রায়পুরে গৃহবধূ নিখোঁজ, মায়ের জিডি

প্রদীপ কুমার রায়ঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্মৃতি আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি উপজেলার চরমোহনা গ্রামের আমির উদ্দিন ঢালি বাড়ির প্রবাসী মোঃ রফিকের মেয়ে। গত রবিবার দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে স্বামী ফখরুল ইসলাম টিটুর (২৫) রাখালিয়া গ্রামস্থ নুরুল ইসলাম পিয়ন বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন স্মৃতির মা মাহিনুর (৪৩)।

মাহিনুর বলেন,  বুধবার মেয়ে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত রোববার দুপুরে সে স্বামী ও শশুরের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে রওয়ানা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও না পৌঁছায় জামাতা টিটু আমাকে ফোন দিয়ে মেয়ের না যাওয়ার কারণ জানতে চায়। মেয়ে ওইদিন নির্ধারিত স্থানে না নেমে অন্য একটি স্থানে নেমে যায় বলে অটো রিকশার চালক জানিয়েছেন। ৮ দিন ধরে মেয়ে নিখোঁজ থাকলেও এখনো কোনো সন্ধান না পাওয়ায় আমরা চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। জামাতা ও শশুর পরিবারের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ ছিল না। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে রায়পুর থানায় জিডি করেছি।

গৃহবধূর শশুর নুর মোহাম্মদ (৬৫) বলেন, আমার স্ত্রী বেচে নেই। পুত্রবধূ স্মৃতিই ছিল আমাদের সংসারের প্রাণ। তাঁর হঠাৎ নিখোঁজে আমরা চিন্তিত। কারো বিরুদ্ধে পুত্রবধূর কখনো কোনো অভিযোগ ছিল না। তাঁর কাছে কোনো মোবাইলও ছিল না। তবে তাঁর ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়ারে কয়েকটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে। এগুলোর সূত্রধরেই হয়তো পুত্রবধূকে ফিরে পাবো এমন আশায় রয়েছি। সে বিপদগামি হয়েও যদি ফিরে আসে, তবে আমরা স্বাভাবিকভাবেই তাকে গ্রহণ করে নেবো। ব্যবহার ও কাজ দিয়ে সে পুত্রবধূ থেকে আমার মেয়ের স্থানটি দখল করে নিয়েছে।

স্মৃতি আক্তারের স্বামী ফখরুল ইসলাম টিটু বলেন, স্ত্রীকে ফিরে পেতে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমাকে স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেলেও এতোটা কষ্ট পেতাম না। কিন্তু এখন প্রতিটা মুহুর্ত তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আবেগের বশে খারাপ লোকের পাল্লায় পড়লে সে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সে যেখানেই আছে থাকুক। তবে আমরা তার সঠিক অবস্থানটি নিশ্চিত হতে চাই।

রায়পুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা মাহিনুর বাদি হয়ে জিডি করেছেন। দেশের সকল থানায় নিখোঁজ বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।




লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই ১৭ বছরের কিশোরী 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পূর্ব মাগুড়ি গোপালপুর গ্রামে বসত ঘরে আগুনের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কিশোরী আনিকা সুলতানা। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

#বিস্তারিত আসছে…..




রামগঞ্জে আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক জিএস নজরুল

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক জিএস ও সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং বর্তমান চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সদস্য জিএস নজরুল ইসলামকে একই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নং যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছে৷

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু, সহ সভাপতি ড. আনোয়ার খান এমপি ও সাধারন সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিনের দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষনা দেওয়া হয়৷

জি এস নজরুল ইসলাম চন্ডীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও ড. আনোয়ার খান এমপি, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আকম রুহুল আমিন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন ফরাজির মৃত্যুতে দলের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়৷ জিএস নজরুল ছাত্রজীবন থেকে দলের প্রতি একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলে যে কোন মিটিং মিছিল সভা সমাবেশে সরব উপস্থিতি লক্ষনীয় ছিলো ৷ এছাড়াও তিনি বহুবার জেল জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে৷ তাঁকে যুগ্ন আহবায়ক করায় দলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

জি এস নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজর নির্বাচিত জি এস ছিলাম । আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো।




রামগঞ্জে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  থেকে আবদুল মতিন মুন্সী (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

৯অক্টোবর (রবিবার) বিকেলে উপজেলার  চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বকসী বাজার মৃতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। আবদুল মতিন মুন্সী চন্ডিপুর হেদুে  কোম্পানী বাড়ির মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।

