বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হারের পর অনেকটা আড়ালেই ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেও বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এবার নিজ দেশের ব্যর্থতা ভুলে ফ্রান্সে পাড়ি জমিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

কাতার বিশ্বকাপের এক মাসের উন্মাদনা শেষে ক্লাব ফুটবলের লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে এই সপ্তাহে। ইউরোপের সবগুলো দল তাদের অনুশীলনে নেমে পড়েছে। ইতোমধ্যে ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে সবার আগে পিএসজির অনূশীলনে যোগ দিয়েছেন।

বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পর তিন দিনের মাথায় মাঠে নেমে পড়েন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী এই তারকার পর এবার ফ্রান্সে পোঁছালেন পিএসজি সতীর্থ নেইমার। ব্রাজিলের এই তারকা শুধু একাই নয়, ফরাসিদের মাটিতে পা রেখেছেন আরেক তারকা মার্কুইনোস।

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর দেশে ফেরার পরই নেইমার ছুটে যান তার বোনের বাড়িতে। সেখানে টানা দুই রাত আয়োজন করেন পার্টিরও। ব্যাপারটি গোপন রাখার কথা থাকলেও, নেইমারের পার্টিতে আসা অতিথিরা বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় কিছু ছবি ও ভিডিও করে পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপরই এই পার্টির গোমড় ছড়িয়ে পড়ে যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।




আর্জেন্টিনার ‘ ১০’ নম্বর জার্সি পরে অনুশীলনে সাকিব

দিন দুয়েক আগেই সাকিব আল হাসানের প্রিয় দল আর্জেন্টিনা জিতেছে বিশ্বকাপ শিরোপা। ৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।

সমর্থকরাও পেলেন কাঙ্ক্ষিত ট্রফির দেখা। সাকিব আল হাসানও তাদের একজন। তিনি ভাসছেন উচ্ছ্বাসেও। মঙ্গলবার তো বাংলাদেশের জার্সি পরেই মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন সাকিব। প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসির মতো ১০ নম্বর জার্সি ছিল তারও।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের রাতে তিনি মেসির জার্সি পরে মাঝরাতে রাস্তায় নেমেছিলেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল তার ওই ভিডিও। এবার তিনি হাজির হয়েছেন মাঠেও। ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফুটবল খেলা নিয়মিত ঘটনা। সাকিব আজ ফুটবল খেলেছেন আর্জেন্টাইন মহানায়ক লিওনেল মেসির জার্সি পরে। সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ দলের আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর একটার দিকে ক্রিকেটারদের আসতে দেখা যায়।

মূলত ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিকে সামনে রেখেই এমন অনুশীলন করছে বাংলাদেশ। এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে জয় পায় স্বাগতিকরা। পরে অবশ্য চট্টগ্রাম টেস্টে হারে ১৮৮ রানের বড় ব্যবধানে।




আর্জেন্টিনায় পৌঁছাল মেসিরা

১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার অতিমানবীয় জাদুতে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। এরপর থেকে বিশ্বকাপ পাওয়া দেশটির জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৪ সালে জয়ের বন্দরে গিয়েও পূরণ হয়নি। অবশেষে দীর্ঘ ৩৬ বছরের অবসান ঘটিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করেছে আলবিসেলেস্তেরা। কোটি ভক্তদের স্বপ্নপূরণ করে অবশেষে নিজ দেশে পৌঁছাল মেসি-ডি মারিয়ারা।

বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার ১১টা ২০ মিনিটে লিওনেল স্ক্যালোনিদের বিমান আর্জেন্টিনায় অবতরণ করে। অধীর আগ্রহে আলবিসেলেস্তেদের বরণ করার অপেক্ষায় রয়েছে কোটি আর্জেন্টাইন। মেসিদের জন্য তৈরি করা নান্দনিক এক ছাদখোলা বাসের। উৎসবের আমেজে থাকা আর্জেন্টিনায় আজ ২০ ডিসেম্বর সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ মঙ্গলবার লিওনেল মেসিদের বরণের জন্য পুরো দেশ জুড়ে সরকারি ছুটির আদেশ জারি করেছেন।

বিস্তারিত আসছে…




ভক্তদের যে সুখবর দিলেন মেসি

কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল পা ফেলার আগ থেকেই জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছিল ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছে ২২তম আসর খেলেই। এই তারকা কিছু কিছু গণমাধ্যমে তার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে সব খবর উড়িয়ে দিয়ে জানালেন, এখনই অবসর নিচ্ছেন না তিনি। তিনি জানান, আরো কয়েকবছর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে খেলবেন।

মেসির বয়স সবে ৩৫ চলে। কিন্তু তার দুর্দান্ত ফর্ম আর খেলা দেখে বলার উপায় নেই তার বয়সের ছাপ পড়েছে। এই সাবেক বার্সা তারকা বিশ্বকাপে করেছেন ৭ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৩ গোল। জিতেছেন গোল্ডেন বল। বিশ্বকাপের ফাইনালে জয় পেয়ে গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, আমি চেয়েছিলাম বিশ্বকাপ শেষেই অবসর নিতে। বিশ্বকাপ থেকে যা পেয়েছে, এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতেও পারি না। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে আমার যে অর্জন তা যথেষ্ট।

