হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন: হত্যাকারী গ্রেফতার

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

গতকাল সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় গার্মেন্টস কর্মী কমলা খাতুনকে (২৬) শ্বাসরোধ ও দা দিয়ে পেটে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত কমলা খাতুন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রাত্রা গ্রামের মাতাব উদ্দিনের মেয়ে। সে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করত।

এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় গার্মেন্টস কর্মী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার আগিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ নিজামকে (৩০) ২০ নভেম্বর দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলার মীরের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, আসামী নিজাম বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। আসামী ও ভিকটিম একই গার্মেন্টসে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে আসামী কমলাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। এতে কমলা রাজি না হওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলার পূর্বধলা উপজেলার বালুচরা বাজারের তালতলা মোড়ে গত শনিবার রাতে তাকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে ভূড়ি কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গাজীপুরে পালিয়ে যায়।




সোনাইমুড়ী থানাপুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি –

পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার ডাকাতরা। বাংলাদেশ পুলিশ।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ সম্প্রতি ওই থানা এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম তাঁর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই ডাকাতির ঘটনা, সাত ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।

তিনি জানান, গত ২৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক সোয়া ২টা থেকে ৩ টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫জন মুখোশধারী অস্ত্রধারী ডাকাত সোনাইমুড়ী থানাধীন সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড সোনাইমুড়ী পূর্বপাড়া চাঁদ মিয়ার বেপারী বাড়ীতে ডাকাতি করে। ডাকাতরা বসতঘরের দরজার ছিটকিনি ভেঙে দেশি ধারালো ছেনি,চাকু, চাপাতি নিয়ে প্রবেশ করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাড়ির লোকদের মুখ হাত-পা বেঁধে আলমারির তালা ভেঙে ৩০.৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ডায়মন্ড সেট ২টি ও নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ১০০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ।

এ ঘটনায় বেপারী বাড়ির বাসিন্দা মো.জাকির হোসেন মানিক সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করেন। এরপর এ মামলার তদন্তভার এসআই মো. জামাল হোসেনের উপর অর্পণ করা হয়। তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান, ৩ রাউন্ড রাবার কার্তুজ,দুটি লোহার শাবল,৪টি চিকন দা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন- খোরশেদ আলম টিপু (৩৭),
মো. ফারুক (৪০), নুর কাশেম,
মো. ইউসুফ (৩৫), মুরাদ হোসেন(২৫), রুবেল ও
নুর ইসলাম।




লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের যা বললেন

পুলিশের ওপর হামলা করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সদস্যদের ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডিসেম্বর মাস আসছে। অপশক্তি মাঠে নেমেছে। অপশক্তি-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা ২৪ নভেম্বর যশোর থেকে ডাক দেবেন। আপনারা প্রস্তুত হয়ে যান।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে পারবেন না। আল্লাহ যারে রাখে তারে মারে কে? ২০ বার চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে মারতে, পারেনি। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন। মানুষ তার পক্ষে আছে, তাকে মারবেন কীভাবে!

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ফখরুল ভাই, দেখে তো মনে হয় ভালো মানুষ। আপনার মুখে মধু, অন্তরে এত বিষ কেন?

কাদের আরও বলেন, মুখের কথায় জনগণ ভোট দেবে না, কাজ দেখে ভোট দেবে।

‘আদালতের ঘটনায় বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদ করে। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তদন্ত হচ্ছে, অপেক্ষা করুন। শায়েখ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই কার সময়ে সৃষ্টি হয়েছে, কখন সৃষ্টি হয়েছে, মনে হয়েছে? জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হলো বিএনপি। আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’

