লক্ষ্মীপুরে ১শ’ ৮৫ আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টারসহ ১শ’ ৮৫টি আশ্রয়ন কেন্দ্র ও ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে জরুরী সভা ডেকে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ আলমের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন আহম্মদ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পলাশ কান্তি নাথ, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আশফাকুর রহমান মামুনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এর থেকে মানুষ ও গবাদি পশু রক্ষায় সকল ধরণের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হবে। যারা নদীতে আছেন তাদেরকে দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৮৫টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে ৩ হাজার ২৮০ জন মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ৬৬টি মেডিকেল টিম কাজ প্রস্তুত রয়েছে। জেলার সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া ২৬০ মেট্টিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬০০ কার্টুন বিস্কুট সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উপজেলার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত কর্মস্থল এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাহায্য ডেস্ক চালু করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মোবাইল নাম্বারগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে।

নদীর ঘাটে নৌকা প্রস্তুত রাখতে হবে। যেন আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ করতে সুবিধা হয়। ঘূর্ণিঝড়ে নদী তীরে ভাঙন বেড়ে যায়। ভাঙন থেকে উপকূল রক্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।




ঘূর্ণিঝড় ‌‘সিত্রাং’ নামটি যেভাবে এলো

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দুপুরের মধ্যে দেশের ১০টি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে দেশে আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের আলোচনা। তারা আসলে জানতে চাচ্ছে কীভাবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘সিত্রাং’ হলো আর এই নামের অর্থই বা কী।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রে সৃষ্ট কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টা ৩৯ মাইলের বেশি হলেই সেই ঝড়টি একটি নাম পায়। অন্যদিকে কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মেইল ছাড়িয়ে গেলে তাকে হারিকেন, সাইক্লোন, বা টাইফুন হিসেবে ভাগ করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নাম করণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে ১৩টি দেশ (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন)।

এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড় নাম দেওয়া হয় ‘সিত্রাং’। এ নামটি  থাইল্যান্ডের দেওয়া। এস্কেপের তালিকা অনুযায়ী ‘সিত্রাং’ এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মন্দোস’। এই নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। মন্দোস এর পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোচা’। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।

আরও জানা যায়, ‘সিত্রাং’ শব্দের ভিয়েতনামি অর্থ পাতা। আবার সিত্রাং থাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের পদবিও।




বাগেরহাটে মুষলধারে বৃষ্টি, আতঙ্ক বাড়ছে উপকূলবাসীর!

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা এবং মাঝারি ধরনের দমকা হাওয়া রয়েছে।

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রে যাওয়ার।

শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালীর আব্বাস তালুকদার জানান, রোববার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টি রাতে মুষলধারায় নেমেছে। এখনও নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ের সময় কি হবে জানিনা।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহর বুনিয়া এলাকার হাফিজুর রহমান জানান, সিত্রাং যদি সিডরের মত রূপ নেয়, তাহলে আমরা খুব বিপদে পড়ে যাব। নদীবেষ্টিত আমাদের এই ইউনিয়নকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য কোনো বাঁধও নেই। জলোচ্ছ্বাস হলে অনেক জানমালের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।




ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভয়াবহ হয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভয়াবহ হয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে সমুহে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে মাদারীপুরে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির এই ধারা সারাদিন থাকবে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলা, কালকিনি, রাজৈর, শিবচর ও ডাসার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। জীবিকার তাগিদে একপ্রকার বাধ্যহয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাহিরে বের হয়েছেন তারা। এছাড়া জেলার পৌর শহরের অনেক স্থানে বৃষ্টির পানি আটকে থাকার জন্য বেড়েছে দুর্ভোগ।

শহরের কলেজ রোড এলাকায় মাথায় প্লাস্টিক জড়িয়ে রিকশা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে আব্দুল হক নামের একজনকে। তার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, ‘সব জিনিস কিন্না খাইতে হয়। ঘরে বইসা থাকলে তো কেউ খাওনা দিয়া আসবো না। রিকশা লইয়া বের হইছি এখন আল্লাহ মিলাইলে যাত্রী পাইমু।’

শরীফ বাড়ি এলাকার চায়ের দোকানি সেলিম মোল্লা বলেন, ‘ভোর থেকে এই দুর্যোগ শুরু হইছে। সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি। লোকজন তেমন বের হয় নাই। বৃষ্টি কমলে হয়তো লোকজন বের হইবো তখন হয়তো কিছু কেনাবেচা হইব।’ ডিসি ব্রিজ এলাকার লন্ড্রি ব্যবসায়ী উত্তম দাস বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে শহরে কোনো বিদ্যুৎ নাই। বিদ্যুৎ না থাকায় আমরাও দোকান খুলে বেকার বসে আছি। বিদ্যুৎ না থাকায় কাস্টমারের দেওয়া মালগুলো ডেলিভারি করতে পারছি না। বাতাস আর বৃষ্টি কমলে হয়তো বিদ্যুৎ আসবো।’

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির গতিবেগ কমে আসলেও বৃষ্টি পড়া অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া দমকা হাওয়ার সঙ্গে আকাশে রয়েছে মেঘ।




মোংলা-পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত!

