শারদীয় দুর্গা উৎসব পালনে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে

ভোলা প্রতিনিধি :

ভোলা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জনাব,মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম গতকাল রোজ মঙ্গলবার ৪ঠা অক্টোবর রাত ১১টায় তজুমদ্দিন উপজেলার শ্রী শ্রী সার্বজনিন দূর্গা মন্দির পরিদর্শনকালে বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভোলা জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। যেজন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন করছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ সুপার, মহোদয় পুজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন ফল সম্বলিত ফলের ঝুড়ি শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব ফজলুল হক দেওয়ান সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তজুমদ্দিন উপজেলা, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরন ও মিশু হাওলাদার, তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, তজুমদ্দিন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রুপন মজুমদার, সদর পূজা মন্দিরের সভাপতি সুমন দাস সহ গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ এবং মন্দিরে আগত ভক্তবৃন্দ।

গতকাল মহানবমীতে মন্দির গুলোতে ভক্ত-বৃন্দদের উপস্থিতি অন্যদিনের চেয়ে অনেক বেশি লক্ষ করা গেছে।




বরগুনায় প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা ইউপি সদস্যের ছেলের বিকাশে; স্বামী স্ত্রীর মানববন্ধন

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তালিতাবুনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র বাক প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী ভাতা ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার মাতাব্বরের ছেলে রানার বিকাশ নাম্বারে গ্রহণ করে আত্মসাৎ এর প্রতিবাদে প্রতিবন্ধী আবুল বাশার তার স্ত্রী ও ৬ বছরের শিশু সন্তানসহ মানববন্ধন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১০ টায় বামনা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

বাক প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন বাক প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী কার্ড অফিসে জমা দেওয়া কথা বলে আমার কাছ থেকে ইউপি সদস্য আবুল বাশার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে এসে প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের বিকাশ নাম্বার না দিয়ে ইউপি সদস্যের ছেলে রানার ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর ভাতা না পেয়ে প্রায় ১ বছর ধরে মেম্বারের কাছে ভাতার টাকার কথা বললে মেম্বার বলেন, অপেক্ষা কর সমস্যা আছে পাবা আনে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি মেম্বারের ছেলে রানার বিকাশ নাম্বারে ১ বছর ধরে ভাতার টাকা যায়। পরে আমরা কান্না কাটি করলে সমাজ সেবা অফিসার আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বললে আমরা ইউএনওর কাছে গত বৃহস্পতিবার লিখিত িঅভিযোগ দেই।

এ ব্যপারে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মিজান সালাউদ্দীন জানান, প্রতিবন্ধী আবুল বাশার অফিসে আসলে আমি যাচাই বাছাই করে দেখি প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের বিকাশ নাম্বারে টাকা না গিয়ে ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বারে ১ বছর যাবৎ টাকা প্রদান করা হয়। এ ব্যপারে আমি তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।




তজুমদ্দিনে শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ভোলা প্রতিনিধি-
উন্নয়ন সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রালি কেক কাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন‌ বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশটাকে ধ্বংসের দিকে দিয়ে গিয়েছিল।

ওই রাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল আধুনিক দেশ গড়ে তুলেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ‌।




বরের সাথে হানিমুনে গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও নববধূ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বউকে নিয়ে হানিমুনে এসে মারধরের স্বীকার হন বলে অভিযোগ করেছেন মনিরুল ইসলাম নামের এক পর্যটক। পরে মনিরুল ইসলামকে রেখে তার স্ত্রী সাবেক প্রেমিকসহ ওই হামলাকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যায় বলে এমন অভিযোগ উঠে।

গত মঙ্গলবার (২০) রাত সাড়ে ১১টায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ফ্রাই মার্কেট সংলগ্ন সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ মনিরুল ইসলামকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও খোঁজ মেলেনি তাঁর স্ত্রী নুরে জান্নাতের।

মারধরের স্বীকার পর্যটক মনিরুল ইসলাম বরগুনা জেলার কেজি স্কুল সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন।

মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান,‘আমরা সৈকতে ঘোরাঘুরির পরে সন্ধ্যায় রুমে আসি কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে বারবার অনুরোধ করলে আমরা আবার সৈকতে যাই। সৈকতের জিরো পয়েন্টে দাড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ পরে সে আমাকে বারবার অনুরোধ করে হাটাহাটির জন্য।

আমার অনিচ্ছাস্বত্তেও ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে গেলে হঠাৎ আমার উপরে ৪-৫ জন লোক আক্রমণ করে কিন্তু আমি বাঁচার চেষ্টা করি এবং স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরি তবে আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে এবং কোনো প্রকার ডাক চিৎকার না দিয়ে যারা আমাকে মেরেছে তাদের সাথে পালিয়ে যায়। আমার মনে হচ্ছে ওর সাবেক প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে।’

মনিরুল ইসলামের শ্বশুর হারুন অর-রশিদ জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমি জামাইকে নিয়ে বাড়িতে এসেছি আমার মেয়ের খোঁজ করতেছি। পারিবারিক বিষয় নিজেরাই সমাধান করব।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে গিয়ে দেখি ওই পর্যটক আহত অবস্থায় রয়েছে, আমরা তাঁকে হেফাজতে এনে তার স্ত্রীর খোঁজ করেও পাইনি। পরে ওই পর্যটকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




বেতাগির ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মইনুল আবেদীন খান-
মোটা টাকার বিনিময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার মিথ্যা ও বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার অভিযোগে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। সোমবার বিকেল ৪টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম হাওলাদারের কন্যা মোসা: রেকসনা আক্তার লিখিত বক্তব্য বলেন, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার শিয়ালডাঙ্গী গ্রামের আতাউর রহমান প্রিন্সের সাথে ২০০৫ সালে প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই শারীরিক-মানসিক ওয়ার্থিক নানা প্রকার অত্যাচার ও নির্যাতন চলতে থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। আমার স্বামী আতাউর রহমান প্রিন্সের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করলেন আদালত বুড়ামজুমদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত প্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুর রব আসামিদের সাথে যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নারী শিশু নির্যাতন মামলা নং ৪০৭/২০২২ মোকদ্দমায় তদন্ত মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ভুক্তভোগী রেকসনা আক্তার বলেন, আমি যখন তাদের বাড়িতে যাই তার দুইদিন পরে রেজিস্ট্রি করে কাজী অফিসের মাধ্যমে আমার স্বামী তালাকের নোটিশ পাঠায় চেয়ারম্যান বরাবরে। চেয়ারম্যান কারসাজি করে একমাস চাপিয়ে রাখে। আমি যাতে সহজে তালাকনামা হাতে না পাই সেকারণে কারসাজি করে ঠিকানায় ৫ নং বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের পরিবর্তে ৮ নং বুড়ামজুমদার ইউনিয়ন লিখে। যার ফলে আমি আমার তালাকনামা হাতে পাইনি। আমি চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে চেয়েছি, সে আমার হাতে দেয়নি। পরে আমি কোর্ট থেকে তালাকনামা উঠিয়ে নিয়েছি।
বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল রবের স্বেচ্ছাচারিতার বিবরণ দিয়ে ভুক্তভোগী রেকসনা আক্তার আরো বলেন, আমার যথেষ্ট সাক্ষী, মেডিকেল সার্টিফিকেট, কল রেকর্ড, সাউন্ড রেকর্ড, অঙ্গীকারনামাসহ আরো অনেক সঠিক তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমি সম্পূর্ণ টাকা দিতে পারি নাই। আমি মাত্র চার হাজার টাকা দিয়েছিলাম। বাকি টাকা না দিতে পারা এবং আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে একখণ্ড জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল যা মামলা পর্যন্ত গড়ায়। সেই মামলা চেয়ারম্যান উঠিয়ে নিতে বলেছিল। মামলা না উঠানোর কারণে চেয়ারম্যান আমার প্রতি বিষোদগার হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

৫নং বুড়ামজুমদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম রবের মিথ্যা প্রতিবেদন এবং তার অবৈধ ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং সুষ্ঠু বিচার ও ন্যায়সংগত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আবেদন জানিয়েছেন রেকসনা আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী রেকসনা আক্তারের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ও শিশু কন্যা আশিকা।

