এবার লঞ্চ ভাড়া কমল ১৫ পয়সা

যাত্রীবাহী নৌযানের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১৫ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ রাত ১২টার পর থেকে নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এছাড়া, জনপ্রতি যাত্রীভাড়া সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ৩০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া প্রথম ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

ওই সময় জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।




‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য জনশক্তিকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে; প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রভাবে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে যে পরিবর্তন হবে, তার সঙ্গে দেশের জনশক্তিকে মানিয়ে নিতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকসের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এ লক্ষ্যেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি।

সেই সাথে সাথে ট্রেইনিং এবং শিক্ষার ব্যবস্থাও নিয়েছি।’ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে ব্যাপক প্রভাব পড়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের দেশের পোশাকশিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটের ব্যবহারও শুরু হয়েছে। সাথে সাথে অন্য খাতগুলোও ধীরে ধীরে এদিকে অগ্রসর হচ্ছে। উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। কাপড়ের মানও বেড়েছে।’

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে যে ধরনের পরিবর্তন সূচিত হবে, তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমাদের যে বিপুল শ্রমশক্তি রয়েছে, তাদেরকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সেই যুক্ত করতে হলে তাদের ট্রেনিং দিতে হবে। শিক্ষিত করতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।




নেত্রকোণায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধঃ

নেত্রকোণায় বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংর্ঘষ হয়েছে। এতে ১২ পুলিশসহ অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পৌর শহরের ছোটবাজার এলাকায় বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে এই ঘটনাটি ঘটেছে। দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দলটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে শহরের ছোট বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হতে থাকে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে শহরের প্রধান সড়কটি বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ সড়কটি ছেড়ে দিতে বলে। পরে পুলিশের সাথে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা, এক পর্যায়ে প্রধান সড়ক ফাঁকা করতে গিয়ে পুলিশের সাথে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ টিয়ারসেলসহ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েলসহ ১২ পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ৩২ জন আহত হয়। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্নসম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলাকালে পুলিশ এসে লাটিচার্জ করে। আমাদের ওপর হামলা চালায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের অন্তত ২০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের সময় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কর্মীরা সড়ক বন্ধ করে রাখে। এতে যানবাহনসহ জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ এসে সড়ক ফাঁকা করতে চাইলে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এদিকে আহত পুলিশ সদস্যরা প্রথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে । বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।




বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ নারায়নগঞ্জ, নিহত ১

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন কিনা জানা যায়নি। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমীর ইসলামসহ অনেকে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেলগেট, মন্ডলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপি ছাত্রদল যুবদলের শতাধিক মারাত্মক আহত হন।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, আমাদের এনায়েতনগর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আমাদের জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব রাজসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শতাধিক।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ র‍্যালিতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে ও গুলি চালিয়েছে। অথচ আমরা অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি করছিলাম।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, পরে বিস্তারিত জানাব।




সরকারি কর্মচারী গ্রেফতারে পূর্বানুমতি বাতিলের রায় আপিলে স্থগিত

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে, গত ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।




আজ বিএনপি’র ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ঢাকা: বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (১ সেপ্টেম্বর)। ১৯৭৮ সালের এই দিনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নামে এই রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি: বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে বিএনপির সব কার্যালয়ে ভোর ৬ টায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

দুপুর ১২টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) শেরেবাংলা নগরস্থ মাজারে বিএনপির জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফাতেহা পাঠ ও পুস্পার্ঘ অর্পণ করবেন।

বিকেল ৩ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে। র‌্যালিতে বিএনপির জাতীয় নেতারাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। দিবসটি উপলক্ষে ইতোমধ্যে পোষ্টার প্রকাশিত হয়েছে এবং আজ বিভিন্ন সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।

এছাড়া ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্থানস্থ মহানগর নাট্যমঞ্চে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারাসহ দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।

