২৫ অক্টোবর বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ

২৫ অক্টোবর এ বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে। গ্রহণ হবে মোট ৪ ঘণ্টা ৩ মিনিট। পঞ্জিকা অনুযায়ী সূর্য গ্রহণ ২৫ অক্টোবর বিকাল চারটা থেকে। শেষ হবে রাত আটটা তিন মিনিটে।  এর আগে এ বছরে ৩০ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হয়। চলতি বছরের উভয় সূর্যগ্রহণই আংশিক গ্রহণ।

বাংলাদেশ থেকে এই গ্রহণ আশিংক দেখা যাবে। সূর্য, পৃথিবী এবং চন্দ্র একই সরল রেখাতে  যখন অবস্থান নেয় তখন সূর্যগ্রহণের সৃষ্টি হয়।

জ্যোতিষ বিজ্ঞানীরা জানান, চন্দ্রগ্রহণের চেয়ে সূর্যগ্রহণ বেশি হয়।

সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা উচিত না। সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।  সূর্যগ্রহণ দেখতে হয় টেলিস্কোপ বা সোলার ফিল্টার দিয়ে।




পৃথিবীতে ধেয়ে আসা গ্রহাণু ঠেকাতে চীনের নয়া উদ্যেগ

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়। এসব গ্রহাণু ঠেকাতে সম্প্রতি সফলভাবে পরীক্ষা শেষ করেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে এবার কাইনেটিক ইমপ্যাক্টর টেস্ট করার পরিকল্পনা করছে চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা বা সিএনএসএ।

পৃথিবীর দিকে বিপুল বেগে ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে ধ্বংস করতে নিজস্ব প্রযুক্তি তৈরি সিদ্ধান্ত নিল চীন। সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণুর গতিপথ বদল করতে কাইনেটিক ইমপ্যাক্টর টেস্ট করার পরিকল্পনা করছে সিএনএসএ।

চীনের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সিএনএসের সহকারি পরিচালক উ ইয়ানহুয়া জানিয়েছেন, পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণুগুলোর কারণে তৈরি হওয়া সম্ভাব্য বিপদ মোকাবেলায় প্রযুক্তিগত গবেষণার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীকে রক্ষা করার খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করছি।

এদিকে চীন একটি সম্মিলিত গ্রহাণুর নমুনা-রিটার্ন মিশনও তৈরি করছে। মিশনটি পৃথিবীতে নমুনা সরবরাহের জন্য ‘কামো ওলেওয়া’কে লক্ষ্য করবে বলে জানা গেছে। এই ছোট গ্রহাণুটি নিয়ার আর্থ অবজেক্ট হিসাবে পরিচিত। চীনের চতুর্দশ পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় এই মিশন শেষ হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই এই কাজ করবে চীন।




টুইটার কেনার কথা ফের জানালেন ইলন মাস্ক

ফের টুইটার কেনার সিদ্ধান্তে ফিরেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। আইনি জটিলতার মধ্যেই টুইটারকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন বলে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। শেয়ার প্রতি ৫৪.২০ মার্কিন ডলার খরচ করবেন মার্কিন ধনকুবের।মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ করছেন ব্লুমবার্গ। দ্বিতীয়বার লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে টুইটার শেয়ারের দাম ১২.৭ শতাংশ বেড়ে ৪৭.৯৩ মার্কিন ডলার ছিল।

চলতি বছর এপ্রিলে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন ইলন মাস্ক। এর পরে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছিলেন মাস্ক।  তিনি জানান অনুমানের থেকে টুইটারে বটের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা।

টুইটারে মতে তাদের প্ল্যাটফর্মে বটের সংখ্যা মোট গ্রাহক সংখ্যার ৫ শতাংশের কম। কিন্তু ইলন মাস্ক দাবি করেছিলেন বটের সংখ্যা এর থেকে কয়েক গুণ বেশি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে টুইটার ডিল সম্পূর্ণ করতে আগ্রহী ইলন মাস্ক একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আসল দামে এই ডিলে সবুজ সংকেত দিয়েছে সব পক্ষই।

