২শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে “সম্ভাবনা’র রামগঞ্জ গ্রুপের শীত বস্ত্র বিতরণ

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ২শতাধিক অসহায়মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ও শীত নিবারণের উদ্দেশ্যে সম্ভাবনার রামগঞ্জ গ্রুপের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। শুক্রবার, (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে গ্রুপের এডমিন মোঃ আনোয়ার হোসেন (আনু) এর সভাপতিত্বে ও শীত বস্ত্র বিতরনের উদ্যোক্তা ও গ্রুপ মডারেটর তাছলিমা আক্তারের সার্বিক সহযোগিতায় ওই শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি ছিলেন সম্ভাবনার রামগঞ্জ গ্রুপের উপদেষ্টা সভাপতি ও রায়পুর এল এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও উপদেষ্টা সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম পাটোয়ারী, রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক ফারুক, দাসপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোরশেদুল আমিন বাবু, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাকিল আহম্মেদ সহ এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মডারেটর মোঃ রাসেল মিয়া, রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক কাউছার হোসেন, অর্থ সম্পাদক আবু তাহের, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, ফারুক পাটোয়ারী,পারভেজ হোসাইন, ইকবাল হোসেন, আব্দুর রহমান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্যঃ উপস্থিত অতিথিরা সম্ভাবনার রামগঞ্জ গ্রুপের এরূপ উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেন। অতঃপর নেতৃবৃন্দ উপজেলার সকল ইউনিয়নের জন্য শীত বস্ত্র বিভিন্ন প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন।




নোয়াখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা জনপ্রিয়তা শীর্ষে

বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

২৯ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোয়াখালী সদরের ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের চলছে দৌঁড়ঝাপ প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে । জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। ৬ নং নোয়াখালী ইউনিয়নে হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত চষে বেড়াচ্ছন গ্রাম থেকে গ্রামে। আনারস মার্কার জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনারস প্রতীক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আনারস মার্কার প্রার্থী মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত ।




চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল ৬ ফুট লম্বা কুমির

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় চিত্রা নদীতে ধরা পড়েছে প্রায় ছয় ফুট লম্বা একটি কুমির।

গতকাল সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদী থেকে গ্রামবাসী জাল দিয়ে কুমিরটি ধরেন।

জানা গেছে, কুমিরটিকে জালে আটকে ডাঙায় তুলে পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে রাখা হয়। এসময় কুমির দেখতে সেখানে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। পরে বনবিভাগে খবর দিলে সন্ধ্যায় এসে কুমিরটি নিয়ে যান কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সোমবার দুপুরে খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন নদীর চরে শ্রমিকরা বড় কুমিরটি দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন মিলে জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটি ধরেন।

এ ব্যাপারে পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার দুপুরে ইটভাটার শ্রমিকরা কুমির দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেন। পরে খড়রিয়া গ্রামের আজিমুল মোল্যাসহ ১০/১২ জন মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটি ধরেন। পরে সেটিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সতর্ক পাহারায় রাখা হয়। সন্ধ্যার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে কুমিরটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

কালিয়া উপজেলা সামাজিক বনবিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কুমিরটিকে বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার রেঞ্জ অফিসার মাহিনুর রহমান এসে নিয়ে গেছেন। এটি মিঠাপানির বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল বলে মনে করছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, নদীতে পানি কমতে থাকায় এবং শীতকাল হওয়ায় রোদ পোহাতে সেটি ডাঙার দিকে চলে এসেছিল।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কুমিরটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। পরে কালিয়া উপজেলা সামাজিক বনবিভাগের মাধ্যমে খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের কাছে সেটি হস্তান্তর করা হয়।




রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ২৭ দফা রুপরেখা ঘোষণা

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বিএনপি ।

আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ রুপরেখা ঘোষণা দেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা:

১. একটি “সংবিধান সংস্কার কমিশন” গঠন করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা হবে।

২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক “Rainbow Nation” প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য একটি “National Reconciliation Commission” গঠন করা হবে।

৩. একটি “নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার” ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।

৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

৬. বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে “উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা” (Upper House of the Legislature) প্রবর্তন করা হবে। সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে

৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

৮. বর্তমান “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২” সংশোধন করা হবে।

৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ডেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি “জুডিশিয়াল কমিশন” গঠন করা হবে।

১১. একটি “প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন” গঠন করে প্রশাসন পুনঃগঠন করা হবে। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি “মিডিয়া কমিশন” গঠন করা হবে।

১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোন আপোষ করা হবে না। অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী “ন্যায়পাল (Ombudsman)” নিয়োগ করা হবে।

১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। Universal Human Rights Charter অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

১৫. বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি “অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন” গঠন করা হবে।