অনুরূপভাবে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরসহ সব ইউনিট বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। স্থানীয় সুবিধানুযায়ী আলোচনা সভা , র‌্যালি ইত্যাদি কর্মসূচি পালনে তারা উদ্যোগ নেবেন।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,. রাজনীতিতে আসার আগেও জিয়াউর রহমানের একটি ঘটনাবহুল জীবন রয়েছে। সৈনিক জীবন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র পরিচালনা সবত্রই তাঁর একটি সমুজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে, যা জাতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না।

জিয়াউর রহমানের শাহাদত বরণের পর দলের বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও এক যুগ সন্ধিক্ষণে দলের দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে তিনি আন্দোলন করে আপসহীন নেত্রী উপাধি পান। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় আসীন হয়।
১৯৮৩: ওই বছরের ১ এপ্রিল বিএনপির বর্ধিত সাধারণ সভা থেকে খালেদা জিয়াকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।

আগস্ট ১৯৮৪: বেগম খালেদা জিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন এবং বিএনপিতে নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীরা নতুন আশার আলোয় আবারো রাজপথে নেমে আসেন। এরপর খালেদা জিয়ার ওপর নানাবিধ হুমকি আসতে থাকে, চক্রান্ত চলতে থাকে তাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার। কিন্তু অকুতোভয়, সাহসী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও গণতন্ত্রের পথে পথ চলতে আপসহীন ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।

১৯৯০ স্বৈরাচারের পতন: স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে একলা এগিয়ে চলেন খালেদা জিয়া। এ সময় আন্দোলন করে অসহনীয় জুলুম নির্যাতন সহ্য করেন এবং ‘গণআন্দোলন’ সংগঠিত করেন। ১৯৯০ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের একদফা আন্দোলনের ডাকে দেশের মানুষ রাজপথে নেমে আসে। ফলে এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। খালেদা জিয়ার গণআন্দোলন সফল হয়, দেশে ফিরে আসে গণতন্ত্র। সে সময় খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণে দেশবাসীর মাঝে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা তৈরি হয় এবং তিনি ‘দেশনেত্রী’ আখ্যায়িত হন।

১৯৯১ সাধারণ নির্বাচন: খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিজয়ের ফলে ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে এককভাবে সরকার গঠন করে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।




মাধ্যমিকে ক্লাস চলবে যেভাবে

ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষিতে ৬ দিনের শ্রেণি কার্যক্রম সমন্বয় করে ৫ দিনের জন্য পরিমার্জিত সময়সূচি প্রণয়ন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

বুধবার (৩১ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এ নতুন শ্রেণি কার্যক্রম ঘোষণা করেছে। পরিমার্জিত সময়সূচি অনুযায়ী রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ-দশম শ্রেণিতে প্রতিদিন ৭টি করে ক্লাস হবে।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুক্রবার ও শনিবার ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর করা হয়েছে । শিক্ষার্থীদের যাতে শিখন ঘাটতি সৃষ্টি না হয় এবং শিক্ষাক্রমের বিষয় কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত সময়সূচি পরিমার্জন করা হলো।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি: রোববার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন ৭টি করে সপ্তাহে মোট ৩৫টি শ্রেণি কার্যক্রম (পিরিয়ড) পরিচালিত হবে।

এক শিফট বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রমের ব্যাপ্তি দৈনিক সমাবেশ ১৫ মিনিট ও বিরতি ৩০ মিনিটসহ মোট ৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট।

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি: প্রতিটি শ্রেণি কার্যক্রমের  ব্যাপ্তি হবে ৫০ মিনিট। বাংলা, ইংরেজি এবং শাখাভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ের জন্য সপ্তাহে প্রতি বিষয়ে ৫ টি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের জন্য ৩টি শ্রেণি কার্যক্রম (পিরিয়ড) পরিচালিত হবে । অর্থাৎ সপ্তাহে মোট ২ টি (২৫ +৩) শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৫টি শ্রেণি কার্যক্রম (পিরিয়ড) পরিচালিত হবে।




