বিশ্ব করোনা : আক্রান্ত সাড়ে ৩ লাখ, মৃত্যু ১ হাজারের বেশি

বিশ্বে করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২১৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১২৬ জনের। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮০ জন। করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল জার্মানি। দেশটিতে এ দিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৩১ জন এবং করোনা জনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের।

জার্মানি ব্যতীত আরও যেসব দেশে শুক্রবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— যুক্তরাষ্ট্র (মৃত্যু ১৮০ জন, নতুন আক্রান্ত ১৮ হাজার ৮৫২ জন), রাশিয়া (মৃত্যু ৯৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৯ হাজার ৭৬১ জন), ইতালি (মৃত্যু ৯৮ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৬ হাজার ১১৪ জন), ফ্রান্স  (মৃত্যু ৮১ জন, নতুন আক্রান্ত ৪৯ হাজার ৮৭ জন),  তাইওয়ান (মৃত্যু ৭৮ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৭ হাজার ২৬৫ জন), জাপান (মৃত্যু  ৬৮ জন,নতুন আক্রান্ত ৩১ হাজার ৫৯৩ জন)।বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৪ জন। এ রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ১৩৯ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৩৮ হাজার ৬১৫ জন।




বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ ছাড়াল ৬৩ কোটি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে একই সময়ে কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাত শতাধিক মানুষ। একইসময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবাল সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে তিন শর মতো।

এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৫১৫ জনে।একই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ জনের শরীরে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭৮ হাজার। নতুনদের নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার ৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটে তাইওয়ানে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৮৪৭ জন। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭২ লাখ ১২ হাজার ৭৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৯৬১ জন মারা গেছেন।

দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষ তালিকায় রয়েছে ফ্রান্স। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ১১২ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮০ জনে। এছাড়া নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৪২১ জন। তাদের নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৮ হাজার ২৮ জন।




পেঁপেঁ খাওয়া বিপজ্জনক যাদের জন্য

দেশি বিভিন্ন ফলের উপকারিতা অনেক। এসব ফলকে পুষ্টির ভাণ্ডারও বলা হয়। পরিচিত ফলগুলোর মধ্যে একটি হলো পেঁপে।

এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর। পেঁপেতে থাকে ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ। ফলটি প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেঁপে খেলে দূরে থাকে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগের মতো রোগ।

এদিকে উপকারী ফল পেঁপে কারও কারও জন্য ক্ষতিকর। না জেনে খেলে হয়তো উপকারের বদলে ক্ষতিই হবে বেশি। তাই পেঁপে খাওয়ার আগে জেনে রাখা জরুরি, কাদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর। চলুন তবে জেনে নিন-

শিশুর জন্য ক্ষতিকর:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর বয়স যদি এক বছরের কম হয় তাহলে তাকে পেঁপে খেতে দেওয়া যাবে না। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই বয়সী শিশু সাধারণত কম পানি খায়। তাই পর্যাপ্ত পানি ছাড়া উচ্চ ফাইবারযুক্ত পেঁপে খেতে দিলে শিশুর মলত্যাগে সমস্যা হতে পারে। শিশু ভুগতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়। তাই এই বয়সী শিশুকে রান্না করা বা কাঁচা পেঁপে কোনোটাই খেতে দেওয়া উচিত নয়।

গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে:
পুষ্টিকর পেঁপে গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর বীজ, শেকড় ও পাতা ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে। অপরদিকে কাঁচা পেঁপে জরায়ুর সংকোচনের কারণ হতে পারে। পেঁপেতে থাকা পেপাইন শরীরের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্থ করে, যা ভ্রূণের বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ফল শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা গর্ভবতী নারীর জন্য উপকারী নয়।