এ ব্যাপারে রেকসনা আক্তারের স্বামী আতাউর রহমান প্রিন্সের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ও একসময় আমার স্ত্রী ছিল। এখন আর সে আমার স্ত্রী নাই।

বুড়ামজুমদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম রব বলেন, আমি জেনে শুনেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। প্রতিবেদন যার বিপক্ষে যাবে সে তো আমাকে দোষারোপ করবে, এটাই স্বাভাবিক।




বরগুনার ডিসি সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি-

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে বরগুনার সহকারী জেলা জজ আদালতে মামলাটি করেন নজরুল ইসলাম সড়কের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবুল কালাম।মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেয়া জন্য সোকাস সহ মূল নথি তলব করেছেন বিচারক। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন বরগুনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কাওসার উদ্দিন ও এসিল্যান্ড নিজাম উদ্দিন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বরগুনা শহরের এস এ অথবা আর এস খতিয়ানে রেকডভূক্ত ৩২ একর জমি খাশ খতিয়ানে নিয়ে একশনা বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন । এজন্য তারা আদালত এবং ভূমি অফিসে বেশ কয়েকটি মামলা দিয়েছে স্থানীয় জমির মালিকদের বিরুদ্ধে যারা ৭০ থেকে ১০০ বছর ধরে জমিতে বসবাস করছে। তাদের রেকড বাতিল করে শহরের সকল জমি খাশ খতিয়ান করার জন্য ভূমি অফিসে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরের জমির মালিক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন , এটা প্রশাসনের এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। এভাবে ডিসি কতৃক ব্যবসায়ীদের মামলা দিয়ে হয়রানির কারনে ইতিমধ্যে একজন ব্যবসায়ীর মা স্ট্রোক করেছেন তিনি এখন মৃত্যূ পথযাত্রী। বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউএনও সদর কাওসার উদ্দিন এবং এসি ল্যান্ড মোঃ নিজাম উদ্দিন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সুকৌশলে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বরগুনা জেলা শহরের সকল স্থাপনা ঘরবাড়ি মার্কেট দোকানপাট এসএ খতিয়ান ও ১৯৬২ সাল হতে দখলীয় সৃজিত খতিয়ানের ভুমির মালিকদের ১ নং খাস খতিয়ানে নেয়ার জন্য গোটা শহরের ৩২ একর ভুমি খাস খতিয়ানভুক্ত করার জন্য জনসাধারণকে নোটিশ দিচ্ছে এবং কিছু মামলা করেছে। নির্বাচনের পূর্বে এইসব কর্মকান্ড সরকারী চেয়ারে বসে অপকৌশলে সরকার বিরোধী উস্কানি মূলক কাজ, এতে করে মানুষ ধীরে ধীরে সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ হচ্ছে। তার কারন ৬০- ৭০ বছর যাবত নির্বিঘ্নে খাজনা কর পরিশোধ করে যারা বসবাস ও ব্যবসা করছেন তাদের খাসখতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা অবিচার। এটা শেখ হাসিনার সরকারের আদর্শে যায় না।

এ বিষয়ে বরগুনার সহকারী কমিশনার নিজাম উদ্দি বলেন, ৩২ একর ভূমি খাশ খতিয়ানে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবাইকেই একে এক নোটিশ দেয়া হবে। আমার এখানে শুনানী হবে পরে কেউ ক্ষুদ্ধ হলে এডিসি রাজস্ব অফিসে শুনানী করতে পারবেন। এরপরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শুনানী হবে সেখান থেকে ভূমি কমিশনেও যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আদালতে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালত যে নির্দেশনা দিবেন তা আমাদের মানতে হবে। আদালত স্থগিত করলে আমরা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখবো।




কলাপাড়ায় দিনমজুর আব্দুল আজিজের গাভীর জমজ বাচ্চা!

