ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪৭

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ  এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটকসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৫১ গ্রাম হেরোইন, ১২০ বোতল ফেন্সিডিল, ৮৯ কেজি ৯৪০ গ্রাম গাঁজা, ১০৬৯৪পিস ইয়াবা ও ২০টি ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৫টি মামলা রুজু হয়।




আজ ঢাকা জেলা আ.লীগের সম্মেলন

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ  শনিবার (২৯ অক্টোবর)। রাজধানীর আগারগাঁও শেরে বাংলা নগর পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।




নরসিংদীতে গোসলে নেমে ২ মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ, ২০ঘন্টা পর মিলল একজনের মরদেহ

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে পিকনিকে এসে মেঘনায় গোসল করতে নেমে দুই মাদ্রাসা ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোঃ গালিব হক (১৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর তার মরদেহটি উদ্ধার হয়।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়নের চর আফজালের মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফরিদুল আলম।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে পিকনিকে গিয়ে ফুটবল খেলা শেষে অন্যান্যদের সঙ্গে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজ ছাত্ররা হচ্ছে- নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার দড়িপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মোঃ গালিব মিয়া (১৫) এবং একই জেলার রায়পুরা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সহিদুল ইসলাম মাফফুজ (১৭)। তারা দুইজনেই নরসিংদী সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া মুহম্মদীয়া ইন্টারন্যাশনাল তাহফুজুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং কুরআনে হাফেজ ছিলেন। তাদের মধ্যে গালিবের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা।

নৌ-পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মাদরাসার বার্ষিক পিকনিকে শিক্ষকসহ ৩২ জন আলোকবালী ইউনিয়নের চর আফজালে যান। বিকেলে ফুটবল খেলা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে তারা গোসল করতে নামেন। শিক্ষকসহ বাকি ৩০ জন উঠে আসলেও অনেক খোজাখুঁজির পরেও ওই দুই ছাত্রকে আর পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে নরসিংদী সদরের করিমপুর নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদেরকে না পেয়ে এবং ডুবুবি দল না থাকায় এদিন রাত ৯টায় তারা উদ্ধার অভিযান শেষ করেন।

পরে শুক্রবার (২৮অক্টোবর) সকালে টঙ্গী থেকে পাঁচ সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তারা দীর্ঘক্ষন নদীতে খোঁজাখুঁজি করে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে গালিবের মরদেহ উদ্ধার করেন। আর মাহফুজের খোঁজে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মোঃ ফরিদুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই তাদের উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি।

বাকি একজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল একসঙ্গে নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে ।




ইসিতে ৩৫ দলের নিবন্ধন পেতে আবেদন

ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে নতুন দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)তে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে পেতে ৩৫টি দল।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,- আগামী রোববার (৩০ অক্টোবর) নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময়। এ পর্যন্ত ৩৫টির মতো নতুন দল আবেদন করেছে।

আবেদনকারী দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ আম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট (বিডিএম), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি (বাংলাদেশ টিজেপি), নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট (পিডিএ), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, এ বি পার্টি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রীন পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জো, নতুন ধারা বাংলাদেশ-এনডিবি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় দল, কৃষক শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনে প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করার বিধান রয়েছে। সে মোতাবেক গত ২৬ মে দলগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় সংস্থাটি। পরে অনেকের আবেদনের ভিত্তিতে আরও দুমাস সময় বাড়ায় ইসি।

এক এগার সরকারের সময় ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। সে সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাইয়ের পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সব মিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

বর্তমানে নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাকের পার্টি, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।

এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন,প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।




নরসিংদীতে জাতীয় সড়ক দিবস-২০২২ উদযাপন

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:

“আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো নরসিংদীতেও জাতীয় সড়ক দিবস-২০২২ উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ নরসিংদী সার্কেলের আয়োজনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিআরটিএ নরসিংদীর ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ডের সভাপতি এ এস এম ইবনুল হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান। প্রধান অতিথি বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব আমাদের নিজেদের। আমরা যদি যার যার অবস্থান থেকে আরোও সচেতন হই তাহলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

আমরা অফিস আদালতে অথবা স্কুল কলেজে যাবার জন্য সময় নিয়ে বের হবো এবং তাড়াহুড়ো করে গাড়ী চালাবনা। দ্রুত পৌছানোর চেয়ে নিরাপদে গন্তব্য পৌছাবো। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।




ঢাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৩!

