লিফটের দরজা খুলে পা বাড়াতেই সব ফাঁকা

লিফটে উঠতে গিয়ে সাততলা থেকে নিচে পড়ে আব্দুল্লাহ সাগর (৫৫) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি চারুকলা অনুষদের ডিন অফিসের জ্যেষ্ঠ সহকারী হিসাব পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকারম ভবনে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুরে তিনি মারা যান।

আব্দুল্লাহর বাড়ি গাজীপুরের গাছা থানার কলেমশ্বর গ্রামের। স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে গাজীপুরেই থাকতেন তিনি। সেখান থেকে নিয়মিত কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতেন।

চারুকলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আলম ফারুক জানান, শুক্রবার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। ছাত্রছাত্রীদের সিট পড়েছিল মোকারম ভবনে। সেখানে কাজে গিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ। ওই ভবনের লিফট অনেক পুরোনো, যা হাত দিয়ে টেনে খুলতে হয়। তিনি সাততলায় লিফটের দরজা হাত দিয়ে টেনে খুলে ভেতরে ঢোকেন, কিন্তু সে সময় লিফটের ফ্লোর না আসায় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আব্দুল্লাহ সাততলায় ছিলেন। লিফট আসার আগেই দরজা খুলে ঢুকে পড়ায় নিচে পড়ে যান। ঢাকার শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।




শ্যামপুরে বাসায় জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

রাজধানীর শ্যামপুরে একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। পরে ভোর ৫টার দিকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. জামাল উদ্দিন (৫০), মো. জামিল হোসেন (২৫) ও মোহাম্মদ তুষার (৩৫)।

জামিলের বাবা ইকবাল জানান, সাততলা ভবনের উপরের তলায় তারা তিনজন একটি রুমে কথা বলছিল। জামাল সিগারেট ধরানোর জন্য লাইটার জ্বালালে হঠাৎ রুমে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে আসা হয়।

তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক জানিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, জামালের শরীরে ৭৫ শতাংশ, জামিলের ৫৫ শতাংশ ও তুষারের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।




সাবেক মন্ত্রী সাধন চন্দ্র গ্রেপ্তার

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।




বিমানে চাকরি, বেতন স্কেল ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ৫

আবেদনের যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাস, কমপক্ষে সিজিপিএ ২.৮ (৪–এর মধ্যে) থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিটিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ (৫–এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে ২.৮ (৪–এর মধ্যে) থাকতে হবে। ‘ও’ লেভেলে গড়ে যেকোনো ৫টি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেলে গড়ে যেকোনো ২টি বিষয়ে ন্যূনতম ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে। অথবা স্নাতক পাস হতে হবে। শিক্ষাজীবনে কমপক্ষে একটি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে, কোনো তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। স্নাতক ডিগ্রি ও পরিচ্ছন্ন সার্ভিস রেকর্ডধারী সশস্ত্র বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত এনসিও/জেসিওদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সাবলীলভাবে বাংলা এবং ইংরেজি বলা ও লেখার দক্ষতা থাকতে হবে।

উচ্চতা

পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি থাকতে হবে।

বয়স

৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৩০ বছর বয়স। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়স। অবসরপ্রাপ্ত এনসিও/জেসিও প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছর।

যেভাবে আবেদন

পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফি

আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি বাবদ ৩৩৫ টাকা জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৯ অক্টোবর, ২০২৪।

 




পিরোজপুরে প্রাইভেট কার খালে, দুই পরিবারের ৮ জন নিহত

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাত তিনটার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলার নুরানি গেট এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

পিরোজপুর সদর উপজেলায় একটি প্রাইভেট কার খালে পড়ে দুই পরিবারের মোট আট সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের নুরানি গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও চারটি শিশু রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের খোলআচার পাড়ার মোতালেব (৪৫), তাঁর স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে সোয়াইব (২) এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের শাওন মৃধা (৩২), তাঁর স্ত্রী আমেনা বেগম (২৯), ছেলে শাহাদাৎ (১০) ও আবদুল্লাহ (৩)।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গতকাল রাত তিনটার দিকে গাড়িটির ভেতর থেকে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরে তাঁদের মরদেহ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।

শাওন মৃধার স্বজন মুরাদ বলেন, প্রাইভেট কারটি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে পিরোজপুরের নাজিরপুর হয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মোতালেব নামের একজনের সঙ্গে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে প্রাথমিকভাবে তাঁর পরিচয় জানা গেছে। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।




বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু

বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ঢালমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সোনিয়া আক্তার (৩২), তার মেয়ে সাবরিনা (৯) ও ছেলে সালমান। তার বয়স সাড়ে চার বছর। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবজাল হোসেন।
ওসি জানান, খেলার সময় শিশু সালমান বাড়ির পাশেই একটি লেবু গাছে হাত দেয়। ওই লেবু গাছের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। সালমান হাত দেয়ার পর তাকে উদ্ধার করতে যায় বোন সাবরিনা। এসময় সেও বিদ্যুতায়িত হয়। পরে দুই সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায় মা সোনিয়া আক্তারও।



