আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার

মো. বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৩ নং জিরতলী ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ কাজের লেআউট ৬ অক্টোবর প্রদান করা হয়েছে ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম এর সুযোগ্য সন্তান সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান নূর রফি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহমেদ উল্যাহ সবুজ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা সমাচার

কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ও সেবার মান নিয়ে প্রশংসনীয় প্রতিবেদন দেখেছি করোনাকালে। সেবা ও সেবার মানদন্ডে সু সেবার স্বাক্ষর রেখেছে কর্তাব্যক্তিরা যে যার মত। সেবা সু সেবা ভালোবাসা মানবতার স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিরা ছিলো পুলকিত। কর্তাব্যাক্তিদের এমন অবদানের প্রতিদানে ইচ্ছা পোষন করেছি যে পুষ্পমাল্যে বরন করবো। সময় অসময়ে হয়ে উঠেনি।

সময়ের পরিক্রমায় ডাঃ আকিলের বদলি সর্বশেষ ডাঃ রেজাউল করিম রাজিবের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবার ভরসায় আশান্বিত সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ অশ্রু কাতর মানুষ গন বদলি ঠেকাতে ভালোবাসায় মানববন্ধন করেছে কমলনগরে। যা কমলনগরে সেবার জগতে ইতিহাস। দুজনের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবায় অপূরনীয় ক্ষতি। যা গত ২/১০/২২ তারিখে সরজমিনে প্রত্যক্ষ করেছি। লজ্জায় আবৃত হয়েছি বারবার। সিদান্তহীনতায় পায়চারি করেছি বারংবার। বাচ্চার বিকেলে শ্বাসকষ্ট সন্ধ্যায় হাজির হাট বাজারে চিকিৎসা ব্যবস্হা। রাতে সমস্যা বেড়ে অধিক বুমি। সারারাত দুঃচিন্তা। সকালে সমস্যা প্রতিকারে কমলনগর স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে গমন। সকাল তখন ৭টা। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত আমাদের কমলনগরের সন্তান ডা. দাউদ সিদ্দিকী। জরুরী বিভাগে ছিলেন একমাএ ডা. দাউদ আর এক মুরুব্বী। গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যাক্তিরা হাওয়া।

ডা. দাউদ সিদ্দিকী সু সেবায় কমলনগরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে বিখ্যাত। তার রোগী ভুরি ভুরি। বাচ্চা দেখলেন ভর্তি ব্যবস্হা করলেন। ব্যবস্থাপত্রে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর সাইন নাই বলে চিকিৎসা প্রদানে অনিহা প্রকাশ করলেন কর্তব্যরত নার্সগন। ফলে বিপত্তি। কে শুনে কার কথা। শুরু হয়রানি এখন কাজ হলো সিঁড়ি বেয়ে উঠা আর নামার কসরত। দুইবার মিস গাইড। তৃতীয় বার সাক্ষাতে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর শরনাপন্ন হয়ে সমস্যার প্রতিকার চেয়েছি। তিনি আমাকে আবার ও উপরে পাঠালেন। সমস্যার সমাধান হয়নি। হাসপাতালে স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহের ছিলেন না। তার বিপরিতে দায়িত্ব সম্পাদনে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি দায়িত্ব পালন না করে ঘুমাতে গেলেন। ডা. দাউদ বাদে বাকী দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা রুটিন সময়ে অনুপস্থিত। তারা কর্মক্ষেএে প্রবেশ করেন দশটার পর।ফলে চিকিৎসা পেতে হয়েছে দশটার পর। ভর্তি করেছি ৭.৩০ মিনিটে। ডাঃ আসলেন ব্যবস্হা পএে সাইন করলেন তারপর নার্সগন দায়িত্ব পালন করলেন। মাঝখানে ৩/৪ ঘন্টা সেবা বিরতি ছিলো।
ফলে ডায়রিয়া রোগীর কান্নায় আকাশ ভারী কে কার কথা শুনে। স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহেরের নাম্বারে কল করলে ও রিসিভ হয়নি।