আমাদের ভাষার এই সময়

বায়ান্ন সালের পর থেকে আমাদের সকল আন্দোলন, সমস্ত কিছুর সঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা জড়িত হয়ে গেছে- তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যে কোনো আন্দোলনই মরে যায়। একটা সময় পরে তার আবেদন বা প্রাসঙ্গিকতা আর থাকে না। এ প্রসঙ্গে বলা যায় ফ্রেঞ্চ রেভ্যুলুশনের কথা। এত বড় প্রভাবশালী ঘটনা, অথচ এখন হয়তো সেই দিনটি পালিত হয় কি হয় না, তার ঠিক নেই।

আমাদের জাতিটা বড্ড বেশি বাক্যবাগীশ। সমাজ যে বদলাচ্ছে; সেই বদলের সঙ্গে আমাদের একুশের আন্দোলন-চেতনার যে সমন্বয় করা দরকার, পরিবর্তনটা দরকার- তা আর কেউ ভাবে না। কারণ ভাবলে অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের সারাটা দেশ গরিব; মানুষ নিরক্ষর, মানুষের মনে কিছু নেই; কিছু মধ্যবিত্ত যুবক আছে, কিছু কাগজ ও টিভি চ্যানেল আছে। আর একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের কিছু কমিটি আছে। তাই দিয়েই কিছু আয়োজন হয়। কিন্তু যদি বলি, শ্বাসে এবং মূলে আমাদের সমাজের ভেতরে একুশ কি ঢুকেছে? উত্তর না-ই আসবে।

সাতচল্লিশের পর থেকে এখন পর্যন্ত, জনসাধারণ যেখানে ছিল সেখানেই থেকে গেল। আর আমরা আশা করতে থাকলাম, জনসাধারণ একুশের চেতনায় জাগ্রত আছে- তাই কি হয়! আপনি গ্রামের মধ্যে নানান রকমের এটা-ওটা ব্যবসা, এনজিও ঢুকিয়ে দেবেন। তাহলে সেই গ্রামটা কি আর কোনোদিন প্রকৃতির সেই শুদ্ধ সাঁওতাল গ্রাম থাকবে! থাকবে না। প্রত্যেক বছরেই একবার এই যে আমাদের একুশের চেতনা, আমাদের ভাষা আন্দোলন আমাদের গৌরব বলে ঢাক-ঢোল পেটানো হয়; এই ‘আমাদের’ বলতে আসলে কাদের বোঝানো হয়? এই ‘আমাদের’টা আসলে কারা? ‘আমাদের’ শব্দ একটা অত্যন্ত অস্পষ্ট শব্দ। এই শব্দটি দিয়ে বহু কিছু এড়িয়ে যাওয়া যায়।
একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমাদের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখলে মনে হয়, আমরা বিপরীত মেরুতে চলে এসেছি। একুশের চেতনার ঠিক উল্টো জায়গাটিতে এসে আমরা পৌঁছেছি। আমরা টেবিলের এপারে ছিলাম, টেবিলের ওপারে গিয়েছি- এর বেশি কিছু আসলে হয়নি। এরপর হয়তো এসবও হবে না। কিংবা গ্রামদেশে এখন এসবের কিছুই নেই। কেন থাকবে! থাকার কোনো কারণও নেই। একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা মানুষের মধ্যে কাজ যে করবে, সেটা কীভাবে? আজকে প্রায় সত্তর বছর পর কাজ করেছে, তবেই না আগামীতে করবে। তা না হলে মানুষ পিছু হটবে কীভাবে? মানুষ আসলে কেমন করে পিছু হটে?