গাজীপুরে বাংলাদেশ স্কাউটস এর উদ্যোগে তিন দিনব্যপী স্কিল ডেভেলপমেন্টে কোর্স শুরু

গাজীপুরে বাংলাদেশ স্কাউটস এর উদ্যোগে লিডার ট্রেনার ও সহকারী লিডার ট্রেনারদের জন্য ৩দিনব্যপী স্কিল ডেভেলপমেন্টে কোর্স শুরু হয়েছে।
জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মৌচাকে এ উপলক্ষে প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার(সংগঠন)ইউসুফ হারুন। বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার(এ্যাডাল্টস ইন স্কাউটিংভেল)ফেরদৌস আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ও বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার(জনসংযোগ ও মার্কেটিং)এম এম ফজলুল হক।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে ইউসুফ হারুন বলেন বাংলাদেশ স্কাউটস এখন ২৪ লাখ শিশু-কিশোর-যুবকদের বিশাল সংগঠন। এই বিশাল সংখ্যক সদস্যদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে দেশ গঠনে নিয়োজিত করতে হবে।
ওয়ার্কশপে সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত ৮০জন স্কাউট কর্মকর্তা যোগদান করেন।



কেরানীগঞ্জে কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর  মোঃ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কেরানীগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদের অফিসে এই অভিযোগ দায়ের করেন কোনাখোলা সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভারগন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,প্রতিদিন কোনা খোলা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটো রক্সা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত কাজে ঘোরাফেরা করেন। তার কাছে সিএনজির গ্যাস এবং ভাড়া চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে মারধর করেন এবং তার সিএনজিটিও ভাঙচুর করেন। এভাবে তিনি ৮থেকে ১০ জন ড্রাইভারকে মারধর করেছেন এবং একাধিক সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছেন। সিএনজি অটো রিক্সার ড্রাইভারগন  ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমানের  এসব কাজের প্রতিবাদ করলে তিনি তাদেরকে মামলার ভয় দেখান।
সিএনজি অটো রিক্সার ড্রাইভার মোঃ সেলিম সেলিম জানান, কোনাখোলা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আটি বাজার, আব্দুল্লাহপুর ও কদমতলী গোলচত্তর এলাকায় প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। এই সিএনজি অটো রিক্সা চালিয়ে তারা কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু প্রতিদিন এই সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান নানা অজুহাতে ২/৩টি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। ভাড়া বাবদ  কোন টাকা পয়সা দেন না এমনকি গাড়ির গ্যাস পর্যন্ত তিনি দেন না। প্রতিবাদ করলে তিনি মারধর করেন গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। গাড়ি নিয়ে তিনি এই অবস্থা করলে আমরা তাহলে কি করে খাব।
মোঃ শওকত আলী নামে অপর এক সিএনজি অটো রিক্সার ড্রাইভার জানান, সরকারি কাজে প্রতিদিন আমরা একটি করে সিএনজি তার অফিসে দিয়ে থাকি। এতে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু তিনি  ব্যক্তিগত কাজে আমাদের কাছ থেকে জোর করে সিএনজি অটো রিক্সা নিয়ে ভাড়া না দিয়ে সারাদিন খাটায়। আমরা তার এই নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে চাই।
এ ব্যাপারে কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ  ফজলুর রহমান জানান, আমি কোন ব্যক্তিগত কাজে সিএনজি অটো রিক্সা  নেইনি। শুধু সরকারি কাজের জন্যই তাদের কাছ থেকে রিকুজেশন করে সিএনজি অটোরিকশা নেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সিএনজি অটো রিক্সা ড্রাইভার দের করা অভিযোগ সঠিক নয়।



শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আইনি সহায়তা দিবে লিগ্যাল এইড: রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ

মাজহারুল ইসলাম চপল ব্যুরোচীফ: কুচকাওয়াজের মুহু মুহু শব্দ ও মনোমুগ্ধকর আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে জাতীয় আইন সহায়তা দিবস ২০২৪।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় রাজশাহী আদালত চত্বরে দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে নানা আয়োজনে পরিপূর্ণ ছিল। শুরুতে শান্তির প্রতীক পায়রা ও ফেস্টুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব শেখ মফিজুর রহমান। উদ্বোধন শেষে র‌্যালিতে অংশগ্রহন করেন তিনি। র‌্যালিটি জেলা ও দায়রা জজ চত্বর থেকে বের হয়ে নগরীর ভেঁড়িপাড়া (ডিআইজি রেঞ্জ কার্যালয়) মোড় হয়ে আবারও ফিরে আসে আদালত চত্বরে।
র‌্যালি শেষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও লিগ্যাল এইডের মেলা পরিদর্শন করেন এবং ফিতা কেটে স্টলগুলোর উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় স্টলের আয়োজকরা আইনি সহায়তা নিয়ে নানা উদ্যোগ এবং কিভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে আইনি সহায়তা পৌছানো যায় তা তুলে ধরেন।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায়, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম ও জেলা যুগ্ন জজ লুনা ফেরদৌস এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার, বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোঃ জাকির হোসেন, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ও স্মার্ট বক্তব্য দিয়ে সকলকে আকর্ষিত করেন বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ জনাব আল আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামান। এমময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দ, প্যানেল আইনজীবী, লিগ্যাল এইড ক্লায়েন্ট, লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যবৃন্দ, কোর্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ, বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্লাস্ট, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্র্যাক, সচেতন, এইড কুমিল্লা, এসিডি, ওলার, পরিবর্তন, দিনের আলো হিজড়া সংঘ, অনগ্রসর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা এবং অন্যান্য সকল স্তরের জনসাধারণ। আলোচনা সভায় দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সেরা প্যানেল আইনজীবীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে লিগ্যাল এইড দিবসের তাৎপর্য নিয়ে মুক্ত আলোচনা ও আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ আরিফুল ইসলাম ।
সভাপতির সমাপণী বক্তব্যে জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান সম্মানিত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব শেখ মফিজুর রহমান সরকারি আইনগত সহায়তা বিষয়ে বর্তমান সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “স্মাট লিগ্যাল এইড স্মাট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”। আর্থিক অসচ্ছলতা ও অন্যান্য কারণে যাঁরা বিচার পেতে অসমর্থ বা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন, তাঁদের জন্য বিচারের পথ সুগম করতেই আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ প্রণীত হয়েছিল। এটি একটি যুগান্তকারী ও জনবান্ধব আইন। দরিদ্র জনগণের প্রতি বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সরকার সকল জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করেছেন। দরিদ্র জনগণের আইন সহায়তা প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে সরকার লিগ্যাল এইড অফিসার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, বেঞ্চ সহকারী ও পিয়নের পদ সৃষ্টি করেছেন। লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে সকলের অংশগ্রহণ জরুরী বলে জানান এবং দরিদ্র মানুষের আইনগত অধিকার প্রাপ্তিতে সকলকে সাহায্য করার আহবান জানান। চলমান মামলার জট নিরসনে আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (এডিআর) এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিস হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত ১৪,৯৮২ টি মামলায় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে- ১১,৬৫১ টি, মামলা চলমান আছে- ৩,৩৩১ টি। ২০১৭ সাল হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত ৩,০৩৫ জন আইনি পরামর্শ গ্রহণ করেছে। ২০১৬ সাল হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য (এডিআর) আবেদন করেছেন- ১৬৪৮ জন। যার মধ্যে নিস্পত্তি হয়েছে- ১৫২৯ টি, চলমান রয়েছে- ১১৯ টি এবং এডিআর এর মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়েছে- ১,৮৪,০৩,৮১১/- (এক কোটি চুরাশি লক্ষ তিন হাজার আটশত এগার) টাকা। আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি খুব দ্রুত রাজশাহী শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে লিগ্যাল এইড আইনি সহায়তা পৌছে যাবে।
পরে ২০২৩ সালের সেরা প্যানেল আইনজীবীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এ বছর সেরা প্যানেল আইনজীবী নির্বাচিত হয়েছেন এড. নীলিমা বিশ্বাস। সর্বশেষ তিনি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 




মলাইনার নিয়ে ‘সতর্কবার্তা’, বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ড্রিমলাইনার-৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ নিয়ে নির্মাতা কোম্পানিটির সাবেক প্রকৌশলীর উত্থাপিত কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে দ্রুত কথা বলতে বিমান বাংলাদেশকে নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়।

তবে বিমান বাংলাদেশের বহরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেন ফারুক খান।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলী স্যাম সালেহপৌর ‘৭৮৭ ড্রিমলাইনার’ ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে সেগুলো না উড়িয়ে আবার নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য গ্রাউন্ডেড করার পরামর্শ দেন। তার ব্ক্তব্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজে খবর প্রকাশ হলে তা বিশ্বজুড়ে আলোচনা তৈরি করে।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বোয়িং বলেছে, তারা নতুন করে ড্রিমলাইন পরীক্ষা করে উড়োজাহাজ ভেঙ্গে পড়ার মতো কোনো ক্রুটি পাননি।

বিমান বাংলাদেশের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ছয়টি প্রশস্ত বডির ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ রয়েছে।

শনিবার এ বিষয়ে বিমানের এমডিকে দেওয়া বিমানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করা হয়।

