বেড়েছে ওষুধের দাম

মহামারি করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সাল জুড়ে আলোচনায় ছিল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। তেল, চাল, ডালের দামে দিশেহারা মানুষের ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ ছিল দফায় দফায় ওষুধের দাম বৃদ্ধি। বছর জুড়ে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামালের সংকট দেখিয়ে দফায় দফায় বেড়েছে অতিব্যবহার্য্য বিভিন্ন ওষুধের দাম।

ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অধীনে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও জেনেরিকের ওষুধের দাম ৪০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরমধ্যে ওরস্যালাইন, প্যারাসিটামলের মতো প্রথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ছিল সর্বাধিক। অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা বিভিন্ন ওষুধের দামও কোম্পানিগুলো তাদের খেয়ালখুশি মতো বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

২০২২ সালের ৩০ জুন প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওইদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫৮তম সভায় এসব ওষুধের পুনর্নির্ধারিত দাম অনুমোদন করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে কয়েকটি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সরকারিভাবে এ সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করা হলেও ঘোষণার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বাজারে বহুল ব্যবহৃত ২০টি জেনেরিকের ৫৩ ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বৃদ্ধি পায়।

এর সপক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম নির্ধারণ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধের দাম আচমকা বাড়ানো হয়েছে- বিষয়টা এমন নয়। অনেকদিন ধরে দামের পুনর্মূল্যায়ন হয়নি। এ অবস্থায় কাঁচামালের দাম বাড়াসহ নানা কারণে বাজারে ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। কোম্পানিগুলো কিছু ওষুধ উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছে না। সবকিছু পর্যালোচনা করেই ঔষধ প্রশাসনের দাম নিয়ন্ত্রণ কমিটির পরামর্শক্রমে সরকার এ ওষুধগুলোর দাম আপডেট করেছে।

এ দফায় ইউনিট প্রতি ওষুধের দাম বৃদ্ধির হার

প্যারাসিটামল ৫০০ এমজি ট্যাবলেট: আগে ছিল ৭০ পয়সা, এখন দাম ১ টাকা ২০ পয়সা। প্যারাসিটামল ৫০০ এমজি ট্যাবলেট (র‌্যাপিড): আগে ছিল ৭০ পয়সা, এখন ১ টাকা ৩০ পয়সা। প্যারাসিটামল ৬৫০ এমজি ট্যাবলেট (এক্সআর): আগে ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা, এখন ২ টাকা। প্যারাসিটামল ১০০০ এমজি ট্যাবলেট: আগে ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা, বর্তমান দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা। প্যারাসিটামল ৮০ এমজি ড্রাপস ১৫ এমএল বোতল: আগে ছিল ১২ টাকা ৮৮ পয়সা, এখন ২০ টাকা। প্যারাসিটামল ৮০ এমজি ড্রাপস ৩০ এমএল বোতল: আগে ছিল ১৮ টাকা, এখন দাম ৩০ টাকা।

প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন (৬০ এমএল) বোতল: আগে ছিল ১৮ টাকা, বর্তমান দাম ৩৫ টাকা। প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন ১০০ এমএল বোতল: আগে ছিল ৩০ টাকা ৮ পয়সা, বর্তমান দাম ৫০ টাকা। প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/৫ এমএল সিরাপ (৬০ এমএল) বোতল: আগের দাম ১৮ টাকা, বর্তমান দাম ৩৫ টাকা। প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/৫ এমএল সিরাপ (১০০ এমএল) বোতল: আগে ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা, বর্তমান দাম ৫০ টাকা।

মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেড: আগে দাম ছিল ৬০ পয়সা, বর্তমান দাম ১ টাকা। মেট্রোনিডাজল ২৫০ এমজি ট্যাবলেট কোটেড: আগের দাম ৯২ পয়সা, বর্তমান দাম ১ টাকা ২৫ পয়সা। মেট্রোনিডাজল ৪০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেড: আগের দাম ১ টাকা ৩৭ পয়সা, বর্তমান দাম ১ টাকা ৭০ পয়সা। মেট্রোনিডাজল ৫০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেড: আগে ছিল ১ টাকা ৬৬ পয়সা, বর্তমান দাম ২ টাকা। মেট্রোনিডাজল ২০০এমজি/৫এমএল সাসপেনশন ৬০ এমএল বোতল: আগের দাম ২৬ টাকা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। মেট্রোনিডাজল ২০০এমজি/৫এমএল সাসপেনশন ১০০ এমএল বোতল: আগের মূল্য ৩৪ টাকা ৯২ পয়সা, বর্তমানে ৪৫ টাকা। মেট্রোনিডাজল ৫০০এমজি/১০০ এমএল ইনফিউশন, ১০০ এমএল বোতল: আগের মূল্য ৭৪ টাকা ৩৫ পয়সা, বর্তমানে ৮৫ টাকা।

