কারো মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কী করতে হয়?

বিশ্বের কয়েকশ কোটি মানুষ সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। দিনের অনেকটা সময় কাটায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রোল করে। নিয়মিত ছবি, ভিডিও পোস্ট করে। সেগুলোর আবার লাইক, শেয়ার চেক করা হয়। এছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করা হয় সারাক্ষণ। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে মৃত্যুর পর তার অনলাইনে উপস্থিতির কী হবে। অনেক সময় অ্যাকাউন্টের কী হবে তা ব্যবহারকারী নিজেই ঠিক করতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি অনেকেই হয়তো জানেন না। এছাড়া স্বজন সামাজিক মাধ্যমকে ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে কিছু না জানানো পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মৃত্যুর খবর জানালে কিছু সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইল বন্ধ করে দেয়ার সুযোগ দেয়। আবার কিছু সামাজিক মাধ্যম দেয় ভিন্ন বিকল্প। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে ব্যক্তির মৃত্যু সনদপত্র দিলে হয় অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দেয়া হয় অথবা মেমোরিয়ালাইজড করে দেয়া হয়। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টটি একটি সময়ে আটকে যাবে এবং ব্যবহারকারীকে স্মরণ করবে। এ সময় অন্যরা অ্যাকাউন্টটিতে ছবি ও স্মৃতি পোস্ট করতে পারবে। মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের নামের পাশে ‘ইন মেমোরিয়াম’ বা ‘স্মরণে’ লেখা থাকবে। কেউই ওই অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে বা চালাতে পারবে না, যদি না ব্যবহারকারী মৃত্যুর আগে কোনো ‘লিগ্যাসি কন্টাক্ট’ দিয়ে যায়।
সাধারণত পরিবারের কোনো সদস্য বা বন্ধুকে ‘লিগ্যাসি কন্টাক্ট’ হিসেবে দেয়া যায়। তারা মৃত ব্যক্তির একাউন্টের কন্টেন্ট পরিচালনা কিংবা ডিএক্টিভেটের (নিষ্ক্রিয়) অনুরোধ করতে পারে।  ফেসবুকে ‘পিপল ইউ মে নো’ বা ‘যাদের হয়তো আপনি চেনেন’ তালিকায় সম্ভাব্য ভার্চুয়াল বন্ধুদের কাছে মেমোরিয়ালাইজড অ্যাকাউন্ট দেখানো হয় না। আর মৃত ব্যক্তির বন্ধুদের কাছে তার জন্মদিনের কোনো নোটিফিকেশনও যায় না।
যেভাবে লিগ্যাসি কন্টাক্টের ফিচারের সুবিধা নিবেন
ফেসবুকের এ ফিচারটির সুবিধা পেতে হলে আপনাকে প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর অ্যাপ থেকে ফেসবুকে গিয়ে ঠিক ডানদিনে প্রোফাইল পিকচারের ছবিটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর একদম নিচে প্রাইভেসি অ্যান্ড সেটিংস অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে সেটিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে।
সেখানে ক্লিক করার পর সেখানে বেশকিছু অপশন আসবে। সেখান থেকে অ্যাক্সেস অ্যান্ড কন্ট্রোল অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর মেমোরিয়ালাইজেশন সেটিংসে গেলে ‘চুজ লিগেসি কন্টাক্টস’ অপশনটি আসবে।
সেখানে গিয়ে আপনি যার নামে অ্যাকাউন্টটি রেখে যেতে চান সার্চ অপশনে গিয়ে তার নাম লিখুন। এরপর ওই ব্যক্তির নাম আপনার স্ক্রিনে আসবে। সেখান থেকে আপনি তার নামে অ্যাকাউন্টটি করে দিতে পারবেন। তবে এটি করার জন্য ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড হতে হবে।
আপনি যখন কাউকে বেছে নেবেন তখন সঙ্গে সঙ্গে তার কাছেও একটি মেসেজ চলে যাবে। সেখানে লেখা থাকবে আপনি তাকে আপনার অবর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টের ক্ষেত্রে কারো প্রোফাইল মেমোরিয়ালাইজড করার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে ব্যক্তির মৃত্যু হলে কিংবা একাউন্টের মালিক তা ব্যবহারে অক্ষম হলে অ্যাকাউন্টটি কেবল ডিএক্টিভেট করা যাবে।