এ সবকিছু নিয়ে একটা গোলমেলে সাংস্কৃতিক অবস্থা বিরাজ করছে। এর সঙ্গে অর্থনীতির কোনো সাযুজ্য নেই, শিক্ষার কোনো মিল নেই। এসবের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করার প্রথম দায়িত্ব আমরা যারা রাষ্ট্র চালাই, তাদের। তাই বাস্তবতার এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে গ্লানি বা হতাশা ছাড়া আর কিছু নেই। আমি কোনো আশার আলো দেখছি না। কারণ এখানে যা কাজ আছে, যা কাজ হচ্ছে, তাতে কোনো রকম পরিকল্পনা নেই চেতনা সংক্রান্ত। চেতনা আছে শুধু কিছু বুলি আউড়ানো আর টকশোর আস্ম্ফালনে। তবু কিচ্ছু হবে না- এ কথা আমার নয়।

একটা দেশের সংস্কৃতিকে উন্নত করতে না চাইলে এবং চাইলে- দু’ক্ষেত্রেই প্রথম কাজ হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার অবস্থা ভালো আছে কি মন্দ- এ প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই পড়ে আছে। আমাদের উচ্চশিক্ষার বাস্তব কার্যকারিতাও সবার কাছে অনিশ্চিত। একটা মানুষ এত পড়াশোনা করে কী করবে, আদৌ কী করার আছে এ ব্যাপারে; শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারে না। কেউ যদি আমাকে বলে যে, এত হতাশাবাদী হচ্ছো কেন? আমি বলব, আরে বাবা, হতাশাবাদী হবো না কেন!

সবার জন্য একমুখী শিক্ষা মুখে মুখে বলছি। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ইংলিশ মিডিয়ামের স্কুলগুলোতে বাংলা বইগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করে পড়ানো হয়। বলা হচ্ছে, সবাইকে একই সিলেবাস পড়তে হবে। এ দেশের বড়লোক, এ দেশের ধান্ধাবাজ, এ দেশের আমলারা দেশটাকে বিদেশিদের বাজার বানাবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এদের মধ্যে সৃষ্টি বলে কিছু নেই। তারা লুটপাটে ব্যস্ত। আমরা তাদের মনঃতুষ্টির একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলছি। রাষ্ট্রটি যে সাধারণ মানুষের নয়- তা ঢাকা শহরের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

ভাষা নিয়ে আমরা কী করেছি? আমরা মুখে মুখে অনেক কথা বলেছি। কিন্তু ভাষা নিয়ে কাজের কাজ কিছুই করতে পারিনি। যেমন কিছুটা স্ববিরোধী ভঙ্গিতেই আমি বলব, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাকে মাধ্যম করাটাই ভুল হয়েছে। এ কথা বললে লোকে আমাকে দেশদ্রোহী বলবে। বাংলাকে মাধ্যম করার আগে বোঝা দরকার ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কী পড়াই। দর্শন এবং ইতিহাস পড়তে গিয়ে একজন বাংলায় যে বইগুলো পড়ে, তা কি পাঠযোগ্য? বাংলায় দর্শনের ওপরে কোনো ভালো বই নেই। একজন ছাত্র যখন বাংলা বইয়ের মাধ্যমে দর্শনকে বোঝার চেষ্টা করে তখন সেটা অর্থহীন হয়ে পড়ে। সে ইংরেজি না জানার কারণে দর্শন ভালো করে বোঝে না অথবা অপরদিকে অগোছালো বাংলায় দর্শনকে ভুলভাবে বোঝে। বাংলায় ফিলসফির কোনো বই পড়া যায়? কিন্তু এর মানে এই নয় যে, বাংলায় দর্শনচর্চা সম্ভব নয় বা বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব নয়। যত্ন নিয়ে, শ্রম দিয়ে এসবই সম্ভব। আমরা এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। বাংলা ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি ভাষা। আমি মুষ্টিমেয় পণ্ডিতের ওপর অনাস্থা আনতে পারি, কিন্তু বাংলাভাষী কোটি কোটি মানুষের ভাষার ওপর আমার আস্থা গভীর।