তিনি আরও বলেন, আমি ফুটবলকে ভালবাসি। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলা উপভোগ করি। আমার ইচ্ছা, আমি চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা চালিয়ে যাব।




একনজরে স্বপ্নযাত্রায় মেসির যত রেকর্ড

অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ মিটিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা। গোটা ফুটবল বিশ্বকে উল্লাসে মাতিয়ে চির অধরা সোনালি ট্রফিটা শেষ পর্যন্ত নিজেদের করে নিয়েছে আলবিসেলেস্তারা।

বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। তবে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে সেই আশা ফিকে হতে শুরু করেছিল। তবে দারুণ প্রত্যাবর্তনে এক লিওনেল মেসির হাত ধরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফাইনালে উঠে আসে লাতিন আমেরিকার দলটি।

আর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে রোববারের সেই ফাইনালে রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখে গোটা ফুটবল বিশ্ব। যে লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ সমতার পর ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে আর্জেন্টিনা।

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জাদুকরী এক পারফরম্যান্সে এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দ্যুতি ছড়িয়েছেন মেসি। নিজেকে বসিয়েছেন রেকর্ডবুকেও। দেখে নেওয়া যাক, কাতার বিশ্বকাপে মেসির ঝুলিতে কি কি রেকর্ড ও অর্জন এসে ধরা দিল।

১. ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছেন মেসি।

২. বিশ্বকাপের মঞ্চে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পড়ে মেসি খেলেছেন রেকর্ড ১৯টি ম্যাচ। এই তালিকায় পরের দুইটি স্থানে আছেন মেক্সিকোর রাফা মার্কেস (১৭) ও আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা (১৬)।

৩. লুসাইলের ফাইনাল দিয়ে বিশ্বকাপে মোট ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যার মধ্য দিয়ে ভেঙেছেন জার্মানির লুথার ম্যাথেউসের ২৫টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড।

৪. এবারের বিশ্বকাপে ৭ গোল করে আকাশী-সাদা জার্সিতে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোল স্কোরার এখন মেসি। যে তালিকায় পরের অবস্থানে আছেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (১০), ম্যারাডোনা (৮), গিয়ের্মো স্তাবিল (৮), মারিও কেম্পেস (৬) ও গনজালো হিগুয়েন (৫)।

৫. একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ভিন্ন পাঁচটি আসরে অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়েছেন মেসি। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে, পোল্যান্ডের জেগোস লাতো, আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ও ইংল্যান্ডের ডেভিড বেকহ্যামের অ্যাসিস্ট আছে মোটে তিনটি আসরে।

৬. বিশ্বকাপের মঞ্চে মেসির প্রথম ও সবশেষ গোলের মাঝে ব্যবধানটা ১৬ বছর ১৮৪ দিনের। যা ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ। পরের অবস্থানে আছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যে সময়টা ১৬ বছর ১৬০ দিনের।

৭. বিশ্বকাপে ২ হাজার ৩১৪ মিনিট মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মেসি। ভেঙেছেন ইতালির পাওলো মালদিনির আগের ২ হাজার ২১৭ মিনিট খেলার রেকর্ড।

৮. বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১১ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মেসি। কাতারে সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই পান এই স্বীকৃতি। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে এই পুরস্কারটি দেওয়া শুরু করে ফিফা।

৯. ১৯৬৬ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে নিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে ভিন্ন তিনটি ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টের ডাবল মেসির। প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ভিন্ন চারটি ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টের অনন্য অর্জনও লা পুলগা’র।

১০. বিশ্বকাপে মেসির জয় ১৬টি ম্যাচে। অবশ্য এলএমটেন এর চেয়ে বেশি জয় আছে কেবল জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার। যার জয় ১৭টি ম্যাচে।




আর্জেন্টিনার শেষের নায়ক মার্টিনেজ

থ্রিলার ম্যাচ বলতে যা বোঝায়, তার সব কিছুই ছিল কাতার বিশ্বকাপে লুসাইলের ফাইনাল ম্যাচে। ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে থাকায় অনেকেই আর্জেন্টিনার শিরোপা জয় দেখে ফেলেছিলেন।

কিন্তু এক মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। ফলে নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়।

অতিরিক্ত সময়ে এসে ১০৮তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক গোলে আবারও এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে আরেকবার গোল করে নিজের হ্যাট্টিক পূরণ করে আবারও সমতায় ফেরে ফ্রান্স। কিন্তু টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ানোর পর জয়ের দেখা পেল লে আলবিসেলেস্তেরা।

কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে নেয় আকাশি নীল শিবির। সেখানেই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর নায়কে পরিণত হলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পেনাল্টি শুটআউটে কিংসলে কোম্যানের পেনাল্টির শট ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসেন মার্তিনেজ। এরপর অরিলিয়েন চুয়ামেনি যে শটটি নিয়েছিলেন মার্টিনেজকে ঠেকানোর জন্য সেটি হয়ে গেলো মিস। তাতেই আর্জেন্টিনার জয়ের শেষ মুহূর্তের নায়কে পরিণত হলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।




