অতীত পরিসংখ্যানে ফ্রান্সের বিপক্ষে এগিয়ে আর্জেন্টিনা

দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ২৮ দিনের বিশ্বকাপ মহাযজ্ঞের শেষ লড়াইটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। দুই দলের সামনেই সুযোগ আছে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি নিজেদের করে নেওয়ার। ম্যাচের আগে ফরাসিদের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান অনেকটাই এগিয়ে রাখছে আলবিসেলেস্তাদের। যা মাঠে বাড়তি সাহস জোগাতে পারে লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যদের।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ১২ বার। যার ছয়টিতে জিতেছে আর্জেন্টিনা, ফরাসিদের জয় তিনটি ম্যাচে। বাকি ম্যাচগুলো ড্র হয়েছে। তবে দুই দলের সবশেষ দেখায় শেষ হাসি হেসেছিল দিদিয়ে দেশমের দল। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে এমবাপে- গ্রিজম্যানদের নৈপুণ্যে সেবার ফ্রান্স ৪-৩ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারে পা রাখে।

অন্যদিকে বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার পরিসংখ্যান বেশ সমৃদ্ধ। এর আগের তিনবারের দেখায় দুইবারই ফরাসিদের হারিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। তাছাড়াও ফুটবল মঞ্চে দুই দলের প্রথম দেখা হয় বিশ্বকাপে। ১৯৩০ সালের উরুগুয়ে বিশ্বকাপে ১-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৭৮ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো লড়াইয়ে নামে এই দুই দল। সেই ম্যাচেও ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ হাসি হাসে আর্জেন্টিনা।

এদিকে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে পা রাখা আর্জেন্টিনা, গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই এশিয়ার পরাশক্তি সৌদি আরবের কাছে হেরে যায়। এরপর শঙ্কা জাগে পরের রাউন্ডে ওঠার। তবে দারুণ প্রত্যাবর্তনে শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ও সেমির লড়াই শেষে মেসির দল এবার শিরোপা জয়ের থেকে মাত্র একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে।




রামগতিতে চোর চক্রের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর বাদাম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে চিহিৃত চোর চক্রের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, ইউনিয়নের পঞ্চাত সমাজে সিদেল চুরি, টাকা চুরি, মোবাইল চুরি, রাতের অন্ধকারে হাড়ি পাতিল, রান্না করা মাংশ চুরি সহ গৃহবধূকে রাতের অন্ধকারে ধারালো টেটা বিদ্ধ করা ও তাদের সংঘঠিত বিভিন্ন অপরাধ এর কারণে এলাকাবাসী চরম এক আতংকে দিনাতিপাত করছে।
থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার সহ সকলেই জানে এই চোর চক্রের অপরাধ জগত সম্পর্কে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চুরি করে ধরা খাওয়ার পর অধরা থেকে যাচ্ছে এ সিন্ডিকেট।

স্থানীয়রা জানায়, চর বাদাম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পঞ্চাত সমাজে বেশ কিছুদিন থেকে গড়ে উঠেছে আবুল বাশার বাসু মিয়ার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ রাজুর সহোদর ভাই সুমন, শাহীন, নোমান, শান্তর একটি সংঘবদ্ধ চোর ও অপরাধচক্র। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সুখীর বিরুদ্ধে উঠেছে এদের নিয়ে আড্ডা দেয়া, শোডাউন করা সহ পৃষ্ঠপোষতার অভিযোগ। চোর চক্র ধরা খাওয়ার পর গডফাদাররা ক্ষমতার প্রভাবে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এদের কারণে সাধারণ মানুষের সমাজে বসবাস করা দূরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না। কেউ মুখ খুললেই তার উপর নেমে আসে চুরি চামারি ও হামলার মত ঘটনা। গত একমাসের মধ্যে প্রায় ১৫/২০টি বাড়ীতে চুরি, ধারালো কোচ দিয়ে গৃহবধূর উপর হামলা, মোবাইল চুরি, টাকা চুরি, গরু ছাগল চুরি, সিঁদ কেটে ঘরের মালামাল চুরি করে তারা। এই চক্রটি গত কয়েক দিন আগে রাতে মৃত আবুল খায়েরের ছেলে আবদুর রহিমের ঘরের দরজা কেটে ভিতরে ঢুকে ২০হাজার মূল্যের একটি মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। নুরুল ইসলামের ছেলে প্রবাসী মাকসুদের ঘরের দরজা কেটে পার্সপোট ভিসা, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। আবুল কালামের ছেলে মোছলেহ উদ্দিনের পানির পাম্পের মোটর ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। চৌধুরী মিয়ার ছেলে নুরনবীর একটি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় শোর চিৎকার করিলে গরু রেখে চলে যায়। নুরনবীর ঘরের সিঁদ কেটে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যা জিডি করার পর রামগতি থানা পুলিশ উদ্ধার করে। গত ১৫/২০দিন আগে মিরন পন্ডিতের ছেলে আনোয়ারের ঘরের বেড়া কেটে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে যায়।