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ডিএমপির বিভিন্ন থানায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২২অক্টোবর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো.ফারুক হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৬৩১ পিস ইয়াবা, ২৬ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন, ২ কেজি ৪৪০ গ্রাম ২৫০ পুরিয়া গাঁজা ও ২০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৪টি মামলা  হয়েছে বলেও তিনি জানান।




নরসিংদীর পলাশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সব পুড়ে ছাই

নরসিংদীর পলাশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সব পুড়ে ছাই

মোঃ মোবারক হোসেন , নরসিংদী প্রতিনিধি:

 নরসিংদীর পলাশে আব্দুর রহমান নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর বাড়ির ১৩টি রুম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার (১৬ অক্টোবর ) রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের চরকার ১নং গেইট এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পলাশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোঃ হাদিউল ইসলাম শুভ।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কাজিরচর গ্রামের চরকা ১নং গেইট এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের বাড়ির সাথেই পল্লীবিদ্যুতের একটি খুঁটির ট্রান্সফরমারে সর্ট সার্কিট দেখা দেয়। পরে ট্রান্সফরমার থেকে নিচে থাকা আব্দুর রহমানের তিনটিসহ ভাড়াটিয়াদের ১৩টি সেমি পাকা রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় তাদের রুমে থাকা ১৩টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে প্রাণের চরকা টেক্সটাইল মিলের ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময়ের মধ্যে ১৩টি রুম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের টিম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা ধারণা করছেন এই অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের-উল হাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান।

পলাশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোঃ হাদিউল ইসলাম শুভ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয়দের সহায়তায় চরকা মিলের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি সেমি পাকা রুম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । এসময় ভাড়াটিয়ারা কর্মস্থলে থাকার কারণে তারা মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। বাড়ির মালিকের সদস্যরা এসময় বাসায় ছিলেন না। তিনি আরোও জানান, এই ১৩টি রুমের জন্য মাত্র ১টি বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।




ফরিদপুরে বন্ধ হচ্ছে না চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ

ফরিদপুর  প্রতিনিধি –

ফরিদপুরে আবারও চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। মাঝখানে বেশ কিছুদিন বিরতির সাম্প্রতিক সময়ে আবারও এমন ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্তভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে মারায় যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও যেকোন মুহুর্তে আশঙ্কাজনক কিছু ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার পথে পুখুরিয়া স্টেশন ছাড়ার এক মিনিট পরে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন লুবনা বেগম (২০) নামে একজন নারী।

অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঘটনার অধিকাংশই থানা কিংবা রেল পুলিশকে জানানো হয় না বলেও দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়না।

ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল মান্নান মুন্নু জানান, সাম্প্রতিককালে ফরিদপুরের এই রেল রুটে কমপক্ষে ১০ জনের মতো রেলযাত্রী এভাবে পাথর ছুড়ে মারায় আহত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, গত বছর এভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে যাত্রীদের আহত করার পর জেলা প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাাহিনীর অভিযান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতা এবং স্থানীয়দের সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হয়। এর ফলে দীর্ঘদিন চলন্ত ট্রেনে এভাবে পাথর নিক্ষেপ করা বন্ধ ছিলো। এরপর গত মাসাধিককালযাবত আবার শুরু হয়েছে। রেললাইনের মাটি ধ্বস রোধে স্লিপারের নিচে ফেলে রাখা মুজদকৃত পাথর কুড়িয়ে নিয়ে সেসবই নিক্ষেপ করা হচ্ছে। চলন্ত ট্রেনে ছুড়ে মারা এসব পাথর গুলির বেগে এসে বিদ্ধ হচ্ছে অনেকের চোখেমুখে।

