার সময় হিসেবে বর্ণনা করেছেন বলে হেকের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সেসময় আরেকটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে তিনি কী বলতে চাইবেন জিজ্ঞেস করা হলে, তখন ‘দেয়াল’ তৈরি না করে ‘সেতু’ নির্মাণ করে দৃষ্টিভঙ্গি উদার করার কথা এনবিসি নিউজকে বলেছিলেন ড. ইউনূস।

মি. কুগেলম্যানের মতে, কমলা হ্যারিস জিতলে ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্কের জন্য একটা সম্পদ হবেন। কারণ, বাইডেন প্রশাসনের মতো কমলার ক্ষেত্রেও একটা স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থাকবে। তবে ট্রাম্প জয়ী হলে সে সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক মেহনাজ মোমেন বলেন, কমলা বা ট্রাম্প, যেই প্রেসিডেন্ট হোক না কেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একটা নির্ভরযোগ্যতার জায়গা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সামনের নির্বাচন দেরিতে হলেও কবে হবে, কীভাবে হবে, ধাপগুলো কী হবে, অর্থাৎ একটা রোডম্যাপ তুলে ধরতে হবে। এটা বর্তমান সরকারের বৈধতার ইমেজ এবং সমর্থনের জায়গা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

অবশ্য বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকার জন্য বাংলাদেশ নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর সুযোগ হবে বলেও মনে করেন হুমায়ুন কবির ও মেহনাজ মোমেন।

ব্যবসা বাণিজ্য, কৌশলগত, ভূরাজনৈতিক, এমন নানা দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা সম্পর্কে আগ্রহের জায়গা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেদেরকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে এই অঞ্চলে মনোযোগটা বাড়াচ্ছে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেখানে বাংলাদেশ কিন্তু একটা বড় জনগোষ্ঠীর দেশ যারা বেশ সক্রিয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এশিয়ার সংযোগস্থল এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে থাকায় সেখানে ভূরাজনৈতিক একটা আগ্রহ থাকে। সম্প্রতি সামরিক দিক থেকেও কিন্তু ডাইভার্সিফিকেশনের চিন্তা আমরা করছি। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র-শস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী হবে।

বাংলাদেশকে ‘উঠতি বাজার’ বিবেচনায় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের জায়গা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম, বোয়িং বিমান, গ্যাস বা এলএনজির কথা উল্লেখ করেন এম হুমায়ুন কবির।

এছাড়া বাংলাদেশের বহু মানুষ আমেরিকায় বসবাস করেন, পড়াশোনা করতে যান। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুত্বের জায়গা রয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও ক্রেডিট কার্ড বা কম্পিউটার ব্যবহার করতে গেলেও তাতে কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হয়।

বৈদেশিক নীতিতে সাধারণত বিশ্বের অন্যান্য দেশ বা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্বার্থের সমীকরণ গুরুত্ব রাখে। তবে আমেরিকার জন্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এবার নতুন সমীকরণের জায়গা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সম্পর্ক। এসব নানাবিধ ফ্যাক্টর মিলেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কটা নির্ধারণ হবে।




প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন।

নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের মধ্যে ‘বিশ্বাসের সংকট’ দেখা দিয়েছিলো।

খবর বিবিসি

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজকে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের কথা জানিয়ে নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, গ্যালান্টের উপর তার আস্থা সাম্প্রতিক সময়ে ‘ক্ষয়’ হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে গ্যালান্ট লিখেছেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল এবং থাকবে।

নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। গত বছর ধরে ইসরায়েলের যুদ্ধ কৌশল নিয়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের খবর পাওয়া যায়।

গ্যালান্ট গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে হামাসের সঙ্গে একটি জিম্মি মুক্তির চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছিলেন,
যা নেতানিয়াহু  প্রত্যাখ্যান করেন। তাছাড়া গ্যালান্ট ইসরায়েলের আল্ট্রা অথ্রোডক্স নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরিকল্পনায়ও অসন্তুষ্ট ছিলেন।

গ্যালান্টকে বরখাস্ত করাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তেল আবিবের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং নেতানিয়াহু রাজনৈতিক বিরোধীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।