শীতে সুস্থ রাখতে উপকারী যেসব ভেষজ চা

শীতে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এই সময় সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন তিন ধরনের ভেষজ চা। এসব চা শরীর ডিটক্স করতে, চুল ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে উপকারী।

যেভাবে বানাবেন ভেষজ চা

১. একটি পাত্রে পানি নিন। তাতে আদার টুকরো ও জোয়ান দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এটি গরম করে নিন। এর সঙ্গে চা পাতা মেশান। এবার ছেঁকে নিয়ে তাতে ভালোভাবে লেবুর রস মেশান। এই চা গরম গরম পান করলে উপকার মিলবে।

২. দারুচিনি, লবঙ্গ ও গ্রিন টি দিয়ে বানিয়ে নিন চা। একটি পাত্রে পানি নিন। এবার তা ফুটতে শুরু করলে দারুচিনি ও লবঙ্গ দিন। ফুটে গেলে তা ছেঁকে নামিয়ে নিন। এবার তাতে গ্রিন টি-র ব্যাগ ডুবিয়ে দিন। প্রতিদিন এই চা খেলে মিলবে উপকার।

৩. আমলকী ও আদার চা বানাতে পারেন। এর জন্য আদার গুঁড়া (১ চা চামচ), আমলকীর গুঁড়া (১ চা চামচ), লবণ পরিমাণ মতো, মধু (১ চা চামচ) লাগবে। পাত্রে পানি নিন। পানি গরম হলে তাতে আদা ও আমলকীর গুঁড়া দিন। সামান্য লবণ দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার তা নামিয়ে মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন খেতে পারেন এই চা।




শীতে আলসেমি ছাড়ছে না? শক্তি বাড়াতে খাবেন যেসব খাবার

শীতে কমবেশি সবারই বিছানা ছাড়তে আলসেমি লাগে। কারও কারও গোসল করা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজেও আলসেমিতে পেয়ে বসে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতে পারে কিছু খাবার।

কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে শীতকালে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। এসব খাবার পুরো শীতকালে শক্তি বাড়াতে কাজ করে। যেমন-

বাদাম : শীতে বাদাম খুব ভালো বিকল্প হতে পারে। ক্ষুধার্ত থাকলে এবং শক্তির প্রয়োজন হলে বাদাম খেতে পারেন। বাদাম, আখরোট এবং পেস্তা সাধারণত সব বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায়। এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

খেজুর মিল্কশেক : খেজুরে থাকা ভিটামিন, প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

মৌসুমি ফল : শীতকালে সবুজ শাকসবজির পাশাপাশি এমন অনেক ফলও পাওয়া যায় যেগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মধ্যে কমলা, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, আঙুর উল্লেখযোগ্য।

ডিম : শীতকালে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উপকারী হতে পারে। ডিমে প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও থাকে। এসব উপাদান তাৎক্ষণিক শক্তি দিতে পারে।

মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। ১০০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে ৯০ ক্যালোরি এবং ২৪ গ্রাম স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।

মেথি : শীতে মেথি খাওয়া খুবই উপকারী। মেথি বীজ, ময়দা, বাদাম এবং কিছু মসলা দিয়ে মেথি বেক তৈরি করতে পারেন। এই মিশ্রণ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।




দেহের টক্সিন দূর করবে ৩ ‘ডিটক্স’

সৌন্দর্য ধরে রাখতে ও ওজন কমাতে ব্যায়াম ও পুষ্টিকর ডায়েটের তুলনা নেই। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য শরীর টক্সিনমুক্ত রাখতে হবে।

প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার হজমে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে দ্রুত চর্বি দূর করে। এছাড়া শরীর থেকে টক্সিন তথা বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। আসুন দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করার তিন উপায় জেনে নিন।

লেবু এবং আদা: লেবু এবং আদা দিয়ে তৈরি এই ডিটক্স ওয়াটার পান করতে হবে প্রতিদিন সকালে, খালি পেটে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস এবং ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা কুচি যোগ করুন। এরপর এই পানিটুকু পান করুন। নিয়ম করে ১-২ মাস পান করলে দারুণ ফলাফল পাবেন।

দারুচিনি: দারুচিনির স্বাদ ও সুবাস দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার যেমন সুস্বাদু, তেমনই উপকার। চর্বি ঝরাতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে তা কার্যকরী। বিশেষ করে মেদহীন পেট পেতে হলে দারুচিনির জুড়ি নেই।