টুইটারের সঙ্গে ইলন মাস্কের বিবাদ ইতিমধ্যেই আদালতে গড়িয়েছে। ইলন মাস্কের যুক্তি এই বটগুলোর সংখ্যা ভুল জানিয়ে আসলে বিজ্ঞাপনদাতাদের ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে।

যদিও আইনি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই ক্ষেত্রে বিচারপতিকে বোঝানোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে ইলন মাস্ককে।




পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে বিঁধে ফেলল নাসা

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী গ্রহাণু। এমন খবর প্রায়ই শিরোনাম হয়। কিন্তু এই খবরে পাঠক তেমন একটা নড়েচড়ে বসেন না। কেননা, মহাকাশের গ্রহাণুর ছোটাছুটি প্রায়ই ঘটে। যার সিকিভাগ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। কিন্তু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আগেই যদি ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে বিঁধে ফেলা যায় তবে কেমন হয়? নিশ্চয়ই তা মানবকল্যাণকর। এমনই ঘটনা ঘটিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ভবিষ্যতে গ্রহাণুর হাত থেকে বিশ্বকে বাঁচাবার পরীক্ষা করলো অ্যামেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা।

১০ মাস আগে তাদের এই ডার্ট মহাকাশযান গ্রহাণু লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। রাত ১১টা ১৪ মিনিটে(জিএমটি) মহাকাশযান গিয়ে গ্রাহাণুতে আছড়ে পড়ে।নাসার  প্ল্যানেটারি সায়েন্স বিভাগের ডিরেক্টর লোরি গ্লেজ বলেছেন, ‘আমরা নতুন যুগে প্রবেশ করলাম। যে যুগে নিজেদের রক্ষা করার ক্ষমতা আমাদের থাকবে। কোনো ভয়ংকর গ্রহাণু এসে আমাদের আঘাত করতে পারবে না।’

মহাকাশযান থেকে লাইভ ফুটেজ এবং নাসার গ্রাউন্ড কন্ট্রোল টিমের প্রতিক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সংঘর্ষের এক সেকেন্ড আগে গ্রহাণুকে খুব কাছ থেকে তুলে ধরে ক্যামেরা। মহাকাশযানটি ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল(২২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার) বেগে গিয়ে গ্রহাণুর উপর আছড়ে পড়ে।  এই প্রথম এই ধরনের পরীক্ষা করা হলো। এবার ফলাফল পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা।

কয়েক সপ্তাহ আগে ডার্ট থেকে একটা ছোট্ট উপগ্রহ লিসিয়াকিউব বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটা গ্রহাণুতে মহাকাশযান আছড়ে পড়ার পর তার খুব কাছ দিয়ে যায়, যাতে ছবি তোলা যায়।

সংঘর্ষের ফলে পাথর এবং অন্য ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে যায়।গ্লেজ বলেছেন, ‘এখান থেকে বিজ্ঞানের নতুন যাত্রা শুরু। গ্রহাণুটি তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে কি না।’এই মিশনের জন্য খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। কাইনেটিক এনার্জি দিয়ে মহাকাশে কারো অবস্থান বদল করার চেষ্টা এই প্রথম।

ড্রেস রিহার্সাল

এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রহাণু, ধূমকেতু বা অন্য কোনো বস্তু পৃথিবীর কাছে নেই। নাসার ভাষায় পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে, এমন কিছু এখন নেই। তবে বিজ্ঞানীদের সাবধানবাণী, এরকম একাধিক বস্তুর দেখা পাওয়া যেতে পারে।বিজ্ঞানীদের হাতে এখন বিকল্প হলো, যখন এই ধরনের গ্রহাণু বা ধূমকেতু আসবে, তখন বিজ্ঞানীরা তার গতিপথ বদলে দিতে পারবেন।