এমোক্সিসিলিন বিপি ১২৫ এমজি/১.২৫ এমএল সাসপেনশন ১৫ মিলি বোতল: আগের দাম ২৬ টাকা ৩৪ পয়সা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি ১২৫ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন ১০০ মিলি বোতল: আগের দাম ৪১ টাকা ৪০ পয়সা, বর্তমানে ৭০ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি ২৫০ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন-ডিএস ১৫ মিলি বোতল: আগের দাম ৬৭ টাকা ৯৪ পয়সা, বর্তমানে ১০০ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি ২৫০ এমজি ক্যাপসুল: আগের দাম ৩ টাকা ১৫ পয়সা, বর্তমানে ৪ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি ৫০০ এমজি ক্যাপসুল: আগের দাম ৫ টাকা ৯০ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা ৫ পয়সা। এমোক্সিসিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইনজেকশন: আগের দাম ২৪ টাকা ১০ পয়সা, বর্তমানে ৫৫ টাকা।

এছাড়া জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই ০.০৫% নাসাল ড্রাপ ১৫ এমএল: আগের দাম ৯ টাকা ৬০ পয়সা, বর্তমানে ১৮ টাকা। জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই ০.১% নাসাল ড্রাপ ১৫ এমএল: আগের দাম ১০ টাকা ৪ পয়সা, বর্তমানে ২০ টাকা। প্রোকলেপেরাজিন ৫এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম ৪০ পয়সা, বর্তমানে ৬৫ পয়সা। প্রোকলেপেরাজিন ১২.৫ এমজি ইনজেকশন: আগের দাম ৪ টাকা ৩৬ পয়সা, বর্তমানে ৯ টাকা।

ডায়াজেপাম ১০এমজি/২এমএল ইনজেকশন: আগের দাম ৩ টাকা ২২ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা। মিথাইলডোপা ২৫০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম এক টাকা ৫০ পয়সা, বর্তমানে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। মিথাইলডোপা ৫০০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম ৫ টাকা ১৩ পয়সা, বর্তমানে ৬ টাকা ৯ পয়সা। ফ্রুসেমাইড ২০ এমজি/২এমএল ইনজেকশন: আগের দাম ৫ টাকা ৯৯ পয়সা, বর্তমানে ৯ টাকা। ফ্রুসেমাইড ৪০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম ৫৬ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা।

ফেনোবারাবিটাল ৩০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম ৬৮ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা। ফেনোবারাবিটাল ৬০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম এক টাকা, বর্তমানে এক টাকা ৫০ পয়সা। ফেনোবারাবিটাল ৫০ এমএল এলিক্সির ২০এমজি৫ এমএল বোতল: আগের দাম ২১ টাকা ৭৮ পয়সা, বর্তমানে ৪৩ টাকা। ফেনোবারাবিটাল ১০০ এমএল এলিক্সির ২০ এমজি/৫ এমএল বোতল: আগের দাম ৫০ টাকা, বর্তমানে ৭০ টাকা।

ওআরএস ৫০০ এমএল স্যাটেস: আগের দাম ৪ টাকা ৩৫ পয়সা, বর্তমানে ৬ টাকা। ওআরএস ফ্রুটি ২৫০ এমএল স্যাটেস: আগের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা, বর্তমানে ৬ টাকা।

লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি, ২০ এমজি/২এমএল ইনজেকশন: আগের দাম ৩ টাকা ৬ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা। লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি, ৫০ এমএল ইনজেকশন: আগের দাম ২০ টাকা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। লিডোকেইন ২% ডব্লিউভি, ৫০ এমএল ইনজেকশন: আগের দাম ২৫ টাকা, বর্তমানে ৪০ টাকা।