ম্যাচ হারলেও গোল্ডেন বুট এমবাপ্পের

কাতার বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। দল হারলেও কিলিয়ান এমবাপ্পে ফাইনালে হ্যাট্রিকসহ টুর্নামেন্টে মোট ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতে নিয়েছেন। ম্যাচে মেসি ৭ গোল করেও এমবাপ্পের কাছে গোল্ডেন বুট হারাতে হয়েছে।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসি ও এমবাপ্পে দু’জনই ৫ গোল নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন। ২৩ মিনিটে ফ্রান্সের জালে বল জড়ানোর মধ্য দিয়ে মেসির গোল ৬ এ দাঁড়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধে কম সময়ের মধ্যে জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে।

তার গোল সংখ্যা দাঁড়ায় ৭টিতে। খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে সেই সময়ে মেসি আরো একটি গোল করেন। এর মধ্য দিয়ে তার গোল সংখ্যা ৭ হয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় অংশে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। তার গোল দাঁড়ায় ৮টিতে। এর মধ্য দিয়েই তার গোল্ডেন বুট নিশ্চিত হয়ে যায়।




বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল লিওনেল মেসির

১৯৮৬ থেকে ২০২২। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে পেরিয়ে গেছে ৩৬টি বছর। এর মাঝে স্বাদ নেওয়া হয়নি বিশ্বকাপ জয়ের শিরোপা। এমন হিসেব-নিকেশ পুঁজি করেই আয়োজক দেশ কাতারে এবার পা রেখেছিল লিওনেল মেসির দল।

তবে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে অঘটনের জন্ম দেয় লাতিন আমেরিকার দেশটি। পরক্ষনেই সেই প্রেক্ষাপট পাল্টে বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করে লিওনেল স্ক্যালোনির দল। যার মূল কারিগর দলটির প্রাণভ্রোমরা লিওনেল মেসি। তার হাত ধরেই এবারের বিশ্বকাপ মঞ্চের ফাইনালে জিতেছে আলবিসেলেস্তারা।

চলতি কাতার বিশ্বকাপে মাঠ ও মাঠের বাইরে এক অন্য রকম মেসিকে দেখেছে বিশ্ব। এবারের বিশ্বকাপে মেসির পা থেকে এসেছে ৭টি গোল, করিয়েছেন তিনটি। আর্জেন্টিনা দলের যখনই তাকে প্রয়োজন হয়েছে, তখনই জ্বলে উঠেছেন এই তারকা। নকআউট পর্বের তিনটি ম্যাচেই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সব মিলিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন চার ম্যাচে। অপরদিকে এই তারকা বিশ্বকাপের ফাইনালেও করেছেন ২টি গোল।




তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

ফুটবল বিশ্বের সকল ট্রফিতে নিজের নাম লিখিয়েছেন রোজারিও থেকে উঠে আসা ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। শুধুই অধরা ছিল সোনালি সেই বিশ্বকাপ শিরোপাটি। আজ কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে নাটকীয় লড়াইয়ে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা।

বিস্তারিত আসছে…




দি মারিয়াকে নিয়েই একাদশ সাজালো আর্জেন্টিনা

বিশ্বকাপজুড়ে আর্জেন্টিনার ম্যাচের সঙ্গে বদলে গেছে একাদশ। প্রতিপক্ষকে বিবেচনায় এনে কৌশল পাল্টেছেন দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি।

ফ্রান্সের বিপক্ষে তার একাদশ কেমন হয়, এ নিয়ে ছিল আলোচনা। আনহেল দি মারিয়া পূর্ণ ফিট হলেও তিনি খেলবেন কি না তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। তবে অভিজ্ঞ এই উইঙ্গারকে নিয়েই একাদশ সাজিয়েছেন স্কালোনি।
ফরাসিদের ভয়ঙ্কর আক্রমণ আটকাতে আর্জেন্টিনা নামছে দুই সেন্টার ব্যাক ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও নিকোলাম ওতামেন্দিকে নিয়ে। ফুলব্যাক হিসেবে খেলবেন মলিনা ও মার্কোস আকুইনা।

তাদের সঙ্গে তিন মিডফিল্ডার হিসেবে আছেন এঞ্জো ফার্নান্দেস, রদ্রিগো দে পল ও অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্তার। আক্রমণের দায়িত্বে লিওনেল মেসির সঙ্গী সেমিফাইনালে জোড়া গোল করা হুলিয়ান আলভারেস ও আনহেল দি মারিয়া। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচটির শুরুর একাদশে নেই আনহেল দি মারিয়া।

ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার একাদশ :

গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস।

ডিফেন্ডার: ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দি নাহুয়েল, মোলিনা, মার্কাস আকুইনা।

মিডফিল্ডার: এঞ্জো ফার্নান্দেস, রদ্রিগো দে পল, ম্যাক অ্যালিস্তার।

ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেস, আনহেল দি মারিয়া।