দ্বিতীয় বিকল্প হলো, মহাকাশে সেগুলোকে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করা। যাতে ছোট ছোট টুকরো আছড়ে পড়ে, তার অভিঘাত অতটা ভয়ংকর হবে না।




আইফোনের অ্যাপ বানিয়ে টিম কুকের নজর কেড়েছে ৯ বছরের শিশু

ভারতীয় এক কন্যা শিশুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অ্যাপেলের সিইও টিম কুক। ৯ বছরের ওই মেয়ে থাকে দুবাইতে। আর সেই কন্যাই মনজয় করেছে টিম কুকের। আইফোনের জন্য আইওএস অ্যাপের ডিজাইন করেছে এই মেয়ে। দুবাই নিবাসী ৯ বছরের ওই ভারতীয় মেয়ের নাম হানা মুহাম্মদ রফিক। বয়সে সবচেয়ে ছোট অর্থাৎ কনিষ্ঠ আইওএস ডেভেলপার হিসেবে নিজের কথা টিম কুককে  জানায় ওই শিশু।

এই দাবি জানানোর পিছনে রয়েছে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ। নিজের নামের সূত্র ধরেই এই কন্যে তৈরি করেছে ‘হানাস’ নামে একটি স্টোরি টেলিং অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জন্য গল্প রেকর্ড করে রাখতে পারবেন। বলা হচ্ছে, ই-মেলের মাধ্যমে নিজের অ্যাপ তৈরির কথা অ্যাপেলের সিইও টিম কুককে জানিয়েছিল হানা। সেই ইমেলে নিজের কাজের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিল। এই ই-মেলের জবাবেই হানার প্রশংসা করেছেন টিম কুক। বাচ্চাদের জন্য অনেক গল্প রয়েছে হানাস ফ্রি আইওএস অ্যাপে।

কিড-ফ্রেন্ডলি বা বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত গল্প থাকবে এমন অ্যাপ তৈরির কথা কীভাবে হানার মাথায় এসেছিল তাও জানা গিয়েছে। যখন তার ৮ বছর বয়স তখনই এই অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছিল হানা। আজকাল ব্যস্ত জীবনে সব বাবা-মায়ের পক্ষে সন্তানের সামনে বসে হয়তো তাকে গল্প পড়ে শোনানো সম্ভব হয় না। তাই জন্যই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপে বাচ্চাদের জন্য বাবা-মায়েরা গল্প রেকর্ড করে রাখতে পারবেন। অ্যাপেলের সিইও টিম কুক যে হানার কাজের প্রশংসা করে তাকে অভিবাদন জানিয়েছেন, একথা মেয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তার বাবা। ঘুম থেকে উঠেই সুখবর পেয়েছিল ছোট্ট মেয়ে।

একটা ডকুমেন্টারি দেখার পরেই এই অ্যাপ তৈরির চিন্তাভাবনা হানার মাথায় এসেছিল। তারপরেই অসাধ্য সাধনা করেছে সে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বাচ্চারা গল্প শুনলে সহজে ঘুমিয়ে পড়ে। তবে সবসময় হয়তো বাবা-মায়ের পক্ষে বাচ্চার সামনে বসে গল্প শোনানো সম্ভব হয় না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় কর্মব্যস্ততা।  এবার ওয়ার্কিং পেরেন্টদের আর অসুবিধা হবে না। আইফোন থাকলে আইওএস ভার্সনে হানার তৈরি করা অ্যাপ ব্যবহার করে সন্তানের সঙ্গে না থেকেও তাকে সময় এবং সঙ্গ দিতে পারবেন অভিভাবকরা। বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত গল্প রেকর্ড করে রাখা যাবে।