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের একটি গাভী একত্রে দুইটি বাচ্চা দিয়েছে এতে করে এলাকায় তুলকালাম শুরু হয়েছে।
আজিজ পেশায় একজন দিনমজুর কামলা আর গাবুর খেটেই চলে তার সংসার। কিন্তু নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে একটু সাবলম্বী হওয়ার প্রচেষ্টায় পয়সা জমিয়ে কোন মতে একটি গাভী কিনে যত্ন সহকারে প্রায় দেড় বছর লালন পালন করলে গাভীটি এক সময় এসে একত্রে দুটি বাচ্চা প্রসব করে।
এতে করে গ্রামবাসির মাঝে যেন কৌতুহলের শেষ নেই। প্রতি নিয়ত গ্রাম কিংবা দুর গ্রামের অনেক মানুষ আসে গাভীর বাচ্চা দুটোকে দেখতে, অনেকেই আবার বলে উঠে আব্দুল আজিজের ভাগ্য ফিরেছে। এ কথায় আব্দুল আজিজ আনন্দিত তার আশা ছিল গাভীর দুধ বিক্রি করে কিছুটা সংসার খরচ হবে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি দুটো বাচ্চা একত্রে হওয়ায় কাজের পাশাপাশি তার গাভীও ও গাভীর বাচ্চা দুটোর পরিচর্যা করেন খুবই যত্ন সহকারে।
আব্দুল আজিজের সাথে বললে তিনি জানান, অনেক বড় স্বপ্ন নিয়েই কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে গাভী কিনেছি। আল্লাহ পাক আমার চাহিদার বাহিরে আমাকে দান করেছেন, আমি আশাবাদী এই গাভী দিয়েই আমার ভাগ্য পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ।



ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে – ওসি মুরাদ

ভোলা প্রতিনিধি:
মাদক, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিয়েসহ নানাবিধ সামাজিক অপরাধরোধে ভোলার তজুমদ্দিনের সোনাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ সেপেটম্বর) সকালে তজুমদ্দিন থানার আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি মুরাদ বলেন, শিশুদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদেরকে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারে ছাত্রছাত্রীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে ছাত্র ছাত্রী দের সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে। সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ, মাদক নির্মূল, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং অপরাধ, সাম্প্রদায়িক সহিংষতা নির্মূল করতে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ওসি মুরাদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সোনাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, বিদ্যালয় কমিটির সদস্য বৃন্দ, বিট অফিসার এসআই রাজিব বড়ুয়া, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃন্দ।



ধর্ষণ মামলার আসামী রাজশাহীর পুঠিয়ার মেয়র বরগুনায় গ্রেফতার

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধি:

ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ।

আজ (বুধবার) সকাল ৯ টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডিকেপি রোডের মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মনিরুল ইসলাম পুঠিয়া পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চালক। বরগুনা থানার ওসি আলী আহম্মেদ তাকে গ্রেফতারের বিষয়ীট নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুঠিয়া থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে নেওয়ার জন্য বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল বারী জানিয়েছেন, রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের বিরুদ্ধে এক নারী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) পুঠিয়া সদর এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর মেয়ে। অন্যদিকে মেয়র আল মামুন গণ্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। মামলার অভিযোগ সূত্রে ওসি আরও জানিয়েছেন, মেয়র আল মামুন খান ওই নারীর সঙ্গে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে রোববার রাতে থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দিলে সোমবার সকালে অভিযোগটি রেকর্ড। করা হয় মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী উল্লেখ করেছেন, গত এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন।

একপর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। যার জন্য মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। পুঠিয়ার পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাসানো হয়েছে।

পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আরও জানান, আগেও দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালের এক সেবিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো।




তজুমদ্দিনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বসত ঘরে আগুন

ভোলা প্রতিনিধি:

 ভোলার তজুমদ্দিনে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শশীগঞ্জ গ্রামে কবির মাঝীর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘরসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা মালামাল পুড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।

বাড়ির মালিক হুমায়ুন কবির জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে আমার বসতঘরসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হুমায়ুন কবিরের ছেলে মোঃ শাফায়াত জানান, ঘরে লাগা আগুনে মালপত্রের সাথে তার ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র পুড়ে গেছে।

তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এবং দ্রুত পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।