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভয়াবহ হয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে সমুহে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ৮ নং বিশেষ সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় (অক্ষাংশ: ১৭.৮° উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৮৮.৮° পূর্ব) অবস্থান করছে।

এটি আজ সকাল ০৬ টায় (২৪ অক্টোবর, ২০২২) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল ভোররাত/সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।




ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ চেয়ে, নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে আকুতি

নোয়াখালী জেলা শহরের জন গুরুত্বপূর্ণস্হানে বড় মসজিদের পাশে ফুটওভারব্রিজ নির্মান জরুরি

নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ কতৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান মাইজদী বড় মসজিদ মোড় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে মাইজদী স্কুল হেলথ ক্লিনিক বরাবর স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ না করিয়া অপ্রোজনীয় স্থানে নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।

জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওভারব্রিজ নির্মাণ না করে অন্য জায়গায় নির্মাণ করলে জনগণ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে। জনসাধারণের আবেদন উক্ত ফুটওভার ব্রিজটি যদি জেলা জামে মসজিদ মোড় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে নির্মিত হয় তবে তাহা নোয়াখালী জেলা স্কুল বড় মসজিদ গার্লস স্কুল মহিলা কলেজ জজকোর্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে ষ্টেশন পাবলিক হেলথ জেলা খাদ্য অফিস সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের এবং পশ্চিম পাশে পাবলিক কলেজ হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রি কলেজ আল ফারুক স্কুল এন্ড কলেজ মাইজদী হাউজিং এষ্টেট মাইজদী বাখরাবাদ গ্যাস অফিস লিংক রোড সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পথচারী যাত্রীদের পারাপারে বেশি সুবিধা হয়। ফুটওভার ব্রিজটি বখসি মিয়াজি পোলের দক্ষিনে ও সিনেমা হলের উওরে নির্মিত হয়।

তাহলে পূর্ব দিকে পৌরবাজার মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে ষ্টেশন প্রভাতী স্কুল হরিনারায়নপুর হাইস্কুল এবং পশ্চিমে আল ফারুক স্কুল, কৃষ্ণরামপুর আবাসিক এলাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল সহ আরো কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সদরের উদয় সাধুর হাটের লিংক রোডের পথচারীদের জন্য সুবিধা হবে। জনগনের দাবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হজার ছাত্র ছাত্রীর নিরাপদে পথ চলাচলের সুবিধা হবে।এ ব্যাপারে এলাকাবাসী নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।




রায়পুরে জাতীয়পার্টির উপজেলা দিবস পালন

প্রদীপ কুমার রায়:

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বর্ণাঢ্য র্যালী করে উপজেলা দিবস পালন করেছে জাতীয়পার্টি।

সোমবার সকালে (২৩ অক্টোবর) জাতীয়পার্টির নেতা বোরহান উদ্দিন মিঠুর এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।

জাপা নেতা বোরহান উদ্দিন মিঠু বলেন, আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খোলা মাঠো গোল দিতে দেয়া হবে না। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৪ সনের এই দিনে উপজেলা প্রতিষ্ঠিত করে দেশের উন্নয়ন সূচনা করেন উল্লেখ করে জাতীয় পার্টিকে আরো সুসংগঠিত ভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

রায়পুর উপজেলা জাপার সভপাতি আনোয়ার হোসেন বাহারের সভাপতিত্ব আরো বক্তব্য রাখেন, রায়পুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান চৌধুরী, সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান ফিরোজ, পৌরসভার জাপা সভাপতি বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহাদুর ও যুব সংহতির সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ ইউপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।




চাটখিলে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মো বদিউজ্জামান ( তুহিন),নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর চাটখিল থানার উদ্যোগে রবিবার সকালে থানা চত্তরে অনুষ্ঠিত হয় কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম পিপিএম।

উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি বিল্লাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সম্প্রতি পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব পিপিএম, চাটখিল পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপি।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারমান হায়দার কাজল, এমরুল চৌধুরী রাসেল, মজিবুর রহমান নান্টু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আহসান হাবীব সমির, ভিপি মিজানুর রহমান, মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ফারুক সিদ্দিকি ফরহাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, চেয়ারম্যান বাহার আলম মুন্সী, মেহেদী হাসান বাহালুল, হারুনুর রশিদ বাহার, এস এম বাকী বিল্লাহ, আলমগীর হোসেন, মাহমুদ হোসেন তরুন, চাটখিল পৌরসভা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি
মমিনুল ইসলাম দুলাল, ইউপি সদস্য ওমর ফারুক প্রমুখ।




আরও অগ্রসর হলো নিম্নচাপ, আজ উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে

পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রবিবার উপকূলে এর প্রভাব পড়তে পারে।

‘নিম্নচাপটি আজ রবিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মােংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।’

‘নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়ার আকারে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’ ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মােংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলো এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।’




লক্ষ্মীপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

 জেলায় আজ ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে বিআরটিএ লক্ষ্মীপুর শাখার উদ্যোগে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত  হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোহিদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু।

এসময় বিআরটিএ লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: এনায়েত হোসেন মন্টু, নিরাপদ সড়ক চাই জেলা শাখার সহ-সভাপতি সেলিম উদ্দিন নিজামী, জেলা ট্রাক মালিক সমিতি সভাপতি মো: শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।