ফলে সমস্যা সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি। ডা. দাউদ সিদ্দিকীর ব্যবস্থাপত্রেকমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা মিলে না। অথচ তিনিই জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। যারা কর্তাব্যাক্তি তারা হাওয়া। কার ইশারায় কেমনে চলে হাসপাতাল গভীর অনুসন্ধান করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর অন্তকোন্দল কিনা তাহা জানার চেষ্টা করেছি. কোন সুউত্তর মিলেনি। রোগী নিয়ে এই হচ্ছে সাপলুডু খেলা। রোগীরা সেবা বঞ্চিত। অপচিকিৎসা ও কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চোখে পড়ার মত। আয়া করে নার্সের কাজ।
ক্যানালা পিটিং স্যালাইন সঞ্চালনের কাজ করেন আয়া। কিন্তু তাহলে নার্সদের কাজ কি? এখানেই শেষ নয়। ওয়ার্ড বয় ও করেন নার্সদের কাজ। সকালে ডায়রিয়াকৃত এক বাচ্চাকে ইনজেকশন পুশ করেন ওয়ার্ড বয়। ফলে ইনজেকশনের মার্তা বেশি দিয়ে বাচ্চার জীবন হুমকিতে পেলেন।
বাচ্চার চোখ কপালে উঠলো বাচ্চার মায়ের চিৎকারে ওয়ার্ড বয় হাওয়া। সকল সমস্যার প্রতিকারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। ডা. দাউদকে নিয়ে রাজিব নাটক হচ্ছে কিনা চোখ রাখুন। প্রতিবাদে সজাগ থাকুন। গত ২/১০/২২ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ৩/১০/২২ তারিখ দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন কমলনগর হাসপাতাল। অন্ধকারে নিমজ্জিত চিকিৎসা ব্যবস্হা। মমবাতির আলোয় চিকিৎসা চলছে। ভুক্তভোগীদের মমবাতিই ভরসা। কোন উপায় নেই। অন্ধকারে ভুল চিকিৎসা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আর ভুল চিকিৎসা হলেই কারো জীবন নাশ হবে। দায় কার?

বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ নামক ভেলকিবাজি বন্ধ করা সময়ের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিদ্যুৎ বিহীন ১৮ ঘন্টা চিন্তা করা যায়। তার ভেতর জেনেরেটর সেবা থেকে ও নেই। তৈল খরচের বরাদ্দ নেই অজুহাতে জেনেরেটর সেবা পরিবেশন বন্ধ। কতটুকু যুক্তি কথা বোধগম্য নয়। চিকিৎসা সেবা মৌলিক সেবার একটি। আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সেবা হোক জনকল্যাণকর। মানুষ মানবতার জয় হোক। কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্হাপনা দূর হয়ে বিবেকবোধের দর্শনে মানুষ মানবতা হোক সেবার মাধ্যম।

লেখক: শিব্বির দেওয়ান




চরজব্বর ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মো. বদিউজ্জামান (তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী সুবর্ণচরে চরজব্বর ইউনিয়নকে বিভাজন, প্রস্তাবিত আলহাজ্ব খলিল উল্যা মিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা ও শতভাগ জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করণে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা নিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আ.লীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জনপ্রতিনিধি, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সকল পর্যায়ের সাধারণ জনগনকে নিয়ে এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীজানুর রহমান দীপকের সঞ্চালনা চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজদী পাবলিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাউথ আফ্রিকান প্রবাসী এডভোকেট আশরাফুল করিম।
এসময় সভায় বক্তব্য রাখেন, চরজব্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর ইসলাম মানিক, সাধারণ সম্পাদক বসির উল্যা, ইউপি সদস্য আবু কাউছার, আয়ুইব আলী, শাহজান, মিলন মিয়া, কামাল উদ্দিন, মাইন উদ্দিন জিকু, আবুল কাশেম, রিয়াজুল মাওলা চৌধুরী, মো. মমিন উল্যাহ, নাজমা আক্তার, শাহনাজ। ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছিন আরাফাত, সোহেল, আবু নাসের সুমন, ছাত্রদল নেতা আবুল খায়ের আকাশ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, চরজব্বর ইউনিয়নে প্রায় ১ লক্ষ লোকের বসবাস, ৪০-৫০ হাজার ভোটারের চরজব্বর ইউনিয়নকে সকলের মতামতের ভিত্তিতে ইউনিয়ন বিভাজন কল্পে কাজ করে যাচ্ছি,এবং নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী অবহেলিত চরজব্বর ইউনিয়নে আমার মরহুম পিতার নামে প্রস্তাবিত আলহাজ্ব খলিল উল্যা মিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের নাগরিক অধিকার শতভাগ জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করনের কাজ চলমান।
এছাড়াও আমি নির্বাচিত হওয়ার পর ২৬ টি কাঁচা রাস্তা, ১২ পাকা রাস্তা টেন্ডার, ১০ টি ব্রিজের কাজ চলমান। এবং একটি ভবন ভাড়া করে কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৪ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রম রয়েছে। ওই কমিউনিটি ক্লিনিক স্থায়ীভাবে চিকিৎসা করার জন্য ভবন নির্মাণাধীন। এবং চরজব্বর ইউনিয়নে প্রত্যেকটি স্কুল,মাদ্রাসায় ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। মাদক নির্মূল, ইভটিজিং, বাল্যাবিবাহ, কিশোর গ্যাং, চুরি ডাকাতি, জুয়াসহ সকল অসামাজিক কার্যক্রম অধিকাংশ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এ সব অপরাধ ও অনৈতিক কাজের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন, পর, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক যেকোনো ব্যক্তি জমি দালালি, সালিশ বাণিজ্য ও অপসংস্কৃতির সাথে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় তিনি উন্নয়নকল্পে কাজ করার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করেন। এবং এ চরজব্বরকে একটি মডেল ইউনিয়ন ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভা শেষে সকলের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় একটি আনন্দ র‍্যালি করেন।