হাফেজ মাহবুব উল্যাহ ঘরের সিদ কেটে দুটি টাচ মোবাইল নিয়ে যায়। গত এক বৎসর আগে একই ঘটনা ঘটে। আবদুল মতিন বেপারীর বাড়ীর ঘরের সিঁদ কেটে দুইটি টাচ মোবাইল ও স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়। ইসমাইলের ছেলে রাশেদ ডাক্তারের ঘরের সিঁদ কেটে দুটি এন্ড্রয়েড সেট ও ডাক্তারী যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়। ইউনুছ পঞ্চাতের ঘরে সিদ কেটে ঢুকে তার স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নিয়ে যাওয়া সময় চিৎকার দিলে চেইন রেখে চলে যায়, তারপর সামাজিক ভাবে শালিশী বৈঠকে তারা চোর প্রমানিত হলে মাফ চায়। আবু জাকেরের ঘরের দরজা কেটে ঘরে ঢুকে মোবাইল, অন্যান্য মালামাল ও গরু নিয়ে যায়। পরপর দুইবারই তার ঘরে চুরি করে এ চোর চক্র। মো: রাসেলের ঘরে দুইবার পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করে এসময় তার একটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রাসেলের মা নামায পড়তে উঠলে ওযু করা অবস্থায় কোচ মেরে তাকে হত্যা চেষ্টা করলে মহিলার চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় তার বুকে কোচ বিদ্ধ হয়। ইতিপূর্বে রাসেলকে তারা বিভিন্ন কূ-পরামর্শ ও হুমকি ধমকি দেয়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, এ চক্রটি বিভিন্ন সময়ে মানুষের ঘরের সিঁদ কাটা, হাঁস-মুরগী, মোবাইল, নগদ টাকা, নারিকের, সুপারী চুরি করে সমাজকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এ চক্রটি নামায পড়ানোর সময় মসজিদের ঈমামের দুটি মোবাইল নিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে তাজল ইসলামের ছেলে মো: ইউনুসের ঘরে ঢুকে নগদ আট হাজার টাকা নিয়ে যায় তা প্রমানিত হলে সামাজিক ভাবে শালিশী বৈঠকে দেড় মাসের মধ্যে কারামতিয়া বাজার কমিটির সেক্রেটারীর কাছে জরিমানার টাকা জমা দিবে মর্মে স্বীকার করে তাদের পিতা বাসু। এই চক্রটি দ্বীর্ঘদিন থেকে চুরি করে আসছে। রামগতি থানায় তাদের নামে কয়েকটি জিডি রয়েছে। এদের নির্মূল করা এখন সময়ের দাবী।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম জানান, চোর চক্রের কারণে আমাদের এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আলমগীর হোসেন জানান, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সচেতন এলাকাবাসী এ চোর চক্রটি দমনে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানায়।




আজ আত্মবিশ্বাসী মেসি

কণ্ঠটাই শোনা যায় কেবল। চেহারা দেখা যায় না ঠিকঠাক।

তবুও ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে বেশ। কেন? ‘জানি না ফাইনালে কী হবে তবে এটুকু বলতে পারি আপনি সবাইকে আনন্দিত করতে পেরেছেন…প্রভাবও রেখেছেন জীবনে’ বা এমন কিছু লাইনের জন্য। এতক্ষণে টের পাওয়ার কথা নিশ্চয়ই- বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের পর লিওনেল মেসিকে কথাগুলো বলেছিলেন এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিক।
দায়িত্ব ভুলে তিনি ক্ষণিকের জন্য হয়ে গিয়েছিলেন অনেকের প্রতিনিধি। দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে তার সেসব কথা। ব্রায়ান লারা তার ক্যারিয়ার সায়াহ্নে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমি কি আপনাদের বিনোদন দিতে পেরেছি?’ লিওনেল মেসি লারা নন। নির্লিপ্ত, বিনয়ী, আলাভোলা। ‘ফুটবল না খেললে হয়তো হালচাষ করতেন…’ আড্ডার আনন্দে ডুবে তাকে নিয়ে বলা হয় এমন। তিনি তাই প্রশ্ন করবেন, ভাবা যায় না তেমন কিছু।