ফলিক এডিস ০.০৫ এমজি/১০০এমএল ওরাল সলিউশনের (১০০ এমএল বোতল): ৫০ টাকা। ক্লোরফেনিরামিন ২এমজি/৫এমএল সিরাপের (৬০ এমএল বোতল): আগের দাম ১৩ টাকা, বর্তমানে ২০ টাকা। বেনজাথিন বেনজিলপেনিসিলিন ১২ লাখ ইউনিট/ভায়ল ইনজেকশন: আগের দাম ১৫ টাকা ৬০ পয়সা, বর্তমানে ৩০ টাকা। এসপিরিন ৭৫ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম ৫৫ পয়সা, বর্তমানে ৮০ পয়সা। এসপিরিন ৩০০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম দেড় টাকা, বর্তমানে ২ টাকা। ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ২৫০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম দুই টাকা, বর্তমানে দুই টাকা ৮০ পয়সা। ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ৫০০ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম ৩ টাকা ৮৬ পয়সা, বর্তমানে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ২৫০ এমজি/৫এমএল সিরাপের (৫০ এমএল বোতল): আগের দাম ২১ টাকা ৫০ পয়সা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। প্রোমেথাজিন ৫এমজি/৫এমএল এলিক্সির (১০০ এমএল বোতল): আগের দাম ২১ টাকা ৩৫ পয়সা, বর্তমানে ৩৫ পয়সা। প্রোমেথাজিন ২৫এমজি/এমএল ইনজেকশন: আগের দাম ৩ টাকা, বর্তমানে ৭ টাকা। নরগেস্টেরেল ০.৩০ এমজি+ইথাইনিলিস্ট্রাডল ০.০৩এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম এক টাকা ৫০ পয়সা, বর্তমানে দুই টাকা। ফেরোস ফেমেরেট ৭৫ এমজি ট্যাবলেট: আগের দাম ৩৮ পয়সা, বর্তমানে ৫০ পয়সা।

বছরের শেষে কলেরার স্যালাইনসহ ২৪ ওষুধের দাম বৃদ্ধি

বছরের মাঝে ওষুধের দাম বৃদ্ধির ধাক্কা সামলে নেওয়ার আগেই বছরের শেষ আরেক দফা বাড়ানো হয় ওষুধের দাম। স্যালাইনসহ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ২৪ ধরনের ওষুধের দাম প্রকারভেদে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। হাইকোর্টে কোম্পানিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনায় এসব ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

এ বিষয়ে অধিদফতরের পরিচালক আশরাফ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওষুধের দাম নির্ধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডলার সংকট, কাঁচামালের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের দাম বৃদ্ধি বিবেচনা করে এই দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

লিবরার যেসব ওষুধের দাম বাড়ানো হয়

লিবরা কোম্পানির ৫০০ মিলির কলেরা স্যালাইনের দাম ৬১ থেকে বাড়িয়ে ৭২ টাকা করা হয়েছে। ১০০০ মিলির দাম ৮৮ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ টাকা করা হয়েছে। ২০০০ মিলির ১১৩ থেকে বাড়িয়ে ১২২ টাকা করা হয়েছে।

৫০০ মিলির হাটসম্যান সলিউশন ৭৭ থেকে বাড়িয়ে ৮২ টাকা, ৯৫ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ১০৫ টাকা, ৫৫ টাকার ৫০০ মিলির হাটসম্যান প্লাস ৬৬ টাকা, ৭১ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ৮০ টাকা।

দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইডের দাম ছিল ৬৪ টাকা, তা এখন ৬৬ টাকা, ৭৪ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ৮০ টাকা, ৮৯ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ১০০ টাকা, ১০২ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ১১৫ টাকা।

১০ শতাংশের ৮০ টাকার ডেক্সট্রোজ ৯০ টাকা, ৯৮ টাকার ডেক্সট্রোজ ১০৫ টাকা, ৭০ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ক্লোরাইড ৮০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া ৯৩ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ক্লোরাইড ১০৭ টাকা, ৬৬ টাকার ২৫ ডেক্সট্রোজ ৭৫ টাকা, ৭৮ টাকার ২৫ ডেক্সট্রোজ ৮২ টাকা, ৯৩ টাকার ৫% ডেক্সট্রোজ ১০৫ টাকা, ৬৬ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৭২ টাকা, ৭৮ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৮৫ টাকা, ৮৬ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৯০ টাকা, ৭৮ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৮২ টাকা, ৯৩ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ১০০ টাকা করা হয়েছে।

ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০ জুলাই ৫৩টি ওষুধের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। এরমধ্যে প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, এমোক্সিলিন, ডায়াজিপাম, ফেনোবারবিটাল, এসপিরিন, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিনসহ অন্যান্য জেনেরিকের ওষুধ রয়েছে। ছয় মাসে এসব ওষুধের দাম ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধের দাম বেড়েছে ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে কলেরা স্যালাইন, হার্টম্যান সলিউশন, সোডিয়াম ক্লোরাইড, ডেক্সটোজ, ডেক্সটোজ প্লাস, সোডিয়াম ক্লোরাইড, মেট্রোভিজানল ও হিউম্যান ইনসুলিন। দেশে যখন প্রায় সব নিত্যপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী তখন ওষুধের মতো এত প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ানো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওষুধের মার্কআপ কমিয়ে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত বলেও মত দেয় সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এর আগেও ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। ১১৭টি জেনেরিকের দাম বাড়ানোর সক্ষমতা রাখে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। আর বাকি ওষুধগুলোর দাম নির্ধারণ করে কোম্পানিগুলোর মালিক পক্ষ। যার ফলে বেশ কয়েকদিন যাবতই বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ছে, বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকও প্রেশারের যে ওষুধগুলো মানুষ নিয়মিত খায়। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ নয় দাবি করে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এটা ঠিক ডলারের দাম বেড়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দামও কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু দেশে ওষুধের দাম একটা জবাবদিহিতার মধ্যে বাড়াতে হবে, যা তারা করে না। লক্ষণীয় বিষয় ওষুধ প্রশাসন বা সংশ্লিষ্টরা যখন গণশুনানির আয়োজন করে সেখানে সকল স্টেক হোল্ডারদের ডাকে না। গণমাধ্যমকেও জানানো হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে তারা আমাদের একটি গণশুনানির জন্য ডাকলো। আমরা যাওয়ার পর দেখি কেউ নেই। শুধু আমরা তিন-চার জন এসেছি। আমরা যখন জিজ্ঞেস করালাম, মিডিয়া বা অন্যরা কোথায়? বলল যে তারা কাউকে জানায়নি। তাহলে এটা কিসের গণশুনানি হলো?




‌‘নির্বাচন সামনে রেখে আ.লীগের কমিটিতে অভিজ্ঞদেরই বিবেচনা করা হয়েছে’

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে অভিজ্ঞদেরই বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে এই শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

দশমবারের মতো নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এই শ্রদ্ধা জানায় নতুন কমিটি।
এসময় টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ নবনির্বাচিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




সাবেক মেম্বার বাট্টুকে আবারো এলাকাবাসী জয়যুক্ত দেখতে চায়

মোঃ বদিউজ্জামান, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী সদর উপজেলার ৬ নং নোয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড থেকে জনগনের মনোনীত সাবেক ২২ বছরের সফল মেম্বার সৎ ন্যায়পরায়ন ধার্মিক ইয়াহহিয়া ( বাট্টু)কে এলাকাবাসী ২৯ডিসেম্বর মোরগ মার্কা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করতে চায়। বাট্টু জানান পূর্ব চর উড়িয়া কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। গত নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। তিনি সিসি ক্যামেরা জন্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবি জানান।এবং সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানান।




চরভদ্রাসনে এলজিইডি-এর বাস্তবায়নে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ফলক উন্মোচন করেন নিক্সন চৌধুরী

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে সাড়ে চারটার দিকে এলজিইডি-এর বাস্তবায়নে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ফলক উন্মোচন করলেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
চৌধুরী নিক্সন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাউছার, ইউএনও তানজিলা কবির ত্রপা, অ্যাসিল্যান্ড মো. খাইরুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার আলী মোল্যা,যুবলীগের সভাপতি মো. মোরাদ হোসেন, দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় করেন নিক্সন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের যতো উন্নয়ন হচ্ছে তার একমাত্র কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমার নির্বাচনী এলাকা চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ, স্কুল,কলেজ,মসজিদ,মাদ্রাসা, মন্দিরসহ সকল সেক্টরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই দেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।
শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হলে জাতিকে একটি উন্নয়নশীল দেশ উপহার দেবেন।
পরে চরভদ্রাসন স্পোর্টিং ক্লাবে ৫টি ফুটবল,ভলিবল ও একসেট ক্রিকেট খেলার সামগ্রী উপহার দেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থান উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দসহ দিক নির্দেশনা প্রদান করনে এমপি নিক্সন চৌধুরী।