ইসরায়েলে বিনিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ করায় গুগলের ২৮ কর্মী বরখাস্ত

ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিরোধিতা করায় ২৮ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে গুগল। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউ ইয়র্কে তাদের দপ্তরে ১০ ঘণ্টা কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করে ওই কর্মীরা। সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নো টেক ফর অ্যাপারটাইড’ নামে কর্মীদের একটি গ্রুপ এই বিদ্রোহ করে। ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়েই তারা অসন্তুষ্ট। বিশেষ করে প্রজেক্ট নিমবাস। এই প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে ইসরায়েল ও গুগল।
এই ঘটনার পরেই বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের গুগলের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। এমনকি যারা আন্দোলনের সমর্থক, কিন্তু সরাসরি অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেননি তাদের কাছেও নোটিশ যায় সংস্থার এমপ্লয়ি রিলেশনশ গ্রুপের পক্ষ থেকে।
গুগলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক অভ্যন্তরীণ বিবৃতিতে কর্মীদের জানানো হয়েছে, আমাদের সংস্থায় এই ধরনের বিক্ষোভের কোনও জায়গা নেই এবং আমরা এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করবো না।
বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে এক বিবৃতিতে গুগল জানিয়েছে, শারীরিকভাবে অন্য কর্মীদের কাজে বাধাদান আমাদের নীতির বিরোধী এবং এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই কর্মীদের বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা অফিসের অঞ্চল ছেড়ে যেতে রাজি না হওয়ায় অফিসের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের অফিসের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। আমরা আপাতত ২৮ জন কর্মীকে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত করেছি এবং পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত চলছে।



চীনা অ্যাপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট

মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল চীনা সরকারের আদেশ মানতে চীনে নিজস্ব অ্যাপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ও থ্রেডস অ্যাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করেছে দেশটির সরকার।
জানা যায়, অ্যাপল সম্প্রতি তাদের অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড সাইট অ্যাপ স্টোর থেকে মেটার মালিকানাধীন দুটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডস সরিয়ে নিয়েছে। যদিও শুধু অ্যাপ স্টোর চীনা শাখায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা এখনো এ দুটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারছেন।
মার্কিন টেক জায়ান্টটি জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে চীনা সরকার তাদের এ নির্দেশ দিয়েছে। চীনে হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হলেও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য মেটার অ্যাপগুলো কিন্তু এখনো অ্যাপ স্টোরে চালু রয়েছে।
এমনকি ইউটিউব এবং টুইটার (বর্তমানে এক্স) প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো অ্যাপগুলো এখনো ডাউনলোড করা যাচ্ছে। ফলে নির্দিষ্টভাবে হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডস কিভাবে দেশটির জন্য জাতীয় হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠেছে তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না।