তবুও তাকে উত্তর জানিয়ে দেন কেউ, ‘পেরেছেন’ বলেন জানতে না চাইলেও। কোটি ভক্ত সেসব কথা শুনে বিস্ময়ে ডুবে থাকেন, ‘আরে, আমার মন কীভাবে পড়ে ফেললো…!’ ভদ্রমহিলা মহিলা বলেন, ‘আপনি কোটি আলবিসেলেস্তের হৃদয় ছুঁয়েছেন। ফেক হোক অথবা কল্পনায়; আপনার জার্সি আছে বেশির ভাগেরই…’

তিনি মিথ্যা বলেননি অবশ্যই। ইন্টারনেটের কল্যাণেই ক’দিন পরপর ভেসে উঠে সেসব। ছেঁড়া জামায়, ফুটপাতে দাঁড়ানো কোনো এক কিশোরের পেছনে ইটের কণায় লেখা হয় ‘মেছি’। বানান একদমই মূখ্য হয় না এখানে, বড় হয় বরং ভালোবাসা। দারিদ্রতাতে একটু সুখের খোঁজ এনে দেন ফুটবলের ‘দুঃখী রাজা’।

এসব তো দূর দেশের গল্প। হুলিয়ান আলভারেসের কথাই একবার ভাবুন। বছর এগারো আগের একটি ছবি এখন ভাইরাল বেশ। লিওনেল মেসির সঙ্গে কোথাও একটা দেখা হয়েছিল তার; কোনোরকমে একটি ছবিও তুলে রেখেছিলেন। পরে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নের কথা।

কী? ‘দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারা…’। ফুটবলের আইডল? ‘লিওনেল মেসি…’।

আপনি নিশ্চয়ই খণ্ড খণ্ড ছবিগুলো মেলাতে শুরু করেছেন এতক্ষণে। অথবা আপনার কল্পনায় ভেসে উঠে এসেছে মেসির অমানবিক অ্যাসিস্টকে গোল বানিয়ে ফেলার পর তার সঙ্গে আলভারেসের ছবিটা।

বিশ্বকাপের সেরাদের একজন, বহু বড় ক্লাবের কাঙ্ক্ষিত ডিফেন্ডারকে স্রেফ বোকা বানিয়েছিলেন। পরে কেউ একজন লিখেছিলেন, ‘মেসি পাঁচজনকে ড্রিবল করে কাটিয়ে যাননি। তবে একজনকে পাঁচবার পরাস্ত করেছেন…’ ড্রিবলিংয়ের সেই সেকেন্ড বিশেকের অনেক অনেকগুলো, আলভারেসের শট, মেসিকে জড়িয়ে ধরা…

ওসব ছবি জোড়া লাগিয়ে ফ্রেম তৈরি করা যায় চাইলে। তবুও স্বীকৃতির জন্য দরকার হয় জয়। কেন? ২০১৪ বিশ্বকাপের পর লিওনেল মেসির গোল্ডেন বলের ট্রফি আনতে যাওয়া ছবি প্রমাণ তার। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা শূন্যতা ব্যক্তিগত শিরোপায় মেটানো যায় না, অনুভব করা যায় তেমন।

সময় বয়ে চলে। ২০১৫ আসে, ‘১৬ও। তিন ফাইনাল হারের পর আলাভোলা ছেলেটি বলে ফেলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে আমার আর কিছুই বাকি নেই…’। হৃদয় ভেঙে যায়। পৃথিবীজুড়ে শত কণ্ঠ জেগে উঠে ফিরে আসার আবদারে। তিনি আসেন।




কাতারের জাতীয় দিবসে নামছে বিশ্বকাপের পর্দা

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজক হয়েই চমকে দিয়েছিল কাতার। এরপর মহাসমারোহে মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট কিন্তু ধনী রাষ্ট্রটি উপহার দিয়েছে একের পর এক চমক।

বিশ্বের সেরা সব স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট, হোটেল বানিয়ে অপেক্ষায় ছিল মূল মঞ্চে আলো জ্বালানোর। সেই আলো জ্বলে ওঠার পর নানান জাদুকরী মুহূর্ত, টুইস্ট আর আপসেটের ছড়াছড়ি দেখেছে ফুটবলবিশ্ব।
কঠোর নিয়মের বেড়াজালেও কাতার ফুটবল পর্যটকদের দিয়েছে নতুনত্বের স্বাদ। এরপর একে একে মঞ্চে আগমন ও বিদায় ঘটেছে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকাদের। আর আজ রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার ঐতিহাসিক ফাইনালের মধ্য দিয়ে নামতে চলেছে সেই ২০২২ বিশ্বকাপের পর্দা।