বাংলাদেশে যদি আইন করে মিথ্যাচার নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে বিএনপির অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাকে পুঁজি করে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সংকট। আমরা কিছুটা বিপদে পড়েছি, অস্বীকার করি না। সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। শেখ হাসিনার মুখের কথা। তাই বলে তিনি দুর্ভিক্ষ বলেননি। তিনি বলেছেন, বিশ্ব নেতাদের বলেছি, সারা পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনী। বাংলাদেশের কথা তিনি বলেননি। তারপরও বিএনপি মহাসচিব বারবার মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার রাতে ঘুম হয় না মানুষকে বাঁচাতে। আমরা কিছু সময়ের জন্য বিপদে পড়েছি। এ বিপদ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, তিনি চেষ্টা করছেন, আমরা সমালে উঠবো। কিন্তু ফখরুলের মিথ্যা কথা কি বন্ধ হবে? মানুষকে বাঁচাতে আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। বিএনপি এটা নিয়ে অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। এখনো ৩৬ বিলিয়নের কাছাকাছি আমাদের রিজার্ভ। ৬ মাসের আমদানির টাকা আছে। সংকট মোকাবিলায় ৩ মাসের থাকলেই হয়। আমরা এটাকে অত সংকট মনে করছি না।

পোস্টার-ব্যানার তৈরি করায় নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, অনেক মানুষ এখন কষ্ট পাচ্ছে। সংসার চালাতে পারছে না। গরিব মানুষ বৈশ্বিক সংকটের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে টাকাটা দিয়ে দিতে পারতেন।

ব্যানার-বিলবোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরে এসে এত ছবি দেখলাম। হায়রে আল্লাহ!

তিনি আরও বলেছেন, কাগজের ছবি ছিঁড়ে যাবে। বিলবোর্ডের ছবি মুছে যাবে। ব্যানারের ছবিও ছিঁড়ে যাবে। হৃদয়ে নাম লেখাতে হবে। সেই নাম কেউ মুছতে পারবে না। মঞ্চ তো ভরপুর, নেতা আর নেতা। বড়, মাঝারি, পাতি নেতা; সব নেতাই মঞ্চে। নেতার ভিড়ে কর্মী চিনতে কষ্ট হয়। কর্মী তাহলে কারা? লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন দেখে মনে হচ্ছে, লক্ষ্মী যেন ফিরে এসেছে। ফিরে যেন না যায়। অকাম-কুকাম, অপকর্ম…শুধরে যান। কে কী করেন, সবার এসইআর শেখ হাসিনার কাছে আছে। কাজেই ভালো হয়ে যান। না হলে খবর আছে।




হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে নেত্রকোণা জেলা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোণা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে জেলা ব্যাপী মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার নেত্রকোনা জেলার দশটি থানায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহকারী পুলিশ সুপার অফিসার ইনচার্জরা রাস্তায় নামেন।

এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী যারা হেলমেট ব্যবহার করছেন তাদেরকে ফুল, চকলেট দিয়ে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং যারা হেলমেট ব্যবহার করছেন না তাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। হেলমেট ব্যাবহার না করলেই মামলা ও জরিমানা আদায় করা হবে।

সমগ্র নেত্রকোনা জেলার ১০ টি উপজেলায় প্রায় ১১শ মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে ফুল,চকলেট বিতরণ করা হয়। নেত্রকোনা জেলা পুলিশের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।