আবু বকর সিদ্দিকী নামে একজন রেলযাত্রী জানান, এর আগে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি তালমা স্টেশন ত্যাগ করার পরে তার সামনেই এভাবে পাথর ছুড়ে একজন যাত্রীকে আহত করার ঘটনা ঘটে। এতে ওই যাত্রীর কপাল ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যান।রেলওয়ে পুলিশ পাথর ছুঁড়ে মারার সাথে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য দিলে নগদ টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে। নানাভাবে এর বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। তবুও থামছেনা এসব ঘটনা।এ ব্যাপারে ভাঙ্গা রেলস্টেশন মাস্টার মো: শাহজাহান জানান, অতি সম্প্রতি আবারও পাথর ছুড়ে রেলযাত্রীদের আহত করার কয়েকটি ঘটনার খবর জেনেছেন তিনি। ফরিদপুরের পুখুরিয়া থেকে তালমার মাঝামাঝি জানদি গ্রাম ছাড়িয়ে এ ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া পুখুরিয়া পেরোনোর পরে এবং বাখুন্ডার কাছাকাছি কিছু ঘটনার খবরও জানা গেছে। বিশেষ করে সন্ধার গাড়িতে এসব বেশি হয়।

তিনি জানান, এসব ঘটনার পরে আহতরা লিখিত অভিযোগ দেননা বলে নির্দিষ্ট করে এর সংখ্যার প্রকৃত হিসাব জানা থাকেনা। তবে এসব ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। সিআরপি থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে জনমত তৈরির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার পর মৃত্যুর নজিরও রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে জনসচেতনা বাড়াতে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারীর সম্পর্কে তথ্য দিলে কিংবা ধরিয়ে দিলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও বাস্তবে তেমন কারও শাস্তি হয়েছে- এমন নজির খুব একটা নেই। তবে এব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেকে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন বলেন, এরকম ঘটনা এখন পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। যদি রেল কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সহকারে পুলিশের সহযোগিতা চায় তবে পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করবে।

এ ব্যাপারে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, এ ধরণের ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। বিশেষ করে সন্ধার পর অন্ধকারে পাথর ছুড়ে মারা হয়। বিশেষ করে পুখুরিয়ার ওই দিকটাতে বেশি হয়। তবে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা না হওয়ায় বেশিরভাগ সময়েই পুলিশকে জানায়না ভুক্তভোগীরা। আমরা মাঝেমধ্যে রেলের ডিউটিরত পুলিশের মাধ্যমে খবর পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেই।

তিনি জানান, এর আগে ফরিদপুরের ডিবি পুলিশকে দিয়ে অভিযান চালানোর পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিলো। তবে আমরা সোমবারে আবার সেখানে যাবো এবং স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। রেলযাত্রা নিরাপদ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




নরসিংদীতে হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাজানো নাটক

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে আলোচিত হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাজানো নাটকের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার (১৫ আক্টোবর) নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আল-আমিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান যে, গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন সজীব মিয়া কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার বন্ধু মামুনকে সাথে নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার নাটক সাজানো হয়। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মাধবদী থানায় পাঁচদোনা এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে।একজন ব্যাক্তিকে গুলি করা হয়েছে মর্মে মিডিয়ার মাধ্যমে জেলা পুলিশ নরসিংদীর দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদ প্রাপ্তির পর তাৎক্ষনিক ভাবে নরসিংদী জেলা পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তকালে জানা যায় মোঃ সজিব মিয়া (৩০), পিতা-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল মিয়া, সাং-আসমান্দীর চর (মুক্তিযোদ্ধা আর্দশ গ্রাম), থানা-মাধবদী, জেলা-নরসিংদী উক্ত ঘটনার স্বীকার হইয়াছে। ঘটনা ঘটার পর পরই উক্ত ব্যক্তি প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায় এবং সেখানেও চিকিৎসা গ্রহন করে। উক্ত ঘটনার ঘটনাস্থল হিসাবে সজিব পাঁচদোনা বাজারে বাসপট্টি আনিস ট্রেডার্স এর সামনে বলিয়া উল্লেখ করে এবং ঘটনার সময় তার সহিত তার বন্ধু মামুন(২৬), পিতা- মৃত কালাম, সাং- পাথরপাড়া (আঃ আলী মেম্বারের পাশের বাড়ী শ্বশুড় মতি মিয়া), থানা- মাধবদী, জেলা- নরসিংদী উপস্থিত ছিল বলিয়া জানায়।