আজই শেষবারের মতো আজ মঞ্চ আলোকিত করতে উঠবেন মেসি-এমবাপ্পেরা। এরপরই মঞ্চের আলো নিভে যাবে। সেই আলো সঙ্গী করে এক দল ফিরবে বীরের বেশে। আরেক দল ফিরবে বিষণ্ণ ও ভগ্ন হৃদয় নিয়ে। কাতারে আজ রাতে যখন এক দল বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়বে; তখন কিছু না জিতেও উৎসব করবে কাতার।

একে তো বিশ্বকাপ আয়োজন করেই অনেক বড় সাফল্য পেয়ে গেছে কাতারিরা। তার ওপর আজ (১৮ ডিসেম্বর) দেশটির জাতীয় দিবস। এক যুগের প্রস্তুতি আর ত্যাগ- তিতিক্ষার ফল হাতে পাওয়ার দিনে তাই পুরো কাতার ভাসবে উৎসবের জোয়ারে। জাতীয় দিবসের দিনে বিশ্বকাপ ফাইনাল- কাতারিদের জন্য দিনটি একেবারে সোনায়-সোহাগা! কাতারে যারা বিশ্বকাপ উপভোগ করতে গেছেন, তাদের জন্যও আজ বিশেষ দিন। প্রায় এক মাস কাতারের মতো রক্ষণশীল দেশে বৈশ্বিক ফুটবলের আসর কেমন হবে; তা নিয়ে শুরু থেকে অনেকের সংশয় ছিল। কিন্তু কাতার সব সংশয় দূর করে দিয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন কিংবা খেলাধুলার পরিবেশ তো আছেই- এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যাতায়াত এবং সমর্থকদের আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য যে ব্যবস্থা তারা করেছে তা দেখেও চমকে ওঠেছেন সবাই।




শতরানের জুটিতে ছুটছেন জাকির – শান্ত

পাহাড়সম লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ভেঙে পড়বে-এমন ভাবনা হয়তো ছিল অনেকের। কিন্তু জাকির হাসান ও নাজমুল হাসান শান্ত ভুল প্রমাণ করছেন সবাইকে।

দুজনের উদ্বোধনী জুটির রান ছাড়িয়ে গেছে একশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ৫১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভার শেষে ১০৬ রান করেছে স্বাগতিকরা।

কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনেও সাবলীল দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। শতরানের জুটিতে তারা গড়েছেন বেশ কিছু রেকর্ডও।

বিস্তারিত আসছে




মেসি বনাম এমবাপ্পে

বিশ্বকাপের ফাইনাল আরও দুই দিন পর। তবে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনালের উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে এখনই। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়েছিল লিওনেল মেসির। চার বছর পরে আবারও দুই দল মুখোমুখি। কী অপেক্ষা করছে এবার! লিওনেল মেসি গতবারের শোধ নেবেন? নাকি আবারও ফ্রান্সই জয়ের মালা গলায় পরবে! ফরাসি কোচ এবার বেশ সতর্ক।

দিদিয়ের দেশম এরই মধ্যে বলেছেন, চার বছর আগের মেসি আর এবারের মেসি এক নন। তিনি আরও ভয়ংকর। আরও বেশি পরিণত। আরও বেশি নিখুঁত। দেশমই কেবল নন, লিওনেল মেসিকে নিয়ে পুরো বিশ্বই প্রায় একই সুরে কথা বলছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে লিওনেল মেসিই সবচেয়ে বেশি আলোচনায়।

তার বাম পায়ের আরও কয়েকটা জাদু বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখা গেলে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়েই বাড়ি ফিরতে পারে। লিওনেল মেসিকে আটকানোর কত কৌশলই না বের হয়েছে। প্রতিপক্ষ কোচরা মেসিকে জোনাল মার্কিংয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছেন।

ফুটবল বিশ্বকাপের প্রায় শত বছরের ইতিহাসে হয়নি, এমন একটা রেকর্ডের সামনে লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদুকর একই সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেন। আবার সর্বোচ্চ এসিস্টকারীও। এরই মধ্যে ৫টি গোল করেছেন তিনি। ৫টি গোল আছে কিলিয়ান এমবাপ্পেরও। ৩টি গোলে এসিস্ট করেছেন মেসি। ৩টি করে গোলে এসিস্ট করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, হ্যারি কেইন এবং আতোয়ান গ্রিজম্যানও।




