তজুমদ্দিনের মেঘনায় ভাসমান অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভোলা প্রতিনিধি:

 ভোলার তজুমদ্দিনের কোস্টগার্ড সদস্যরা মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ ভোলা মর্গে প্রেরণ করেছে।

কোস্টগার্ড ও পুলিশ সূত্র জানায় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে এগারো টার সময় মেঘনা নদীর বাসনভাঙ্গা ও চর কাঞ্চন এলাকার মধ্যবর্তী এলাকায় কোস্টগার্ড সদস্যরা টহলরত অবস্থায় একটি ভাসমান লাশ দেখতে পায়। পরে তারা লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ পল্লী নিউজকে জানান উদ্ধারকৃত লাশের মাথায় (টাক) চুল নেই, পরনে মেরুন কালার পাঞ্জাবি সাদা পায়জামা এবং একটি হাতঘড়ি ছিল।

বয়স অনুমান ৪০ থেকে ৪৫ হবে। লাশ ফুলে গেছে।পোস্টমর্টেমের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 




বরগুনায় গাড়ি বহরে আগুন; আ’লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ

মইনুল আবেদীন খান,বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনির গাড়ি বহরে রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়ার সিএন্ডবি এলাকায় গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ।

তেল, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে আসছিলেন সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি। তার গাড়ি বহর পাথরঘাটার সিএনবি এলাকায় ঢুকলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সেখানে শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পিটিয়ে আহত করে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে। এই ঘটনায় এলাকায় বর্তমানে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় আসছেন বিএনপি নেতা ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি। জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আহুত বিক্ষোভ ও সমাবেশে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি পাথরঘাটায় আসছিলেন। পাথরঘাটা উপজেলা শহরের সোমবারে বিক্ষোভ ও সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মনির। তাঁর আসার খবরে এলাকার আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। আমাকেও তারা নির্মমভাবে পাঠিয়েছে। শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেছে। আহত হয়েছে কয়েক শত নেতাকর্মী। বর্তমানে আমরা আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের ভয়ে জীবন রক্ষার্থে বিচ্ছিন্ন অবস্থা পড়ে আছি। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত তেল গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে চেয়েছি।

ইতোমধ্যে আমরা পাথরঘাটা থানায় লিখিত অনুমতি চেয়েছি, আশা করছি প্রশাসন অনুমতিও দিয়েছে। আমরা চাইনি কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক। শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সমাবেশ করবো এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। তাছাড়া দীর্ঘদিন পর সাবেক এমপি ও সাবেক বরগুনা জেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম মনি তার নির্বাচনী এলাকায় এসে আমাদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নেবেন আমরা সেভাবেই চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা (সার্কেল) মোঃ তোফায়েল আহমেদ জানান, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যতটুকু জানতে পেরেছি, ইতিমধ্যে ১০-১২ জন আহত হয়েছে এবং ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে।




খুলনায় ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনা মহানগরীর রূপসা সেতুর বাইপাস সড়কে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নির্মাণাধীন নতুন কারাগারের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, রায়েরমহল বড় মসজিদ এলাকার মো, শহিদের ছেলে সাইফুল (৩৫) ও রায়েরমহল পশ্চিমপাড়া এলাকার মোল্লা শরিফুলের ছেলে মোল্লা নাঈম (২৬)। নিহত সাইফুল মোটরসাইকেল গ্যারেজের কর্মচারী ও নাঈম দিনমজুর ছিলেন।

হরিনটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, রায়েরমহল এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি খুলনার জিরো পয়েন্টের দিকে যাচ্ছিল। নির্মাণাধীন কারাগারের অদূরে বাইপাস সড়কে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয় যশোরগামী একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী নিহত হন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি দ্রুত পালিয়ে যায়। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।




ববিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় রাবিতে মশাল মিছিল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা এবং কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন৷

বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ রাস্তা-ঘাটে নির্যাতিত হচ্ছে, মার খাচ্ছে৷ অথচ এর কোনো বিচার হয় না৷ হামলাকারীদের পিছনে একটা মাফিয়া শক্তি আছে। যার কারণে, এর বিচার পাওয়া যায় না৷’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, ‘যখন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়, তখন পুলিশ আঙুল চোষে৷ শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি৷ তাই পুলিশি কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে৷ কিন্তু এর কোনো বিচার হয় না৷ বিচারহীনতার সংস্কৃতি এসব হামলা-মামলার জন্য দায়ী৷’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক রনজু বলেন, ‘বরিশালের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলাকালে পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷ কারণ, বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা এরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী৷’

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারও দেন শিক্ষার্থীরা ৷

পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন৷




মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে বিএনপি: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তার দল মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে। ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে যেভাবে বিভ্রান্ত করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। সত্যটা উঠে আসা জরুরি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সোমবার চট্টগ্রাম ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেছেন, ‘ইতিহাস কীভাবে লেখা হবে সেটির সিদ্ধান্ত যখন রাজনীতিবিদরা নেন, তখন তা আর ইতিহাস থাকে না, হয়ে যায় প্রপাগান্ডা।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহ চট্টগ্রাম থেকেই হয়েছে। তাই চট্টগ্রামের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব এবং যুদ্ধকালীন অবিস্মরণীয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নীরব ছিলেন না। এদেশের সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করে তিনি পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম থেকেই।’

আমীর খসরু বলেন, ‘পাকিস্তান ভোটাধিকার হরণ করায় এদেশের মানুষ রাজপথে নেমে সম্মুখযুদ্ধ করেছিলেন। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে গিয়েও ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে নির্লজ্জভাবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এখন একটা পাতায় বন্দি হয়ে গেছে। একটি মুক্তিযুদ্ধে একাধিক নায়ক থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। এখন শুধু একজন নায়ক।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।