শ্বাসকষ্ট থাকলে:
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলবেন। কারণ এই ফলের মধ্যে অ্যালার্জেন থাকে। পেঁপে খাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। হাঁপানির রোগীদের ক্ষেত্রে এই ফল বেশি খাওয়া চলবে না। আপনার যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তবে পেঁপে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে:
কোষ্ঠকাঠিন্য এখন পরিচিত একটি সমস্যা। খাদ্যাভ্যাসের ভুলের কারণে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেকে মনে করেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পেঁপে খাওয়া উপকারী। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফলে থাকা ফাইবার হজমে ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে বেশি খেলে পেট ফোলা, পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। পেঁপের বীজ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে থাকা টক্সিক এনজাইম কারপাইন মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি করে। ফলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

স্বাস্থ্য পরামর্শ




করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৯

করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪০২ জনে। এ সময় আরও ৩৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮৮২টি করোনা পরীক্ষাগারে মোট পাঁচ হাজার ৬৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় মোট পাঁচ হাজার ৬২৫টি নমুনা। পরীক্ষায় আরও ৩৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬ দশমিক ৯২ ভাগ।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ ভাগ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৫ ভাগ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ ভাগ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হন ৬৪৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫২ জনে।




১ ডিমে রয়েছে ১২ উপকারিতা

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি একটি খাদ্য ডিম। অনেকে অবশ্য ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা হৃদরোগের আশঙ্কায় রোজ ডিম খেতে ভয় পান। পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রতিদিন সকালের নাশতায় একটি করে ডিম খেলে নানা শারীরিক সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে কীভাবে ডিম খাচ্ছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যালোরির হিসাব করে অনেকে ডিমের কুসুম খান না। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তি দৈনিক দুটি ডিম কুসুমসহ খেতে পারেন। এর বেশি খেলে সাদা অংশ খেতে হবে।

ডিম যত ভাজা হয় তার পুষ্টি তত নষ্ট হয়ে যায়। সবচে ভালো হয় যদি সেদ্ধ করে ডিম খান। পোচ বা হাফ বয়েল খেতে পারেন। সপ্তাহে একদিন ডিমের অমলেট খেতে পারেন।

ডিমের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

শক্তি মেলে 

ডিম খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। এতে থাকা ভিটামিন বি থেকেই মূলত এই শক্তি মেলে। প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন ক্লান্তিহীন থাকবেন।

ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায় 

ডিমে থাকা ভিটামিন ই কোষ ও ত্বকে থাকা ফ্রি র‍্যাডিকেল ধ্বংস করে। তাই ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে। নিয়মিত ডিম খেলে ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

পেশী মজবুত করে 

অনেকেই পেশী ব্যথায় ভোগেন। ডিমে থাকা ভিটামিন ডি পেশী মজবুত করে। নিয়মিত যারা ব্যায়াম করেন তাদেরকে বিশেষজ্ঞরা ডিম খেতে বলেন।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ। এটি দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। এছাড়া ডিমের কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স্ক ব্যক্তিদের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় 

সমীক্ষা অনুযায়ী, ডিম খেলে হার্টে রক্ত জমাট বাঁধে না। তাই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি এটি সারা শরীরেই রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে 

অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা আছে, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায়। এটি একদমই ভুল। বরং ডিম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডিমে থাকা ওমেগা ৩ এই কাজটি করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ডিম এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ১০ শতাংশ বাড়ায়।

লিভার ও স্নায়ু সুরক্ষিত রাখে 

দেহের সার্বিক সুস্থতায় কোলাইন খুবই প্রয়োজন। কোলাইনের ঘাটতি হলে লিভারের নানা সমস্যা বা নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার হয়। একটি ডিমে প্রায় ৩০০-৩৫০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে। তাই ডিম খেলে লিভার ও স্নায়ু ভালো থাকে।

প্রোটিনের ঘাটতি মেটায় 

প্রোটিনের মূল উৎস হলো অ্যামিনো অ্যাসিড। প্রোটিন তৈরিতে প্রায় ২১ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড লাগে। এর ৯টি শরীরে তৈরি হয় না। তাই বাইরে থেকে প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়। ডিমে এই অ্যামাইনো অ্যাসিড মেলে।

