সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নতুন অভিজ্ঞতা : সিইসি

সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে নতুন অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামীতে এ অভিজ্ঞতা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সিইসি একথা বলেন।




জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী সৈকত মাহমুদ সামছু

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

  ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা, প্রশাসনিক কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে তালা প্রতিক নিয়ে বিশাল ভোটে বিজয় লাভ করেন রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য সৈকত মাহমুদ সামছু। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহন। ভোট গননা শেষে সৈকত মাহমুদ সামছু ১৩৫ ভোটে পেযে নির্বাচিত হোন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন ভোট পেয়েছেন ১০ ভোট।

দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ ইয়াছিন আলম, ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বিল্লাল হোসেন, ফারুক হোসেন, ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইয়াসিন আরাফাত ওয়াসিম, আলী আশ্রাফ মেম্বার জানান, সৈকত মাহমুদ সামছু তফসিল ঘোষণার পূর্বে থেকে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামীলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করছেন।

বিজয়ী প্রার্থী সৈকত মাহমুদ সামছু বলেন, এ বিজয় রামগঞ্জ উপজেলার সবগুলো জনপ্রতিনিধি ভোটারদের বিজয়। এ বিজয় আমার নহে এ বিজয় সমস্ত উপজেলার জেলা পরিষদের ভোটারদের। তিঁনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন লক্ষ্মীপুর -১ রামগঞ্জ সংসদীয় আসনের এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন এমপিকে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনির হোসেন চৌধুরী, মেয়র বীরমুক্তি যোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার,কাউন্সিলরদেরকে। জেলা পরিষদ থেকে রামগঞ্জ জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করে সাফল্য মাধ্যমে আমার এ বিজয় স্বার্থকতা ফিরে আসবে।




নিবন্ধন পেতে ইসিতে এবি-পার্টির আবেদন

সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেতে আবেদন জমা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি।

আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী আবেদনটি ইসির উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খানের কাছে জমা দেন।

আবেদন জমা দেওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, আমরা মোট ৪৫ হাজার ডকুমেন্ট ইসিতে জমা দিয়েছি। নিবন্ধন পেতে যত শর্ত আছে সব পূরণের চেষ্টা করেছি।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু জানান, জামায়াত কিংবা সরকার কারো আনুগত্যে নেই এবি পার্টি।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত শর্তানুযায়ী দলের গঠনতন্ত্র, প্রস্তাবিত পতাকা ও প্রতীক, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তালিকা, ন্যূনতম   এক তৃতীয়াংশ (২২টি) জেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলার ন্যূনতম ২০০ করে অর্থাৎ সর্বমোট ২২ হাজার নিবন্ধিত ভোটার সদস্যের তালিকা, তাদের ভোটার নম্বর ও দলে যোগদানের প্রমাণ পত্র, জেলা ও উপজেলা মিলিয়ে ১২২টি দলীয় অফিসের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, দলের ব্যাংক হিসাব ও সর্বশেষ লেনদেনের স্থিতিসহ সব প্রামান্য দলিল জমা দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত নতুন দলগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ২০টির মতো দল আবেদন করেছে বলে জানা যায়।




নোয়াখালীতে যানজট নিরসনে টিআই সিরাজ-উদ-দৌলার নির্ভীক ভূমিকা

মো. বদিউজ্জামান  ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর শহর মাইজদীতে একদিকে   যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং অন্যদিকে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে ফুটপাত দখল এবং ফোরলেন সড়ক নির্মানাধীন থাকার কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়াও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার   কারনে যানজট আরও তীব্র হয়ে উঠছে। এসময় নোয়াখালীর ট্র্রাফিক বিভাগের   ইন্সপেক্টর   হিসেবে যোগদান করেন  সিরাজ-উদ-দৌলা। নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় নোয়াখালীর   সড়ককে  যানজট মুক্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন তাকে রাস্তা থেকে   যানজট নিরসনসহ ট্রাফিক বিভাগে দায়িত্বরত সার্জেন্ট ও কনস্টেবলদের দিক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। এর আগে নোয়াখালীর ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত টিআইগণকে যানজট   নিরসনে এমন ভূমিকায় দেখা যায় নি।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম পিপিএম  এর দিকনির্দেশনা টিআই সিরাজ-উদ-দৌলা যোগদানের পর থেকে নোয়াখালী শহরের যানজটের দৃশ্য বদলাতে শুরু করে। যানজটের বিষয়ে সিএনজি চালক আকবর বলেন এখন আগের মতো সড়কে যানজট হয়না, আমরাও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করিনা। বাসচালক বাবুল   বলেন,সোনাপুর থেকে ছেড়ে আসা বাস মাইজদী শহরে ঢুকলে যানজটের কারনে আমরা বের হতে পারতাম না। এখন ট্রাফিক পুলিশের কারনে বের হতে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না।   এ বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(টিআই) সিরাজ-উদ-দৌলা বলেন, নোয়াখালী শহরে যানজট মুক্ত করতে প্রতিদিন হিমসিম খাচ্ছি। তারপরও আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি নোয়াখালী  শহরকে যানজট মুক্ত   করতে।
একাজে সবার সহযোগিতা পেলে শতভাগ যানজট মুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে পারব।বর্তমান ট্রাফিক পুলিশের   কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রশংসা   কুড়িয়েছে   নোয়াখালী সুধী মহলে। জেলা শহরের   পরিবেশবিদ্  প্রতিভ দাস বলেন,   টিআই   সিরাজ-উদ-দৌলার পরিচ্ছন্ন পুলিশিং কার্যক্রমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরেছে। এক্ষেত্রে পুলিশের   পাশাপাশি পৌর মেয়র এবং রাজনীতিবিদদের   সমন্বিত সহযোগিতায় শতভাগ যানজটমুক্ত নোয়াখালী উপহার দেওয়া সম্ভব।