হ্যাকিং যখন পেশা

হ্যাকিং মানেই যেন খারাপ কিছু। তবে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ভালো কাজও হয়ে থাকে। অনেক বড় প্রতিষ্ঠান হ্যাকারদের কাজেও লাগিয়ে থাকে। চাইলে হ্যাকিংকে পেশা হিসেবেও নেওয়া যায়। জানাচ্ছেন তামজীদ রহমান লিও
হ্যাকার। শব্দটি শুনলে একটি নেতিবাচক ভাব উঠে আসে অনেকের মনে। ইন্টারনেট জগতের ত্রাস যেন এই হ্যাকার। সেই ১৯৬০ সালের দিকে হ্যাকিং শব্দটি ব্যবহৃত হতো শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের মধ্যে। ‘হ্যাকিং’ বলতে সে সময় বোঝানো হতো কোনো সিস্টেম বা মেশিনকে কোনো উপায়ে বেশি কার্যকর করে তোলাকে। তবে এখন বেশির ভাগ মানুষই হ্যাকিং বলতে বোঝে ইন্টারনেট জগতে কোনো কিছুর ক্ষতিসাধনকে। আসলে সাইবার ওয়ার্ল্ডের শুধু খারাপ কাজগুলোকেই হ্যাকিং বলে না, এটির যেমন নেতিবাচক দিক আছে, তেমনি আছে ইতিবাচক দিকও। যাঁরা ভালো উদ্দেশ্যে হ্যাকিং করেন, তাঁদের বলা হয় ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’, আর যাঁরা ক্ষতি করার জন্য হ্যাকিং করে থাকেন, তাঁদের বলা হয় ‘আনইথিক্যাল হ্যাকার’। দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিশ্বে ইথিক্যাল হ্যাকারের চেয়ে আনইথিক্যাল হ্যাকারের সংখ্যা অনেক বেশি। কারণ শখের বশে হ্যাকিং চর্চা করতে গিয়ে অনেক তরুণই সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। প্রতিবছর শুধু এই অপরাধের শিকার হয়ে বহু প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় সব নথি। অপরাধের মাত্রা বেশি হওয়ায় একবার ধরা পড়লে বাকি জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এসব তরুণ হ্যাকারের।

কিন্তু বৈধ হ্যাকিং বা ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যে ভালো অঙ্কের অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব তা অনেকেরই অজানা।

ইথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে চাকরি

প্রযুক্তি বিশ্বে এখন সাইবার আক্রমণের পরিমাণ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ছোট প্রতিষ্ঠান তো বটেই, নামকরা বড় প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বাদ যাচ্ছে না সাইবার আক্রমণ থেকে। নাসা, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী, এইচবিও, এনএসএ, উবার, ইকুয়াফ্যাক্স, অ্যাকসেঞ্চারের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া একাধিক র‌্যানসমওয়ারও ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দেশে। এসব থেকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষিত রাখতে বিশ্বের বড় বড় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইথিক্যাল হ্যাকার বা সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিচ্ছে। গ্লোবাল নলেজের রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে আইটি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনধারী হলো ইথিক্যাল হ্যাকার বা সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশেও ইথিক্যাল হ্যাকার বা সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে।

বাগ বাউন্টি

বাগ বাউন্টি এমন একটি প্রগ্রাম, যার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুর্বলতা খুঁজে দেওয়ার বিনিময়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা বিশ্বের স্বাধীন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকদের পুরস্কার প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন ছোট প্রতিষ্ঠান তো আছেই; পাশাপাশি ফেসবুক, মাইক্রোসফট, গুগল, নাসা, ইনটেল, উবার, নেটফ্লিক্স, এইচপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যন্ত তাদের সাইবার নিরাপত্তার জন্য বাগ বাউন্টি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নির্ভরশীল। নিরাপত্তা ত্রুটি বা বাগের ধরনের ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানগুলো উপহারের পাশাপাশি প্রতি রিপোর্টে ন্যূনতম ৫০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বাউন্টি দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাগ রিপোর্টারকে কিছু পদ্ধতি বা নিয়ম-কানুন মেনে বাগ রিপোর্ট জমা দিতে হয় এবং প্ল্যাটফর্মগুলোর এসব নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ করলে বা অনৈতিক কিছু করলে তা বাউন্টির জন্য উপযুক্ত হয় না।

বাউন্টি প্রদানের কারণ
হ্যাকিং শুধু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শেখা যায় না, এটি একটি শিল্পের মতো। সম্পূর্ণ দক্ষতা, চিন্তাশক্তি এবং সৃজনশীলতার ওপর একজন হ্যাকার কতটা শক্তিশালী তা নির্ভর করে। তাই কোনো প্রতিষ্ঠান বেতনধারী ইথিক্যাল হ্যাকার রাখলেও সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে পারে না। বিশ্বের সব স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব সাইবার নিরাপত্তা এবং ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম থাকে। এর পরও সাইবার দুনিয়ায় একটি বিষয় প্রচলিত আছে যে কোনো সিস্টেমই শতভাগ নিরাপদ নয়। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু তাদের নিজস্ব দলের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের আমন্ত্রণ জানায় তাদের সাইবার নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।