সংবাদ পেয়ে রামগঞ্জ থানা ওসি  (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত মতিন মুন্সীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গ্রেরন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় আবদুল  মতিন মুন্সী রবিবার সকাল ১০টায় ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু বেলা ৪টার সময় সে বাসায় না ফেরার কারনে  পরিবারের লোকজন ভিবিন্ন স্থানে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে মৃতের ছেলে তাদের নিজ চা দোকানে গিয়ে  তার বাবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রামগঞ্জ থানা পুলিশ  ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গ্রেরন করা হয়েছে।

নিহত আঃ মতিনের ভাই আবদুর  রশিদ জানান, আমার ভাই মতিন মুন্সীর ১ম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবার ২য় স্ত্রী খুকি বেগম নামের একজনকে বিয়ে করে।২য় বিয়ের পর থেকে  পারিবারিক অসান্তি চলে আসছিলো। তবে কি কারনে ফাঁস  দিয়েছিলো সেটা আমি জানি না।

রামগঞ্জ থানা ওসি (ভারপ্রাপ্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মৃর্তের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গ্রেরন করা হয়েছে।




রায়পুরে ব্যাবসায়ীদের নেতার ওপর হামলা : বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রদীপ কুমার রায়:

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি ব্যস্ততম মার্কেটে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শিপলু ভাট (৩৭) এর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় মার্কেট ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন(৩০), দারোয়ান হারুন (৪৫), ও জেনারেটর কর্মচারি রবিন (২৫)কেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। গুরুতর আহত রবিনকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং শিপলু ভাটকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে শহরের গাজী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সৃষ্ট ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে আজ রবিবার দুপুরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট বরাবর পেশ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকে গাজী মার্কেট সংলগ্ন জায়গায় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর সৈয়দ আহম্মদ গং ৯তলা একটি ভবন নির্মান শুরু করেন। নির্মান সামগ্রী এবং গাড়ী পার্কিং করে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে আসলেও সৈয়দ আহম্মদ প্রভাবশালী হওয়ায় কিছুতেই কারো অভিযোগ অনুযোগ কর্ণপাত করছিলেন না। শুক্ররার রাতে নির্মানাধীন ভবনের ময়লা পানি পাইপ দিয়ে গাজী মার্কেটের দিকে দিতে দেখে দারোয়ান হারুন বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালান সৈয়দ আহাম্মদ ও তার দুই ছেলে আমির হোসন ও আনোয়ার হোসেন। তাকে বঁাঁচাতে এগিয়ে আসলে মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শিপলু ভাট (৩৭), মার্কেট ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন(৩০), ও জেনারেটর কর্মচারি রবিন (২৫)কেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ নিয়ে আজ রবিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে গাজী কমপ্লেক্সের সকল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে অভিযুক্ত সৈয়দ আহাম্মদ ও তার দুই ছেলেকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনজন দাশ ও রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট বরাবর ব্যবসায়ীদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারক লিপি প্রদান করেন ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

রায়পুর থানার ওসি তদন্ত হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




আবারো প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী লক্ষ্মীপুরে

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে সিতি রাহাইউ নামে আরও এক তরুণী লক্ষ্মীপুরে এসেছে। বাংলাদেশের মামুন হোসেন ও সিতি মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এই সুবাদে তাদের পরিচয় ও প্রেম। সেই টানেই বাংলাদেশে ছুটে আসেন সিতি।

আজ রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মামুন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহর ছেলে এবং সিতি ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ের মৃত জুমিরানের মেয়ে।

গত শনিবার বিকেলে মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন মামুন ও সিতি। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে নিজবাড়িতে যান।

মামুন বলেন, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে সিতির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করতেই বাংলাদেশে এসেছেন সিতি। এক মাসের ছুটি শেষে ফের মালয়েশিয়ায় চলে যেতে হবে। তবে, সিতি বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ মার্চও প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী। ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামেও ওই তরুণী রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের রাসেল আহমেদকে বিয়ে করেন।




লক্ষ্মীপুরে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শোভাযাত্রা

লক্ষ্মীপুরে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে । জেলা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আত এর আয়োজনে রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি।

সংগঠনটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউল করিম মুজাহিদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কাজী জামশেদ কবির বাক্কী বিল্লাহ, পীর সৈয়্যাদ মাহমুদুর রহমান তানভীর ছিদ্দিকী, পীর সৈয়্যাদ গোলাম সাখজার হোসাইনী ছাবের চিশতী প্রমুখ।

