রামগঞ্জে ১০বছর পর বিএনপি’র কমিটি গঠন

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

প্রায় ১০ বছর পর লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও ৭ বছর পর পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

২৯ অক্টোবর (শনিবার) দিবাগত রাতে জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট হাছিবুর রহমান ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু স্বাক্ষরিত রামগঞ্জ উপজেলা ৬১ ও পৌরসভায় ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেন।

সাবেক সাংসদ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বাহার ভিপিকে সদস্য সচিব ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামানকে পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন মিয়াকে সদস্য সচিব করে আগামী তিনমাসের জন্য আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক পদে মোজাম্মেল হোসেন মজু, যুগ্ন আহবায়ক মনোয়ার হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম মারুফ ভূইয়া, আবুল কাশেম, নজরুল ইসলাম পিন্টু, মজিবুর রহমান, ফয়েজ উল্যাহ ভূইয়াসহ ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক পদে তোফায়েল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক পদে লোকমান হোসেন পাটোয়ারী, এম এ হাশেম বিএ, আওরঙ্গজেব বাবলু, আশরাফ হোসেন পাটোয়ারী, শাহ আলম শাহীনসহ ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি জানান, আগামী তিনমাসের মধ্যে সকল ইউনিটের সম্মেলন শেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে এবং আহবায়ক, সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এর যৌথ স্বাক্ষরে রামগঞ্জ উপজেলাধীন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদিত হবে।




লক্ষ্মীপুরে সেই ডিলারের এক লাখ টাকা জরিমানা

লক্ষ্মীপুরে টিসিবি পণ্য মজুত রাখার দায়ে এসএম দিদার হোসেন মামুন নামের সেই ডিলারকে এক লাখ টাকা জারিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন এ আদেশ দেন।

এরআগে মুদি ব্যবসায়ীর বসতঘর থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর প্রায় ৩০০ কেজি খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম মান্দারী গ্রামের কুরুজি বাড়ি থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

উদ্ধার তালিকায় রয়েছে- টিসিবি’র ২০০কেজি ডাল, ৪০কেজি চিনি ও ৬২লিটার তেল। উদ্ধারকৃত মালামাল উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে আছে।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর ট্রেডার্স ও মেঘা ট্রেডার্সের ডিলার মোহাম্মদ মামুনের কাছ থেকে টিসিবি’র এসব পণ্য অবৈধভাবে গুদামজাত করে উপজেলার পশ্চিম মান্দারী গ্রামের আফজাল পাটোয়ারীর ছেলে পাবেল ও তার সহযোগী ফারুক। পাবেল স্থানীয় চৌমুহনী পোল এলাকার একজন মুদি ব্যবসায়ী। অভিযানের খবর পেয়ে সটকে পড়ায় তাদের আটক করা যায়নি।

সূত্র জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গুদামজাতকৃত টিসিবি’র এসব পণ্য আটক করে।

পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব পণ্য উদ্ধার করে নিজ হেফাজতে নেন। এসময় মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারী ও মেম্বার মমিন উল্লাহসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর ট্রেডার্স ও মেঘা ট্রেডার্সের ডিলার মোহাম্মদ মামুন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।




লক্ষ্মীপুরে মুদি ব্যবসায়ীর ঘরে ৩০০ কেজি টিসিবি’র পণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে এক মুদি ব্যবসায়ীর বসতঘর থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর প্রায় ৩০০ কেজি খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম মান্দারী গ্রামের কুরুজি বাড়ি থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন অভিযান পরিচালনা করেন।

উদ্ধারকৃত মালামালগুলো হচ্ছে – টিসিবি’র ২০০ কেজি ডাল, ৪০কেজি চিনি ও ৬২লিটার তেল। উদ্ধারকৃত মালামাল উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর টের্ডাস ও মেঘা টের্ডাসের ডিলার মোহাম্মদ মামুনের কাছ থেকে টিসিবি’র এসব পণ্য অবৈধভাবে গুদামজাত করে উপজেলার পশ্চিম মান্দারী গ্রামের আফজাল পাটোয়ারীর ছেলে পাবেল ও তার সহযোগী ফারুক। পাবেল স্থানীয় চৌমুহনী পোল এলাকার একজন মুদি ব্যবসায়ী। অভিযানের খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায় তাই তাদের আটক করা যায়নি।

সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গুদামজাতকৃত টিসিবি’র এসব পণ্য আটক করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব পণ্য উদ্ধার করে নিজ হেফাজতে নেন। এসময় মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারী ও মেম্বার মমিন উল্লাহসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর টের্ডাস ও মেঘা টের্ডাসের ডিলার মোহাম্মদ মামুন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে ।




কমলনগরে পাঠ্যবই বিক্রি; বইসহ হকার আটক

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া বিনামূল্যের বই হকারের কাছে কেজি মাপে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে চর লরেন্স ইউনিয়নে অবস্থিত হাজীপাড়া আল- আরাফাহ দারুল উলূম দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে।

২৯ অক্টোবর (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে হাজীপাড়া আরাফাহ দারুল উলূম দাখিল মাদ্রাসার বিক্রিত বই ঢাকা মেট্টো-ন ১৫-৩২৭৫ নম্বর সংযুক্ত একটি পিকআপ গাড়িতে করে নেওয়ার সময় স্থানীয় জনতা বইসহ আটকালে মাদ্রাসার সুপার পালিয়ে যায়।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রনীত বিভিন্ন বিষয়ের চলমান ২০২২ সালের বেশির ভাগসহ ইবতেদায়ী প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেনীর ৪শ কেজি বই ঢাকা যাত্রাবাড়ির এক হকারের কাছে বিক্রি করে দেন মাদ্রাসার সুপার।

মাদ্রাসার সামনে গিয়ে দেখা যায়, হকারের কাছে বিক্রিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্মসহ মাদ্রাসার বোডের আরো অনান্য বিষয়ের বই। বিক্রি করে দেয়া বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২০২২ শিক্ষা বর্ষের নতুন বই ও ২০২১ শিক্ষা বর্ষের পুরাতন কিছু উইপোকা কাটা বই।

হকার জানান, মাদ্রাসার সুপার গতকয়েকদিন পর্যন্তই পুরাতন বই বিক্রি করবে আমি এসে নেয়ার অনুরোধ করে। আমি সকালে গাড়ি নিয়ে আসলে তিনি নিজেই ৪শ কেজি বই বিক্রি করে আমার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা বুঝে নেন এবং বইগুলো আমার গাড়িতে তুলে দেন।

স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের বই বিক্রির বিচারের দাবি করে বলেন, এর আগেও সুপার বই বিক্রি করলে আমার আটক করি পরে কোন বিচার হয়নি এবার এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানান।

অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য হাজির পাড়া আল- আরাফাহ দারুল উলূম দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোন বিদ্যালয় থেকে সরকারি বই এভাবে কেজি দরে বিক্রি করার নিয়ম নেই। যে বইগুলো অবন্টনকৃত থাকে সে বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক বই বিতরণ, গুদামজাতকরণ ও সংরক্ষণ কমিটির নিকট জমা দিতে হয়। পরে এগুলো দরপত্র আহ্বান করে বিক্রি করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জানের জানান, বইসহ হকার থানা আটক রয়েছে। অবৈধ ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বই বিক্রি করা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




রামগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২২ পালিত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর (শনিবার) সকালে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় জেলা পরিষদ অডিটোডিয়াম হল রুমে রামগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেলের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই সময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পলাশ কান্তি নাথ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আকম রুহুল আমিন, রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সাবেক মেয়র বেলাল হোসেন, রামগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান ফাহিম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলি, ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান,১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন খান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অপূর্ব কুমার সাহা,পৌর ৩নং রতনপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রাশেদ, রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক কাউছার হোসেন, অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, সদস্য মোঃ রাজু হোসেন প্রমু। সভা শুরুর আগে শিক্ষার্থী,জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের অংশগ্রহনে একটি র‌্যালী থানার সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে কেক কাটার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র শান্তি শৃঙ্খলা সর্বত্র। এরই ধারাবাহিকতা রামগঞ্জ থানা পুলিশের কর্মকান্ড ও ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলেন তিনি। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। জনগনকে সাথে নিয়েই পুলিশ আগামী দিনে, সমাজকে মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত করা হবে বলেও নেতৃবৃন্দরা জানান। এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।




