ফজুমিয়ারহাট উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, পরীক্ষায় বাধা!

 মোঃ ইব্রাহীম, কমলনগর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফজুমিয়ারহাট উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ তিন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রাধন শিক্ষক আবদুস শহিদসহ স্কুল কমিটির বিরুদ্ধে।

এঘটনায় তিনজন চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি; এমন অভিযোগ এনে তারা জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে তিন চাকরি প্রার্থী মো. শরিফ, ফরিদ উদ্দিন ও আজিম উদ্দিনকে অজ্ঞাত কয়েকজন লোক আটক করে রাখে। এরই মধ্যে পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়া তারা নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেনি। শরিফ জানান, প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদ তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রণ না করার অনুরোধ করেন। পরিকল্পিতভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দিতে এমন অনিয়ম করছেন। ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজেই আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন যাতে আমি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করি। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি প্রার্থী মো. রাশেদ বলেন, সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। পরীক্ষার আগের রাতে তাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। কমলনগর উপজেলার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর নবী চৌধুরী বলেন, লোক দেখানোর জন্য নিয়োগ পরীক্ষা।

স্কুল কমিটি ও প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদ বলেন, তিনজন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে চলে গেছেন, কেনো ফিরে গেছেন জানেননা। অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।

কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বাকি দুই পদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মতিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অনিয়ম প্রমানিত হলে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে।




রামগঞ্জে অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নাম অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা থাকার সুবাদে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়টি ৯সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) স্থানীয় রামগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এসংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাব্যাপী সর্ব মহলে চরম ক্ষোভ এবং নানান সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাগন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়,জামুকা,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক, রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল চেয়ে আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় এবং লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ১৪ আগষ্ট ২০২২ইং এক স্বারক পত্রে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটিকে তার মুক্তিযুদ্ধের সকল বিষয় যাচাই বাচাই করে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।

সূত্রে জানাযায়, তালিকাভূক্ত বীর মুক্তিযুদ্ধা তোসাদ্দেক হোসেন ও আবদুর রব গত ২ আগষ্ট ২০২২ইং সাবেক করকমিশনার সুলতান মাহমুদের মুক্তিযুদ্ধের গেজেট বাতিল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও জামুকা বরাবর আবেদন। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তাদের প্রত্যেকের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে একে অপরের সাথে চেনাজানা রয়েছে। কিন্তু সুলতান মাহমুদ তখন নোয়াখালীর মাইজদীতে অবস্থান করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতাও করে নাই।

তারপরও সে দেশের সর্বচ্চ করকর্মকর্তা কর কমিশার থাকার সুবাদে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে নিজের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গেজেট নং ৫৪ এ অন্তর্ভূক্ত করে নেয়। যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য তোসাদ্দেক হোসেন মানিক মাল বলেন, আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনা,স্বাধীনতার লাল-সবুজের পতাকা আমরা ছিনিয়ে এনেছি অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে,এই স্বাধীন বাংলার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের কেথাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুন্ঠিত করতে দেয়া হবেনা। সুলতান মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধ করেননি,মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অনৈতিকভাবে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আকম রুহুল আমিন বলেন, সুলতান মাহমুদ কোথায় যুদ্ধ করেছে তাহা আমার জানা নেই। যুদ্ধ চলাকালীন ডিপুটি কমান্ডার আবুল হোসেন সুফি বলেল,যুদ্ধের সময় আমি রামগঞ্জ- চাটখীল এলাকার সকল ক্যাম্প এবং গ্রুপের সাথে সার্বক্ষিক যোগাযোগ ও নির্দেশা দিয়েছি। কিন্তু সুলতান মাহমুদ কোথায়ও ছিলো না। অভিযুক্ত সাবেক করকমিশনার সুলতান মাহমুদ দেশের বাহিরে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবিবা মীরা বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক সুলতান মাহমুদ প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা কিনা তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।




পূর্বধলায় ছেলের পরিকল্পনায় পিতাকে নৃশংস হত্যা জড়িতরা গ্রেফতার

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোণার পূর্বধলায় ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ (৪৫)কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৪জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

 মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহত আব্দুল আজিজে ছেলে বিপ্লব (১৯) কে গ্রেপ্তারের পর বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরিপুর এলাকা থেকে বিজয় কর্মকার (১৯), মোঃ তরিকুল ইসলাম (১৮) ও মোঃ আজহার মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৪। গ্রেপ্তারকৃত বিজয় কর্মকার ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলাধীন মইলাকান্দা গ্রামের শংকর কর্মকার’র ছেলে, মোঃ আজহার মিয়া একই গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে, তরিকুল ইসলাম পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জস্থ এমদাদুল হকের ছেলে ও বিপ্লব উপজেলার মানিকদি গ্রামের খুন হওয়া আব্দুল আজিজের ছেলে। জানা গেছে, গত (১ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আব্দুল আজিজ ওই ইউনিয়নের মানিকদি গ্রামের মৃত তালেব হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় শ্যামগঞ্জ বাজারে পোল্টি খাদ্যের ব্যবসা করতেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেত্রকোণা জেলা পুলিশ জানায়, পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারে তার “আব্দুল আজিজ ট্রেডার্স” নামীয় একটি পোল্ট্রি ফিডের দোকানে প্রতিদিন ছেলে বিপ্লবকে নিয়ে আব্দুল অজিজ দোকানে যান এবং রাত আনুমান ৯টার সময় ছেলেসহ বাড়িতে ফিরেন। ঘটনার দিন সারাদিন মালামাল বিক্রি শেষে রাত অনুমান ৯টার সময় ছেলেসহ বাড়ী ফিরেন। বাড়িতে এসে আব্দুল আজিজ বাথরুমে যান এবং বাথরুম থেকে বের হয়ে ছেলে বিপ্লবের খোঁজ নেন। বিপ্লব ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার তথ্যে ছেলের খোঁজে বের হন এবং ছেলের মোবাইলে ফোন দেন। মোবাইল ফোনে আব্দুল আজিজ জানতে পারেন শ্যামগঞ্জ বাজারের সন্নিকটে কুতুবপুর সাকিনস্থ শ্মশানঘাট নামক স্থানে বিপ্লবের অবস্থান। এ কথা শোনে আব্দুল আজিজ সেখানে গমন করেন। তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিকল্পনা মতো ছেলে বিপ্লব এবং আজাহার পেছন দিক থেকে তার হাত ধরে এবং অন্যরা গলায় গামছা পেঁচিয়ে দুই দিক থেকে টেনে ধরে। পরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ভিকটিমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় পাশের একটি পুকুরে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাইনিজ কুড়াল দুটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বিপ্লব তার ভগ্নিপতি (বড় বোনের জামাতা) সোহেল মিয়াকে ফোন করে জানান কে বা কারা তার বাবাকে কুপিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে বিপ্লবসহ তাদের নিকটাত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল আজিজের মাথায় ও কানের পাশে কুপানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল অজিজকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে র্যাব জানায়, নিহত ব্যবসায়ীর ছেলে বিপ্লব মাদকাসক্ত। তাই বাবা তাকে তিরস্কার ও গালমন্দ করতেন বলেই তিনি বাবাকে খুনের পরিকল্পনা করেন। আসামিদের পূর্বধলা থানায় সোপর্দ করা হচ্ছে বলেও জানান র্যাবের অধিনায়ক। এর আগে ব্যবসায়ীর স্ত্রী বকুল বেগম স্বামীকে খুনের ঘটনায় পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেছিলেন। নেত্রকোণার নবাগত পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অতি অল্প সময়ে ক্লুলেস এ খুনের রহস্য উন্মোচিত হওয়ায় জনমনে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।




দুবার স্থগিতের পর রায়পুরে বিএনপির সমাবেশ

প্রদীপ কুমার রায়ঃ

দুবার বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে পরে স্থগিত করেছিল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা বিএনপির।

