আওয়ামী লীগের পুনর্গঠিত কমিটি আগামী নির্বাচনেও বিজয় আনবে: তথ্যমন্ত্রী

পুনর্গঠিত কমিটির নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিজয় অর্জন হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রবিবার রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘৫৯ বছরে বাংলাদেশ টেলিভিশন’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের সম্মেলন হয়েছে। নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি, আগের কমিটির অনেকেই নতুন কমিটিতে রয়েছেন। তার কারণ প্রধানমন্ত্রী তাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত চ্যালেঞ্জ এবং ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ৭৫ সালের পর আওয়ামী লীগ যখন বহু ভাগে বিভক্ত, সে সময় আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, সন্তানকে মা যেমন লালন-পালন করে বড় করে, একইভাবে বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগকেও অনেক কষ্ট করে শেখ হাসিনা সুসংগঠিত করেছেন, দলকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে গেছেন। সুতরাং শুধু দলেই নয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। যত সমালোচনাই হোক না কেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন শেখ হাসিনাই।




শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা

দশমবারের মতো নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে নতুন কমিটি।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে এই শ্রদ্ধা জানান দলটির নবনির্বাচিত নেতারা।




‌‘নির্বাচন সামনে রেখে আ.লীগের কমিটিতে অভিজ্ঞদেরই বিবেচনা করা হয়েছে’

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে অভিজ্ঞদেরই বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে এই শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

দশমবারের মতো নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এই শ্রদ্ধা জানায় নতুন কমিটি।
এসময় টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ নবনির্বাচিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ২৭ দফা রুপরেখা ঘোষণা

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বিএনপি ।

আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ রুপরেখা ঘোষণা দেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা:

১. একটি “সংবিধান সংস্কার কমিশন” গঠন করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা হবে।

২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক “Rainbow Nation” প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য একটি “National Reconciliation Commission” গঠন করা হবে।

৩. একটি “নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার” ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।

৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

৬. বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে “উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা” (Upper House of the Legislature) প্রবর্তন করা হবে। সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে

৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

৮. বর্তমান “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২” সংশোধন করা হবে।

৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ডেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি “জুডিশিয়াল কমিশন” গঠন করা হবে।

১১. একটি “প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন” গঠন করে প্রশাসন পুনঃগঠন করা হবে। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি “মিডিয়া কমিশন” গঠন করা হবে।

১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোন আপোষ করা হবে না। অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী “ন্যায়পাল (Ombudsman)” নিয়োগ করা হবে।

১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। Universal Human Rights Charter অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

১৫. বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি “অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন” গঠন করা হবে।

১৬. “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার” এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।

১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে। ১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে।

১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে। না এবং কোন সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।

২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে।

২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে।

২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাঁদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।

২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।

২৫. চাহিদা-ভিত্তিক (Need-based) ও জ্ঞানভিত্তিক (Knowledge-based) শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

২৬. “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘NHS” এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হবে।

২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।

পরবর্তীতে যথাসময়ে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




চাটখিলে বিএনপির ৪ নেতা আ.লীগে যোগদান ফুল দিয়ে বরণ করেন এমপি এইচ.এম ইব্রাহিম

মোঃবদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর চাটখিলে ১৭ ডিসেম্বর শনিবার ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের সাথে পূর্ব দেলিয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও ব্যাপক জনসমর্থনের ফলে বিএনপির ৪ নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি, বর্তমান ইউপি মেম্বার মামুনুর রশীদ (৬নং ওয়ার্ড পূর্ব দেলিয়াই-বালিয়াধর), আবুল কালাম (বালিয়াধর), আবদুল মালেক মানিক, মোঃ আজাদ (৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ দেলিয়াই) আওয়ামী লীগে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে নোয়াখালী( ১)চাটখিল সোনাইমুড়ী আসনের সংসদ সদস্য ( এমপি) এইচ. এম ইব্রাহিম তাদের ফুল দিয়ে বরন করে নেয়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে সর্বাত্তকভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন।




বিজয়ের মাসেও বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে: আনোয়ার খান এমপি

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

বিজয়ের মাসেও বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। তারাই মহান বিজয় দিবসের উদযাপন নস্যাৎ করার জন্য এখনো চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেন লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান।
তিনি বলেন, বিএনপি এদেশের বিজয়কে, স্বাধীনতাকে বির্তকিত করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, সুকৌশলে তাদের প্রভুদের ইঙ্গিতে সমস্ত অপচেষ্টা করতে থাকে। জনগণ সব সময় অপশক্তিকে প্রতিরোধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি আগামী দিনেও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে কবর রচনা করবে।’

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অশুভ শক্তি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই পরাজিত শক্তিকে প্রতিহত করবো। বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হবে এই অপশক্তিকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করা।

এদিন, দুপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এতে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরার সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার শরীফ উল্লা সামছ্ এর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, রামগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম রুহুল আমিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ, রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক প্রমুখ।
এছাড়া রামগঞ্জ সরকারি কলেজ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন এমপি আনোয়ার খান। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর উমেশ চন্দ্র লোধ।




বিজয় দিবসে রামগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের উদ্যোগে র‍্যালী ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

আজ মহান বিজয় দিবস। দিবসটিকে ঘিরে রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুই গ্রুপের উদ্যোগে র‍্যালী ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রামগঞ্জ হাজীগঞ্জ সড়কে র‍্যালী শেষে সোনাপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাহার, যুগ্ন আহবায়ক জিএস মনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ কামরুল, পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ, এ্যাড তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, আওরঙ্গজেব বাবলু, সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পলাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন কানন, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছাত্তার মজুমদার, যুবদল নেতা আঃ আজীজ, আঃ রহমান, মিজান,কাউছার মাল,জামিল চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক দুলাল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক খোরশেদ রাব্বানী, পৌর শ্রমিকদলের আহবায়ক মোঃ আলম মিয়া,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জহির রায়হান বাবু, সদস্য সচিব রাকিব হোসেন।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির অব্যাহতি পাওয়া বিএনপির নেতা শাহবুদ্দিন তুর্কি, ভিপি আবদুর রহিম, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক জাকির হোসেন মোল্লা, যুগ্ন-আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, সদস্য সচিব মিয়া আলমগীর হোসেনেনর নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাকিব হাসান, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শাহিন আলম মুন্না, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির সাদ্দাম,পৌর যুবদল নেতা সুমন চৌধুরী, শেখ পিন্টু, রাসেল ভূইয়া, উপজেলা ও পৌর বিএনপির আলাদা গ্রুপের নেতাকর্মরা নেতা-কর্মীরা বিজয় স্তম্বে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।




লক্ষ্মীপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও রামগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক সায়েম হোসাইন।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও সাধারণ মাহাবুব ইমতিয়াজ এ অনুমোদন দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া ও লক্ষ্মীপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও সাধারণ মাহাবুব ইমতিয়াজ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই সময় সায়েম হোসাইন বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাবেক ছাত্রলীগ ও উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম । আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো।




রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ, দুই পুলিশ সদস্য আহত

রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। মিছিল থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে নগরের নিউমার্কেটের পাশ থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমিরের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নেতাকর্মীরা। মিছিল নিয়ে দড়িখরবোনা মোড়ে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানার এসআই আবু হায়দার ও কনস্টেবল আহাদ। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আবু হায়দারের চোখে নিচে ও উপরে আঘাত লেগেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী নগরের নিউমার্কেটের উত্তর পাশ থেকে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের কাদিরগঞ্জ মোড় হয়ে রেলক্রসিং পার হয়ে উপশহর নিউমার্কেটের দিকে যায়। উপশহর নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার জন্য মিছিলটি মোড় ঘুরে পশ্চিম দিকে যেতে থাকলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য ধাওয়া দেয়। এ সময় মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডল। মিছিলে জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এ ব্যাপারে জানতে সন্ধ্যায় এমাজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে এর আগে তিনি একটি গণমাধ্যমে বলেন, সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনোরকম উসকানি ছাড়া সরকার অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এর প্রতিবাদে তারা মিছিল বের করে করে। তবে মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, মিছিল করার কোনো অনুমতি ছিল না। ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। এ সময় পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে পালিয়ে যান। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে দুই পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।




কমলনগরে আ’লীগ কার্যালয় ভাঙ্চুরে বিএনপি’র ২১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও টেবিল-চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি’র ২১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে রাতেই মামলা দায়ের করা হয়।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ সোমবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। অপরদিকে, বিএনপির দাবি হামলা ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। মামলার বাদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা হাজিরহাট বাজারে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখিত মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, রাহাত, জাহের, হেলাল, রাসেল, রাকিব, দোলন, দেলোয়ার, মোরশেদ, দেলোয়ার হোসেন মানিক, , মাইন উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল, নাজিম মেম্বার ও বেলাল।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় তাদের চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কমলনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে রাতের আধাঁরে তারাই তাদের দলীয় কার্যালয়ের দু’চারটি চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত কর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।