অবশেষে ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার

জুয়েল রহমান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বিশ্বখ্যাত ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার করে “রামনাথ বিশ্বাস স্মৃতি পাঠাগারের নামে সাইনবোর্ড টাংগানো হয়েছে ।
২১ নভম্বর সোমবার দুপুর ১২টায় বানিয়াচং উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও চেইনম্যান নূরুল আমীন উপস্থিত হয়ে খুটি পুতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন।
এ সময় বানিয়াচং থানার এসআই রাকিব হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডভূক্ত ১/১ নং খতিয়ানের ১ একর ১৬ শতাংশ ভূমি রামনাথ বিশ্বাস স্মৃতি পাঠাগারের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়,বানিয়াচং উপজলার আমীরখানী মৌজায় ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের পারিবারিক ভূ-সম্পত্তির প্রায় সাড়ে ৪ একর ভূমি দখল করে রেখেছে স্থানীয় ভূমিদূস্য ওয়াহেদ গং।
ইতিমধ্যে ৩ একরের চেয়ে বেশি ভূমি দখলদার ওয়াহদ গং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজেদের নামে রেকর্ড করে ফেলেছে।
এরমধ্যে মোট নয়টি দাগর ১ একর ১৬ শতাংশ ভূমি রেকর্ডভূক্ত করতে পারে নাই।
সেই ভূমি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে।
বিশ্ববিখ্যাত ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নর বিদ্যাভূষন পাড়ায়। তিনি বাইসাইকেলে বিশ্বভ্রমন করেছিলেন। তার লেখা ভ্রমনবিষয়ক বই রয়েছে প্রায় ৪০টির মত।
রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা দেখতে সারাদেশ থেকেই পর্যটক,সাইক্লিস্ট ও সাংবাদিকরা আসেন। কিন্তু দখলদার ওয়াহেদ ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর দূর্ব্যবহার ও হামলার কারণে বাড়িটি ঘুরে না দেখতে পেরে সবাই হতাশ হয়ে ফিরে যান।
সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর ৪ সাংবাদিক ওই বাড়িটিতে গিয়ে দখলদার ওয়াহেদ গংদের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলন, এই ভূমি আমাদের ১/১ খতিয়ানভূক্ত। এই ভূমি আমাদের দখলে রয়েছে
সময় সুযাগ এবং বরাদ্ধ সাপেক্ষে এই ভূমিতে রামনাথ বিশ্বাসের নামে স্মৃতি পাঠাগার স্থাপন করা হবে।




রামগঞ্জে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনচেষ্টা

আবু তাাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৪র্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনচেষ্টা করেছে একই বাড়ির নূর মোহাম্মদ (৬০) নামের এক বৃদ্ধ। এ ঘটনায় গতকাল ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা কুলছুম বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নুর মোহাম্মদ উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বিঘা দেলান বাড়ির মৃত আরাব আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ পলাতক রয়েছে।

২০ নভেম্বর রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বিঘা দেলান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী দেলান বাড়ির বাকপ্রতিবন্ধী অহিদ উল্ল্যার মেয়ে ও কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পার্শ্ববর্তি রহিমা বেগমের ঘরের তরকারি কাটাকাটি করে হাত ধোয়ার জন্য পুকুরে যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এসময় নূর মোহাম্মদ পুকুরের ঘাটলায় নেমে পিছন থেকে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে। পরে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ওই বাড়ির কামাল ডাক্তারের বসত ঘরের পিছনে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এসময় তার আত্বচিৎকারে রহিমা বেগম ছুটে এলে নূর মোহাম্মদ পালিয়ে যায়।

রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক বলেন, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




ফরিদপুরে ডোবা থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি –
ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি ডোবা থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার ১২ টার দিক তার লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জানা যায়, গত দুইদিন আগে তিনি তার বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিহত ব্যক্তির নাম ফজর খান। তার বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ছোলনা এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ সকালে স্থানীয়রা পুকুরে লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বেলা ১২ টার দিকে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে বিষয়টি স্থানীয়রা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিলে মৃতের আত্মীয়রা ঘটনাস্থলে আসে এবং লাশ চিহ্নিত করে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ফরিদপুরে পাঠিয়েছি। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।




নরসিংদীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নরসিংদী জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কালচারাল অফিসার শায়লা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মোঃ গোলাম মোস্তফা মিয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় “দ্যুতিময় দুয়ার” এর প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন সরকার। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ পাবে। তাই তাদের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের উন্নয়নে দেশ ও বিদেশে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এ শিশুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি কিভাবে তাদের সমাজের মূল ধারার সাথে মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করা যায়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বুদ্ধি ও অটিজম শিশুদের নাচ,গান ও কবিতায় ৩০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিশুদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।




পলাতক দুই জঙ্গি যেকোনো সময় গ্রেফতার : ডিবি

রাজধানীর আদালতপাড়া থেকে দিনে-দুপুরে দুই জঙ্গি আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