অবশেষে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাসভবনের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জ্বালানি তেল, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নেতা–কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতির কৃষি অফিস রোডের বাসভবনের আশপাশে অবস্থান নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সমাবেশ চলে। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির নেতারা হঠাৎ সমাবেশের ঘোষণা দেন।

পরে বৃহস্পতিবার সকালে নেতা-কর্মীদের উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাসার সামনে সমাবেশে যোগদানের জন্য বলা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া। সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জেড এম নাজমুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি এ বি এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল জাহের প্রমুখ। মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও প্রশাসনের অনুরোধে দুবার বিএনপির কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময় আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ বানচাল করতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছিল। আজ শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির কর্মসূচি শেষ হয়েছে। অবৈধ সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এর আগে গত ২৪ আগস্ট জ্বালানি তেল, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময় একই স্থানে আওয়ামী লীগ শোকসভা ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।

পরে বিএনপি তাদের সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করে। তবে আওয়ামী লীগ যথারীতি তাদের শোকসভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর ২৯ আগস্ট বিকেলে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা ও পৌর বিএনপির এবং সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে হঠাৎ ওই দিন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শোক সভার ঘোষণা দিলে বিএনপি আবার কর্মসূচি স্থগিত করে।




পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রামগঞ্জে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রামগঞ্জ উপজেলার উদ্যোগে জ্বালানী তেল, পরিবহনে অধিক পরিমাণে ভাড়া বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি ও দেশ ব্যাপী বিএনপির শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলার নুর আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের শাওন হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৮সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে ভাদুর ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহম্মেদের বাস ভবনের সামনে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুর রহিম, ভিপি বাহারের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূইয়া।

এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মনির আহমেদ তফাদার, পৌর সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য তোফায়েল আহমেদ, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু,জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিয়াজী,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জহির রায়হান বাবুসহ প্রমুখ। এসময় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, তাঁতি দল ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




নরসিংদীতে মাদক ও ট্রাকসহ দুই মাদক কারবারি আটক

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধ:

নরসিংদীর ভেলানগর এলাকা থেকে র্যাব-১১ সিপিএসসি এর অভিযানে ১০৮ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার ( ৭সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ০০.২৫ মিনিটে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১১ এ তথ্য জানায়। আটকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলোঃ- চাঁদপুর সদরের শহীদ মফিজ উদ্দিন সড়কের ৯ নং ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ি বিষ্ণুন্দী এলাকার মোঃ জয়নাল বেপারীর ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন বেপারী (৩০) ও চাঁদপুরের কচুয়া থানার আটমোর হাজী বাড়ি এলাকার মোঃ হারুন অর রশীদের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন (৩৮)।

্যাব-১১ এ তথ্য জানায়, ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ২৫ মিনিটে র্যাব-১১, নরসিংদীর একটি চৌকস আভিধানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেলানগর সাকিনস্থ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ঢাকা বাস স্ট্যান্ডের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মাদক ব্যবসয়াী মোঃ ফারুক হোসেন ও ইকবাল হোসেন ব্যাপারীকে ১০৮ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়। র্যাব জানায়, আটকের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য আনুমানিক ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও ফারুক হোসেন বেপারীর কাছ থেকে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকের মূল্য আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা, মাদক বিক্রয়ের জন্য নগদ ১৮ হাজার ৪০০টাকা, ৪টি মোবাইল এবং ৪টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় আটককৃত আসামীরা পেশাদার আন্তঃজেলা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে এলাকায় তাদের ব্যপক জনশ্রুতি আছে। তারা প্রতিনিয়ত কুমিল্লা থেকে এ ধরনের মাদক এনে বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করে।

নওগাঁ জেলায় ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নরসিংদী সদরের ভেলা নগর বাস স্ট্যান্ডের মহাসড়কে তাদের হাতেনাতে আটক করে র‌্যাব-১১। আটককৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় র্যাব।