বাগ বাউন্টির প্ল্যাটফর্ম

বাউন্টি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ওয়েবসাইট ছাড়াও বিভিন্ন ওয়েব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হ্যাকারদের বাউন্টি দিয়ে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে তারা তাদের চাহিদাগুলো জানিয়ে দেয়, পাশাপাশি কোন ধরনের বাগের জন্য বাউন্টি হিসেবে কত ডলার দেবে, তারও একটি তালিকা দিয়ে দেয়। শুধু তা-ই নয়, কোন ধরনের বাগগুলো বাউন্টির আওতায় পড়বে না, সে ব্যাপারেও পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া থাকে। হ্যাকারদের কাছে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলো হলো :
HackerOne, Bugcrowd, Synack, Detectify, Cobalt, Open Bug Bounty, Zerocopter, YesWeHack, HackenProof, Vulnerability Lab, FireBounty, BugBounty Japan, Antihack, Intigriti, SafeHats, RedStorm, Cyber Army, Yogosha|
এ বছরের সেরা বাগ বাউন্টি প্রগ্রাম

মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফট তাদের বাগ বাউন্টি প্রগ্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করে ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। তারা শুধু জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ বাগগুলোর জন্য বাউন্টি প্রদান করে থাকে। এই প্রগ্রামে তারা সর্বনিম্ন ১৫ হাজার ডলার থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত বাউন্টি দিয়ে থাকে। বাগ বাউন্টি প্রগ্রামগুলোতে মাইক্রোসফটই অন্য সবার চেয়ে বেশি বাউন্টি দিয়ে থাকে।

অ্যাপল

অ্যাপল যখন প্রথম তাদের বাগ বাউন্টি প্রগ্রাম চালু করল, তখন তারা মাত্র ২৪ জন সিকিউরিটি রিসার্চারকে এই প্রগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিল। পরে অবশ্য সবার জন্য নিজেদের বাউন্টি প্রগ্রাম উন্মুক্ত করে দেয় অ্যাপল। বাউন্টি প্রদানের ক্ষেত্রে অ্যাপলের কোনো নির্দিষ্ট অঙ্ক না থাকলেও তারা দুই লাখ ডলার পর্যন্ত বাউন্টি প্রদান করেছে।

ফেসবুক

ফেসবুকের বাগ বাউন্টি প্রগ্রামের মাধ্যমে সিকিউরিটি রিসার্চাররা ইনস্টাগ্রাম, অ্যাটলাস এবং হোয়াটস অ্যাপের নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতাগুলো রিপোর্ট করতে পারবেন। তাঁদের ন্যূনতম বাউন্টি ৫০০ ডলার হলেও আকর্ষণীয় বিষয় হলো, তাঁদের কোনো সর্বোচ্চ বাউন্টি সীমাবদ্ধতা নেই। বাগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে তারা যেকোনো অঙ্কের বাউন্টি দিতে রাজি।

গুগল

গুগলের বাউন্টি প্রগ্রামের আওতায় ব্লগার এবং ইউটিউবও রয়েছে। এরা শুধু পাঁচ ধরনের বাগের ওপর বাউন্টি দিয়ে থাকে। গুগল সর্বনিম্ন ৩০০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ডলার পর্যন্ত বাউন্টি দিয়ে থাকে।

ইয়াহু
ইয়াহু বারবার হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার কারণে তাদের বাগ বাউন্টি প্রগ্রাম পরিচালনা করার জন্য আলাদা একটি দলই রেখে দিয়েছে। সিকিউরিটি রিসার্চারদের পাঠানো বাগ রিপোর্টগুলো ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং এই বাগগুলো সর্বোচ্চ কতটুকু ক্ষতি সাধন করতে পারে, তা অনুধাবন করাই এই দলের মূল কাজ। ইয়াহুর বাউন্টি প্রগ্রামের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কোনো পরিমাণ নেই, তবে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত তারা বাউন্টি দিয়ে থাকে। আনন্দের বিষয় এই যে বাংলাদেশের একজন সিকিউরিটি রিসার্চারও ইয়াহুর খুব গুরুত্বপূর্ণ বাগ ধরে দেওয়ার জন্য তাদের সর্বোচ্চ বাউন্টি পেয়েছেন।