তারা নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলেন তিনি।

হারুন জানান, প্রথম ১২ জনের মধ্যে চারজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তারা প্রিপার স্প্রে ছিটিয়ে দিয়েছিল। ‌প্রাথমিকভাবে আমরা ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি করছি এবং এই ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।




একজন নির্ভীক ও মানবিক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

অঞ্জনা খান মজলিশ নেত্রকোণায় জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন এবছরের পহেলা জুলাই। চাঁদপুর থেকে নেত্রকোণায় দ্বিতীয় মেয়াদের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। মাত্র এই পাঁচ মাসের মধ্যেই জেলার সর্বসাধারণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তাঁর অসাধারণ প্রতিভা ও কর্মদক্ষতায়।

সাধারণ, শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষের কাছে প্রিয় মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি যেমন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সাধারণ মানুষের কাছেও একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

যোগদানের পরপরই আমন মৌসুম শুরু হলো। সারাদেশে সার সংকট সৃষ্টি হলো। কৃষক সাধারণের মাঝে উৎকন্ঠা দেখা গেল। তিনি কঠোর হস্তে প্রত্যেকটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে সার বাজার মনিটরিং করেন।

বিশেষ করে ধান উদ্ধৃত জেলা হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শুধু চাহিদামাফিক নয় তার অতিরিক্ত সার বরাদ্দ এনেছেন নেত্রকোনায়। বর্তমানে জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। উৎপাদনও হচ্ছে অধিক। এটা এই জেলা প্রশাসক এর অন্যতম সফলতা।

শুধু তাই নয়, নেত্রকোণার সীমান্ত এলাকার সোমেশ্বরী নদী ও মহাদেও নদের ইজারাদারদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে থামিয়েছেন অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন, করেছেন জরিমানা ও ড্রেজার বিনষ্ট এমনকি বাতিল করেছেন ইজারাও।

তাঁর নেতৃত্বে বিগত পাঁচ মাসে গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে সারাদেশের সালিশ মিমাংসায় প্রথম হয় নেত্রকোণা জেলা। এটা অন্যরকম দৃষ্টান্ত। তিনি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেন।

কলমাকান্দা সীমান্তের রাস্তা দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত ভুমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ছিলো, তিনি যোগদানের পরপরই এই জটিলতা নিরসন করে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব সরকারকে ফেরৎ দিয়ে সমাধান করেছেন দীর্ঘদিনের সীমান্তবাসীর সমস্যা।

এছাড়াও প্রতি বুধবার সারা জেলার মানুষ আশায় থাকে, কখন দেখা হবে জেলা প্রশাসকের সাথে। প্রতি বুধবার গণশুনানি হয়, পারিবারিক ও ব্যক্তি সমস্যা গুলো যখন আইনের সাহায্যে বা অন্য কোন উপায়ে সমাধান করতে পারেন না, সেই অব্যক্ত কথাগুলো নিয়ে গণ শুনানিতে আসেন একজন ভুক্তভোগী। আর তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেন তিনি।

গত ২৯ জন ২০২২ থেকে ১৬ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট ২৭৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ের অভিযোগ ৬৭টি, আর্থিক সহযোগিতা ও অনুদান ৮৮টি এবং অনান্য ১২৪ টি। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে অতি অল্প সময়ে সমাধান পেয়ে এই অভাব অভিযোগের মানুষগুলো অত্যান্ত আনন্দিত এবং সুখী জীবন যাপন করছে।এনিয়ে জেলাজুড়ে সারা পড়ে গেছে মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে। দীর্ঘদিনেও যাদের নিষ্পত্তি হয়নি সমস্যা, তাদের সমস্যার সমাধান কোন শুনানিতে অংশগ্রহণ করে পেয়েছেন এমন অনেক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন তাদের এই অভিব্যক্ত।

সাহসী পদক্ষেপের জন্য ম্যাকিয়াভেলির ভাষ্য অনুযায়ী তিনি একজন নির্ভীক, বলিষ্ঠ এবং বুদ্ধিমান প্রশাসক। আমরা সর্বোপরি মানবিক ও নির্ভীক এই সাহসী মানুষটির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।