ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা এ চার্জশিট জমা দেন।

শনিবার সংশ্নিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাজারীবাগ থানায় এ মামলা করেন। গত বছরের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন শফিকুল ইসলাম কাজল।

নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে ভারতীয় সীমান্তের একটি মাঠ সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি। পরদিন অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।




মুজিববর্ষে পাকা ঘর পাচ্ছে আরও এক লাখ পরিবার

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে আরও এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাকা ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার পরিবারকে আগামী এপ্রিলে এবং ৫০ হাজার পরিবারকে জুনে ঘর দেবে সরকার। এর আগে জানুয়ারিতে প্রথম ধাপে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘর নির্মাণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রত্যেক বিভাগের কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া দ্বিতীয় ধাপে ৫০ হাজার নতুন ঘর নির্মাণ কাজ ৭ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই ৫০ হাজার ঘরের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিলের দিকে এই ঘরগুলো উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর পরবর্তী ৫০ হাজার ঘর হয়তো জুলাই মাসে উদ্বোধন করতে পারব।

প্রথম পর্যায়ে গৃহনির্মাণ কার্যক্রমের মান প্রশংসা পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কাজের এই গুণগত মান ধরে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

ডিভিও কনফারেন্সে যুক্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আরও উপকারভোগী চিহ্নিত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আরও নতুন ঘর নির্মাণের প্রস্তাব পাঠাতে হবে। প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, এবারের নির্মাণাধীন ঘরের নকশায় ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঘরপ্রতি ২০ হাজার টাকা বাজেট বাড়ানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচসহ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা করা হয়েছে।

‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে এসব ঘর দেওয়া হচ্ছে।