বুধবার ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় তার ভারত সফর পরবর্তী প্রেস কনফারেন্স (সরাসরি) করবেন।

উল্লেখ, গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়।  প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। স্মারক সই শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেন। সফর শেষ প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দেশে ফিরেন।




নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আর নেই

দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না……..রাজিউন)।

আজ নসোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নাসির উদ্দিনের বড় ভাইয়ের ছেলে কিবরিয়া বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নাসির গ্রুপ একটি বাংলাদেশি বৃহত্তম শিল্প সংস্থা। যা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ১৯৭৭ সালে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেন। একে একে এই গ্রুপে গড়ে উঠে গ্লাস শিল্প, তামাক, মুদ্রণ ও প্যাকেজিং, এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ইত্যাদি খাতের ব্যবসা।




রামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি ঘর নির্মাণের নামে লুটপাট

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত বীর নিবাস নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও কংক্রিটের ব্যাবহার এবং রড, সিমেন্ট এর পরিমান কম দেওয়া সহ বরাদ্ধকৃত অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ডি এন এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ব শেখপুরা শেখের বাড়িতে বীর নিবাস নির্মাণে এমন অনিয়ম করেছেন ঠিকাদার। এমন ঘটনা ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন এর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ১২সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে সরেজমিনে গেলে দেখা য়ায়, ভবনটির নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। ৬ ইঞ্চি ভিম ঢালাইয়ের কথা থাকলেও ৪ ইঞ্চি ঢালাই দিয়েই সিংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নির্দেশে ইট ঘেঁতেছেন শ্রমিকরা। জানা গেছে, মজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মান করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। যার নামকরণ করা হয় ‘বীর নিবাস’। রামগঞ্জ উপজেলায় প্রথমধাপে ৬৯ টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে প্রতিটি ঘরে নির্মানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা। এর মধ্যে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে ৯ ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৯ টি ঘরের মোট ব্যায় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪শত আটত্রিশ টাকা। উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করে বলেন , মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘বীর নিবাস’ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে। এতে বরাদ্দকৃত ঘর পেয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। ভুক্তভুগী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ঠিকাদার ব্যবসায়ী আবু ছিদ্দিক মুন্না নিজের ইচ্ছা মত কাজের মধ্যে অনিয়ম করে যাচ্ছে। রড সিমেন্টের পরিমান কম দিয়ে বালির পরিমান বেশি দিচ্ছে। অধিকাংশ নিন্মমানের ইট ব্যবহার করছে। কারো কোনে কথাই শুনছেন না তিনি।

ঠিকাদার ব্যবসায়ী ডি এন এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকার, মোঃ আবু সিদ্দিক মুন্না জানান, সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে সমন্ময় ও যোগাযোগ রেখেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দীলিপ দে বলেন, লিংটন ঢালাইয়ে কিছু অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো ভেঙে পূনরায় নির্মান করে দিবে ঠিকাদার।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্নে হাবীবা মীরা বলেন, বীর নিবাস নির্মানে অনিয়মের একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেখানে সমস্যা হয়েছে সেখানেই রিকভারি দেওয়ার জন্য ঠিকাদার ব্যবসায়ীকে বলেছি। পুনরায় এমন কোনো অভিযোগ পেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




