ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাজ নয়; স্বাস্থ্য সচিব

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয় বলে জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি জানান, ঢাকায় প্রচুর মানুষ ডাব খেয়ে থাকে, এগুলো অনেক সময় পরিষ্কার করা হয় না। এতে এডিস মশার প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাজ নয়, আমরা সেবা দিয়ে থাকি।

স্বাস্থ্য সচিব আরো বলেন, হয়তো সবসময় হয় সবকিছু হয় না, কিন্তু চেষ্টা করা হয়। তবে সবাইকে (ডেঙ্গু) প্রতিরোধের কাজটা করতে হবে। এ জন্য আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। প্রথম দিকে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে চিকিৎসা দেওয়া অনেক সহজ হয়৷

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, এখনো থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নিয়মিত বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে, ফলে এডিস মশার জন্ম হয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন, নিজ বাসাতেই মশার উৎপাদন না হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। নাজমুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসির ৪০ ওয়ার্ডে ৪৮টি সাইট এবং ডিএসসিসির ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি সাইটসহ মোট ১১০টি সাইটে তিন হাজার ১৫০টি বাড়িতে জরিপ চালানো হয়েছে। ২১টি টিমের মাধ্যমে ১০ দিনব্যাপী জরিপটি চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।




করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ১৪.৭৩ শতাংশ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ জনে।  এ সময়ে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যু সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৪৫ অপরিবর্তিত রয়েছে।

আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২২০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬১ হাজার ৪৮০ জন।

২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৩৫১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।




যে রঙের পেয়ারায় বেশি পুষ্টিগুণ

পেয়ারা সবার কাছে খুবই পরিচিত একটি ফল। এখন প্রায় বছরব্যাপী পেয়ারা পাওয়া যায়। কিন্তু সব ধরনের পেয়ারায় কি একই রকম পুষ্টিগুণ থাকে, এমন প্রশ্ন সবার মনেই থাকতে পারে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে ইদানিং তাইওয়ানের গোলাপি পেয়ারা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারায় পানি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে অন্য পেয়ারার তুলনায় শর্করা, ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেকটাই কম। সাদা শাঁসযুক্ত পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি হলেও তা গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারার মতো নয়।

ভিটামিন এ, সি, ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবারের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মজুত থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারা ‘সেরা ফল’।

পেয়ারা খাবেন যে কারণে তা হলোঃ

১) রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে

২) হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে

৩) ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা লাঘব করতে

৪) ওজন কমাতে সাহায্য করে

৫) পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে

৬) ক্যানসার প্রতিরোধক

৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে

৮) দাঁত, ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী




কফি নয়, আপেল দিয়ে দিন শুরু করুন

সকালে ঘুম থেকে উঠেই কফির মগে চুমুক না দিয়ে অনেকেরই দিন শুরু হয় না। আবার শরীর ক্লান্ত লাগলে বা ঘুম ঘুম ভাব এলে কফির উপর ভরসা রাখেন কমবেশি সবাই। তবে এটি শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ক্যাফেইনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে, যা উপেক্ষা করা যায় না। তবে এটি কখনো কখনো শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। ক্যাফেইন অম্লতা বৃদ্ধি, গুরুতর উদ্বেগ, কিডনির সমস্যা, অস্থিরতা ও আসক্তি বাড়ায়।এ কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, সকালে এক কাপ কফি পান না করে বরং একটি আপেল খেলে শরীরে মিলবে নানা পুষ্টি। আপেল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে একটি। এটি পুষ্টিতে ভরপুর ও সহজলভ্যও বটে।

আপেলে থাকে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- কোয়ারসেটিন, ভিটামিন ই, ক্যাটেচিন, ভিটামিন সি, ফ্লোরিডজিন, রেটিনল, বিটা-ক্যারোটিন ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড।

যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ঠেকায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোসহ ওজন কমায়, ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে আপেল। আপেলের ফাইটোকেমিক্যালগুলো এসব দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শরীরকে উদ্দীপিত করে ও ক্লান্তি প্রতিরোধ করে। আপেলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা বা ফ্রুক্টোজ শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কফির চেয়ে আপেল খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। আপেলে থাকা ফাইবার দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য দিন শুরু করার দুর্দান্ত একটি ফল হলো আপেল।




রোগ প্রতিরোধে শিশুর খাবারে ‘ভিটামিন এ’ জরুরী

শিশুর জীবনে এক থেকে পাঁচ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় থেকেই শিশুর খাবার গ্রহণ ও বর্জনের বিষয়টি রপ্ত হয়ে যায়। শিশুর প্রতিদিনের খাবারে ভিটানি এ থাকাটা জরুরী।

এই ভিটামিন সাধারণত প্রাণী দেহে পাওয়া যায় আর পাওয়া যায় ক্যারোটিন হিসাবে শাক-সবজিতে। বিশেষ করে হলুদ-কমলা সবজি ও ফলের ভেতর ভিটামিন এ আছে। দেহের ক্ষুদ্রান্তে ভিটামিন এ শোষিত হয় চর্বির সঙ্গেই। যেসব রোগে দেহে চর্বি শোষণে বিঘ্ন ঘটে, এতে ভিটামিন এ শোষণ ও বাধাগ্রস্ত হয় এবং শরীরে এর অভাব দেখা যায়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, নবজাতকের যকৃতে কতখানি এ ভিটামিন সঞ্চিত থাকবে তা নির্ভর করে মায়ের রক্তে কতখানি ভিটামিন এ ছিল তার ওপর।

শিশুর দৈনিক ‘ভিটানি এ’র চাহিদা ২৫০০ আইইউ। আমাদের দেশে প্রতি বছরই শিশুদের বিনামূল্যে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। রান্নায় ‘ভিটামিন এ’ নষ্ট হয় না। তবে ফ্রিজে জমিয়ে রাখা মাখনে কিছুটা খাদ্যগুণ নষ্ট হয়। যেসব গরুকে টাটকা সবুজ খাস খাওয়ানো হয় না সেসব গরুর দুধে ‘ভিটামিন এ’র ঘাটতি দেখা যায়। দেহের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ছাড়াও ‘ভিটামিন এ’র অভাবে তিন ধরনের চক্ষুরোগ হয়ে থাকে। যেমন-রাতকানা, চক্ষু শুষ্কতা ও ক্যারাটোম্যালেসিয়া।

* রাতখানা : এই রোগে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা চোখে কিছুই দেখে না। এটা বোঝা যায় যেখানে রাতের বেলা কোনো আলোর ব্যবস্থা না থাকলে। নিয়মিত কলিজা খাওয়ালে এই অবস্থা দূর হতে পারে। তবে সময় মতো এ অসুখটি নির্ণয় না হলে পর্যাপ্ত ভিটামিন দিয়েও কোনো কাজ হয় না।

* চক্ষু শুষ্কতা : এতে চোখের মণিতে ঘা, চোখে পুঁজ, সজীবতাহীন চোখ এবং চোখের আবরক কণা শুকিয়ে যায়। চোখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয় এবং চোখের মণি সাদা হয়ে যায়। প্রচুর ভিটামিন এ প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়। গুরুত্ব অনুসারে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুলের সঙ্গে কডলিভার অয়েল, ঘি, মাখন, গাজর ইত্যাদি দিলে ভালো হয়।

* ক্যারাটোম্যালেসিয়া : দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুদের এ রোগ দেখা যায়। এতে চোখের ভেজা ও সজীব ভাব চলে গিয়ে চোখ শুকনো ও বিবর্ণ হয়ে যায়। চোখ ঘোলা দেখায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে চোখের মণি অস্বচ্ছ পর্দায় ভরে উটে, শেষ পর্যন্ত দৃষ্টিহীনতা ঘটে।

চোখের রোগ ছাড়াও ‘ভিটামিন এ’র অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সর্দি-কাশি, ফ্লু লেগেই থাকে। এছাড়া দেহের ত্বক শুকনো ও খসখসে হয়ে যায়। চুল বিবর্ণ হয়ে পড়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়।

* ‘ভিটামিন এ’র উৎস : গাজর, ভুট্টা, আপেল, পাকা আম, পাকা পেঁপে, লাল আঙুর, ক্যাপসিকাম, রাঙা আলু, মিষ্টি কুমড়া, লেটুস পাতা, সবুজ শাক-সবজি, টমেটো, সজনেপাতা ইত্যাদি। মাছের মধ্যে মলা ও ঢেলা মাছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ আছে। এছাড়া মাখন, ডিম, কলিজা, কডলিভার অয়েল, ঘি, দুধ, গরু-খাসির মাংসে ভিটামিন এ রয়েছে।




গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮২ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ সময়ে ২৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৯ জনে।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন। এ সময় ৪ হাজার ৭৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৬৬টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।




সবুজ আপেল কেন খাবেন

স্বাদের কারণে অনেকেই আপেল খেতে পছন্দ করেন। স্বাদের পাশপাপাশি এই ফল গুণেও অনন্য। তবে বেশিরভাগ মানুষই কেবল লাল আপেল খান। তবে সবুজ আপেলও বেশ উপকারী।

এই আপেল খেলে অনেক গুরুতর সমস্যার সমাধান হয়।  বিজ্ঞানীরা বলছেন, সবুজ আপেলে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি উপকারী উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের নানা সমস্যার সমাধান করে।

সবুজ আপেলের এমন কিছু গুণ রয়েছে যা কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী। যেমন-

চোখের জন্য ভালো:  সবুজ আপেল চোখের জন্য খুবই ভালো। এই আপেলে ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু ভালো পরিমাণে খনিজ আছে। এই খনিজও চোখ ভালো রাখতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী আপেল। সবুজ আপেলে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ফাইবার  শরীরের জন্য ভালো।

হাড়ের শক্তি বাড়ায়: এখন খুব কম বয়স থেকেই মানুষ নানা গুরুতর সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই ৩০ বছর বয়স হলেই হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হাড় ভালো রাখতে চাইলে খান সবুজ আপেল।

পেট ভালো রাখে : পেট ভালো রাখার ক্ষেত্রেও সবুজ আপেলের জুড়ি নেই। এই খাবারের এমন কিছু গুণ রয়েছে যা পেটের নানা সমস্যা কমায়। এমনকী হজম ভালো হয়। এই খাবারে আছে ফাইবার। এছাড়াও নানা এনজাইম মিলে মিশে পেটের জন্য দারুণ উপকারী সবুজ আপেল।




‘লাইসেন্সের মেয়াদ’ লিখতে হবে বেসরকারি হাসপাতালের সাইনবোর্ডে

দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের সাইনবোর্ডে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নম্বর ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংককেও এই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা দেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় একথা জানানো হয়েছে। রোববার বিষয়টি জানা গেছে। সম্প্রতি দেশের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অনুমোদন ও অবৈধভাবে পরিচালিক অনেক প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানাও করা হয়েছে।

এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও স্বাস্থ্য অধিফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকে লাইসেন্স নম্বর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখসহ সাইন বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে হবে। এটি প্রয়োজনে কিউআর কোডসহ ডিসপ্লে করতে হবে। অন্যথায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 গত ২৯ আগস্ট অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও  ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। এর পর থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৮৫০টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে রাজধানীর আছে ২০টি প্রতিষ্ঠান।

এরমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশনা দিয়ে বলছে,  এখন থেকে সাইনবোর্ডে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নম্বর ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ক্লিনিক-হাসপাতালের সাইনবোর্ডে থাকতে হবে লাইসেন্স নম্বর

দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের সাইনবোর্ডে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখসহ লাইসেন্স নম্বর যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর । অনুমোদনহীন চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধের অভিযানের মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, ও ব্লাড ব্যাংকে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখসহ লাইসেন্স নম্বর সাইনবোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে কিউআর কোডসহ সেটি প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।