নখ মজবুত করে

অনেকেই নখ ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। নখ মজবুত করে সালফার। ডিম হলো সালফারের উৎস। নখকে সুন্দর ও সাদা রাখতেও সাহায্য করে এটি।

অ্যানিমিয়া রোধ করে 

নারী ও শিশুরা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় বেশি ভোগে। শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন থাকলে অ্যানিমিয়া হয় না। ডিমে রয়েছে আয়রন। তাই নিয়মিত ডিম খেলে রক্তাল্পতার সমস্যার সমাধান হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিম দুর্দান্ত কার্যকরী। ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা জ্বরে ভুগলে রোজ ডিম খান। এতে থাকা জিংক দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে অনেকটাই শক্তিশালী করে।

হাড় ও দাঁতে মজবুত করে 

হাড় মজবুত করে ফসফরাস। এই উপাদানটি আবার দাঁতও মজবুত করতে সাহায্য করে। ডিমে ফসফরাস রয়েছে। তাই হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে ডিম খান প্রতিদিন।

এছাড়ায় ডিম ওজন কমাতে সাহায্য সাহায্য করে। রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতেও উপকারি ভূমিকা রাখে। তাই রোজ একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।




যে সময় শসা খেলে মারাত্মক ক্ষতি হবে

স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি শসা। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ। সেইসঙ্গে পানি পরিমাণও বেশি যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।  অনেকেই ভুল সময়ে শসা খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদদের মতে, ভুল সময়ে এটি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, শসা খাওয়ার ভুল সময় কোনটি?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে উপকারি হলেও রাতের বেলা শসা খাওয়া একদম উচিত নয়। এতে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঘুমে প্রভাব

শসা ঘুম নাশের কারণ হতে পারে। রাতের বেলায় শসা খেলে পেট ভারী হয়ে উঠে। ফলে শুয়ে পড়লেও ঘুম আসে না। অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। হজমে সমস্যার কারণে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।

হজমে প্রভাবঃ

শসাতে রয়েছে Cucurbitacin নামক উপাদান যা হজমশক্তি শক্তিশালী হলেই কেবল হজম হতে পারে। নাহয় হজমে সমস্যা দেখা দেয়। রাতে শসা খেলে হজম হাওয়ার সুযোগ থাকে না। কারণ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর সবাই ঘুমিয়ে পড়েন।

রাতে শসা খেলে পেট ভারী হতে শুরু করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রাতে শসা খাবেন না।

এসব কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিনের বেলায় শসা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। শসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ৯৫ শতাংশ পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্যানসার প্রতিরোধ এবং মজবুত হাড় গঠনেও সাহায্য করে




কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা সমাচার

কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ও সেবার মান নিয়ে প্রশংসনীয় প্রতিবেদন দেখেছি করোনাকালে। সেবা ও সেবার মানদন্ডে সু সেবার স্বাক্ষর রেখেছে কর্তাব্যক্তিরা যে যার মত। সেবা সু সেবা ভালোবাসা মানবতার স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিরা ছিলো পুলকিত। কর্তাব্যাক্তিদের এমন অবদানের প্রতিদানে ইচ্ছা পোষন করেছি যে পুষ্পমাল্যে বরন করবো। সময় অসময়ে হয়ে উঠেনি।