প্রাথমিকে নোয়াখালীর সেরা প্রধান শিক্ষক মামুন নির্বাচিত

মো. বদিউজ্জামান (তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

প্রাথমিকে নোয়াখালীর সেরা প্রধান শিক্ষক (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন সোনাইমুড়ি উপজেলার ছনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল্লা আল মামুন।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিকে জেলা শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক(পুরুষ) প্রার্থীদের তথ্যা যাচাই বাচাই শেষে মামুনকে শ্রেষ্ঠ ঘোষনা করা হয়। আবদুল্লা আল মামুন সোনাইমুড়ি উপজেলার পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের আবদুজ্জাহের ও রৌশন আক্তার দম্পতির ছেলে। তারা চারবোন ও দুই ভাই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তিনি একপুত্র সন্তানের জনক।

সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ ভর্তি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার মনোরম পরিবেশ সৃষ্টিসহ শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় আবদুল্লা আল মামুনকে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২২ শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক(পুরুষ) পদে মনোনীত করা হয়। আগামীতে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে জেলার প্রতিনিধিত্ব করবেন। এক প্রতিক্রিয়ায় আবদুল্লা আল মামুন জানান, এই ম্মীকৃত আমার কাজে আরো অনুপ্রেরনা যোগাবে।

আমাকে সহযোগীতা করার জন্য আমার স্কুলের সকল সহকর্মী, জেলা উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সকলের সহযোগীতা না পেলে হয়তো আমার এতো বড় অর্জন সম্ভব হতোনা। সকলের সহযোগীতা নিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চাই। আগামীর জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।




নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী পিন্টুর সমর্থনে মত বিনিময় সভা

মো. বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টুর চশমা মার্কার সমর্থনে সদর উপজেলা ও নোয়াখালী পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে এক মত বিনিময় সভা জেলা আওয়ামী লীগ গণ মিলনায়তনে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামছুদ্দিন জেহান, আ. লীগ মনোনীত চশমা মার্কা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ও নোয়াখালী পৌর পিতা সহিদ উল্যাহ খান সোহেল আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী রাজু,১ নং চরমটুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু, ২নং দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন, ৩ নং নোয়ান্নই ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদ,৪ নং কাদির হানিফ ইউপি চেয়ারম্যান রহিম চৌধুরী, বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বাবলু, নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের,এওজবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, কালাদরাপ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহাদাত উল্যাহ সেলিম, ১০ অশ্বদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু, আন্ডারচর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সহ ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দ ও পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ।




লক্ষ্মীপুরে ৭ শিক্ষার্থীকে দাখিল পরীক্ষা দিতে দেয়নি হল সচিব

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

২৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা থাকা না থাকা বিভ্রান্তিতে পড়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেনি ৭জন দাখিল পরীক্ষার্থী।

উপজেলার চর আবদুল্যাহ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার এ সাত শিক্ষার্থী পরীক্ষা হলে অনুপস্থিত থাকায় হল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে ৯ শিক্ষার্থীর ২জন পরীক্ষা শুরুর ১৫মিনিট পর উপস্থিত হন।

বাকিরা যথা সময়ে উপস্থিন না হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে (একাডেমিক সুপারভাইজার) তাৎক্ষনিক উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন।

সেখানে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে না পারা শিক্ষাথীরা হলেন- জিয়া উদ্দিন, আকিব হোসেন, তাজরিন জাহান, আরমান হোসেন, রুমানা আক্তার, শরীফুল ইসলাম, নুশরাত জাহান ইতি। শিক্ষার্থীরা জানান, চরআবদুল্যাহ ফাজিল মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে কৃষিশিক্ষা বিষয়টি পাঠ্য হিসেবে অভ্যন্তরিন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেও প্রবেশ পত্রে জীববিজ্ঞান এসেছে। প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয় জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা হবেনা। একারনে নিয়মিত ক্লাসও হয়নি।