উবার

জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস উবার তাদের ব্যবহারকারী এবং চাকরিজীবীদের তথ্যের সুরক্ষা প্রদানের জন্য বাউন্টি প্রগ্রাম চালু করেছে। তাদের সর্বনিম্ন বাউন্টির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্ক না থাকলেও সর্বোচ্চ তারা ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত বাউন্টি প্রদান করে।

অ্যাভাস্ট
অ্যান্টি ভাইরাস কম্পানি অ্যাভাস্ট বিভিন্ন বিভাগে নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতার জন্য সিকিউরিটি রিসার্চারদের বাউন্টি দিয়ে থাকে। ন্যূনতম ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত বাউন্টি তাদের প্রগ্রামের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটেই তারা এই বাউন্টি প্রগ্রাম পরিচালনা করে।
টুইটার
টুইটার তাদের সাইবার নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতাগুলো ধরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে সর্বনিম্ন ১৪০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত প্রদান করে থাকে। বাগ বাউন্টির জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হ্যাকারওয়ানের মাধ্যমে নিজেদের এই বাউন্টি প্রগ্রাম পরিচালনা করে থাকে।




শঙ্কা ছড়িয়েছে ফেসবুক কিন্তু কেন!

সারাবিশ্বে এখনও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিবন্ধিতরা পুরোপুরি পরিষেবা পাচ্ছেন না। বহু নিবন্ধিত প্ল্যাটফর্ম অ্যাকসেস করতে সমস্যায় পড়ছেন। ফটো ও প্রোফাইল ছবি দেখতেও বিভ্রাটের মুখোমুখি হচ্ছেন, যার প্রভাব ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের নিবন্ধিতদের প্রভাবিত করেছে। ভক্তদের মধ্যে যা হতাশা ছড়িয়েছে। অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশে অনেকে ফেসবুকের বিকল্প সামাজিক মাধ্যমে খুঁজে বেড়িয়েছেন।

ইনস্টাগ্রাম, মেটা ও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা বিভ্রাটের বিষয়ে দাপ্তরিক কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানায়নি মেটা। তবে মেটাভুক্ত হলেও হোয়াটসঅ্যাপ নিবন্ধিতরা তেমন কোনো সমস্যায় পড়েননি।

শুধু ভারতেই ২০ হাজারের বেশি রিপোর্ট (অভিযোগ) ই-মেইল করা হয়। সব সমস্যাই হয় মূলত প্রধান শহরকেন্দ্রিক। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিতরাও ফেসবুক বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছেন। অ্যাডমিন (মেটা) সূত্রে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত সমস্যায় মাঝেমধ্যে আপডেট প্রয়োজন হয়, যা করতে গ্রাহকসেবা কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধান করা হয়। বিদ্যমান সমস্যাও ধীরে ধীরে সমাধান করা হবে। বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই এখন। তাৎক্ষণিক সমস্যায় ফেসবুক ভুক্তভোগীরা শঙ্কায় পড়েছিলেন। দ্রুতই তা সমাধানে কাজ করেছে মেটা।

নিবন্ধিত গ্রাহকরা মেটার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ও থ্রেড অ্যাপ ব্যবহারেও বিভ্রাটের শিকার হন। দ্রুতই মেটা সমস্যার উপস্থিতি স্বীকার করে বলেছে, সক্রিয়ভাবে সমস্যাটি সমাধানে যথাযথ কাজ চলমান। সব পরিষেবা পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়া অবধি পুনরুদ্ধার কাজ চলবে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

দ্রুতই মেটা-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের পরিষেবার পাসওয়ার্ড বদলে নেওয়া। অ্যাপ বা ডেস্কটপে নতুন পাসওয়ার্ডে লগইন ও লগআউট করা। পরের নির্দেশে নিরাপত্তার ইস্যুতে মেটা যে পরামর্শ দেবে, তা যথাযথভাবে পালন করা। ততোধিক ডিভাইসে ফেসবুক লগইনে সতর্ক থাকা।