রামগঞ্জে হুমকী-ধামকী দিয়ে হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের উত্তর নোয়াগাঁও গ্রামের ধুপিবাড়ির ৪/৫ টি পরিবারের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে উচ্চেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যশোরের বসবাসকারী নুরুল হক। সে যশোরে অবস্থান করলেও নোয়াগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন প্রতিনিয়ত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হয়রানি করে আসছে যেন তারা নিজ বাড়িঘর সম্পত্তি ছেড়ে অন্যত্রে চলে যায়।
প্রায় তিন একর ছিয়াশি শতাংশ সম্পত্তি মধ্যে ১ একর সাড়ে ৯৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে নুরুল হক ১৯৬৭ সালের বায়নাচুক্তির একটি কাগজ দেখিয়ে নিজকে মালিক দাবি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে উচ্ছেদের জন্য হয়রানি করে আসছে।
অথচ উক্ত সম্পত্তির ডিএস,এমাআর ও আরএসসহ সকল রেকর্ডপত্র গোপাল দাস ও তার পূর্বপুরুষগনের নামেই রয়েছে।

রবিবার ১৬ অক্টোবর ২০২২ইং সরজমিন গেলে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ও স্হানীয় লোকজন জানান, একটি প্রভাবশালী গ্রুপ হুমকী-ধামকী আর ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে মাদকের নেশার আখড়া বসিয়ে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ধুপী বাড়ি থেকে কয়েকটি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গোপাল দাসসহ ঐ বাড়ির লোকজন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে জনৈক বাদী নুরুল হকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় মোহাম্মদ আলী লোকবল নিয়ে ওই হুমকী-ধামকী আর মাদক ও নেশার আখড়া চালিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন। এমতাবস্থায় পরিবার গুলোর নারী শিশু সদস্যরা দৈনন্দিন চলাচলসহ পুকুরে গোসল করা দূরহ হয়ে পড়েছে।

জানাযায়, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে নুরুল হক ১ একর সাড়ে ৯৪ শতক সম্পত্তি নিজ মালিকানা দাবি করে ১৯৯২ইং সালে লক্ষ্মীপুর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করে যাহা ১৯৯৭ইং বাদীর আরজি যথাযথ নয় বলে খারিজ করে দেয়। ঐ বছরই উক্ত মামলা লক্ষ্মীপুর জজকোর্টে বাদী আপিল করেন, যাহা ১৯৯৮ইং সালে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে মামলাটি পূনরায় খারিজ করে দেয়। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে চলমান রয়েছে।

ভুক্তভোগী গোপাল দাস আরো বলেন, দীর্ঘ বেশ কয়েকযুগ থেকে আমরা বংশনুক্রমে উক্ত সম্পত্তিতে বসবাস ও ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ গত ত্রিশ বছর থেকে নুরুল হক একটি বায়না চুক্তি নিয়ে মোহাম্মদ আলী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন আমাদের অযথা হয়রানি করে আসছে।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী বলেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান। রায়ের পরই বলা যাবে এই সম্পত্তি কার? অপরদিকে মামলার বাদীর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এজন্য আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই আমরা মেনে নিবো।




জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী যারা

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলনগর (ওয়ার্ড নং ৫) সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে (তালা) প্রতিকে মনিরুল ইসলাম রিপু তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন মোল্লা (পানির কল) প্রতিকে পেয়েছে ৪৫ ভোট, অন্য প্রার্থী ফয়সল আহমদ রতন (হাতি) প্রতিকে পেয়েছে ২৫ ভোট। বেসরকারিভাবে ০১ ভোট বেশি পেয়ে মনিরুল ইসলাম রিপু নির্বাচিত হন।