বরগুনার ডিসি সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি-

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে বরগুনার সহকারী জেলা জজ আদালতে মামলাটি করেন নজরুল ইসলাম সড়কের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবুল কালাম।মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেয়া জন্য সোকাস সহ মূল নথি তলব করেছেন বিচারক। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন বরগুনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কাওসার উদ্দিন ও এসিল্যান্ড নিজাম উদ্দিন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বরগুনা শহরের এস এ অথবা আর এস খতিয়ানে রেকডভূক্ত ৩২ একর জমি খাশ খতিয়ানে নিয়ে একশনা বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন । এজন্য তারা আদালত এবং ভূমি অফিসে বেশ কয়েকটি মামলা দিয়েছে স্থানীয় জমির মালিকদের বিরুদ্ধে যারা ৭০ থেকে ১০০ বছর ধরে জমিতে বসবাস করছে। তাদের রেকড বাতিল করে শহরের সকল জমি খাশ খতিয়ান করার জন্য ভূমি অফিসে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরের জমির মালিক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন , এটা প্রশাসনের এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। এভাবে ডিসি কতৃক ব্যবসায়ীদের মামলা দিয়ে হয়রানির কারনে ইতিমধ্যে একজন ব্যবসায়ীর মা স্ট্রোক করেছেন তিনি এখন মৃত্যূ পথযাত্রী। বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউএনও সদর কাওসার উদ্দিন এবং এসি ল্যান্ড মোঃ নিজাম উদ্দিন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সুকৌশলে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বরগুনা জেলা শহরের সকল স্থাপনা ঘরবাড়ি মার্কেট দোকানপাট এসএ খতিয়ান ও ১৯৬২ সাল হতে দখলীয় সৃজিত খতিয়ানের ভুমির মালিকদের ১ নং খাস খতিয়ানে নেয়ার জন্য গোটা শহরের ৩২ একর ভুমি খাস খতিয়ানভুক্ত করার জন্য জনসাধারণকে নোটিশ দিচ্ছে এবং কিছু মামলা করেছে। নির্বাচনের পূর্বে এইসব কর্মকান্ড সরকারী চেয়ারে বসে অপকৌশলে সরকার বিরোধী উস্কানি মূলক কাজ, এতে করে মানুষ ধীরে ধীরে সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ হচ্ছে। তার কারন ৬০- ৭০ বছর যাবত নির্বিঘ্নে খাজনা কর পরিশোধ করে যারা বসবাস ও ব্যবসা করছেন তাদের খাসখতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা অবিচার। এটা শেখ হাসিনার সরকারের আদর্শে যায় না।

এ বিষয়ে বরগুনার সহকারী কমিশনার নিজাম উদ্দি বলেন, ৩২ একর ভূমি খাশ খতিয়ানে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবাইকেই একে এক নোটিশ দেয়া হবে। আমার এখানে শুনানী হবে পরে কেউ ক্ষুদ্ধ হলে এডিসি রাজস্ব অফিসে শুনানী করতে পারবেন। এরপরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শুনানী হবে সেখান থেকে ভূমি কমিশনেও যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আদালতে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালত যে নির্দেশনা দিবেন তা আমাদের মানতে হবে। আদালত স্থগিত করলে আমরা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখবো।




আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ফারুক হোসেন

ফরিদপুর প্রতিনিধি –

ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ১৭ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে শনিবার চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন করা হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, ১৪ জনের মধ্যে ফরিদপুরের জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফারুক হোসেন। যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালনের পর কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। স্কুলজীবন পার করে ফরিদপুরের ইয়াছিন কলেজের ছাত্রাবস্থায় ফারুক হোসেন ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮০ সালে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৮১ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।

১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত টানা ৪ বছর এরশাদ শাসনামলে তিনি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৩ সালে জেলে থাকা অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হন। জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৮৬ সালে যুবলীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সভাপতি ও তার পরের বছর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হন। ২০০০ থেকে ২০০৩ সময়ে তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ২০১২ সালে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ জানান, জেলায় যারা মনোনয়ন কিনেছিলেন আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকেই যোগ্য। তবে এর মধ্য থেকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমরা সবাই তাকে নিয়ে আগামী দিনে নির্বাচন জয়লাভ করবো।

ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারুক হোসেন পল্লী নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ করেছি, যুবলীগ করেছি- দলীয় প্রধান আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যেভাবে দলীয় কর্মীদের পাশে থেকেছি, আজ এই নির্বাচনে দলীয় কর্মীরা ঠিক তেমনি আমার পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ। তফসিল অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর।




নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি পিন্টু

মো. বদিউজ্জামান (তুহিন)নোয়াখালী-
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি  তৃণমূলের নেতা আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।
শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডে তাকে এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে আওয়ামীলীগ  দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে ৬১ জেলা পরিষদের  আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয় । আ. লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এটি নিশ্চিত করা হয়। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে  জানতে চাইলে নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারকে জানান,আমাকে এ পদে মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন  শেখ হাসিনা  নোয়াখালীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সফল সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আমার জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু রাজনীতির পাশাপাশি একজন ক্রীড়া সংগঠক। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচিত সদস্য। নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। এ দিকে বিভিন্ন  সরকারি বেসরকারি সংগঠন  আ. লীগ ও অঙ্গসংগঠনের তৃণমূলের নেতা  কর্মীরা এ নেতাকে মিষ্টি মুখ করিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।



