ফরিদপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি-

ফরিদপুরের বোয়ালমালী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকোমরা গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) একেএম বাচ্চু মিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জীবনের নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি (ইউএনও) থানা অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অনুরোধ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার একেএম বাচ্চু মিয়া (৭৩) প্যারালাইজড হয়ে মাইটকোমরা গ্রামের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাড়ির জমিজমা নিয়ে ছোট ভাই রঙ্গু সিকদারের পরিবারের সাথে ঝামেলা রয়েছে। এর জের ধরে বিভিন্ন সময় রঙ্গু সিকদারের স্ত্রী ও মেয়েরা তাকে অপদস্থ ও লাঞ্চিত করে থাকে। সম্প্রতি ইট নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রঙ্গু সিকদারের মেয়ে লিটা, ইভা, সুরমি ও তাদের মা বিউটি বেগম বাচ্চু মিয়া ও তার ছেলে সাইফুলে উপর আক্রমন করে।

এ সময় বাচ্চু মিয়ার দাড়ি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। পরনের লুঙ্গী খুলে ফেলে দিয়ে লজ্জাস্থানে আঘাতসহ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তাকে বাচানোর জন্য তার ছেলে সাইফুল ইসলাম একটা ডাল নিয়ে মেয়েদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। বাচ্চু মিয়া তখন বাড়ির বাইরে পড়ে থাকেন। প্রতিবেশি মজিবর সিকদার এসে তাকে (বাচ্চু মিয়া) উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে যায়। দুর্র্ধষ প্রকৃতির এ সব মেয়েদের হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানান তিনি।

একেএম বাচ্চু মিয়া বলেন, মাঝেমধ্যেই তারা আমাদের উপর আক্রমন করে। তারা খুবই দুর্র্ধষ প্রকৃতির। তারা এলাকার মাতবর, চেয়ারম্যান মেম্বারদেরও মানেনা। তাদের অত্যাচারে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। লুঙ্গী খুলে ফেলার কথা স্বীকার করে লিটা বেগম বলেন, তারাও দুর্র্ধষ প্রকৃতির লোক। মারামারি করার সময় হয়তো টানটুন লেগে লুঙ্গী খুলে গেছে। ইচ্ছা করে খুলিনি। সাইফুল বাড়ি দিয়ে তার এক বোনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। সে এখন ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আছে । এক পক্ষের যেহেতু একজন আহত আছে সেহেতু তাদের বিষয়টাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আর মুক্তিযোদ্ধা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের বলেছি আমার বরাবর অভিযোগ দিতে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




বানিয়াচংয়ে ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ

জুয়েল রহমান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের উদ্যোগে বিতরণ কার্যক্রম করা হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকান্ড এবং ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ,অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ বাবত নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয়।
উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের ৩’শ পরিবারের মাঝে ৬’শ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬ হাজার করে নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্যানেল স্পিকার এডঃ আব্দুল মজিদ খান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাস’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তজিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, আসাদুর রহমান খান, বানিয়াচং ১ নম্বর উত্তর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া,শ্রমিকলীগ নেতা রুবেল মিয়া, সাংবাদিক শাহ সুমন,ইউপি সদস্য দেওয়ান নাসির উদ্দীন চৌধুরী,সেলিম উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, প্রমুখ।




নোয়াখালী চরফকিরা ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ

মোঃ বদিউজ্জামান, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৭অক্টোবর থেকে ২৮অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষেধ তাই জেলেদের জন্য সরকারের উদ্যোগে প্রতিজন জেলেকে ২৫কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

কোম্পানীগন্জের­ চরফকিরা ইউনিয়নে ৫১০ হত দরিদ্র জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
কোম্পানীগন্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে
জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন।
বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগন্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জায়দল হক কচি মৎস্য অফিসার সত্যজিত রায়ের উপস্থিতিতে ট্যাগ অফিসার নজরুল ইসলাম ও ইউপি সচিব নাজিম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে বিতরনী অনুষ্ঠান অব্যাহত আছে। চেয়ারম্যান জায়দল হক কচি নিষ্ঠার সাথে বিতরনী সম্পন্ন করার আহবান জানান।



ষোড়শ সংশোধনী : রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে এনে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা)র আবেদন শুনানি হবে আজ ।

গত বুধবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবারের (২০ অক্টোবর) কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রাখা হয়েছে এটি। কার্যতালিকার ২২৭ নম্বর আছে এই বিষয়টি।

এর আগে গত ৮ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন। ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন।




নিহত রাবি শিক্ষার্থীর জানাজায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঢল

শহীদ হবিবুর রহমান হলের বারান্দা থেকে পড়ে নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের জানাজা কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেক) মর্গ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার জন্য লাশটি আনা হয়। পরে কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রধান ইমাম ফাহিম মাহমুদের ইমামতিতে জানাজা সম্পন্ন হয়।

জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের নেতৃত্বে মাহমুদের লাশ তার বড় ভাই গোলাম সাব্বির শাকিলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় মরদেহের দাফন কাজ সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে মরহুমের গ্রামের বাসা দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তার নিজ এলাকায় স্থানীয় কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।

গত বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রামেকের মূল ফটকের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান। এসময় দায়িত্বে অবহেলার সঙ্গে জড়িত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে যারা হাত তুলেছে তাদের বহিষ্কারে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। আন্দোলনে শিক্ষক ছাড়াও হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেন।




চট্টগ্রামে মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল কে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান

মোঃ বদিউজ্জামান, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক নির্বাচিত হওয়ায় সেনবাগ পৌর সভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল কে চট্টগ্রামস্থ সেনবাগ আওয়ামী পরিষদের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।




ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে ড্রেজার চালনার দায়ে লাখ টাকা জমিরানা

ফরিদপুর প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের চরভদ্রান উপজেলা পদ্মা নদীর চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের উত্তর চর নবাবগঞ্জ মৌজার জলমহালের তলদেশ থেকে বলগেইট সংযুক্ত বড় ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করার দায়ে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

অর্থদন্ড প্রাপ্ত ড্রেজার মালিক হলেন-পার্শ্ববতী দোহার উপজেলার দিঘিনগর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৪০)। বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫(১) ধারায় এসব জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে পদ্মা নদীর ওই জলমহালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানের অন্যান্যরা হলেন-চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল, উপজেলা মৎস্য অফিসার এসএম মাহমুদুল হাসান, মোবাইল কোর্ট পেশকার সাদ্দাম হোসেন, পুলিশ ও আনসার ব্যাটলিয়ন সদস্যবৃন্দ।
জানা যায়, উপজেলার পদ্মা নদীর ওইসব জলমহালে চরাঞ্চলের প্রভাবশালী রাশেদ চৌকদার, জিল্লু চৌকদার, বাসার মুন্সি ও ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মিলে দীর্ঘদিন ধরে বলগেইট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যাবসা করে চলছিল।

এতে আশপাশের ফসলী জমি সহ চরটি পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়লেও দেখার কেউ ছিল না। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পদ্মা নদীর ওইসব জলমহালে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধ করেন এবং নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।




লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৃথক স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে মো. আয়ান (আড়াই বছর) ও মারিয়া আক্তার (২) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।

আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের চরআবাবিল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আয়ান সোনপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ও মারিয়া চরআবাবিল গ্রামের কৃষক রেজাউল করিমের মেয়ে।

নিহত আয়ানোর বাব আলমগীর হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোরেই সবার ঘুম ভাঙে। সকাল ৭টার দিকে আয়ান উঠানে খেলছিল। এসময় পরিবারের সদস্যরা গৃহস্থলি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। উঠানের পাশেই বাড়ির পুকুর। খেলতে গিয়ে একপর্যায়ে আয়ান পুকুরে পড়ে পানিতে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর উঠানে তাকে দেখতে না পেয়ে আশপাশে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুকুরে তার দেহ ভেসে উঠে। দ্রুত আয়ানকে উদ্ধার করে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপর নিহত মারিয়ার বাবা রেজাউল করিম জানিয়েছেন, সকালেই তিনি ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ১০টার দিকে তার স্ত্রী রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় মারিয়া তার পাশেই খেলছিল। হঠাৎ করে মারিয়াকে দেখা যাচ্ছিল না। স্বজনরা সবাই তাকে বাড়ির আশপাশে খুঁজেছে কিন্তু পায়নি। খবর পেয়ে তিনিও বাড়িতে চলে আসেন। একপর্যায়ে মারিয়াকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনরা। দ্রুত মারিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান, ঘটনাগুলো দুঃখজনক। তবে কেউ আমাদেরকে ঘটনাগুলো জানায়নি।




লক্ষ্মীপুরে দুই মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরের সদর ও কমলনগরে পৃথক দুই হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

 

 

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন  পৃথক দুইটি মামলার বিষয় নিশ্চিত করেন।

অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, কমলনগরে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের টি বয় মাকছুদুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার আসামি মাহমুদুল হাসান হিরু পলাতক রয়েছে। বাকি ৪ জন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর মামলায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার দায়ে স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ের সময় দেলোয়ারও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কমলনগরে হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মোবারক হোসেন, মানিক হোসেন, মাহমুদুল হাসান হিরু, আরাফাত আরেফিন ও বাবুল হোসেন। পলাতক হিরু হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামে মৃত মহসিন মাস্টারের ছেলে।

অপর হত্যা মামলার আসামির দেলোয়ার সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের পুকুরদিয়া গুচ্ছগ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।

এজাহার সূত্র জানায়, কমলনগরের হিরুর মা রেবেকা বেগমের সঙ্গে প্রায় ৯ মাস ভিকটিম মাকছুদের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে হিরু অন্যান্য আসামিদের নিয়ে মাকছুদকে হত্যা পরিকল্পনা করে।  মাকছুদ চরলরেঞ্চ বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের টি বয় ও চরলরেঞ্চ গ্রামের এনায়েত উল্যার ছেলে। মাকছুদ বাজারের নৈশ প্রহরীর কাজও করতেন।




কুয়েতে বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ ৩য়

কুয়েতে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের প্রতিযোগীর মধ্যে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশের হাফেজ আবু রাহাত।

আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে দেশটির হোটেল রেজিন্সির হলরুমে প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে অনূর্ধ্ব ১৩ বছর ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয় আবু রাহাত।

তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের শিক্ষা ও ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল আজিজ মাজিদ, বিচারকের দায়িত্বে থাকা মিশরের ড. ফুয়াদ আবদুল মাজিদ, বিশ্বখ্যাত কারি শায়েখ ড. জিবরিল, শায়েখ জায়েদ প্রমুখ। গত ১৩ অক্টোবর কুয়েতের ওজারাতুল আওকাফের (ধর্ম মন্ত্রণালয়) সার্বিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কুয়েত, সৌদি আরব, মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেনের বিশেষজ্ঞ আলেমরা।হাফেজ আবু রাহাত সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার পইজুরি ইউনিয়নের পূর্বচর পইজুরি গ্রামের রমজান আলী সরদারের ছেলে। সে ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র।