জাতীয় ধারাভাষ্যের মঞ্চে রাজীবপুরের পলাশ

সাব্বির মামুন,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ভাবুন আপনি খেলা দেখছেন কিন্তু কোনো ধারাভাষ্য নেই তাহলে কেমন হবে? নিশ্চয়ই আপনার বুঝতে বাকী নেই। অর্থাৎ ধারাভাষ্য একটি শিল্প যা কোনো খেলাকে আরও উপভোগ্য ও প্রানবন্ত করে তোলে। আর এই মহান দায়িত্ব পালন করে ধারাভাষ্যগণ।

সম্প্রতি জাতীয় মিডিয়ার হয়ে এই প্রথম দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা সদরের সবুজবাগ গ্রামের শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসাইন পলাশ। বাংলাদেশ বেতারে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এক প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন।

এসম্পর্কে পলাশের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন,অষ্টম শ্রেণী থেকেই রাজীবপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ধারাভাষ্য ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতাম।সে-সময় বাংলাদেশ বেতার বা বিটিভিতে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত, খোদাবক্স মৃধাসহ গুনী ধারাভাষ্যকারদের ধারাভাষ্য শুনতাম।

কিন্তু ভাবিনি আমিও কখনও বাংলাদেশে বাংলা ধারাভাষ্যের অন্যতম এই শীর্ষ স্থানটিতে ধারাভাষ্য দেব। আলহামদুলিল্লাহ, রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার আহবানে জাতীয় মাইক্রোফোনে ধারাভাষ্য  দেব এটা ভাবতেই এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। যারা দোয়া ও সাহস যুগিয়েছেi তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নবাগত এই জাতীয় ধারাভাষ্যকার। শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসাইন পলাশ রফিকুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা বেগমের বড় সন্তান। এছাড়াও আসমাউল হুসনা (শাপলা) নামের তার একটি বোনও রয়েছে।তিনি সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত করেছেন।

তবে তার এমন অর্জনে আনন্দের জোয়ার বইছে উপজেলার খেলোয়াড় থেকে শুরু করে তরুন-তরুনীদের মনে।তারা বলছেন,আমরা সত্যিই আজ অনেক আনন্দিত আমাদের এলাকা থেকে এই প্রথম কেউ জাতীয় ধারাভাষ্যে। পলাশের বাবা-মা বলছেন,ছোট বেলা থেকেই ওর এটার প্রতি অনেক নেশা ছিলো। কোনো বাঁধা দিয়েই আটকানো যেতো না,কোনো অনুষ্ঠান বা খেলা হলেই ছুটে যেতো, আবার মাঝে মাঝে লোকজন বাসায় এসে ডেকে নিয়ে যেতো। ও আজ এমন জায়গায় যাবে আমরা কখনও ভাবিওনি। আমরা আজ অনেক আনন্দিত। আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।




মৃত ভেবে ফেলে গেল,বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হামলা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম কলাতলা গ্রামে জমি সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বশির হাওলাদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে।

পরে মৃত ভেবে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারিরা। মঙ্গলবার(৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত ভেবে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। আহত বশির হাওলাদারের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, রাতে আমার স্বামী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। রাত থেকেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান পাই না।

বুধবার সকাল ৮ টার দিকে এ হাসপাতাল থেকে এক নারী আমাকে মোবাইলে কল দিয়ে বলেন, আপনার স্বামী পাঁচ তলায় ভর্তি, তার অবস্থা ভাল না, আপনারা দ্রুত আসেন। তখন আমি আমার স্বামীর সাথে কথা বললে সে বলে, তাকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে গেছে। আহত বশির হাওলাদার বলেন, রাতে আমি ঘর থেকে বের হলে আমাকে রেজাউল মাতব্বরের ছেলে শাহিন মাতুব্বর ও সাদ্দাম সহ ৭ জন আমার মুখ চেপে পাশের মাঠে নিয়ে যায়।

এরপর শাহিন আমাকে রড, ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপায়। আমি তখন তাদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাইলেও তারা শুনে নাই। এ সময় ওরা ফোন করে আব্দুল মজিদ ব্যাপারীর ছেলে শাহাবুদ্দিনকে ডেকে আনে। শাহিন এসময় বলে ও মরে গেছে এখন কি করবি। চল পালাই। তখন শাহাবুদ্দিন বলে না ওরে হাসপাতালে দিয়ে আসি। এরপর আমার আর জ্ঞান ছিল না।