সাদা পোশাকের নেতৃত্বকে বিদায় জানালেন উইলিয়ামসন

সাদা পোশাকে অধিনায়কত্বকে বিদায় জানালেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। নতুন অধিনায়ক হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন টিম সাউদি।

পাকিস্তান সফর থেকেই দলকে সাদা পোশাকে নেতৃত্ব দেবেন কিউই এই বোলার।

টেস্টে অধিনায়কত্ব ছাড়লেও টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সংস্করণে দায়িত্ব ছাড়ছেন না উইলিয়ামসন। সামনের দিনগুলোতে চাপ কমানোর জন্যই এই অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। এছাড়া সাদা বলের ফরম্যাটে মনোযোগ বাড়ানোর কথাও জানান তিনি।

এক বিবৃতিতে উইলিয়ামসন বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে ব্ল্যাকক্যাপদের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য ছিল অবিশ্বাস্য এক সম্মান। আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটেই খেলাটির সর্বোচ্চ চূড়া এবং টেস্ট দলকে নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করেছি। তবে অধিনায়কত্ব করা মানে মাঠের ভেতরে-বাইরে বাড়তি অনেক শ্রম এবং ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে আমার মনে হয়, এটিই সঠিক সিদ্ধান্ত (দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া)। ’

‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে আলোচনার পর আমাদের মনে হয়েছে, আগামী দুই বছরে সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়াই আমার জন্য ভালো হবে। ’

২০১৬ সালে টেস্ট সংস্করণে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্ব পান উইলিয়ামসন। ৪০ টেস্টে ২২ জয় নিয়ে তিনি দেশটির সফলতম অধিনায়ক। যদিও কিংবদন্তি স্টিভেন ফ্লেমিং ৮০ টেস্টে পান ২৮ জয়। তবে জয়ের হারে উইলিয়ামসনই সেরা।




টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স

কাতারের মাটিতে চমক জাগানো উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এবারের আসরে অবিশ্বাস্য সব গল্পের জন্ম দিয়ে উঠে আসা আফ্রিকার দলটির রক্ষণে শুরু থেকে চেপে ধরা ফরাসিরা প্রথমার্ধের শুরুতেই থিও হার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯তম মিনিটে কোলো মুয়ানির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দিদিয়ে দেশমের দল।

এরপর আর কোনো দল গোল করতে না পারায় ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে এমবাপে-জিরুদরা।

এর আগে কাতারের আল খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাঠে নামে এই দুই দল। শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে ছিল উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দ্রুত আক্রমণে ফ্রান্সের রক্ষণকে ব্যস্ত রাখতে থাকে দলটি। তবে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে মরক্কোর রক্ষণকে ভেঙে থিও হার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় ফরাসিরা।




প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফল প্রকাশ করা হয়।

নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব সনদের মূলকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ৩ কপি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (যথাযথভাবে পূরণ করা), সিভিল সার্জন দেওয়া স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদের কথা বলা হলেও পরে এই সংখ্যা পাঁচ হাজার বাড়ানো হয়।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এতে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।

নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়।

প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। সবমিলিয়ে তিন ধাপে উত্তীর্ণ হন ১ লাখ ৫১ হাজার ৮২৫ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরবর্তী মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করে ফল প্রকাশ করা হয়।




ফাইনালে খেলেই মেসির বিদায়!

কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লিওনেল মেসি খেললেন। মনের আনন্দে খেললেন। গোল করলেন। গোল করালেন। আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন অসাধারণ এক জয়। মেসির বাম পায়ের জাদু আর আলভারেজের দূরন্ত গতিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা। স্বপ্ন এখন হাতের নাগালে।

আগামী রবিবার বিশ্বকাপ জেতার মিশন নিয়ে মাঠে নামবে আকাশি-সাদারা। তার আগে মেসি আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন, আগামী ম্যাচটাই হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপে তার শেষ ম্যাচ।

মেসি যদিও বিশ্বকাপের আগে জানিয়েছিলেন, এবারই তার শেষ; তবু কোচ লিওনেল স্কালোনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, আর্জেন্টাইন অধিনায়ক খেলবেন আরও অনেক দিন। তবে মেসি জানালেন, পরের বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না তাকে।