এতে বলা হয়, “আলাপকালে মন্ত্রী বলেছেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ তৈরিকারি কোম্পানি বোয়িং এর সাথে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ সরকার এবং বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়।’

”এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কারিগরি ও মেইনটেনেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে বোয়িং এর সাথে বিমানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বিদ্যমান। দ্রুতই এ বিষয়ে অধিকতর তথ্য জেনে মন্ত্রীকে অবহিত করবেন।”

বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রসঙ্গে ওই প্রকৌশলীর সতর্কবার্তা বিশ্বজেুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হয়।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্যা টেলিগ্রাফ বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলী স্যাম সালেপোরের বরাতে বলেছে, উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিযোগিতা উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে মারাত্মক কিছু সমস্যা তৈরি করেছে, যেটি হচ্ছে ফিউজিল্যাজের সেকশনগুলোর মধ্যে ছোট ছোট ফাঁক রয়ে গেছে। বিশ্বব্যপী চলাচলকারী এক হাজারের বেশি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজকে নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য উড্ডয়ন থেকে বিরত রাখার পরামর্শও দেন ওই প্রকৌশলী।

মাঝ আকাশে বিমানের ড্রিমলাইনারের উইন্ডশিল্ডে ফাটল

মার্কিন সিনেটে গত ১৭ এপ্রিল এক শুনানিতে প্রকৌশলী সালেপোর তার বিস্তারিত শঙ্কার কথা তুলে ধরেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ফিউজিল্যাজের সেকশনগুলোতে ছোট ফাঁকগুলো বন্ধে পাতলা ধাতব পাত (শিম) লাগানোর আগে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে বোয়িং। ৭৮৭ উড়োজাহাজগুলো যে মিশ্র উপাদান (কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল) দিয়ে তৈরি, সেগুলো এ ধরনের বল প্রয়োগের ফলে দুর্বল হয়ে যায় এবং এগুলো দেখে শনাক্ত করা যায় না।

তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে বোয়িং বলেছে, ৭৮৭ উড়োজাহাজের কাঠামোগত ক্রুটি নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। বোয়িংয়ের একজন নির্বাহী বলেছেন, এর প্রত্যাশিত আয়ুষ্কালের বেশি সময় ধরে মডেলটি এক লাখ ৬৫ হাজার ফ্লাইট সাইকেল স্ট্রেস টে

কথা বলার নির্দেশ মন্ত্রীর

বিমানের বহরে থাকা ছয়টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার হল-আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাংচিল, রাজহংস, সোনরতরী ও অচিনপাখি। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নতুন কেনা এসব উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হয়। এগুলো দিয়ে ইউরোপ ও কানাডায় দূরপাল্লার ফ্লাইটগুলো চালাচ্ছে বিমান।

ফোর্বসের ২০২৩ সালের ১৯ মার্চের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী এক হাজার ছয়শটির বেশি ড্রিমলাইনার সরবরাহ অথবা তৈরির প্রক্রিয়ায় (অন অর্ডার) রয়েছে। একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজের মূল্য ২৩৯ মিলিয়ন ডলার।

ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে শঙ্কা তৈরির পর বিমানমন্ত্রী ফারুক খান অসুস্থ অবস্থাতেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এ নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলার নির্দেশ দেন।

বিমানের একজন কর্মকর্তা বলছেন, বহরে থাকা ড্রিমলাইনারগুলোতে এখন পর্যন্ত জটিল কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা যায়নি। তবে গত ২০ জানুয়ারি সৌদি আরবের পথে রওনা হওয়ার পর একটি ড্রিমলাইনারের ককপিটের কাচে (উইন্ডশিল্ড) ফাটল দেখা দেওয়ায় ২ ঘণ্টা বাদে ২৯৭ আরোহী নিয়ে তা শাহজালাল বিমানবন্দরে ফিরে আসে।

বিষয়টি নিয়ে পরদিন বিমানের প্রকৌশল ও উপাদান ব্যবস্থাপনা পরিদপ্তরের পরিচালক এয়ার কমোডর মোয়াজ্জেম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “এয়ারক্রাফটটি ওড়ার পর আকাশে উইনশিল্ডে ক্র্যাক দেখা দেয়। চার বছরের মাথায় সাধারণত এমন ঘটনা হওয়ার কথা না। আমরা বোয়িংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, এটা ম্যানুফাকচারিং ফল্ট, না অন্য কোনো কারণে হয়েছে- সেটাও আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা চলছে।”

উইন্ডশিল্ডে ফাটল কি এভিয়েশন খাতের সাধারণ ঘটনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “খুব যে কমন তা বলব না। এর আগেও আমাদের একটি বোয়িং ৭৮৭ এর উইন্ডশিল্ডে ক্র্যাক হয়েছিল। আমরা বোয়িংয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।”