বুধবার সকালে জ্ঞান ফিরলে আমি পাশের বেডের একজনকে আমার স্ত্রীর নাম্বার দিয়ে আমার অবস্থা জানাতে বলি। আহত বশির হাওলাদারের ছেলে রাশেদ হাওলাদার বলেন, আমার ভগ্নীপতি আনু মাতব্বরের সাথে প্রতিবেশী ছবেদ আলী ও রেজাউল মাতব্বরের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

রেজাউল মাতব্বর ও ছবেল আলী তাদের ওয়ারিশের কিছু মাঠের জমি বিক্রি করে যা আমার ভগ্নীপতির জমির লাগোয়া। রেজাউল ও ছবেল আলীকে তাদের বিক্রিত জমি বুঝিয়ে দেওয়া সময় আমার ভগ্নীপতি জমির সীমানা মেপে নির্ধারণ করে দিতে বলে। কারণ তারা তাদের অতিরিক্ত জমি যা ভগ্নীপতির তা তারা জোর করে দখল করতে চাচ্ছিল।

গত রবিবার এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সে ঘটনায় দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন।

এর জের ধরে মঙ্গলবার দিনগত রাতে রেজাউল মাতব্বরের ছেলে শাহিন, সাদ্দাম, শাহাবুদ্দিন ও ছবেদ আলী মিলে আমার বাবাকে রাতের আধারে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। রাশেদ আরও জানান, অনেক আগে থেকেই গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য সব সময় সাধারণ গ্রামবাসীকে হুমকি ধামকিতে রাখে। শক্তির বড়াই করে গ্রামের অনেক মানুষকে তারা নির্যাতন করেন। আমার বাবার অবস্থা ভালো না। আল্লাহ জানে কি হয়।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ইর্ন্টার্নি চিকিৎসক কামাল হোসেন জানান, আমরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাই। তার হাতে ও পায়ের হাড় ভাঙ্গা। তার চিকিৎসা চলছে। তবে তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আহত বশিরের পরিবারকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আজমির-শরিফ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফ পরিদর্শনে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটিতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিন আজমিরে যান সরকারপ্রধান।

একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে আজমিরে যান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশ, জনগণ এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে নফল নামাজ ও মোনাজাত করবেন। এর আগে ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ১২ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুফি মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কিছু সময় কাটাবেন। পরে শেখ হাসিনা আজমির দরগাহ শরিফের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ভারত সরকার। আজমির শরিফ এলাকায় মানুষের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দরগাহ শরিফ জিয়ারত শেষে ফের সার্কিট হাউজে ফিরবেন শেখ হাসিনা। পরে জয়পুর বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।




একই ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দিতে পারবে দুদক

দুর্নীতির একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দিতে পারবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে কোনো ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দেওয়া হলে তাতে দুদক আইন ও বিধির কোনো ব্যত্যয় হয় না। আপিল বিভাগ এমন রায় ঘোষণা করেছেন।

‘দুদক বনাম আশরাফুল হক’ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে দুর্নীতির যথাযথ ও কার্যকর অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে কোনো ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দেওয়ার এই বিধান অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কমিশনের স্বচ্ছতাই প্রতিষ্ঠিত হয়।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নোটিশ প্রদান সংক্রান্ত ২০০৪ সালের দুদক আইনের ১৯ ও ২০ ধারা এবং ২০০৭ সালের দুদক বিধিমালার ৬, ৮ ও ১১ বিধিতে এ বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আইনের এসব ধারা ও বিধিমালার বিধি পর্যালোচনায় এটা কাঁচের মত পরিস্কার যে দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতে একাধিক নোটিশ দেওয়ার এই আইনি প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক। এই একাধিক নোটিশ দেওয়ার ফলে যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান বা তদন্ত চলমান তিনি তার পক্ষে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সঠিকভাবে অভিযোগ খন্ডানোর সুযোগ পাচ্ছেন।