বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নজির নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

তিনি আরও বলেন, তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। ৫০১ জনের জাম্বুজেট মার্কা কমিটি তাদের। কাজেই যাদের নিজেদের দলের ভেতরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে- এ আশা আমরা করি না।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।




আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক কাল

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক বসছে মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠক শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে দলের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব-কোন্দল বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের স্বজনকে প্রার্থী করা এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিষয়টিও থাকবে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের কৌশল নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে বৈঠকে।

এ ছাড়া দলের অন্য সাংগঠনিক বিষয়ের পাশাপাশি সর্বশেষ আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জাতীয় ও দলীয় বিভিন্ন দিবসের কর্মসূচিও চূড়ান্ত করা হবে বৈঠকে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

 




‘কথা না শোনা’ মন্ত্রী-এমপির কপাল পুড়ছে

নির্দেশনা আমলে না নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বজন প্রার্থী হওয়ায় কপাল পুড়তে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগদলীয় এমপি ও মন্ত্রীর। সাংগঠনিক শাস্তির খড়্গ নেমে আসছে তাদের ওপর। কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি। এমনকি আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা দলের মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। যে কোনো সময় মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়তে পারেন দলের কড়া বার্তা কানে না তোলা মন্ত্রীরা।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপির স্বজন দলের নির্দেশ না মেনে উপজেলা নির্বাচনে লড়ছেন। তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে সে কথায় চিড়ে ভেজেনি! এক এমপিও তাদের স্বজনকে ভোটের মাঠ থেকে তুলে নেননি। এ নিয়ে দলের ভেতরেই দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।

এ পরিস্থিতিতে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী ও এমপির স্বজন প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেন দলের আট সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ তালিকায় থাকা মন্ত্রী ও এমপির বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনার কথা রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সমকালকে জানিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত এমপির কয়েকজন, যারা দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আছেন, তারাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তাদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মন্ত্রী ও দলীয় এমপির স্বজনের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। তবু মন্ত্রীসহ দলের কয়েকজন এমপির স্বজন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। দলের নির্দেশে শুধু ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক এবং নাটোরের সিংড়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মাজহারুল ইসলাম সুজন এমপির দুই চাচা মোহাম্মদ আলী, সফিকুল ইসলাম ও ভাতিজা আলী আফসার রানা, নীলফামারীর ডিমলায় আফতাব উদ্দিন সরকার এমপির চাচাতো ভাই আনোয়ারুল হক সরকার ও ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজ, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাহাদারা মান্নান এমপির ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় এমপির ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন, পাবনার বেড়ায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ভাই আবদুল বাতেন ও ভাতিজা আবুল কালাম সবুজ, কুষ্টিয়া সদরে মাহবুবউল-আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় আলী আজগর টগর এমপির ভাই আলী মুনসুর বাবু, পিরোজপুরের নাজিরপুরে শ ম রেজাউল করিম এমপির ভাই এস এম নুর ই আলম সিদ্দিকী, মাদারীপুর সদরে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপির ছেলে আসিবুর রহমান খান ও চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান, নরসিংদীর পলাশে ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ এমপির শ্যালক শরীফুল হক, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রার্থী হয়েছেন শাহাব উদ্দিন এমপির ভাগনে সোয়েব আহমদ, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপির ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী, কক্সবাজারের মহেশখালীতে আশেক উল্লাহ রফিক এমপির চাচাতো ভাইয়ের ছেলে হাবিব উল্লাহ।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ভাতিজা আমিরুল ইসলাম, লাকসামে মন্ত্রীর শ্যালক মহব্বত আলী এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক এমপির ভাই সালাম মল্লিক।

অবশ্য এ প্রার্থীদের কেউ কেউ মন্ত্রী ও দলের এমপির স্বজন হয়েও ছাড় পাবেন। দলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সমকালকে জানান, মন্ত্রী ও দলের এমপির স্বজনের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। আর স্বজন বলতে মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, সহোদর ভাইবোন, ছেলে ও ছেলের স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের স্বামীকেই বোঝানো হয়েছে। অন্য সম্পর্কের স্বজনের বেলায় দলের নির্দেশ কার্যকর হবে না। আর গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা মন্ত্রী এবং দলের এমপির স্বজন হলেও তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাংগঠনিক বিধান প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

তবে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যেসব মন্ত্রী ও এমপির স্বজন নির্বাচনে রয়ে গেছেন, তাদের নিয়ে দলের ভেতরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের। এতে কেউ সাড়া দেননি। এ ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়মতো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও এমপির বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য বলেন, দলের নির্দেশ না মানায় বহিষ্কারের নিয়ম রয়েছে। তবে সংসদের সদস্যপদ হারাতে পারেন বলে এমপিদের দল থেকে বহিষ্কার করতে দল চাইবে না। তবে নানাভাবেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দলের সংশ্লিষ্ট এমপি ও মন্ত্রীকে তিরষ্কার করার পাশাপাশি দলীয় পদ-পদবি কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে জোর আলোচনা রয়েছে। এমনকি সাংগঠনিক যোগ্যতা থাকার পরও তারা নতুন করে দলের পদ-পদবি নাও পেতে পারেন। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়াটা তাদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর অভিযুক্ত মন্ত্রী যে কোনো সময়েই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন। সেই সঙ্গে তিনবার বিজয়ী এমপির মধ্যে যাদের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কমে আসতে পারে। অবশ্য এসব বিষয়ে এখনই দলের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে না।

এদিকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সমকালকে বলেন, অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং দলীয় এমপিকে শোকজ করা হতে পারে।




সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে ‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা করছেন। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বিবৃতিকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন; প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গ্রেপ্তার অবতারণা করছেন। জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এই অপকৌশল অবলম্বন করছেন তারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। দলটির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। তাদের বোঝা উচিত, বিরোধী দল নয়; বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীর রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয় হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

 




ডিএসএ ২০১৮-এর অধীনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন সম্পাদক

আওয়ামী লীগ বিরোধী অপপ্রচার ছড়ানোর জন্য www.provatbangla.com এর সম্পাদক ইয়েসমিন রুকায়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, পুলিশ এখন নিশ্চিত করেছে যে তারা ইয়েসমিন রুকায়ার ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে এবং যশোরে তার আবাসিক ঠিকানা পরিদর্শন করেছে পুলিশ। পুলিশের মতে, ইয়েসমিন রুকায়া বর্তমানে দেশের বাইরে, তবে সাইবার সিকিউরিটি আইন ২০২৩ এর অধীনে অপরাধের জন্য বাংলাদেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, যা পুলিশকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করার অনুমতি দেয়।

আমাদের কাছে আরও তথ্য আসলে আমরা এই বিভাগটি আপডেট করব।




নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা

শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ২টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে প্রধান অতাথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১টা থেকে সমাবেশে অংশ নিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুধু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা আসছেন দলে দলে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে আসছেন। তারা রাস্তায় ত্রিফল বিছিয়ে তার উপর বসেছেন এবং সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপর মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে।

এদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা।

এছাড়া নেতাকর্মীদের মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ পড়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে আরো দেখা গেছে, সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে আছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়া হয়।

 




সমমনা পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোটের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা- সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ’লীগ ১০টি আসনও পাবে না

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে বাকশালি চেতনাধারী আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সমমনা পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট নেতারা।

শনিবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব এসব কথা বলেন।

সংসদ ভেঙে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন ও সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং ১০দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সমমনা পেশাজীবি গনতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, এই অবৈধ সংসদ ভেঙে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে দেশব্যাপী দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে এই বাকশালি চেতনাধারী আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। জনগণ নৌকাকে চিরতরে ডুবিয়ে দিবে।

সমাবেশে জোটের সহকারী সমন্বয়কারী এডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার বলেন, এই নিশিরাতের বাকশালী সরকারের পতনের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বার ও ঢাকা বারের নির্বাচনে তাদের নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি প্রমাণ করেছে যে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এই অবৈধ সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা সম্ভবপর নয়।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক পীরসাহেব, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার রহমান সিকদার, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি শেখ আলিম উল্লাহ আলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফায়েল আহমেদ মজুমদার, জিয়া নাগরিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক অহিদুল, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শরীফসহ জোটের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।




সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনের বিকল্প নেই: ১২ দলীয় জোট

আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো সহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকায় মানববন্ধন পালন করেছে ১২ দলীয় জোট। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধনে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, দেশবাসীর সামনে একদফা সরকার পতনের আন্দোলনের বিকল্প নেই। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটের অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করা হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব;) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ন্যাপ- ভাসানী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম সহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নানাভাবে বাধাসৃষ্টি ও হয়রানি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে গণগ্রেফতার অভিযান। নির্বিচারে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল এজেন্ট আওয়ামী সরকারের গণতন্ত্র আজ যুদ্ধতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে হামলা মামলা গ্রেফতার ও নানাভাবে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নিজেদের জনসমর্থনহীনতার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।
বক্তারা বলেন, এতো উন্নয়ন করেছেন তাহলে জনগণের ভোট না পাওয়ার আতঙ্কে ভোগেন কেনো? কেনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভয় পান? কেনো জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে প্রশাসন ও পেশীশক্তি ব্যবহার করে বিনা ভোটে জয়লাভের হ্যাট্রিক করার চেষ্টা করছেন?

তারা আরও বলেন, দেশের অবস্থা ভীষণ খারাপ। একদল গডফাদার দস্যু দেশটাকে লুটপাট করে ফোকলা বানিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। সরকারি দলের ব্যবসাযীরা সিন্ডিকেট বানিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চাল ডাল আটা তেল লবণ মাছ মাংস ডিম এমনকি গরিবের প্রোটিন ফার্মের মুরগীর দাম ১৩০/১৪০ থেকে ২৫০ টাকায় তুলেছে। দেশে নিরব দূর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে গণবিরোধী অবৈধ সরকার দফায় দফায় জ্বালানি গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েই চলেছে!!

তারা বলেন, অবৈধ অনির্বাচিত সেবা দাস সরকারের অসম গোপন বিদ্যুৎ চুক্তির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া বানানোর পথে নিয়ে গেছে। অবিলম্বে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি বাতিল করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবীর পক্ষে জনজোয়ার অবৈধ সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দেশ ও জনগণের একমাত্র দাবি হয়ে উঠেছে।




সংসদ ভবন থেকে ২ সঙ্গীসহ ‘ভুয়া এমপি’ গ্রেপ্তা

‘এমপি মিজানুর’ পরিচয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে দুই সহযোগীসহ এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালে প্রতারক চক্রের তিনজনকে আটক করেন সংসদের নিরাপত্তাকর্মীরা। তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে তিন দিনের রিমান্ডে আছে।

ইউরোপের দেশ কসোভো পাঠানোর কথা বলে অন্তত ৪০ জনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র। ভুয়া এমপি শামীমুর রহমান ওরফে আতিক ওরফে এমপি মিজানুরের এই কাজে সহযোগিতা করেছেন সংসদ সচিবালয়ের মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া কম্পিউটার অপারেটর রাহুল হোসেন। তাঁর মাধ্যমে সংসদে প্রবেশের পাস সংগ্রহ করে কথিত এমপি সংসদে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। পাশাপাশি বিদেশ যেতে ইচ্ছুক অসংখ্য মানুষকে সংসদের গেট পাস দিয়ে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দিয়ে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে।

প্রতারণার শিকার বরগুনার মেহেদী হাসান, নাটোরের নাহিদুল ইসলাম ও হবিগঞ্জের আমিনুল হক বাদী হয়ে শামীমুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন খান বুধবার রাতে সমকালকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হবে। এমপি পরিচয় দেওয়া এবং প্রতারণা করে ১৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

মামলার বাদী মেহেদী হাসান জানান, শামীমুর রহমান ওরফে মিজানুরের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগৎপুরে। ঢাকায় তিনি মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে বাস করেন। প্রতারণায় তিনি স্ত্রী মৌটুসি রহমানকেও জড়িত করেছেন। মিজানুরের অন্যতম সহযোগী হিসেবে ছিলেন সংসদ সচিবালয়ের মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া কম্পিউটার অপারেটর রাহুল হোসেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইনের কমালপুরে। ঢাকায় তিনি মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিংয়ে বাস করেন।

মেহেদী হাসানের অভিযোগ, শামীমুর রহমান নিজেকে এমপি মিজানুর হিসেবে পরিচয় দিয়ে সরকারিভাবে চাকরি দিয়ে কসোভো পাঠাবেন বলে সংসদ ভবনের কম্পিউটার অপারেটর রাহুলের মাধ্যমে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের কম্পিউটার কক্ষে নিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। মিজানুর বিভিন্ন সময় মেডিকেল ফি বাবদ ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা নেন। সর্বশেষ ২৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবনের ভেতরে পার্লামেন্ট ক্লাবের নিচতলায় ৬৬ হাজার টাকা নেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মিজানুর ৪০ জনের কাছ থেকে মেডিকেল ফি বাবদ ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন এবং ২৩ জনের জরুরি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ ৯২ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। কসোভো দূতাবাস থেকে একটি টিম বিদেশ যেতে আগ্রহীদের সাক্ষাৎকার নিতে আসবে বলে গত শুক্রবার পার্লামেন্ট ক্লাবের দ্বিতীয়তলায় মেটসেফ রেস্টুরেন্টে বসে ১৫ জনের কাছ থেকে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারের সময় দূতাবাসের কোনো টিম না থাকায় লোকজন মিজানুরকে সন্দেহ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারেন, মিজানুর ভুয়া এমপি এবং সাক্ষাৎকার বোর্ডে কসোভো দূতাবাসের প্রতিনিধি পরিচয়ে থাকা নারী তার স্ত্রী মৌটুসি রহমান।




এক দফা আন্দোলনে নিহত রশীদের পরিবারের পাশে বিএনপি

বিএনপির সরকারবিরোধী এক দফা আন্দোলনে নিহত আব্দুর রশীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে দলটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার আব্দুর রশীদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এই অনুদান তুলে দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। এছাড়া রশীদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্বও নেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছাদ থেকে ফেলে রশীদকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি দলটির। তিনি আদাবর থানার সাবেক যুবদল নেতা এবং আদাবর থানা ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ওইদিন হরতালের সমর্থনে মিছিল শেষে ফেরার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে তাঁকে হত্যা করেছে বলে জানান আমিনুল হক।

তিনি জানান, আব্দুর রশীদের দুই শিশু সন্তান। এদের মধ্যে একজন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আরেকজন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাদের পুরো লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য খরচও দল থেকে বহন করা হবে।

আমিনুল হক জানান, আন্দোলনের মধ্যে সারাদেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতেই আব্দুর রশীদকে পরিকল্পিতভাবে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসী রহমান মিষ্টি, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।