৭০বছর পর পৃথিবীর কাছে আসছে বৃহস্পতি গ্রহ

মহাজগতে নানা খেলা চলে। গ্রহদের কাছে আসা-দূরে যাওয়া; অন্য জায়গা থেকে কোনও গ্রহাণুর ছুটে আসা, সৌরঝড় ইত্যাদি ইত্যাদি। গ্রহণ বা এ জাতীয় ব্যাপার তো থাকেই। এবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসছে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন বিশ্ববাসী।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন গত ৭০ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এই বিরল ঘটনাটি ঘটতে চলেছে। সেদিনই বৃহস্পতি পৃথিবীর অনেকটা কাছাকাছি আসছে। ওই দিন সারা রাতই আকাশে দেখা যাবে বৃহস্পতিকে। সূর্য এবং বৃহস্পতি উভয়েই একই দিকে থাকবে, পৃথিবীর বিপরীতে। ফলে, সূর্যের মতোই পৃথিবীর সাপেক্ষে বৃহস্পতিও পূর্ব দিকে উঠবে, পশ্চিমে অস্ত যাবে।

নাসা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর যেহেতু বৃহস্পতি পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে, পৃথিবী থেকে তাকে অনেক স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল দেখাবে। এই ঘটনা যথেষ্ট বিরল।

নাসা-সূত্রে আরও বলা হয়েছে, ওই দিন চাঁদ ছাড়া আকাশের অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের মধ্যে বৃহস্পতিকেই সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখা যাবে। তবে পৃথিবী থেকে খালি চোখে বৃহস্পতিকে দেখা যাবে না। বিজ্ঞানীরা বলছে , গ্রহটি দেখতে চাইলে টেলিস্কোপের সাহায্য নিতে হবে। ভাল দূরবিনের মাধ্যমে মূল গ্রহ ছাড়াও বৃহস্পতির তিন-চারটি উপগ্রহও এই সময়ে দেখা যেতে পারে।

জানা যাচ্ছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরে পৃথিবী ও বৃহস্পতির মধ্যে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ৫৮ কোটি কিলোমিটার। স্বাভাবিক অবস্থায় এই দূরত্ব থাকে ৯৬ কোটি কিলোমিটার।

পৃথিবী থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব প্রায় ৫৯২.৬৯ মিলিয়ন কিলোমিটার। কিন্তু আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব থাকবে সবচেয়ে কম মাত্র ৩৬৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। বৃহস্পতির এইরকম পৃথিবীর নিকটবর্তী হওয়ার ঘটনাটি মহাজাগতিক বলে জানিয়েছেন নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষণারত জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যাডাম কোবেলস্কি।

তিনি বলেছেন, “ভাল অর্থাৎ অত্যাধুনিক ব্যান্ডযুক্ত বাইনোকুলার ব্যবহার করলে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকেই সেদিন দেখতে পাওয়া যাবে গালিলিয়ান ৩-৪ টি উপগ্রহ।” এছাড়াও ৪ ইঞ্চি বড়ো এবং সবুজ নীল ফিল্টারযুক্ত টেলিস্কোপ ব্যবহার করলেও বৃহস্পতির গ্রেট রেড স্পট এবং ব্যান্ডগুলিকে আরও বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে সেদিন। বৃহস্পতির ৭৯টি চাঁদ আবিষ্কার করা গিয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি নামকরণও করা হয়েছে। উক্ত চাঁদগুলির সবচেয়ে বড় যে চারটি চাঁদ রয়েছে–আইও, ইউরোপা, গ্যানিমিড এবং ক্যালিস্টো এগুলিকে গ্যালিলিয়ান উপগ্রহ বলা হয়।

সৌরজগতের বৃহত্তম বৃহস্পতি সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং আকার আয়তনের দিক দিয়ে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। বৃহস্পতির ব্যাস ১, ৪২, ৮০০ কিলোমিটার। আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১, ৩০০ গুন বড়। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।