এক লিটার পানিতে এক টেবিলচামচ দারুচিনি গুঁড়ো বা কয়েক টুকরো দারুচিনি দিয়ে রাখুন। যত বেশি সময় রাখবেন, তত ভালো উপকারিতা পাবেন। এর সাথে আপেলের টুকরো, মধু বা গ্রিন টি যোগ করতে পারেন। এই ডিটক্স ওয়াটার অবশ্য সকালে নয়, পান করতে হবে ঘুমানোর আগে।

শসা এবং পুদিনা: এই ডিটক্স ওয়াটার খুবই জনপ্রিয়। তা স্বাস্থ্যকর হবার পাশাপাশি খুবই সুস্বাদুও বটে। একটি পাত্রে পানির সাথে স্লাইস করে দিন একটি শসা এবং এক মুঠো পুদিনাপাতা। ২-৩ ঘণ্টা পর তা পান করুন। দিনে কয়েকবার করে পান করতে পারেন।




করোনায় মৃত্যু নেই: শনাক্ত আরও ১৯ জন

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কমার ধারা অব্যাহত আছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় এদিনে শনাক্তের হার দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে এ সময় নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮৮৩টি করোনা পরীক্ষাগারে মোট দুই হাজার ৫৩৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় মোট দুই হাজার ৫৩৬টি নমুনা। পরীক্ষায় আরও ১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৭ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা দশমিক ৭৫ ভাগ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৫ ভাগ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৪ ভাগ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ ভাগ।

২০১৯ এর ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীজুড়ে মহামারিতে রূপ নেয়। বাংলাদেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।




সকালে খালি পেটে পানি পান করার ৭ উপকারিতা

বলা হয়, পানির অপর নাম জীবন। আর এই কথাটিতেই বোঝা যায় যে, পানি আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই গঠিত হয় পানি দিয়ে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের স্বাভাবিক ও মসৃণ কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য।

আমাদের সুস্থতার জন্য নিয়মিত অন্তত দুই লিটার পানি পান করা উচিত। এটি আমাদের শরীরে অনেকটা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে পানির গুরুত্ব অতুলনীয়।

জেনে অবাক হবেন, পানির সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় সকালে খালি পেটে পান করলে। আসুন জেনে নিই সকালে খালি পেটে পানি পান করলে পাওয়া যাবে যে সাত স্বাস্থ্য উপকারিতা—

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে পানি প্রয়োজনীয়। আর নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমের অনেক উপকার করে। এর ফলে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

২. বিপাক ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে
সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি বিপাকীয় হারকে প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে থাকে। এর ফলে খাবার দ্রুত হজমে এবং দীর্ঘমেয়াদে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

৩. শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে
সকালে খালি পেটে পানি পানের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। কারণ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল আকারে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর সকালে খালি পেটে পানি পান করলে তা আরও ভালোভাবে হয়ে থাকে।

৪. অন্ত্র পরিষ্কার করতে সহায়তা করে
খালি পেটে পানি পান করলে সেটি আমাদের পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে আমরা মলত্যাগের তাগিদ অনুভব করে খাকি। এর ফলে সকালে খালি পেটে পানি পান করলে তা আমাদের অন্ত্র পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

৫. ওজন কমাতে উপকারী
বেশি বেশি পানি পান করলে সেটি আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এতে কোনো ক্যালোরি নেই, আর ঘন ঘন পানি পান করলে তা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। আর সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি আমাদের বিপাককে দ্রুত করতে সাহায্য করে। এর ফলে ক্যালোরিও দ্রুত বার্ন হয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

৬. কোলন পরিষ্কারে সহায়তা করে
সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি জমে থাকা স্লাজ থেকে আরও ভালোভাবে মুক্তি দিতে এবং পুষ্টির দ্রুত শোষণকে সক্ষম করতে সহায়তা করে। এর ফলে কোলন স্বাস্থ্য ভালো হয়।

৭. মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করে
মাইগ্রেন বা ঘন ঘন মাথাব্যথা সমস্যা প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে শরীরে তরলের অভাব বা ডিহাইড্রেশন। আর সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি প্রাকৃতিকভাবেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।




ফ্রিজে যেসব খাবার রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়

মাছ-মাংস, শাক-সবজি প্রাকৃতিক পরিবেশ রাখলে দ্রুত পচন ধরে। তাই এসব খাবার ফ্রিজে রেখে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়। বরং কক্ষ তাপমাত্রায়ই এগুলো ভালো থাকে। এমনই কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানুন।