বলা হয়েছিল, দেশের মানুষের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে দেবে, খাজনাহীন জমি করে দেবে। কিন্তু খাজনাহীন জমি তো দূরে থাক, খাসজমি- সেগুলো যেভাবে ছিল সেভাবেই পড়ে রইল ৫০ বছর ধরে। কী হবে আমাদের এখানে ভাষা চেতনা, কী হবে আমাদের এখানে আদিবাসীদের সমস্যা? এসবের কিছুই ঠিক করা হয়নি এখনও। আর করলে যে ঢাকার নিজেদেরই চলবে না। এটা হচ্ছে, at the cost of one class। তার মানে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে- : the hole country has become the country of few.

তবু বলি যে, বাংলাদেশে অন্ততপক্ষে ৩৪ কোটি হাত তো আছে। তাকে যদি প্রকৃত অর্থে কাজে লাগানো হয়, তাহলে আমাদের জন্য অসম্ভব তো কিছুই নয়। কিন্তু সেই সম্ভবটাকে বাস্তবে পরিণত করতে হলে যে সংস্কারগুলো দরকার, সেগুলো তো করতে হবে। সব হতাশার পরেও আমি মনে করি, ৩৪ কোটি হাত আছে। এমনকি কোনোদিন ঘটবেই না যে, এই হাতগুলো যখন যা করা দরকার তা করে ফেলবে; যে করছে না তাকে ছুড়ে ফেলে দেবে! নিশ্চয়ই করবে।
লেখক
কথাশিল্পী, শিক্ষাবিদ




ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে: কল্যাণ পার্টি

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বলেছে, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব হতে হবে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে। সেখানে ভারতের কথিত দাদাগিরির অবসান ঘটাতে হবে। বৃহস্পতিবার মহাখালীর ডিওএইচএসে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির এ কথা বলেন।

দলটি বলেছে, ভারত শুধু নিতে চায়; দিতে চায় না। বস্তুতপক্ষে তারা চায় একতরফা সম্পর্ক। এভাবে কোনো সম্পর্কও হয় না বা বন্ধুত্বও হয় না। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম উপস্থিত ছিলেন।

ভারত-বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক আদান-প্রদানই মূল কথা। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা সেটা দেখতে পাই না। এ ক্ষেত্রে একতরফা ভালোবাসা দেখতে পাই।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বের নামে অমানবিক বন্ধুত্ব মেনে নিতে বাংলাদেশের মানুষকে বাধ্য করার চেষ্টা করছে ভারত। বিনিময়ে ভারত সরকার এ দেশে রাতের ভোটের অবৈধ সরকারকে ক্রমান্বয়ে অধিকতর শক্তিশালী হতে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বাইরে কল্যাণ পার্টি কোনো নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে তো নয়ই। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আত্মহত্যার শামিল।

সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দলসহ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যানের সামরিক উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) কামাল আহমেদ, উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) আব্দুল হক, ড. বদরুল আলম সিদ্দিকী, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদ খান, কমডোর আরিফ মাহমুদ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মিজহাজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ঢাকাস্থ সুবর্ণচর সমিতির নতুন কমিটি

ঢাকায় বসবাসরত নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের সংগঠন ‘সুবর্ণচর উপজেলা কল্যাণ সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করেন সাবেক সচিব এ টি এম আতাউর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।

নতুন কমিটিতে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনকে সভাপতি ও নাজমুল ইসলাম প্যামেলকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

কমিটির অন্যরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কবির রতন, অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন বাবর, দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল মাওলা, প্রচার সম্পাদক জাহিদুর রহমান, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, প্রকাশনা সম্পাদক মো. আলী আকবর, সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ বিল্লাহ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ফিরোজ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফখরুল বিন খালেক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদ এলাহী, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. আব্দুল গোফরান মোস্তান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তারিক উল্লাহ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক আবদুল আহাদ রুবেল, আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আবুল বাশার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াদুদ রিয়াজ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. তানজীদ হোসেন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা বেগম পলি।