১৬. “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার” এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।

১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে। ১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে।

১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে। না এবং কোন সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।

২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে।

২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে।

২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাঁদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।

২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।

২৫. চাহিদা-ভিত্তিক (Need-based) ও জ্ঞানভিত্তিক (Knowledge-based) শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

২৬. “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘NHS” এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হবে।

২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।

পরবর্তীতে যথাসময়ে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন শেখ হাসিনা

আগামী ২৮ ডিসেম্বর স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু হলেও সাধারণ যাত্রীরা এতে চলাচলের সুযোগ পাবেন উদ্বোধনের পরদিন থেকে। ‘বাঁচবে সময় বাঁচবে তেল, জ্যাম কমাবে মেট্রোরেল’ এই বিশেষ উদ্যোগের সফল যাত্রায় উদ্বোধনের দিনে টিকেট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টিকেট কেটে মেট্রোরেলে চড়বেন।

এদিকে উদ্বোধনের পর থেকে প্রথমে কিছুদিন দিনে চার ঘণ্টা করে চলবে মেট্রোরেল। রোববার জাপানের আন্তর্জাতিক সংস্থা জাইকার প্রতিনিধি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও পরামর্শকদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে এসব বিষয় আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

মেট্রোরেল প্রতিদিন সকাল ৮টায় চলাচল শুরু করলেও প্রথম দিকে চার ঘণ্টা সকাল-বিকেল না একটানা চলবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে যাত্রীর চাহিদা মাথায় রেখে এটি ঠিক করা হবে।

বৈঠকে চালু হওয়ার পর থেকে শুরুর দিকে মেট্রোরেল কীভাবে এবং কত সময় পরিচালনা করা হবে; যাত্রীদের কীভাবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।




কমলনগরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে আলোচনা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)ফেরদৌস আরা।
এ সময় উপিস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর. মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ আলম, সমবায় কর্মকর্তা মো, হানিফ, তথ্য আপা সাহানা ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।




শতরানের জুটিতে ছুটছেন জাকির – শান্ত

পাহাড়সম লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ভেঙে পড়বে-এমন ভাবনা হয়তো ছিল অনেকের। কিন্তু জাকির হাসান ও নাজমুল হাসান শান্ত ভুল প্রমাণ করছেন সবাইকে।

দুজনের উদ্বোধনী জুটির রান ছাড়িয়ে গেছে একশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ৫১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভার শেষে ১০৬ রান করেছে স্বাগতিকরা।

কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনেও সাবলীল দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। শতরানের জুটিতে তারা গড়েছেন বেশ কিছু রেকর্ডও।

বিস্তারিত আসছে




বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মহান বিজয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্থাপিত প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

এরপর দলের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। এর আগে সকাল পৌনে ৭টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম আর নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পায় স্বাধীন রাষ্ট্র।

১৯৭১ সালের এই দিন বিকেলে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। সে হিসেবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তি পেরিয়ে ৫২ বছরে পদার্পণ করে একাত্তর সালে জন্ম নেওয়া দেশটি। বিজয়ের এই দিনে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে জাতি। ভাসছে বিজয় আনন্দে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত উদযাপিত হচ্ছে বিজয়ের উৎসব।




কমলনগরে আ’লীগ কার্যালয় ভাঙ্চুরে বিএনপি’র ২১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও টেবিল-চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি’র ২১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে রাতেই মামলা দায়ের করা হয়।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ সোমবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। অপরদিকে, বিএনপির দাবি হামলা ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। মামলার বাদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা হাজিরহাট বাজারে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখিত মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, রাহাত, জাহের, হেলাল, রাসেল, রাকিব, দোলন, দেলোয়ার, মোরশেদ, দেলোয়ার হোসেন মানিক, , মাইন উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল, নাজিম মেম্বার ও বেলাল।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় তাদের চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কমলনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে রাতের আধাঁরে তারাই তাদের দলীয় কার্যালয়ের দু’চারটি চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত কর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




জামায়াতের আমির শফিকুর গ্রেফতার

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। প্রথমে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে তাকে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। পরে গ্রেফতার দেখায় সিটিটিসি।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিককে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

এর আগে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার পেজে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কী কারণে বা কোন মামলায় ডা. শফিকুরকে আটক করা হয়েছে, তিনিও সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি।

ডিসি মো. ফারুক হোসেনের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়ার আগে ডা. শফিকুর রহমানকে আটকের বিষয়ে জানতে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা করে বাংলানিউজ। তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি ছিলেন না।

একটি মাধ্যম থেকে জানা যায়, ভোরে আটকের পর রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জামায়াতের আমিরকে।

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ নানা দাবীতে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় দলটি। এর আগে গত ৯ নভেম্বর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমিরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ।