নেত্রকোণায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু

আব্দুর রহমান ঈশান-

নেত্রকোণায় আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটা শেষ হলে একই জমিতে সরিষা ও শাক-সবজির আবাদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

নেত্রকোণা দেশের কয়েকটি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও ধান উদ্বৃত্ত জেলার মধ্যে অন্যতম। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে আমন চারা লাগাতে কিছুটা বিলম্ব হলেও পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

এ ছাড়াও সংসারের খোরাকী, গরুর খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা বৃদ্ধি ও ধানের দাম ভালো থাকায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মওসুমে জেলায় এক লাখ ৩২ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়্। তবে আবাদ হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমি। এই পরিমাণ জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত ৯৬ মেট্রিক টন।

স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আগাম জাতের আমন ধান কেটে ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসাবে সরিষা চাষ, আলু, বেগুনসহ শীতকালীন সবজি আবাদ করতে পারবে কৃষকরা। যা পরবর্তী সময়ে বোরো ধান চাষের অর্থের জোগান হয় কৃষকের। তাই প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ।

নেত্রকোণা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, জেলায় আমনের চাষ ভাল হয়েছে। আগাম জাতের ধান কেটে একই জমিতে সরিষা, আলু ও শাক সবজি চাষ করায় কৃষকদের জন্য ভাল হবে। আবার সরিষা ও শাক-সবজির আবাদ ঘরে উঠিয়ে একই জমিতে ইরি- বোরো ধানের আবাদ করা যাবে।




উচ্চফলনশীল জাতের ব্রি ধান-৮৭ চাষে কৃষকের মুখে সোনালী হাসি

রুবেল চক্রবর্তী, ভোলা প্রতিনিধি:
মাঠে মাঠে চলছে হৈ চৈ আর কৃষকদের উৎফুল্লতা। গ্রামের বাড়ি বাড়িতে কৃষাণীদের ব্যস্ততারও কমতি নেই। ক্ষেতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ধানের। এগুলোর আকৃতি ও আয়ুষ্কালের যেমন পার্থক্য রয়েছে। তেমনি রয়েছে ফলনেরও তারতম্য। অনেক ধান কৃষকেরা ইতোমধ্যে ঘরেও তুলেছেন। এখন হিসেব কষছেন কোন ধানের কেমন ফলন। এলাকার কোন কৃষকের ক্ষেতে হয়েছে সর্বোচ্চ ফলন। এরমধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউটের উদ্ভাবিত ব্রি-ধান ৮৭ ফলনে চমক সৃষ্টি করেছে। যা তাদের ঘরে উঠতে শুরু করেছে।

এ জাতের ধান চাষে কম খরচে মাত্র ১’শ ৩৭ দিনে সংগ্রহ করা যায়। কৃষকদের ভাষ্য, ব্রি-ধান ৮৭’তে অভাবনীয় ফলন। কাজেই আগামীতে এ জাতের ধানেই তাদের আস্থা। চলতি মৌসুমে প্রায় সকল জাতের ধানেই ফলন হয়েছে। কোন জাতই ব্রি-ধান ৮৭’র ধারে কাছে নেই। দেশের নতুন এ জাতের ধানের ভালো ফলন পেয়ে কৃষকদের মনে দিচ্ছে খুশির দোলা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ জাতের ধানে চিটা নেই বললেই চলে। আগাম ফসল কাটতে পারায় ওই জমিতে এখন সরিষা, আলুসহ অন্যান্য রবি শস্য করার উদ্যোগ নিতে পেরেছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলনের খবরে প্রতিদিনই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দেখতে আসছেন নতুন জাতের ধান। তারাও আগামীতে উচ্চ ফলন পেতে এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস জানান, উপজেলার চাঁদপুর, সোনাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষক এ বছর নতুন জাতের ব্রি-ধান ৮৭’র চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। উপজেলায় মোট ১’শ ৫০ হেক্টোর জমিতে ব্রিধান ৭৫’র চাষ করা হয়েছে। এ ধানে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম। অপেক্ষাকৃত কম দিনে সংগ্রহ করা যায়। ফলনও বেশি। তাই কৃষকদের দৃষ্টি এখন ব্রিধান ৮৭’র দিকে।

তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার জানান, নতুন জাতের ধান হিসেবে তিনি কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দিয়েছেন। এ ধানের ক্ষেতে যারা গেছেন তারা দেখেছেন কি পরিমান ফলন হয়েছে। কৃষকেরা আগামীতে ব্রিধান ৮৭” ধানের ওপর খুবই আগ্রহী।




রামগঞ্জে শালিশী বৈঠকে হামলা ভাংচুর

আবু তদাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সম্পত্তি সংক্রন্ত বিরোধের জের ধরে শালিশী বৈঠকে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় সন্ত্রাসী হামলায় নুরুল আমিনের বসত ঘর ভাঙ্গচুর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সৃষ্ট ঘটনায় হামলার শিকার নুরল আমিন ১০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ নভেম্বর (রবিবার) দুপুর ২টায় রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নারায়নপুর খামার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় নারায়নপুর গ্রামের মেম্বার মোঃ কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে নুরুল আমিন ও মনির হোসেনসহ ২ভাই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শালিশদার নুরুল হক দেওয়ান,তৈয়ব উল্যা, মনু মিয়া আন্ডার বেপারীর উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠক চলছিল।

এসময় হটাৎ মনির হোসেন তার ছেলে মহসিন,ইয়াছিন,ফরিদ,স্­ত্রী মরিয়ম বেগম,মেয়ে রাবেয়া আক্তার ও তাছলিমা আক্তার শালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে নুরুল আমিনের পরিবার লোকজনের উপর হামলা করে বসতঘর,টিনের তৈরী গোয়াল ঘর রান্নাঘর ভাংচুর করে নগদ অর্থ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

নুরুল আমিনের স্ত্রী শাহিনুর বেগম জানান, মনির হোসেন তার পরিবারের লোকজন দিয়ে শালিশের সামনেই আমাদের উপর হামলা ও বসতঘর ভাংচুর করেছে। এছাড়া আমার ছেলে খোকন বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচনে বর্তমান মেম্বার কামালের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছে। সেই বিষয়কে মাথায় রেখে মেম্বার কামালের সহযোগীতা নিয়ে মনির ও তার ছেলে মেয়েরা আমাদের উপর হামলা করেছে। তা না হলে তারা শালিশের উপস্থিতিতে হামলা করার সাহস পায় কিভাবে।

হামলাকারী মনির হোসেন জানান,দীর্ঘদিন থেকে আমার সম্পত্তিতে জোর করে আমার ভাই ঘর নির্মান করে দখল করে রেখেছে। এজন্য এলাকাবাসী ও কামাল মেম্বারের সহযোগীতা নিয়ে গোয়ালঘর ও রান্নাঘর ভেঙ্গে আমার সম্পত্তি দখলে নিয়েছি। তবে কাউকে মারধর করিনি।

স্থানীয় নারায়নপুর ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ কামাল হোসেন জানান, আমরা সমাধান কল্পে সম্পত্তি পরিমাপ করে দেওয়ার সময় খোকনের পিতা নুরুল আমিন গায়ের জোরে সীমানা খুটি তুলে ফেলে দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে আমরা ঘটনান্থল ছেড়ে চলে যাই। পরে কি হয়েছে সেটা জানিনা।




বুয়েট ছাত্র হত্যা : পরশের বান্ধবী ৫ দিনের রিমান্ডে

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করে বুশরার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বুশরাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এদিকে এর আগে সকালে বনশ্রী এলাকা থেকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী বুশরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তার মেয়ে বুশরা। বনশ্রীতে একটি বাসায় ৬ বান্ধবী মিলে থাকতেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি।

ছেলে হত্যার ঘটনায় বুধবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রধান আসামি করা হয় বুশরাকে। থানার পাশাপাশি হত্যার ঘটনা তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে; তাকে হত্যা করা হয়েছে।




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।

এটি বর্তমানে শ্রীলংকা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড  করা হয়েছে। সেখানে শীত পড়েছে। ভোর রাতে কুয়াশাও পড়ছে। তবে মধ্যাঞ্চল ও অন্যান্য অঞ্চলে শীত আসতে কিছুটা সময় লাগবে। দক্ষিণাঞ্চলে শীত পড়বে আরও পরে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ১৯ দশমিক ৬, রংপুরে ২০ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ১৯ দশমিক ৩, সিলেটে ১৯ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ২১ দশমিক ২, খুলনায় ২১ দশমিক ০ এবং বরিশালে ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকায় আজ উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১০ মিনিটে।




পাওয়ার প্লেতে সাবধানে শুরু ভারতের

বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। জস বাটলারের এই সিদ্ধান্ত শুরুতেই সঠিক প্রমাণ করেন পেসার ক্রিস ওকস। এ ডানহাতি পেসার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরান ওপেনার লোকেশ রাহুলকে।

এরপর ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করেছে ভারত।

বিস্তারিত আসছে… 




মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও লাইনের কাজ শেষ ডিসেম্বরে

বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল প্রকল্পের উত্তরা-আগারগাঁও লাইনের কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। এই লাইনের পুরো কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলেও আশাপ্রকাশ করছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই আশার কথা জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের কাজ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর কর্তৃপক্ষ ট্রায়াল রান শুরু করবে।’

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপডেট তথ্য উপস্থাপন করব। এটি জনসাধারণের জন্য কবে উন্মুক্ত করা হবে, সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেবেন। ’




গ্রেফতার নিহত বুয়েটছাত্র ফারদিনের বান্ধবী বুশরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগে, বুধবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা (নং-৯) দায়ের করেন।

৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন।

৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।




৮ লাখ টাকায় বিক্রি দুটি পোয়া মাছ

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের জেলে আবদুল গনির জালে ধরা পড়েছে দুটি পোয়া মাছ।

মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিন সাগর উপকূলে ধরা পড়া মাছ দুটির ওজন সাড়ে ৫৫ কেজি। প্রথমে জেলে আবদুল গনি মাছ দুটির দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকলেও পরে কক্সবাজারে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

জেলে আবদুল গনি বলেন, মঙ্গলবার ভোরে আমিসহ পাঁচজন জেলে সাগরে নৌকায় মাছ শিকারে যাই।

মঙ্গলবার ভোরে দ্বীপে পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে জাল তুললে দুটি বড় পোয়া মাছ পাওয়া যায়। মাছ দুটি নিয়ে দ্বীপের জেটিঘাটে ফিরে আসার পর অনেকে কিনতে আগ্রহ দেখায়। কিন্তু উপযুক্ত দামের আশায় মাছ দুটি কক্সবাজার নিয়ে যাই। সেখানে ৮ লাখ টাকায় একজন ক্রেতা মাছ দুটি কিনে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, টেকনাফ উপকূলে প্রতি বছর দু-চারটা এ ধরনের বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটির কদর রয়েছে।




রামগতিতে পাওনা টাকা চাওয়ায়, মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

জমি ক্রয় সূত্রে টাকা বায়না দেয়া হয়। জমি অথবা বায়না টাকা দিতে কালক্ষেপ করেন মিরণ। দীর্ঘদিন টাকা চাওয়ার পর দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন জমি ক্রেতা আব্দুল হান্নান । অভিযুক্ত মিরণ চেয়ারম্যান পরিষদে টাকা দেনার দায়ে অভিযুক্ত প্রমানিত হন। টাকা না দিতে জুটঝামেলা শুরু করে এবং সময় নিয়ে অভিযোগ কারি ও স্বাক্ষীগণের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন এমন অভিযোগ করেন মামলার আসামীগণ।