সোনাইমুড়ীতে গ্রাম ভিত্তিক আনসার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ

মো. বদিউজ্জামান-
শান্তি,  শৃংখলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তা সর্বত্রই আমরা এ বিষয়কে সামনে রেখে ১১ সেপ্টেম্বর গ্রাম ভিত্তিক অস্ত্র বিহীন আনসার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ ২০২২অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর-রশিদ। উক্ত অনুষ্ঠানে  কিশোর গ্যাং,  মাদকদ্রব্য, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ বিরোধী আলোচনা হয়।



ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিব উদ্দিন রসি

হাসিব উদ্দিন রসির বাবা ১৯৯৬ সালে খালেদাজিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন চলাকালে ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন আব্দুল আলিম তখন তিনি লালবাগের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

 তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বাসায় গিয়ে শিশু হাসিব রসিকে কোলে নিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

হাসিব উদ্দিন রসি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে, সে কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও সর্বশেষ সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে সততা ও নিষ্ঠার সাথে।

তাকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করায় লালবাগ এলাকাবাসী ও আওয়ামীলীগ এর নেতাকর্মীরা আনন্দিত।

হাসিব উদ্দিন রসি জানান, আমার বাবা’র রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে বাধ্য।




কলাপাড়ায় দিনমজুর আব্দুল আজিজের গাভীর জমজ বাচ্চা!

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের একটি গাভী একত্রে দুইটি বাচ্চা দিয়েছে এতে করে এলাকায় তুলকালাম শুরু হয়েছে।
আজিজ পেশায় একজন দিনমজুর কামলা আর গাবুর খেটেই চলে তার সংসার। কিন্তু নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে একটু সাবলম্বী হওয়ার প্রচেষ্টায় পয়সা জমিয়ে কোন মতে একটি গাভী কিনে যত্ন সহকারে প্রায় দেড় বছর লালন পালন করলে গাভীটি এক সময় এসে একত্রে দুটি বাচ্চা প্রসব করে।
এতে করে গ্রামবাসির মাঝে যেন কৌতুহলের শেষ নেই। প্রতি নিয়ত গ্রাম কিংবা দুর গ্রামের অনেক মানুষ আসে গাভীর বাচ্চা দুটোকে দেখতে, অনেকেই আবার বলে উঠে আব্দুল আজিজের ভাগ্য ফিরেছে। এ কথায় আব্দুল আজিজ আনন্দিত তার আশা ছিল গাভীর দুধ বিক্রি করে কিছুটা সংসার খরচ হবে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি দুটো বাচ্চা একত্রে হওয়ায় কাজের পাশাপাশি তার গাভীও ও গাভীর বাচ্চা দুটোর পরিচর্যা করেন খুবই যত্ন সহকারে।
আব্দুল আজিজের সাথে বললে তিনি জানান, অনেক বড় স্বপ্ন নিয়েই কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে গাভী কিনেছি। আল্লাহ পাক আমার চাহিদার বাহিরে আমাকে দান করেছেন, আমি আশাবাদী এই গাভী দিয়েই আমার ভাগ্য পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ।



লক্ষ্মীপুরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ পাঁচ জন আটক

লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

আজ রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ মিট দ্যা প্রেসে এ তথ্য জানান।

আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন- রায়পুরের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের মোবারক হোসেন, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের মো. বেলাল, পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. ছাত্তার, চাঁদপুরের কচুয়ার চাংপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম রবু ও একই এলাকার মো. সোহেল।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে জেলার মীরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ মোবারক হোসেন, বেলাল হোসেন ও ছাত্তারকে আটক করে পুলিশ। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের হেফাজত থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল পাঁচটি উদ্ধার করা হয়। পরে চাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে বাকি দু’জনকে আটক করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক চুরির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে বলে জানায় পুলিশ সুপার। তারা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপস) মংনেথোয়াই মারমা, ডিআইও-১ আজিজুর রহমান মিয়া, সদর থানার ওসি মোস্তফা কামাল ও ডিবি ওসি শাহাদাত হোসেন টিটো প্রমুখ।