ইলন মাস্ক-জাকারবার্গের কথার যুদ্ধ

বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে বিভ্রাট দেখা দেয় মঙ্গলবার রাতে। প্রায় দেড় ঘণ্টা নিষ্ক্রিয় ছিল মেটার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে সাড়ে ১০টার পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় ছিল সামাজিক মাধ্যমটি। কারিগরি ত্রুটির কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে পারছিলেন না। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় হইচই। ব্যবহারকারীরা যখন নিজের আইডি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে শুরু হয় কথার যুদ্ধ।  

এ বিষয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও থ্রেডস অ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ রাত ৯টা ৩৯ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘চিল গাইস, কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন, সব ঠিক হয়ে যাবে।’




উন্মোচনের আগেই স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩’র ছবি ফাঁস

স্যামসাংয়ের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট ডিভাইস ‘গ্যালাক্সি এস২৩’ উন্মোচন হতে পারে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। নতুন ডিভাইনটি উন্মোচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ডিভাইসটি দেখতে কেমন হবে বা এতে কী ধরনের ফিচার থাকছে, তার কিছুই অবশ্য এখনও প্রকাশ করেননি স্যামসাং।

তবে স্যামসাং না জানালেও ডিভাইসটির আসল ছবি ও ডিজাইন ফাঁস করার দাবি জানিয়েছে জার্মান প্রযুক্তি সাইট উইনফিউচার।

উইনফিউচারের বরাতে প্রযুক্তিনির্ভর সংবাদমাধ্যম ভার্জ জানিয়েছে, কালো, সাদা, সবুজ ও গোলাপি রঙে পাওয়া যাবে স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি এস২৩’। ডিভাইসটিতে থাকতে পারে উজ্জ্বল ‘ওলেড’ ডিসপ্লে, কোয়ালকমের দ্বিতীয় প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮’। ডিভাইসটির পেছনে থাকবে তিন ক্যামেরার সেটআপ।

ভার্জের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘গ্যালাক্সি এস ২২’-এর তুলনায় ‘গ্যালাক্সি এস২৩’-এর ক্যামেরা সেটআপেও পরিবর্তন আসবে।

এর আগেও একাধিকবার স্যামসাং ডিভাইসের আগাম খবর ফাঁস করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল উইনফিউচার। ধারণা করা হচ্ছে, প্ল্যাটফর্মটির এবারের খবরও সঠিক হবে।




স্যামসাংয়ের মুনাফায় ভাটা

মূল্যস্ম্ফীতি ও মন্দার শঙ্কায় বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপণ্যের বেচাকেনা তুলনামূলক কমেছে। এতে পণ্যের চাহিদা কমার পাশাপাশি নির্মাতাদের আয়ও কমেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত হিসাবে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংয়ের মুনাফায় ভাটা পড়েছে। গত বছরের শেষ তিন মাসের হিসাবে গত আট বছরে সর্বনিম্ন মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। বিশ্বব্যাপী মন্দায় সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যে। চাহিদা কম থাকায় প্রযুক্তি জায়ান্টদের অনেকের ব্যবসায় লাভের অঙ্ক কমে গেছে। গত বছরের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) স্যামসাংয়ের রেকর্ড মুনাফা কমেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ৬৯ শতাংশ কমেছে, যা বিগত ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। পূর্বাভাসে স্যামসাং জানিয়েছে, বিদায়ী বছরের শেষ তিন মাসে তাদের অপারেটিং মুনাফা প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে।




গুগল-ক্রোমে যে পরিবর্তন করলেই বাড়বে ফোনের স্পিড ও ব্যাকআপ

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার গুগল ক্রোম। সম্প্রতি এই ব্রাউজারে এসেছে নতুন আপডেট। এই আপডেট ইনস্টল করলেই মিলবে দুটি দারুণ সুবিধা। একদিকে বাড়বে ডিভাইসের স্পিড। অন্যদিকে বাড়বে ব্যাটারি লাইফ।