সময়ের পরিক্রমায় ডাঃ আকিলের বদলি সর্বশেষ ডাঃ রেজাউল করিম রাজিবের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবার ভরসায় আশান্বিত সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ অশ্রু কাতর মানুষ গন বদলি ঠেকাতে ভালোবাসায় মানববন্ধন করেছে কমলনগরে। যা কমলনগরে সেবার জগতে ইতিহাস। দুজনের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবায় অপূরনীয় ক্ষতি। যা গত ২/১০/২২ তারিখে সরজমিনে প্রত্যক্ষ করেছি। লজ্জায় আবৃত হয়েছি বারবার। সিদান্তহীনতায় পায়চারি করেছি বারংবার। বাচ্চার বিকেলে শ্বাসকষ্ট সন্ধ্যায় হাজির হাট বাজারে চিকিৎসা ব্যবস্হা। রাতে সমস্যা বেড়ে অধিক বুমি। সারারাত দুঃচিন্তা। সকালে সমস্যা প্রতিকারে কমলনগর স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে গমন। সকাল তখন ৭টা। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত আমাদের কমলনগরের সন্তান ডা. দাউদ সিদ্দিকী। জরুরী বিভাগে ছিলেন একমাএ ডা. দাউদ আর এক মুরুব্বী। গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যাক্তিরা হাওয়া।

ডা. দাউদ সিদ্দিকী সু সেবায় কমলনগরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে বিখ্যাত। তার রোগী ভুরি ভুরি। বাচ্চা দেখলেন ভর্তি ব্যবস্হা করলেন। ব্যবস্থাপত্রে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর সাইন নাই বলে চিকিৎসা প্রদানে অনিহা প্রকাশ করলেন কর্তব্যরত নার্সগন। ফলে বিপত্তি। কে শুনে কার কথা। শুরু হয়রানি এখন কাজ হলো সিঁড়ি বেয়ে উঠা আর নামার কসরত। দুইবার মিস গাইড। তৃতীয় বার সাক্ষাতে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর শরনাপন্ন হয়ে সমস্যার প্রতিকার চেয়েছি। তিনি আমাকে আবার ও উপরে পাঠালেন। সমস্যার সমাধান হয়নি। হাসপাতালে স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহের ছিলেন না। তার বিপরিতে দায়িত্ব সম্পাদনে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি দায়িত্ব পালন না করে ঘুমাতে গেলেন। ডা. দাউদ বাদে বাকী দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা রুটিন সময়ে অনুপস্থিত। তারা কর্মক্ষেএে প্রবেশ করেন দশটার পর।ফলে চিকিৎসা পেতে হয়েছে দশটার পর। ভর্তি করেছি ৭.৩০ মিনিটে। ডাঃ আসলেন ব্যবস্হা পএে সাইন করলেন তারপর নার্সগন দায়িত্ব পালন করলেন। মাঝখানে ৩/৪ ঘন্টা সেবা বিরতি ছিলো।
ফলে ডায়রিয়া রোগীর কান্নায় আকাশ ভারী কে কার কথা শুনে। স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহেরের নাম্বারে কল করলে ও রিসিভ হয়নি।

ফলে সমস্যা সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি। ডা. দাউদ সিদ্দিকীর ব্যবস্থাপত্রেকমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা মিলে না। অথচ তিনিই জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। যারা কর্তাব্যাক্তি তারা হাওয়া। কার ইশারায় কেমনে চলে হাসপাতাল গভীর অনুসন্ধান করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর অন্তকোন্দল কিনা তাহা জানার চেষ্টা করেছি. কোন সুউত্তর মিলেনি। রোগী নিয়ে এই হচ্ছে সাপলুডু খেলা। রোগীরা সেবা বঞ্চিত। অপচিকিৎসা ও কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চোখে পড়ার মত। আয়া করে নার্সের কাজ।
ক্যানালা পিটিং স্যালাইন সঞ্চালনের কাজ করেন আয়া। কিন্তু তাহলে নার্সদের কাজ কি? এখানেই শেষ নয়। ওয়ার্ড বয় ও করেন নার্সদের কাজ। সকালে ডায়রিয়াকৃত এক বাচ্চাকে ইনজেকশন পুশ করেন ওয়ার্ড বয়। ফলে ইনজেকশনের মার্তা বেশি দিয়ে বাচ্চার জীবন হুমকিতে পেলেন।
বাচ্চার চোখ কপালে উঠলো বাচ্চার মায়ের চিৎকারে ওয়ার্ড বয় হাওয়া। সকল সমস্যার প্রতিকারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। ডা. দাউদকে নিয়ে রাজিব নাটক হচ্ছে কিনা চোখ রাখুন। প্রতিবাদে সজাগ থাকুন। গত ২/১০/২২ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ৩/১০/২২ তারিখ দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন কমলনগর হাসপাতাল। অন্ধকারে নিমজ্জিত চিকিৎসা ব্যবস্হা। মমবাতির আলোয় চিকিৎসা চলছে। ভুক্তভোগীদের মমবাতিই ভরসা। কোন উপায় নেই। অন্ধকারে ভুল চিকিৎসা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আর ভুল চিকিৎসা হলেই কারো জীবন নাশ হবে। দায় কার?

বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ নামক ভেলকিবাজি বন্ধ করা সময়ের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিদ্যুৎ বিহীন ১৮ ঘন্টা চিন্তা করা যায়। তার ভেতর জেনেরেটর সেবা থেকে ও নেই। তৈল খরচের বরাদ্দ নেই অজুহাতে জেনেরেটর সেবা পরিবেশন বন্ধ। কতটুকু যুক্তি কথা বোধগম্য নয়। চিকিৎসা সেবা মৌলিক সেবার একটি। আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সেবা হোক জনকল্যাণকর। মানুষ মানবতার জয় হোক। কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্হাপনা দূর হয়ে বিবেকবোধের দর্শনে মানুষ মানবতা হোক সেবার মাধ্যম।

লেখক: শিব্বির দেওয়ান




দাঁতের ব্যথা কমানোর সহজ উপায়

সাধারণ একটি স্বাস্থ্যসমস্যা দাঁতের ব্যথা। ছোট মনে হলেও এটি বেশ গুরুতর। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারাই একমাত্র বোঝেন এটি কতোটা ভয়ানক। সাধারণ ভাষায় একে মোলার বা মূলের ব্যথাও বলা হয়।

এই ব্যথা তীব্র হলে মুখ ফুলেও যেতে পারে।  ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণের কারণে দাঁতে ব্যথা হতে পারে। আমাদের দাঁতের ভেতর সজ্জা থাকে। যা স্নায়ু টিস্যু ও রক্তনালীতে ভরা থাকে। সজ্জাসহ এই স্নায়ুগুলি শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। এই স্নায়ুগুলি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হলে তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানুন-

বেকিং সোডার পেস্ট

দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এই উপাদানটি বেশ উপকারি। আপনার নিয়মিত টুথপেস্টের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত মাজুন। কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

ব্যথার স্থানে বরফ 

এনসিবিআই এর রিপোর্ট অনুযায়ী, যেকোনো প্রদাহ নিরাময়ে কাজ করে বরফ। দাঁতে ব্যথা হলে বরফের প্যাক দিয়ে ঠান্ডা স্যাঁক দিন। কমপক্ষে ১৫ মিনিট কাজটি করুন।

টি ব্যাগ

দাঁতের ব্যথার কারণে যে ব্যথা সৃষ্টি হয় তা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরনের টি ব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। চায়ের উষ্ণতা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া টি ব্যাগ সরাসরি ব্যথা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চায়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

লবঙ্গও উপকারি 

দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য লবঙ্গের ব্যবহার বেশ পুরনো। বেদনাদায়ক দাঁতের ঠিক ওপরে একটি গোটা লবঙ্গ রাখুন, আরাম পাবেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মসলাটির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে লবঙ্গ তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গরম পানি ও লবণ দিয়ে গারগল 

সমীক্ষা অনুযায়ী, লবণ প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। কুসুম গরম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গারগল বা কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথায় তাৎক্ষণিক উপশম হয়। চিকিৎসকরাও প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মুখে পানি নিয়ে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন। এরপর থুতু ফেলে দিন। দিনে ৪/৫বার প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।