সমাবেশে বয়ান,, মিলাদ, ক্কিয়াম শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনাসহ বিশ্ব উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। পরে হাজার হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।




কমলনগরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
নির্ভুল জন্ম নিবন্ধন করব, শুদ্ধ তথ্যভান্ডার গড়ব’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুর কমলনগরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার ফেরদৌস আরা, কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আলম, চর কারদিরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানাল চেয়ারম্যান নুরুল্ল্যাহ, কমলনগর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ ফয়েজ মাহমুদ, সাংবাদিক আমজাদ হোসেন আমুসহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদোক্তা প্রমুখ।

উপস্থিত সকলে দেশের জিডিটাল সেবা পেতে ও নির্ভুল তথ্যভান্ডার গড়তে নির্ধারিত নিয়ম ও সঠিক সময়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।




কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা সমাচার

কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ও সেবার মান নিয়ে প্রশংসনীয় প্রতিবেদন দেখেছি করোনাকালে। সেবা ও সেবার মানদন্ডে সু সেবার স্বাক্ষর রেখেছে কর্তাব্যক্তিরা যে যার মত। সেবা সু সেবা ভালোবাসা মানবতার স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিরা ছিলো পুলকিত। কর্তাব্যাক্তিদের এমন অবদানের প্রতিদানে ইচ্ছা পোষন করেছি যে পুষ্পমাল্যে বরন করবো। সময় অসময়ে হয়ে উঠেনি।

সময়ের পরিক্রমায় ডাঃ আকিলের বদলি সর্বশেষ ডাঃ রেজাউল করিম রাজিবের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবার ভরসায় আশান্বিত সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ অশ্রু কাতর মানুষ গন বদলি ঠেকাতে ভালোবাসায় মানববন্ধন করেছে কমলনগরে। যা কমলনগরে সেবার জগতে ইতিহাস। দুজনের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবায় অপূরনীয় ক্ষতি। যা গত ২/১০/২২ তারিখে সরজমিনে প্রত্যক্ষ করেছি। লজ্জায় আবৃত হয়েছি বারবার। সিদান্তহীনতায় পায়চারি করেছি বারংবার। বাচ্চার বিকেলে শ্বাসকষ্ট সন্ধ্যায় হাজির হাট বাজারে চিকিৎসা ব্যবস্হা। রাতে সমস্যা বেড়ে অধিক বুমি। সারারাত দুঃচিন্তা। সকালে সমস্যা প্রতিকারে কমলনগর স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে গমন। সকাল তখন ৭টা। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত আমাদের কমলনগরের সন্তান ডা. দাউদ সিদ্দিকী। জরুরী বিভাগে ছিলেন একমাএ ডা. দাউদ আর এক মুরুব্বী। গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যাক্তিরা হাওয়া।

ডা. দাউদ সিদ্দিকী সু সেবায় কমলনগরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে বিখ্যাত। তার রোগী ভুরি ভুরি। বাচ্চা দেখলেন ভর্তি ব্যবস্হা করলেন। ব্যবস্থাপত্রে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর সাইন নাই বলে চিকিৎসা প্রদানে অনিহা প্রকাশ করলেন কর্তব্যরত নার্সগন। ফলে বিপত্তি। কে শুনে কার কথা। শুরু হয়রানি এখন কাজ হলো সিঁড়ি বেয়ে উঠা আর নামার কসরত। দুইবার মিস গাইড। তৃতীয় বার সাক্ষাতে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর শরনাপন্ন হয়ে সমস্যার প্রতিকার চেয়েছি। তিনি আমাকে আবার ও উপরে পাঠালেন। সমস্যার সমাধান হয়নি। হাসপাতালে স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহের ছিলেন না। তার বিপরিতে দায়িত্ব সম্পাদনে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি দায়িত্ব পালন না করে ঘুমাতে গেলেন। ডা. দাউদ বাদে বাকী দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা রুটিন সময়ে অনুপস্থিত। তারা কর্মক্ষেএে প্রবেশ করেন দশটার পর।ফলে চিকিৎসা পেতে হয়েছে দশটার পর। ভর্তি করেছি ৭.৩০ মিনিটে। ডাঃ আসলেন ব্যবস্হা পএে সাইন করলেন তারপর নার্সগন দায়িত্ব পালন করলেন। মাঝখানে ৩/৪ ঘন্টা সেবা বিরতি ছিলো।
ফলে ডায়রিয়া রোগীর কান্নায় আকাশ ভারী কে কার কথা শুনে। স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহেরের নাম্বারে কল করলে ও রিসিভ হয়নি।