জার্মান-যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন রাষ্ট্রপতি

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে উদ্দেশ ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোররাতে ১৬ দিনের সফরে ঢাকা ত্যাগ করেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী রাশিদা খানমসহ সফর সঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত বিমান (কিউওয়াই ৬৩৯) শনিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) ত্যাগ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রয়েস্টারসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়েছেন।




ভিত্তি প্রস্তর স্হাপনের ৫ বছর পরেও অবকাঠামো নির্মিত হয়নি নুরুল হক আধুনিক হাসপাতাল

মোঃ বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ৫ বছর পরেও অবকাঠামো নির্মিত হয়নি,ফলে ফেনী,লক্ষীপুর ও নোয়াখালীর মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

১৯৭৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়।

পরে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাশেম বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এবং ফেনী লক্ষীপুর থেকে সহজ যাতায়াত ব্যবস্হা সমৃদ্ধ ও খোলামেলা মনোরম পরিবেশে নোয়াখালী কুমিল্লা মহা সড়কের পাশে মেডিক্যাল কলেজ স্হাপনের জন্য সরকার থেকে জমি বন্দোবস্ত নেন।এর পর জমি ভরাট করে এম এ হাশেম মেডিক্যাল কলেজ স্হাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

কিন্তু ১/১১এর সরকারের সময়ে সেই লিজ বাতিল করে দেয়া হয় বাতিলের স্থানে তৎকালীন সরকার নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০০৮-০৯ সালে নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তি শুরু হয়।

মেডিক্যাল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হওয়ায় প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে ক্লাস শুরু হয়। কলেজের ভবন নির্মাণ শেষ হওয়ার পর সেখানে ক্লাস শুরু হয় বর্তমানে ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এদিকে পরবর্তীতে

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের ৮ জুলাই নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে সাবেক স্পীকার মরহুম আবদুল মালেক উকিলের নামে নাম করণ করেন।

সেই সাথে সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা নুরুল হক মিয়ার নামে হাসপাতালের নাম করণ করা হয়।
২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের পাশে ৫০০শয্যার নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

কিন্তু মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ চালু হলেও ৫০০শয্যার নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালের অবকাঠামো এখনো নির্মিত হয়নি ফলে বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

৫০০শয্যা নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালের ফাইলটি একনেক সভায় বারবার ওঠার পরও অনুমোদন না পাওয়ায় এর অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হচ্ছে না। জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করা হয়।কিন্তু এসব রোগীর বেশির ভাগই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে মারা যায়।
এদিকে মেডিক্যাল কলেজের পাশে হাসপাতাল না থাকায় দীর্ঘ ১২কিলোমিটার দূরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নি করতে হয়।

সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা কলেজের পাশে হাসপাতাল নির্মাণ সহ ২১দফা দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

হাসপাতাল নির্মিত না হওয়ায় সচেতন মানুষের মধ্যেও বিরাজ করছে চরম উৎকন্ঠা ও হতাশা।
এ ব্যাপারে আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাক্ষ ডাঃআব্দুছ ছালাম বলেন হাসপাতালের জন্য বারবার একনেক সভায় প্রস্তাব তোলা হলেও খুঁটিনাটি বিষয় পরিবর্তন করার জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।




নরসিংদীতে গোসলে নেমে ২ মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ, ২০ঘন্টা পর মিলল একজনের মরদেহ