শিগগিরই ব্যবহারকারীদের ফোনে নতুন এই আপডেট পাঠাতে শুরু করবে গুগল। সুবিধাটি পাবেন উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, ক্রোম ওএস গ্রাহকরা। নতুন আপডেট ইনস্টল করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশের নিচে গেলে গুগল ক্রোম নিজে থেকেই পাওয়ার সেভিং মোডে চলে যাবে। ফলে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে। সেভিং মোড ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাকটিভিটি লিমিট করবে। একই সঙ্গে কমাবে ওয়েবসাইটের ভিজুয়াল অ্যাকটিভিটিও।

এই আপডেট ইনস্টল করার পরে ওপরের ডান কোণায় একটি পাতার আইকন দেখা যাবে। যার মাধ্যমে যেকোনো সময় এনার্জি সেভিং মোড এনেবেল বা চালু করা যাবে। আর ফোনের ব্যাটারি যদি ২০ শতাংশের নিচে নামে, তবে এই মোড নিজে থেকেই এনেবেল হয়ে যাবে। নতুন আপডেট ইনস্টলের পরে ক্রোমে অ্যাকটিভ হবে মেমোরি সেভিং মোড। যেসব ব্যবহারকারী একই সঙ্গে অনেক ট্যাব ওপেন করে কাজ করেন তাদের কাজ আরও সহজ করবে এই ফিচার। এটি ইনস্টলের ফলে ল্যাপটপ ও মোবাইল ৩০ শতাংশ ফাস্ট চলবে। বাড়বে ব্রাউজিং স্পিডও।

কীভাবে নিজের ডিভাইসে এই আপডেট ইনস্টল করবেন?

প্রথমে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ইনস্টল করুন। এবার ওপরের ডান কোণায় থাকা থ্রি ডট মেনু সিলেক্ট করুন।
এখান থেকে ‘হেল্প’ অপশন সিলেক্ট করে ‘অ্যাবাউট গুগল ক্রোম’ অপশনে যান। এবার ‘গুগল ক্রোম আপডেট’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

কোনো আপডেট পেন্ডিং না থাকলে এখানে ‘ইউর গুগল ক্রোম ইজ আপডেটেড’ লেখা দেখাবে। নাহয় এখানে আপডেট ইনস্টল করার অপশন দেখা যাবে। আপডেট ইনস্টলের পর গুগল ক্রোম ব্রাউজার বন্ধ করে আবার ওপেন করুন। এবার সেটিংসে পারফরম্যান্স সাইড বার দেখতে পারেন।




স্যামসাংয়ের ফোল্ডিং ফোনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে

ফোল্ডিং বা ভাঁজ করা ফোনের জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বাড়ছেই। এই ফোনের বাজারের অনেকটাই দখল করে আছে স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটির গ্যালাক্সি জেড ফোল্ডের বিক্রি সবচেয়ে বেশি।

ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের শিপমেন্ট গত বছরের তুলনায় এবছর বিশ্বব্যাপী ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে ১৬ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছাবে বলে আশা করছে বাজার বিশ্লেষকরা।

স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেড শুক্রবার জানিয়েছে, এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারের জন্য বিক্রি হওয়া গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড এবং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ স্মার্টফোনের সংখ্যা প্রতি বছরে দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের জন্য চুক্তিবদ্ধ ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের সংখ্যায় ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছে।

স্যামসাং এই বছর গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ইভেন্টে গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৪ এবং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৪ ফোন দুইটি বাজারে ছাড়ে। ইতিমধ্যে ক্রেতারা মডেল দুইটি লুফে নিয়েছেন।

গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৪ ফোনে ৭.৬ ইঞ্চির ডায়নামিক অ্যামোলিড ২এক্স ইনফিনিটি ফ্লেক্স প্রাইমারি ডিসপ্লে রয়েছে। অন্যদিকে গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৪ ফোনে ৬.৭ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলিড ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড মডেলে ৫০ + ১২ + ১০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। যেখানে ফ্লিপ ৪ এসেছে ১২ + ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাসহ। দুইটি মডেলেই রয়েছে ১০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং স্ন্যাপড্রাগন ৮+ জেন ১ প্রসেসর।

বাংলাদেশের বাজারেও হ্যান্ডসেট দুইটি পাওয়া যাচ্ছে।