মামলার আসামী আব্দুল হান্নান বলেন, স্থানীয় প্রতারক ইব্রাহিম মিরণের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল হান্নান (৩৪) পিতা মৃত নুরল হুদা, বুলবুল আসাদ নুরুল্লা (৪২) পিতা মৃত হাবিব উল্লাহ, আব্দুর রহমান (২২) পিতা সোহরাব উদ্দিন, মো.আলমগীর (৫৫) পিতা মৃত গোলাম রহমান, এমরান হোসেন পাটোয়ারী (৩৫)পিতা মো.আলমগীর এদের তার মামলায় স্বাক্ষী দেয়ায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় দিয়ে হয়রানি করছে। এরা সবাই রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউপি’র চর গোসাই গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী নুরুল্লা, আলমগীর, এমরান বলেন, স্থানীয় মো. ইব্রাহিম মিরণ নামে ব্যক্তি তাদের বিভিন্নভাবে হামলা-মামলা, ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং জেলা আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে। মামলার বাদি মিরণে কাছে হান্নান টাকা পাবে। হান্নান চেয়ারম্যান পরিষদে তার বিরুদ্ধে আমাদের স্বাক্ষী দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। আমরা যেন স্বাক্ষী দিতে না পারি যার জন্য আমাদের আসামী করে মিথ্যা, বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল হানান বলেন, মিরণ এবং তার বাড়ি পাশাপাশি থাকায় ৪৮ শতক জমি ৬ লক্ষ ষাট হাজার টাকা মূল্যে নির্ধারণে ২ লক্ষ টাকা স্বাক্ষীগণের মোকাবেলা মিরণকে বায়না করেন। জমির কাগজপত্রে ঝামেলা থাকায় জমি রেজিস্ট্রি দিতে সমস্যা করে মিরণ। দীর্ঘদিন পর জমির বায়না বাবত ২ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে মিরণ। টাকা চাইলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দেয়। আমি সাধারণ মানুষ, পল্লী চিকিৎসা করে জীবিকা নির্বাহ করি। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য স্থানীয় চর রমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেই। মিরণ অভিযোগ তোয়াক্কা না করে জেলা জজ আদালতে আমি এবং অভিযোগে সাক্ষীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়। সাক্ষীরা যেন সঠিক তথ্য আদালতে উপস্থাপন করতে না পারে।এজন্য সাক্ষীদের আসামী করেন মিরণ। এছাড়াও মিরণ এক এক জায়গায় তার এক এক রকম নাম লিখেন ও স্বাক্ষর করেন যথেষ্ট প্রমান রয়েছে। সে সম্পূর্ণ প্রতারক..।

মামলার অন্য আসামী আব্দুর রহমান বলেন, তিনি বাদি ইব্রাহিম মিরণের কাছে জমির বায়না বাবত টাকা পাবে। টাকা দিচ্ছে না। উল্টো তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয়।

স্থানীয়দের সাথে আলাপে অনেকেই জানান, মামলার বাদি ও আসামীদের মধ্যে জমির সংকান্ত লেনদেন চলছিল। হঠাৎ জমির টাকা নিয়ে এদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পরোক্ষণে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধগুলো প্রখোর আকার ধারণ করে থানা ও আদালত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

মিরণের চাদাঁবাজির মামলায় স্বাক্ষীগণের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বাদি মিরণের চাদাঁবাজির মামলা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। তবে তাদের মধ্যে জমি সংকান্ত টাকা লেনদেন ছিল। মিরণ স্থানীয়ভাবে জমি বেচা-বিক্রি করতেন। জমি কেনা-বেচা সূত্রে লেনদেন হয় এবং জমির টাকার লাভ-ক্ষতির হিসেবে তাদের সম্পর্কে বেগাত ঘটে।

বাদি মো.ইব্রাহিম মিরণের সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলার চর রমিজ ইউপি’র চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, জমির টাকা সংকান্ত বিষয়ের আব্দুল হান্নান ইউনিয়ন পরিষদে মিরণকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন। মিরণকে নোটিশ প্রধান করে বিষয়টি তদন্ত করতে সময় দেয়া হয়। কিন্তু পরোক্ষণে মিরণ স্থানীয় ইউপি পরিষদকে তোয়াক্কা না করে অভিযোগটি জেলা আদালতে নিয়ে যায়। এখানে মিরণসহ তাদের কিছু লোক জমির দালালী করে। এদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগিতে সমস্যা হয়। মিরণ এবং মিজান প্রাথমিক তদন্তে হান্নানের টাকা আত্মসাৎ করে স্থানীয় সাক্ষীরা জানান।