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে পিকনিকে এসে মেঘনায় গোসল করতে নেমে দুই মাদ্রাসা ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোঃ গালিব হক (১৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর তার মরদেহটি উদ্ধার হয়।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়নের চর আফজালের মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফরিদুল আলম।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে পিকনিকে গিয়ে ফুটবল খেলা শেষে অন্যান্যদের সঙ্গে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজ ছাত্ররা হচ্ছে- নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার দড়িপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মোঃ গালিব মিয়া (১৫) এবং একই জেলার রায়পুরা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সহিদুল ইসলাম মাফফুজ (১৭)। তারা দুইজনেই নরসিংদী সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া মুহম্মদীয়া ইন্টারন্যাশনাল তাহফুজুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং কুরআনে হাফেজ ছিলেন। তাদের মধ্যে গালিবের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা।

নৌ-পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মাদরাসার বার্ষিক পিকনিকে শিক্ষকসহ ৩২ জন আলোকবালী ইউনিয়নের চর আফজালে যান। বিকেলে ফুটবল খেলা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে তারা গোসল করতে নামেন। শিক্ষকসহ বাকি ৩০ জন উঠে আসলেও অনেক খোজাখুঁজির পরেও ওই দুই ছাত্রকে আর পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে নরসিংদী সদরের করিমপুর নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদেরকে না পেয়ে এবং ডুবুবি দল না থাকায় এদিন রাত ৯টায় তারা উদ্ধার অভিযান শেষ করেন।

পরে শুক্রবার (২৮অক্টোবর) সকালে টঙ্গী থেকে পাঁচ সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তারা দীর্ঘক্ষন নদীতে খোঁজাখুঁজি করে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে গালিবের মরদেহ উদ্ধার করেন। আর মাহফুজের খোঁজে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মোঃ ফরিদুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই তাদের উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি।

বাকি একজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল একসঙ্গে নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে ।




কমলনগরে নদী ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে এলাকাবাসীর দোয়া মোনাজাত 

তারেক আজিজ:

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মহান আল্লাহর কাছে ভাঙন থেকে মুক্তি চেয়ে মোনাজাতে দোয়া করেন সবাই। পূর্ব-পুরুষের ভিটে ও কবর রক্ষায় আল্লাহর রহমত কামনা করেন।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায় মোনাজাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের উদোগে এ আয়োজন করা হয়।

এ সময় দোয়া পরিচালনা করেন কমলনগর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ক্বারী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।

ইমরান হোসেন শাকিলের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন কমলনগর উপজেলা পরিষদের কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সূত্র জানিয়েছে, বালু সংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় না পাওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ বন্ধ করে রেখেছে। টাকা ছাড় পেলে ও বালু সংকট কাটলেই তারা কাজ শুরু করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদীতীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেন। সেই লক্ষ্যে কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় গত ৯ জানুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক কাজের উদ্বোধন করেন।

আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান পল্লী নিউজকে বলেন, জোয়ারে আমার মায়ের কবরে পানি উঠে যায়। এটি দেখলে আমার কলিজা ফেটে যায়। আমার মায়ের পাশে আমাকে কবর দেওয়ার জন্য বলে রেখেছি। কিন্তু নদীতীর রক্ষা বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভাঙনে সব বিলীন হয়ে যাবে। এজন্য নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেতে আমরা মহান আল্লাহর কাছে হাত তুলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নদীভাঙন রোধে মেগা প্রকল্প দিয়েছেন। দ্রুত সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ভিডিও:




কমলনগরে সিত্রাং এ ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

 

কমলনগর,লক্ষ্মীপুর:

ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত খাদ্য সামগ্রী ( জি আর) চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৭ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার সাহেবর হাট ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে এসকল উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন, জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোহাম্মদ নুর এ আলম ৷

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, সাহেবের হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, উপজেলা মৎস্য কর্মকতা আবদুল কুদ্দুছ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রতিনিধি আবুল বাসার নয়ন, কমলনগর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এ আই তারেক সহ অনেকে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”এর প্রভাবে বেঁড়িবাঁধ না থাকায় মেঘনা নদীর পানিতে উপজেলার চর কালকিনি, সাহেবের হাট, চর ফলকন, পাটারির হাট, চর মাটিন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ফলে অসহায় এ পরিবার গুলোকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, তেল, লবণ সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।