ফলে সমস্যা সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি। ডা. দাউদ সিদ্দিকীর ব্যবস্থাপত্রেকমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা মিলে না। অথচ তিনিই জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। যারা কর্তাব্যাক্তি তারা হাওয়া। কার ইশারায় কেমনে চলে হাসপাতাল গভীর অনুসন্ধান করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর অন্তকোন্দল কিনা তাহা জানার চেষ্টা করেছি. কোন সুউত্তর মিলেনি। রোগী নিয়ে এই হচ্ছে সাপলুডু খেলা। রোগীরা সেবা বঞ্চিত। অপচিকিৎসা ও কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চোখে পড়ার মত। আয়া করে নার্সের কাজ।
ক্যানালা পিটিং স্যালাইন সঞ্চালনের কাজ করেন আয়া। কিন্তু তাহলে নার্সদের কাজ কি? এখানেই শেষ নয়। ওয়ার্ড বয় ও করেন নার্সদের কাজ। সকালে ডায়রিয়াকৃত এক বাচ্চাকে ইনজেকশন পুশ করেন ওয়ার্ড বয়। ফলে ইনজেকশনের মার্তা বেশি দিয়ে বাচ্চার জীবন হুমকিতে পেলেন।
বাচ্চার চোখ কপালে উঠলো বাচ্চার মায়ের চিৎকারে ওয়ার্ড বয় হাওয়া। সকল সমস্যার প্রতিকারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। ডা. দাউদকে নিয়ে রাজিব নাটক হচ্ছে কিনা চোখ রাখুন। প্রতিবাদে সজাগ থাকুন। গত ২/১০/২২ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ৩/১০/২২ তারিখ দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন কমলনগর হাসপাতাল। অন্ধকারে নিমজ্জিত চিকিৎসা ব্যবস্হা। মমবাতির আলোয় চিকিৎসা চলছে। ভুক্তভোগীদের মমবাতিই ভরসা। কোন উপায় নেই। অন্ধকারে ভুল চিকিৎসা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আর ভুল চিকিৎসা হলেই কারো জীবন নাশ হবে। দায় কার?

বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ নামক ভেলকিবাজি বন্ধ করা সময়ের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিদ্যুৎ বিহীন ১৮ ঘন্টা চিন্তা করা যায়। তার ভেতর জেনেরেটর সেবা থেকে ও নেই। তৈল খরচের বরাদ্দ নেই অজুহাতে জেনেরেটর সেবা পরিবেশন বন্ধ। কতটুকু যুক্তি কথা বোধগম্য নয়। চিকিৎসা সেবা মৌলিক সেবার একটি। আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সেবা হোক জনকল্যাণকর। মানুষ মানবতার জয় হোক। কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্হাপনা দূর হয়ে বিবেকবোধের দর্শনে মানুষ মানবতা হোক সেবার মাধ্যম।

লেখক: শিব্বির দেওয়ান




সনদ ছাড়া গ্রাম্য ‘‘ডাক্তার’’ চিকিৎসা দিতে পারবেন না

ঢাকা: গ্রাম্য ‘ডাক্তার’’ যাদের চিকিৎসা বিষয়ে শিক্ষা, যোগ্যতা এবং সনদ নাই তাদের চিকিৎসা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন , স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে চেষ্টা করছি। সেবার মানোন্নয়নে অ নেকগুলো দিক আছে। এ ক্ষেত্রে অনেক জনবল প্রয়োজন হয়, অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। আমরা এখন প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। যদি প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার আরও অনেক উন্নয়ন হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার মূলত কমিউনিটি ক্লিনিক ও ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, আমাদের ১০ বেড হাসপাতাল আছে’, ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার আছে’, এছাড়াও ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যারা এই প্রাইমারির স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। আমরা এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছি, তা হলো প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবায় যা যা করা দরকার তা আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি।

গ্রামের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,, যারা গ্রামে চিকিৎসা দেন,, তাদের অনেকে কোয়ালিফাইড না, তাদের কোনো সনদ নাই, তারা এন্টিবায়োটিকও এবং নানান ওষুধ প্রেসক্রিপশন করে। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, যারা নিবন্ধিত না’, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি । এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিককে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং আগামীতে আরও বন্ধ করা হবে। যারা গ্রামে চিকিৎসা দেয়, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা সার্টিফিকেট (সনদ) নেই। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দিতে দেব না। এ বিষয়ে আমরা খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেব। এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।