এদিকে, রামগতি উপজেলায় (ওয়ার্ড নং ৪) মেজবাহ্ উদ্দিন (ভিপি হেলাল) সাধারণ সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতিকে ৬৩ ভোট ও আমজাদ হোসেন (তালা) প্রতিকে ৪৪ ভোট  পেয়েছেন। ১৯ ভোট বেশি পেয়ে মেজবাহ্ উদ্দিন (ভিপি হেলাল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

সংরক্ষিত (ওয়ার্ড নং ২) মহিলা প্রার্থীর মধ্যে (ফুটবল)প্রতিকে ১৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে শারমিন জাহান অরিন।

জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার  হোসেন আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




কমলনগরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রিপু নির্বাচিত 

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলনগর উপজেলায় সাধারণ সদস্য হিসেবে ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে মনিরুল ইসলাম রিপু, গিয়াস উদ্দিন মোল্লা পেয়েছে ৪৫ ভোট, ফয়সাল আহমেদ রতন ২৫ ভোট পেয়েছে।

এছাড়াও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬৪ পেয়ে শারমিন জাহান অরিন এগিয়ে, ফারভিন আক্তার পেয়েছে ৩৩ ভোট, উম্মে কুলসুম পেয়েছে ১৩ ভোট, ফরিদা ইয়াসমিন লিকা পেয়েছে ৬ ভোট।

কমলনগর উপজেলায় এই প্রথম ১৭ অক্টোবর (সোমবার) সকাল ৯টায় ইভিএম জেলা পরিষদে সদস্য (ওয়ার্ডনং-৫), নারী সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং-২ মাধ্যমে গ্রহণ শুরু হয় এতে নয়টি ইউনিয়নে সদস্য ৮১ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য ২৭ জন, ইউপি চেয়ারম্যান ৯ জন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানসহ ১শ ২০ ভোট, এর মধ্যে ৮নং চর কাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ কেন্দ্রে আসেনি ও ১নং কালকিনি ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য শামসুল আলম, ২নং সাহেবের হাট ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মারা যাওয়ায় সর্বমোট ১শ ১৭ ভোট গ্রহণ করে হয়।

জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।




ভোটগ্রহণ শুরু ৫৭ জেলা পরিষদে

দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।




নরসিংদীর পলাশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সব পুড়ে ছাই

নরসিংদীর পলাশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সব পুড়ে ছাই

মোঃ মোবারক হোসেন , নরসিংদী প্রতিনিধি:

 নরসিংদীর পলাশে আব্দুর রহমান নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর বাড়ির ১৩টি রুম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার (১৬ অক্টোবর ) রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের চরকার ১নং গেইট এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পলাশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোঃ হাদিউল ইসলাম শুভ।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কাজিরচর গ্রামের চরকা ১নং গেইট এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের বাড়ির সাথেই পল্লীবিদ্যুতের একটি খুঁটির ট্রান্সফরমারে সর্ট সার্কিট দেখা দেয়। পরে ট্রান্সফরমার থেকে নিচে থাকা আব্দুর রহমানের তিনটিসহ ভাড়াটিয়াদের ১৩টি সেমি পাকা রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় তাদের রুমে থাকা ১৩টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে প্রাণের চরকা টেক্সটাইল মিলের ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময়ের মধ্যে ১৩টি রুম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের টিম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা ধারণা করছেন এই অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের-উল হাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান।

পলাশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোঃ হাদিউল ইসলাম শুভ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয়দের সহায়তায় চরকা মিলের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি সেমি পাকা রুম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । এসময় ভাড়াটিয়ারা কর্মস্থলে থাকার কারণে তারা মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। বাড়ির মালিকের সদস্যরা এসময় বাসায় ছিলেন না। তিনি আরোও জানান, এই ১৩টি রুমের জন্য মাত্র ১টি বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।




ফরিদপুরে অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের ৩টি গরু আগুনে পুড়ে মারা গেছে

ফরিদপুর প্রতিনিধি-

চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের মধুফকিরের ডাঙ্গী গ্রামে আগুনে পুড়ে তিনটি গরু মারা গেছে। কৃষকের পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”

শনিবার (১৫অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে কৃষক নুরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রব জানান, রাতে মধু ফকির ডাঙ্গী গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলামের বাড়ির গোয়াল ঘরের মধ্যে থাকা মশা মারার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে সেখানে থাকা কিছু কাঠ-খড়িতে ধরে যায়।এতে ঘরের মধ্যে থাকা ৩টি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়। তাতে কৃষকের পাচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”দিনমজুর কৃষকের তিনটি গরু মারা যাওয়ায় পরিবারের সব সদস্যের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয় গাজিরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।