জানা যায়, এলজিইডি এর বাস্তবায়নে সময়ানুক্রমিক রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় ১ হাজার ৮৬০মিটার আরএইচডি সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ এইচ-কিউ হইতে চরসুলতানপুর আরএইসডি ভায়া জাকিরের সুরা রোড পর্যন্ত ব্যয় ধরা হয়েছে ২কোটি ১৫ লাখ ষাট হাজার টাকা।




২শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে “সম্ভাবনা’র রামগঞ্জ গ্রুপের শীত বস্ত্র বিতরণ

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ২শতাধিক অসহায়মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ও শীত নিবারণের উদ্দেশ্যে সম্ভাবনার রামগঞ্জ গ্রুপের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। শুক্রবার, (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে গ্রুপের এডমিন মোঃ আনোয়ার হোসেন (আনু) এর সভাপতিত্বে ও শীত বস্ত্র বিতরনের উদ্যোক্তা ও গ্রুপ মডারেটর তাছলিমা আক্তারের সার্বিক সহযোগিতায় ওই শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি ছিলেন সম্ভাবনার রামগঞ্জ গ্রুপের উপদেষ্টা সভাপতি ও রায়পুর এল এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও উপদেষ্টা সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম পাটোয়ারী, রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক ফারুক, দাসপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোরশেদুল আমিন বাবু, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাকিল আহম্মেদ সহ এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মডারেটর মোঃ রাসেল মিয়া, রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক কাউছার হোসেন, অর্থ সম্পাদক আবু তাহের, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, ফারুক পাটোয়ারী,পারভেজ হোসাইন, ইকবাল হোসেন, আব্দুর রহমান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্যঃ উপস্থিত অতিথিরা সম্ভাবনার রামগঞ্জ গ্রুপের এরূপ উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেন। অতঃপর নেতৃবৃন্দ উপজেলার সকল ইউনিয়নের জন্য শীত বস্ত্র বিভিন্ন প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন।




বানিয়াচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

জুয়েল রহমান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

বানিয়াচংয়ে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সভায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্বখ্যাত ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটায় তার নামে রামনাথ স্মৃতি পাঠাগার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে বলে সভাকে অবহিত করা হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তৎপর থাকায় বিল-জলমহাল,জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ কমে গেছে বলে সভাকে জানানো হয়।
সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়।
২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী।

সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি, অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ আলী, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিপুল ভূষণ রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, মাওঃ আতাউর রহমান, শেখ শাহনেওয়াজ ফুল, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন, মঞ্জু কুমার দাস, এরশাদ আলী, ফরিদ আহমেদ, মাসুদ কোরাইশী মক্কী, হাফেজ শামরুল ইসলাম, জয়কুমার দাস, সাদেকুর রহমান,নাসিরুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।




নেত্রকোণায় ছিন্নমূল শিশুদের স্বপ্নের বিদ্যানীড় স্কুলের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত

আব্দুর রহমান ঈশান,নেত্রকোণা প্রতিনিধি

❝দুস্থ শিশুর বিবর্ণ শৈশব, রঙিন করার প্রচেষ্টায়❞ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফুলের কলির মতো অপ্রস্ফুটিত কিছু সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের নিয়ে নেত্রকোণার রেল কলোনি এলাকায় ২০২০ সাল থেকে যাত্রা শুরু স্বপ্নের বিদ্যানীড় নামক একটি স্কুল ৷ একঝাঁক তরুণ-তরুণীর সহায়তায় ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এই বিদ্যাপীঠ।
এর শিক্ষার্থী সংখ্যা এখন ৪০ এর অধিক।
২১ শে ডিসেম্বর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া৷ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হানিফ উল্লাহ আকাশ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্টেজ ফর ইউথ ফাউন্ডেশন নেত্রকোণা পৌর শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান ঈশান, সংগঠন এর কর্নধার কাজী আব্দুল গাফফার, মোস্তাইম বিল্লাহ,নাহিদ, সালেহীন নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র নেতা আবুল কালাম আজাদ, শিহাব আহাম্মেদ,বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ অন্যরা




নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন অনুষ্ঠিত

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এনসিসিআই) ১২তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নরসিংদী চেম্বার ভবন ও নরসিংদী বিয়াম জিলা স্কুলের ১০ টি কক্ষের ১০ টি বুথে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাখন দাস।

তিনি জানান, নির্বাচনে দুই শ্রেনীর মোট ১৮টি পদের বিপরীতে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ১২ টি সাধারণ শ্রেনীর পরিচালক পদের বিপরীতে ২৪ জন এবং ৬ জন সহযোগী শ্রেনীর পরিচালক পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  

সাধারণ শ্রেণীতে পরিচালক পদে, আব্দুল মোমেন মোল্লা (১০৭৬), কাজিম উদ্দিন (১০৪৭), নাজমুল হক ভুইয়া (১০৪৪), আল-আমিন রহমান (১০৪৩), মোতালিব হোসেন (১০৪০), এনামুল হক মনির (১০১০), দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৯৯৭), রফিকুল ইসলাম (৯৯৩), মাহমুদুল হাসান শামীম নেওয়াজ (৯৭১), রাসেল বিন হাসানাত (৬৯০), ফয়সাল আহমেদ (৯০৭) এবং পরেশ সূত্রধর (৯০৫) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

সহযোগী শ্রেনীতে পরিচালক পদে, হাসিব আহমেদ মোল্লা (৬৮৪), আনিসুর রহমান ভুইয়া (৬২৮), সারোয়ার হোসেন ভুইয়া ঝন্টু (৬২৬), শহিদুল ইসলাম পলাশ (৬১৮), সাইফুল ইসলাম জাহিদ (৫৮২) এবং আসাদুজ্জামান (৫৬৫) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।  

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫ শত ৫৩ জন। এরমধ্যে সাধারণ শ্রেনীর পরিচালক পদে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫ শত ৬৬ ও সহযোগী শ্রেনীর পরিচালক পদে ভোটার ৯ শত ৮৭ জন। এরমধ্যে ৭৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ কামরুল ইসলাম।




নোয়াখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা জনপ্রিয়তা শীর্ষে

বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

২৯ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোয়াখালী সদরের ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের চলছে দৌঁড়ঝাপ প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে । জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। ৬ নং নোয়াখালী ইউনিয়নে হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত চষে বেড়াচ্ছন গ্রাম থেকে গ্রামে। আনারস মার্কার জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনারস প্রতীক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আনারস মার্কার প্রার্থী মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত ।




চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল ৬ ফুট লম্বা কুমির

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় চিত্রা নদীতে ধরা পড়েছে প্রায় ছয় ফুট লম্বা একটি কুমির।

গতকাল সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদী থেকে গ্রামবাসী জাল দিয়ে কুমিরটি ধরেন।

জানা গেছে, কুমিরটিকে জালে আটকে ডাঙায় তুলে পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে রাখা হয়। এসময় কুমির দেখতে সেখানে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। পরে বনবিভাগে খবর দিলে সন্ধ্যায় এসে কুমিরটি নিয়ে যান কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সোমবার দুপুরে খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন নদীর চরে শ্রমিকরা বড় কুমিরটি দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন মিলে জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটি ধরেন।

এ ব্যাপারে পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার দুপুরে ইটভাটার শ্রমিকরা কুমির দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেন। পরে খড়রিয়া গ্রামের আজিমুল মোল্যাসহ ১০/১২ জন মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটি ধরেন। পরে সেটিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সতর্ক পাহারায় রাখা হয়। সন্ধ্যার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে কুমিরটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

কালিয়া উপজেলা সামাজিক বনবিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কুমিরটিকে বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার রেঞ্জ অফিসার মাহিনুর রহমান এসে নিয়ে গেছেন। এটি মিঠাপানির বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল বলে মনে করছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, নদীতে পানি কমতে থাকায় এবং শীতকাল হওয়ায় রোদ পোহাতে সেটি ডাঙার দিকে চলে এসেছিল।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কুমিরটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। পরে কালিয়া উপজেলা সামাজিক বনবিভাগের মাধ্যমে খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের কাছে সেটি হস্তান্তর করা হয়।