দাঁতের ব্যথায় কষ্ট না পেয়ে এই পদ্ধতিগুলো কাজে লাগান, সুস্থ থাকুন।




একদিনে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

দেশে চলতি বছর একদিনে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬৩৫ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তির রেকর্ড। নতুনদের নিয়ে মশাবাহিত রোগটিতে মোট দুই হাজার ১৫৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ সময় নতুন করে আরও একজনের মৃত্য হয়েছে।

আজ শনিবার (১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত সারাদেশে ৬৩৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৫১৮ জন ঢাকায় এবং ১১৭ জন ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন।

তাদের নিয়ে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট দুই হাজার ১৫৮ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক হাজার ৬৫৮ জন। এছাড়া ৫০০ জন ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন।

 তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৬ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৪ হাজার ৫১৩ জন। চলতি বছর মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৬ জন।




বয়সের ছাপ কমাতে যে খাবার খাবেন

ময়েশ্চারাইজার, নাইট ক্রিম এবং সিরামের মতো অ্যান্টি এজিং প্রসাধনীর কথা আমরা সবাই জানি। তখন একটি শব্দ হয়ত বারবার দেখতে বা শুনতে পাবেন তা হলো কোলাজেন। কোলাজেন এবং ইলাস্টিন আপনার ত্বকে মসৃণ এবং দৃঢ় রাখে।   বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে কোলাজেন হারানো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এর ফলে তাবকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। তবে শুধু প্রসাধনীর ওপর নির্ভর না করে  খাবারের ওপরও নির্ভর করতে পারবেন।

কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার

স্যামন মাছ- স্যামন একটি সামুদ্রিক মাছ। এত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এই ফ্যাটি এসিড আপনার ত্বকে কোলাজেন ধরে রাখে। এই মাছ  প্রাণী থেকে প্রোটিন পাওয়া যায় এমন খাবার খেতে পারেন। যেমন

* মুরগি- মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন থাকে বলে বলা হয়।

* ডিম-  ডিমের সাদা অংশে পাওয়া যায় প্রচুর প্রোলিন এবং কিছু পরিমাণে গ্লাইসিন।

কোলাজেন

কোলাজেন একটি প্রোটিন যা আমাদের শরীর তৈরি করে এবং আমাদের ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিষেশজ্ঞদের মতে আমরা যে খাবার খাই তা থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড একত্রিত হয়ে কোলাজেন তৈরি হয়। গ্লাইসিন, প্রোলিন এবং হাইড্রক্সিপ্রোলিন হল কিছু নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড যা কোলাজেন ধরে রাখে। ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং কপার আমাদের দেহে কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে। প্রোটিন বা কোলাজেন বেশি আছে এমন অথবা ভিটামিন সি, জিঙ্ক, কপার আছে এমন খাবার খেতে হবে। এসব খাবার আমাদের শরীরকে কোলাজেন তৈরির জন্য সাহায্য করে।

গাজর

গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটামিন এ । বিটামিন এ কোলাজেন গঠনে এরং ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।

টমেটো

 টমেটো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। টমেটোতে লাইকোপিন থাকে যা ক্ষতিকারক ইউ ভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। টমেটো খেলে পিগমেন্টেশন এবং বলিরেখা কমে যায়। টমেটো কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে।

আমলকী

আমলকী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আমলকী শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ায়।

সবুজ শাক সবজি

গাঢ় সবুজ ও শাক-জাতীয় খাবার যোগ করুন।  প্রাথমিক কোলাজেন হিসেবে ক্লোরোফিল পরিচিত।

ভিটামিন সি 

বিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি বা টক ফল খেলেও কোলাজেন বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন সি দুটি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড লাইসিন এবং প্রোলিনকে সংযুক্ত করে কাজ করে।