বৃহস্পতি ব্যতীত সৌর জগতের বাকি সবগুলো গ্রহের ভরকে একত্র করলে বৃহস্পতির ভর তা থেকে আড়াই গুণ বেশি হবে। বৃহস্পতি গ্রহের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে হাইড্রোজেন এবং সামান্য পরিমাণ হিলিয়াম।




যেভাবে বন্ধ করবেন ফেসবুকের @everyone নোটিফিকেশন

সম্প্রতি ফেসবুকে নতুন একটি ফিচার চালু হয়েছে। যা ব্যবহারকারীদের মনোযোগ কেড়েছে। ফিচারটি হচ্ছে @everyone. এই ফিচারের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের অ্যাডমিনরা মেম্বারদের @everyone কমেন্টস করে সবাইকে ট্যাগ করতে পারছেন।

এছাড়াও প্রোফাইলে @friends লিখে কোনো পোস্টে কমেন্ট করলেই বন্ধুদের সবাইকে মেনশনড হচ্ছেন। কিন্তু এই ফিচারে অনেকেই বিরক্ত। কেননা @everyone কিংবা @friends মেনশন করলে নোটিফিকেশন আসছে। জানুন কীভাবে নোটিফিকেশন বন্ধ করবেন।

প্রথমেই ফেসবুকের থ্রি ডট ম্যানু (…) তে ক্লিক করে প্রোফাইল সেটিংসে যাবেন। সেখানে থেকে একটু নিচের দিকে স্ক্রল করে নেমেই নোটিফিকেশন সেটিংসে যাবেন (ভিডিও তে রিমার্ক করা আছে)। সেখান থেকে একটু নিচে নেমেই ট্যাগস এ যাবেন।।

ট্যাগসে গেলেই দেখতে পাবেন  Batch @everyone mentione এটাকে অফ করে দিলেই সম্পূর্ণ হয়ে গেল আপনার কাজ।




ফোন চার্জের সময় যে ৫টি কাজ ভুলেও করবেন না

ফোন চার্জের সময় সামান্য কিছু ভুল আপনার ফোনের জন্য হতে পারে মারাত্ম ক্ষতির কারণ। অনেকেই না জেনে করে ফেলেন এই কাজ। জেনে নিন কোন কাজগুলো চার্জ দেওয়া অবস্থায় ভুলেও করবেন না।

১০০% চার্জ দেওয়া

বেশিরভাগ ব্যবহারকারী প্রথম যে ভুলটি করেন, তা হল ফুল চার্জিং। কিছু ব্যবহারকারী তাদের স্মার্টফোন সম্পূর্ণভাবে চার্জ করেন, এটি উচিত নয়। স্মার্টফোন সবসময় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা উচিত। এর সাহায্যে শুধু ফোনের ব্যাটারির স্বাস্থ্যই ভালো থাকবে না, স্মার্টফোনও দীর্ঘক্ষণ সমস্যহীন থাকবে।

গেম খেলার সময় চার্জ দেওয়া

আরেকটি ভুল যা আপনার ফোনের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে তা হল গেম খেলার সময় স্মার্টফোন চার্জ। যুবকদের মধ্যে এই প্রবণতা প্রায়শই দেখা যায়। এ কারণে স্মার্টফোনের প্রসেসরের ওপর চাপ অনেক বেশি বেড়ে যায়, যে কারণে ব্যাটারি গরম হওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এতে আপনার ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ডুপ্লিকেট চার্জার ব্যবহার করা

আপনি যদি আপনার স্মার্টফোন চার্জ করার জন্য একটি ডুপ্লিকেট চার্জার ব্যবহার করেন, তবে এই অসাবধানতার জন্য আপনার ক্ষতি হতে পারে। এতে ফোনের ব্যাটারি লাইফ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও একই সঙ্গে স্মার্টফোনও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

চার্জিং ক্ষমতা অনুযায়ী চার্জার ব্যবহার না করা

যদি আপনার স্মার্টফোন ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট না করে, তাহলে এতে ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করবেন না, এটি করা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এর ফলে ফোনের ব্যাটারি গরম হয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এ ছাড়াও আপনার স্মার্টফোনে আরও কিছু সমস্যা হতে পারে।