কলা

ফ্রিজে রাখার চেয়ে ঘরের তাপমাত্রায় কলা দীর্ঘদিন ভালো থাকে। কারণ ঘরের তাপমাত্রায় কলা পাকে ভালো। পচন ধরে দেরিতে।

কফি ফ্রিজে রাখলে তার মধ্যে আপনি অন্যান্য দ্রব্যের গন্ধ পেতে পারেন। তাই কফি সূর্যালোক থেকে দূরে একটি সিলড কন্টেনারে রাখা ভালো।

টমেটো

টমেটো ফ্রিজে রাখলে ঠান্ডায় এর স্বাদ নষ্ট হয়। পচনও ধরে তাড়াতাড়ি।

মধু

মধু কখনও ফ্রিজে রাখবেন না। এয়ারটাইট কন্টেনারে বাইরে রাখুন।

পাঁউরুটি

পাঁউরুটিও ফ্রিজের থেকে ঘরের তাপমাত্রায় ভালো থাকে।

তেল

নারকেল, অলিভসহ বিভিন্ন রান্নার তেল ফ্রিজে রাখতে তাড়াতাড়ি তাতে ছত্রাক জন্মায়। তাই বাইরে রাখুন।

পেঁয়াজ

কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে তার গন্ধ সবেতে হয়। তাই পেঁয়াজ খোসাসহ বাইরে রাখুন।

আলু

আদা

আলুর মত আদাও বাইরে রাখুন। তাতেই ভালো থাকবে।




করোনা : বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩শ’র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ লাখের নিচে।

আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩২৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৫৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৭ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৮ জনে।




বিশ্ব করোনা: মৃত্যু – শনাক্ত বেড়েছে

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে এক হাজার ১ হাজার ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড়শো।

এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৭৯ জনে। এদিকে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৫ হাজার ৭২৫ জন। আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫৫ জনে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬১ জন। প্রাণহানি হয়েছে ২১৪ জনের। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার ১৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৫২ হাজার ৪৩ জন মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ১৮৬ জন। মারা গেছেন ২৬৬ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণহানি হয়েছে ১১ লাখ ১০ হাজার ৫৬১ জনের।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।




ডায়াবেটিস থাকলে কাজ করুন দাঁড়িয়ে!

ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণে তাই প্রয়োজন নিয়ম মেনে জীবন-যাপন।

হিসাব করে ক্যালোরি গ্রহণ ও খরচ। এক সমীক্ষা বলছে, যারা সারা দিন বসে কাজ করেন, তাদের শরীরের ক্যালোরি বেশি জমা থাকে। অন্যদিকে যারা অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের ১০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেহের শক্তি বাড়ানোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করা উচিত। অতিরিক্ত বসে থাকায় ডায়াবেটিস, ব্যাক পেইনসহ বাড়ছে নানা রোগের ঝুঁকি।

খুব সহজেই টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন স্পেইনের গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্রান্সিস্কো জে আমারো গ্যাহেতে।

তিনি বলেন, এনার্জি ফ্যাটে রূপান্তরিত হওয়া আটকাতে অফিসেও বেশ অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করুন।




সুস্থতার জন্য কত ঘণ্টা ঘুমাবেন ?

অতিরিক্ত ঘুম শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমন পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শরীরের পাশাপাশি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।

চিকিৎসকদের মতে, শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’ একটি গবেষণায় উল্লেখ করেছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছরের মানুষদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। কিন্তু যাদের ৯ ঘণ্টারও বেশি ঘুমের অভ্যাস রয়েছে, তাদের রোগব্যধি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।

অতিরিক্ত ঘুমের কারণে যেসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়-

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে কোনো ব্যক্তি কীভাবে জীবনযাপন করছেন তার ওপর। তাই শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের বিকল্প নেই।

মানসিক অবসাদ
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন উৎফুল্ল থাকে। অতিরিক্ত ঘুমালে যেমন আলসেমি লাগে, কোনো কাজেও তেমন উৎসাহ খুঁজে পাওয়া যায় না।

প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া
দীর্ঘক্ষণ ঘুমালে শারীরিক সক্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়। যার ফলে নারী-পুরুষ উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে, প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়।

স্থূলতা
অতিরিক্ত ঘুমালে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। পাশাপাশি এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগও বেড়ে যায়।

হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা
শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। তাই শরীরচর্চার প্রয়োজন আছে।