এ জন্য আমাদের নবম-দশম শ্রেনির দুবছরে একদিনও জীববিজ্ঞানের ক্লাস করাননি। স্যাররা বলছেন জীববিজ্ঞান পরীক্ষা হবে না। আমরা স্যারেরকথামত জীববিজ্ঞান পড়ি নাই। এছাড়াও প্রাক নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এ্যাডমিট কার্ডে জীববিজ্ঞান আসার বিষয়টি আমরা স্যারদের অবগত করালে, বিজ্ঞান শিক্ষক রবি শংকর স্যার ও অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আবদুল হাকিম মহোদয় জানিয়েছেন জীববিজ্ঞান পরীক্ষা হবেনা। এমনকি আজও স্যাররা আমাদের জানিয়েছেন পরীক্ষা হবে না। অন্যদিকে সকাল ১১টার সময় হল থেকে স্যারেরা আমাদের পরীক্ষা আছে বলে ফোনে জানান। তড়ি ঘড়ি করে কেন্দ্রে আসতে ২০/২৫মিনিট মতো সময় লেগে যায়।

অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা আরো জানান, পরীক্ষা শুরুর সময় ১১টা হলেও আমরা ১১টা ২০মিনিটে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে কেন্দ্র সচিবসহ অন্যান্যরা আমাদের হল থেকে বের করে দেন। কেন্দ্র সচিব ও আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়ব আলী জানান,পরীক্ষা শুরুর পর অনুপস্থিত দেখে আমি যোগাযোগ করি। এরপর ৯ পরীক্ষার্থীর ২জন পরীক্ষা শুরুর ১৫মিনিট পর আসলে তাদের আমরা পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করি। বাকি সাত শিক্ষার্থী পরীক্ষার আধা ঘন্টা পর আসায় তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানান জন্য চর আবদুল্যাহ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আবদুল হাকিম এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার এসএম শান্তুনু চৌধুরী জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।শিক্ষার্থীদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হতে না পারায় কেন্দ্র সচিব পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দিতে পারেনি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অঋিাবকরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি তাদের অবশিষ্ট্য পরীক্ষাগুলোয় অংশগ্রহনের জন্য বলেছি।

আর আজকের পরীক্ষা বিষয়ে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো। চেষ্টা করবো যেন শিক্ষার্থীর প্রতি সুদৃষ্টি দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা এ বিষয়ে দায়ীদের বিরদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ ও উক্ত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।




শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিনে চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগমের ঢেউটিন বিতরণ

প্রতিনিধি নোয়াখালী:

নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে গরিব অসহায় দুস্থদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুন্নাহার, প্রয়াত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বাদশা ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম এর সুযোগ্য সন্তান সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান নূর রফি সহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ।




 চর আমান উল্যাহতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উদযাপন

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

বিশ্ব মানবতার নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে ০৬ নং চর আমান উল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন,  ইউপি সদস্য বৃন্দ, গ্রাম পুলিশ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ।




লক্ষ্মীপুরে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন

প্রদীপ কুমার রায়ঃ

জেলা সদরে পারিবারিক কলহের জের ধরে দা দিয়ে কুপিয়ে বড় ভাই আবদুল হান্নানকে হত্যার ঘটনায় ছোট ভাই আবদুল মান্নানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মান্নান তার বড়ভাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। মামালার বাদি তার বাবা আবুল কালাম। আদালতে মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মান্নান সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের চরপার্বতীনগর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে হান্নান তার ছোট ভাই মান্নানকে গালমন্দ করে। এতে মান্না ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে হান্নান ও মান্নান ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা দিয়ে মান্নান তার ঘাড়ে কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই হান্নান মারা যান। খবর পেয়ে তার বাবা আবুল কালাম বাড়িতে এসে মান্নানকে ঘরে আটকে রাখে। পরদিন বাবার দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সৌপর্দ করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রানা দাস একই বছর ১৫ মার্চ আদালতে মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্ত মান্নানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।




লক্ষ্মীপুরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত : আহত ১

লক্ষ্মীপুরে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মো. হানিফ (৬৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। এ ঘটনায় বেল্লাল হোসেন নামে আরও একজন আহত হোন। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাঈন ভুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত হানিফ কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার বাসিন্দা। আহত বেলালের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হানিফ বিকেলে কৃষি কাজ করার সময় ব্জ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় বেলাল আহত হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। আহত অপরজনকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।