শহীদ মিনারে গার্ড অব অনার, শিল্পী ও সাধারণের শ্রদ্ধা

সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি গীতিকবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।

আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানেই কবিকে দেওয়া হয় ‘গার্ড অব অনার’।

এসময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক শিল্পী। এর মধ্যে ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, মনির খান, নকীব খান, আসিফ ইকবাল, শেখ সাদী খান, মানাম আহমেদ, ইমন সাহা-সহ আরও অনেকে।

তারা গীতিকবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি অশ্রুসিক্ত নয়নে স্মৃতিচারণও করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষও আসেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে শ্রদ্ধা জানাতে।

১৯৭১ সালে তিনি জয় বাংলা বাংলার জয় লিখেছেন। যা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে। চলচ্চিত্রে যেখানে বানিজ্যিক, সেখানে তিনি কাব্যময়তা এনেছেন। আমাদের গানকে সমৃদ্ধ করেছেন।’’



সঙ্গীত সাধনায় মাজহারুল আনোয়ারের দৃষ্টান্ত বিরল:ড. হাছান মাহমুদ

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় মন্ত্রী মাজহারুল আনোয়ারের মাফফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, ‘জীবনভর সঙ্গীত ও কণ্ঠ সাধনার যে অনন্য দৃষ্টান্ত মাজহারুল আনোয়ার স্থাপন করেছেন, তা বিশ্বের সঙ্গীতজগতে বিরল। তার অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননার চেয়েও মানুষের ভালোবাসা তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। তার শিল্পীসত্তার মৃত্যু নেই।’

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের রচয়িতা গীতিকবি সংঘের আজীবন সদস্য মাজহারুল আনোয়ার ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।’

পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাধিক বাচসাস পুরস্কারসহ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা ১১০টি। দীর্ঘ ৬০ বছরের সংস্কৃতিসেবায় তিনি ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন।

রোববার সকালে রাজধানীর বারিধারায় গাজী মাজহারুল আনোয়ার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।




কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই

কিংবদন্তি গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর ৬ মাস ১৩ দিন। এই মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্রবধূ শাহানা মির্জা।

তিনি জানান, আজ সকালে রাজধানীর নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন এই গীতিকার।

১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশের একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।




সাইমন সাদিকের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন বুবলী

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসি। তাদের দুটি সিনেমার অনুদান দিয়েছে সরকার। সেই সিনেমা দুটির একটি ‘চাদর’।

এতে নায়ক হিসেবে থাকবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী সাইমন সাদিক। তার বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলীকে। এই প্রথম তারা একসঙ্গে জুটি বাঁধলেন। এছাড়াও থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনিরা মিঠুসহ আরও অনেকে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সিনেমাটির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন শিল্পীরা। এটি নির্মাণ করবেন জনপ্রিয় নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু।

নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু জানান, ‘গল্পের চরিত্র অনুযায়ী শিল্পী কাস্ট করার চেষ্টা করি। সেই ভাবনা থেকে সাইমন ও বুবলীকে নেওয়া। আশা করছি তারা তাদের অভিনয় মুন্সিয়ানায় মুগ্ধতা ছড়াবেন।’

তিনি আরও জানান, সেপ্টেম্বরের ১০-১২ তারিখ থেকে ‘চাদর’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে। ঢাকার বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ করা হবে। সিনেমাটি অনুদান পায় ৭০ লাখ টাকা।