জেলা পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পর্যালোচনাকালে ঘটনার কোন অস্থিত্ব পায় না। তবে উক্ত সময়ে তাদেরকে স্বাভাবিক ভাবেই হেটে যেতে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় এবং আর কাউকেই আশপাশে দেখা যায় নাই। পরবর্তিতে উল্লেখিত সজিব মিয়ার বন্ধু মামুনকে জেলা পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায় প্রকৃত পক্ষে উল্লেখিত মোঃ সজিব মিয়া(৩০), শিবপুর থানার মামলা নং-১(৪)১৫, ধারা-৩০২/৩৪ এর স্বাক্ষী। গত ইং-১১/১০/২২ তারিখ উক্ত মামলার নরসিংদী কোর্টে স্বাক্ষী ছিল। পরবর্তিতে ইং ১২/১০/২২ তারিখে উল্লেখিত সজিব মিয়া মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানার জিডি নং-৭৬২ তারিখ-১২/১০/২২ ইং দাখিল করে, সেখানে টিটু, মোস্তফা, মাসুম ও পলাশদের বিরুদ্ধে তাকে উক্ত সাক্ষীর কারনে হুমকী প্রদান করা হয়েছে মর্মে জানায় । মূলত এই বিষয়টি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করার জন্য মাধবদী থানাধীন পাঁচদোনা দাসপাড়া সাকিনস্থ প্রফুল্ল এর পুকুরপাড়ের এক কোনায় নির্জন স্থানে সঙ্গীয় বন্ধু মামুনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সজিব মিয়া নিজেই তার শরীরের ডান পাশে বুকের উপর ছুরি দিয়ে চিরে কালো এক ধরনের ব*স্তু প্রবেশ করায় এবং শরীরে আরও কয়েকটা স্থানে ছু*রি দিয়ে নিজেই পো*চ দেয় এবং মামুনকে বলে এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়া যেতে। পরবর্তিতে তারা নরসিংদী সদর হাসপাতালে যায় এবং সেখানে ডাক্তারকে সে গু*লিবিদ্ধ হয়েছে মর্মে উপস্থাপন করলে তাকে পরবর্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে তাৎক্ষনিক ছেড়ে দেন। মাধবদী আসলে সজীবকে তার বন্ধু মামুনের বক্তব্য অনুযায়ী মুখোমুখি করলে সে পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং বলে জিডিতে উল্লেখিত আসামীদের শায়েস্তা করা এবং পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য উক্ত ঘটনা সাজিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, সজীব মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানার মামলা নং-৫৩(৪)২০০৯, জিআর নং-২২৭/২০০৯, ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড পাওয়া যায়।
উল্লেখ্যা, শিবপুর থানা মামলা নং-১(৪)১৫, ধারা-৩০২/৩৪
এর বাদী রোমান পাঠান বলেন, আমার ভাইকে (আরিফ পাঠান) বরইতলা আদুরী কমপ্লেক্স (ঢাকা-সিলেট) মহাসড়ক এলাকায় প্রকাশ্যে গু*লি করে হত্যা করা হয়। সেদিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন সজীব মিয়া। তিনি সেখানকার এক “স” মিলের কর্মচারী ছিলেন। গু*লির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে তিনি আসামীদের দেখতে পান। তাই আরিফ হ*ত্যা মামলায় তাকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আসামী টিটু, মাসুদ ও পলাশ বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিফ হোসেন পাঠান তার নিজ এলাকা কারারচর (বরইতলা) আদুরী কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে টিটু, মোস্তফা, মাসুদ, পলাশ ওরফে পলাশ, আনোয়ার গং প্রকাশ্যে দিবালোকে এলোপাতাড়ি গু*লিতে নি*হত হন। নি*হত আরিফ পাঠান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হওয়ায় জনসাধারণের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার মৃ*ত্যুর খবরে ওইসময় জনসাধারণ ক্ষোভে রাস্তায় নেমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ করে। ছিল। পরে সংবাদটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে হ*ত্যাটি আলোচিত হত্যাকান্ডে রুপ নেয়। পরদিন তার ছোট ভাই রোমান পাঠান বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি হ*ত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অন্যতম সাক্ষী করা হয় সজিব মিয়াকে।




রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান: গ্রেফতার ৪১

মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১৫ অক্টোবর) একই সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল।

ডিএমপি জানায়, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৭৮৭ পিস ইয়াবা, ৪৬ কেজি ১৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১৫০ গ্রাম ৯০ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল।