যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ভয়ঙ্কর তুষারঝড়, ১৯জন নিহত

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ১০ লাখের বেশি মানুষ খ্রিষ্টানদের বড়দিন (ক্রিসমাস দিবস) উৎসব পালন করছেন বিদ্যুৎ ছাড়া। কারণ, উত্তর আমেরিকার এ দেশগুলোতে আঘাত হেনেছে ভয়ঙ্কর তুষারঝড়। এ সময় ১৯ জন মারা গেছেন।

এটা একটি মারাত্মক তুষারঝড়, এটাকে ‘বোমা ঘূর্ণিঝড়’ বলে অভিহিত করা হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কমে যায় তখন এ ঝড় তুষার, শক্তিশালী বাতাস এবং হিমাঙ্কের তাপমাত্রা নিয়ে আসে।

প্রায় ২৫ কোটি লোক এ তুষারঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ সময় তীব্র ঠাণ্ডায় ১৯ জন মারা যান। কুইবেক থেকে টেক্সাস পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ২০০ কি.মি. বিস্তৃত এলাকার মানুষ এ ঝড়ের কবলে পড়েছেন।

তুষারঝড়ের কারণে খ্রিষ্টানদের বড়দিন (ক্রিসমাস দিবস) উৎসবের সময়ও হাজার হাজার বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না অনেকে। পথ-ঘাটে বরফের স্তূপে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বহু গাড়ি। দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও জর্জিয়া রাজ্যের মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) তিন হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ, এতে আটকা পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।

কানাডায় অন্টারিও এবং কুইবেক প্রদেশ আর্কটিক অঞ্চলের তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে নিউফাউন্ডল্যান্ড পর্যন্ত দেশটির বাকি বেশিরভাগ অংশই চরম ঠাণ্ডা এবং শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতার অধীনে আছে।




শীতকালীন ঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র , ৪৪০০ ফ্লাইট বাতিল

শীতকালীন শক্তিশালী ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঝড়ের সঙ্গে তুষারপাত ও বাতাস বয়ে যাওয়ায় প্রায় চার হাজার ৪০০ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটি।

ঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এসব ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয় দেশটি। এর মধ্যে শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে ২১ শ টিরও বেশি ফ্লাইট।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা আরও অনেক কমে যেতে পারে। এমন অবস্থায় চার হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।




ভেঙে ফেলা হচ্ছে ট্রাম্পের তৈরি দেয়াল

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের সরকার মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর লক্ষ্যে ট্রাম্পের তৈরি একটি অস্থায়ী দেয়াল সরিয়ে ফেলতে রাজি হয়েছে। এই দেয়ালের কার্যকারিতা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর, যার নির্দেশে দেয়ালটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে এই দেয়াল অভিবাসী ঢলকে আমেরিকায় ঢুকতে বাধা দেবে।

তবে যারা এই দেয়ালের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ দায়ের করেছেন তারা এই যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

৯০০টিরও বেশি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি এই দেয়াল নির্মাণ করতে সরকারের অন্তত আট কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।

অ্যারিজোনার সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মেক্সিকোর ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সাল থেকে এই সীমান্তের এক বিশাল অংশে বেড়া তৈরি করা হয়েছে। গভর্নর ডাগ ডুসি এ বছরের শুরুতে করোনাডো ন্যাশনাল ফরেস্টে অস্থায়ী ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন সরকার গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দাবি করেছে যে সাত-কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীরটি কেন্দ্র সরকারের অধীন ভূমিতে ঢুকে পড়েছে।

তবে বুধবার ফেডারেল সরকারের সঙ্গে এক চুক্তির পর ডুসির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলেছে যে “আগে নির্মাণ করা সব শিপিং কনটেইনার এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, উপকরণ, যানবাহন ও অন্যান্য জিনিসগুলো জানুয়ারির প্রথম দিকে সরিয়ে ফেলা হবে।”

ওই এলাকায় কাজ করে এমনি একটি পরিবেশ-রক্ষা গোষ্ঠী সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি এ দেয়ালের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করেছিল।

সংস্থাটি দাবি করেছে, কন্টেইনারের প্রাচীরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত বনকে বিভক্ত করেছে যা হুমকির মুখে থাকা প্রাণীদের আবাসস্থল এবং পানীয় জলের উৎস ও অভিবাসন রুটগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে।

এই সংস্থার একজন সদস্য রাস ম্যাকস্প্যাডেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, স্থানীয় বন্যপ্রাণীদের ট্র্যাক করার জন্য তিনি যে ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করেছিলেন তাতে কখনই অবৈধ অভিবাসী পাচারের কোনো ছবি ওঠেনি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে আগে যে তারের বেড়াটি ছিলো সেটাই ছিলো পর্যাপ্ত প্রতিবন্ধক।




করোনা : বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩শ’র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ লাখের নিচে।

আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩২৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৫৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৭ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৮ জনে।




এই প্রথম চাঁদে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে জাপান

টোকিও-ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা আইস্পেস প্রথমবারের মতো চাঁদে মিশন পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যদি সফল হয়, তাহলে এটিই হবে জাপানের কোন মহাকাশযানের চাঁদে প্রথম অবতরণ।

রোববার জাপানি স্টার্টআপের ডিজাইন করা একটি মহাকাশযান স্পেসএক্স রকেটে উড্ডয়ন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে মহাকাশযান যাত্রা শুরু করে। খবর: আল জাজিরা

জাপানি ভাষায় মিশনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাকুতো-আর’, যার অর্থ ‘সাদা রঙের খরগোশ’। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এটি চাঁদে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্টার্টআপের সিইও তাকেশি হাকামাদা এক বিবৃতিতে জানান, প্রথম মিশনে চাঁদের সম্ভাবনা যাচাই করে সেটাকে একটি শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করার ভিত্তি স্থাপন করবে। কোম্পানিটি গুগলের লুনার এক্সপ্রাইজ প্রতিযোগিতায় পাঁচজন ফাইনালিস্টের মধ্যে একটি ছিল, যাদের ২০১৮ সালের মধ্যে চাঁদে অভিযান পাঠানোর কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত তারা অভিযান শুরু করতে সক্ষম হয়।

স্থানীয় সময় রাত ২টা বেজে ৩৮ মিনিটে হাকুতো-আর অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানে স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠানের ফ্যালকন নাইন মডেলের রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে ।মহাকাশযানে রয়েছে জাপানি স্পেস এজেন্সির একটি ছোট রোবট, কানাডা ভিত্তিক এক কোম্পানির ফ্লাইট কম্পিউটার এবং নাসার ছোট একটি লেজার পরীক্ষার যন্ত্র।




বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ: ১০৪৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪ লাখের বেশি

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়ছে বিশ্ব। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন। কোটি কোটি মানুষ এখনও এ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত। বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব কমেছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। তবে অনেক দেশই এখনও করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত।

বুধবার সকালে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস। ওই সকল তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষের।

একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৭ হাজার।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, জাপান, ফ্রান্স ও মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার।




গুজরাটে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ, ভোট দিলেন মোদি

গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। আহমেদাবাদের রানিপে গিয়ে ভোট দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভোট দিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রানিপের নিশান পাবলিক স্কুলে পৌঁছন মোদি। আসার সময় জনতাকে নিজস্ব কায়দায় হাত নেড়ে এবং নমস্কার জানিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বুথ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তার দু’পাশে থাকা জনগণকে ‘মোদি, মোদি’ বলে সমস্বরে স্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে।

গুজরাটের দ্বিতীয় দফার ভোটদান পর্বে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ভোট দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এদিন ভোট দেবেন।




নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করছে: যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় তাদের ক্ষতি প্রতিদিনই বাড়ছে। যার ফলে ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ এগিয়ে নিতে মস্কোর জন্য তার অস্ত্রশস্ত্র পুনরায় সংগ্রহ করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের আরোপিত বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণগুলোর পর রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অস্ত্রসমুহ ঠিক করতে বা আরও অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারবে না। খবর এপির




রাশিয়ার সঙ্গে একা লড়ার শক্তি ইউরোপের নেই: ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে একা লড়ার শক্তি ইউরোপের নেই। ইউরোপকে নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া সফরকালে শুক্রবার সিডনির লোয়ি ইনস্টিটিউটে দেওয়া এক বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।

ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত হওয়া উচিত যে, আমরা আরও শক্তিশালী হবো। আমি নির্মম একটি সত্যি কথা বলতে চাই যে, ইউরোপ যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আমরা সমস্যায় পড়ে যাব।’ খবর এএফপি ,গার্ডিয়ানের।
রাশিয়ার লাগাম টেনে ধরার জন্য চীনের দায়িত্ব সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে সানা মারিন বলেন, ‘চীন এই ব্যাপারে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু আমাদের শুধু এটির ওপর নির্ভর করা উচিত হবে না।’

৩৭ বছর বয়সি ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধে জয়ের জন্য যা কিছু দরকার তার সবকিছু ইউক্রেনকে দিতে হবে। রাশিয়ার অগ্রগতি প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় অস্ত্র, অর্থ এবং মানবিক সহায়তা কিয়েভকে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’

সানা মারিন বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রে আমরা সেই ক্ষমতা অর্জন করতে পারছি। এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে না বাইডেনের : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে উলটো শর্ত জুড়ে দেন পুতিন।




যুদ্ধে রাশিয়ার হাতে ১৩ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত

সাম্প্রতিক যুদ্ধে রাশিয়ার হাতে ১৩ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে দেশটির সামরিক বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া যুদ্ধে ১০ হাজার থেকে ১৩ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা গেছেন।’

বুধবার একটি ভিডিও ভাষণে ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, যুদ্ধে এক লাখ ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা গেছে। যদিও ইইউ কমিশনের একজন মুখপাত্র পরে স্পষ্ট করেছেন যে এটা একটি ভুল তথ্য ছিলো। এ পরিসংখ্যানটিতে নিহত এবং আহত উভয়ের কথাই বলা হয়েছে।