ঘন ঘন চার্জ

স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার পরেই সঠিকভাবে চার্জ হতে দিন। আপনি যদি বারবার স্মার্টফোনের চার্জিং বন্ধ করে আবার চার্জে রাখেন, তাহলে তা ফোনের প্রসেসরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা আপনার ফোনের কর্মক্ষমতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।




বুধবার টুইটারে এডিট ফিচার আসছে

মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে আসছে টুইট এডিট ফিচার। আগামী বুধবার এই ফিচার কিছু ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্লু সাবস্ক্রাইবারদের জন্য এই এডিট বাটন নিয়ে আসবে টুইটার। এই ব্লু সাবস্ক্রাইবার সার্ভিস বর্তমানে নিউজিল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।

এই সার্ভিসের সুবিধা হল এখানে অ্যাড-ফ্রি প্রিমিয়াম ফিচার্স পাওয়া যায়।

জানা যায়, এই ফিচার টুইটের পাশে একটি আইকন, টাইমস্ট্যাম্প এবং লেবেলের মাধ্যমে শো হবে। যা দেখে অন্যরা বুঝতে পারবেন যে, টুইটটি এডিট করা হয়েছে।

পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বলছে, টুইটার বুধবার থেকে শুরু হওয়া টুইট বাটনের পরীক্ষা শুরু করতে পারে। টুইটার ব্যবহারকারীরা টাইপিং এবং ব্যাকরণগত ত্রুটিগুলো ঠিক করার জন্য বছরের পর বছর ধরে এডিট বাটন নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছিলেন। এই মাসের শুরুর দিকে টুইটার প্রথম একটি অভ্যন্তরীণ দলের সাথে টুইট সম্পাদনা ফিচারের জন্য একটি ছোট পরীক্ষা ঘোষণা করে।

টুইটার জানায়, তারা জানে যে ব্যবহারকারীরা কীভাবে ফিচারটির অপব্যবহার করতে পারে। তার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ব্যবহারকারীদের জন্য এই ফিচার উন্মুক্ত করা হচ্ছে। প্রথমে নির্দিষ্ট একটি দেশে এটি চালু করা হবে, কীভাবে ব্যবহারকারীরা বিষয়টি গ্রহণ করছে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করার পর বাকি ব্যবহারকারীদের কাছে এটি নিয়ে আসা হবে।




নিজস্ব ই-মেইল সেবা নিয়ে আসছে জুম

করোনার সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠা জুম এবার ব্যবহারকারীদের জন্য ই-মেইল সেবা চালু করছে। চলতি বছরের শেষে এই ফিচার উন্মুক্ত হবে।

বর্তমানে ভিডিও কল ও ই-মেইল একসাথে সেবা দিচ্ছে জি-মেইল। গুগল ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে ১.৫ বিলিয়ন অ্যাকটিভ ব্যবহারকারী রয়েছে জি-মেইলের।

লিটমাস এর পরিসংখ্যান অনুসারে, মেইলের ক্ষেত্রে জি-মেইলের চেয়েও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে অ্যাপেল ই-মেইলে। প্রায় ৫৭.৭২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার তাদের। যেখানে জি-মেইলের রয়েছে ২৯.৪৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার। মাইক্রোসফট আউটলুকের রয়েছে ৪.৩৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার।

শোনা গেছে, জুম তাদের ই-মেইল ও ক্যালেন্ডার প্ল্যাটফর্মের নাম রাখতে চলছে জেড-মেইল ও জেড-ক্যাল। জানা গেছে, প্রায় দু’বছর ধরে এই পরিষেবার উপর কাজ করছে জুম।

পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর দাবি, এই বছরের নভেম্বরে জুমটোপিয়া কনফারেন্স এই দুই পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য অথবা এই দুই প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করতে পারে জুম।