ভারতের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নানা বক্তৃতা-সমাবেশে প্রায়ই দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকে। কখনও তিনি ভাই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জন্য ভোট চাচ্ছেন, কখনও দলের কোনো প্রার্থীর পক্ষে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির শীর্ষ নেতা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চাঁচাছোলা সমালোচনায়ও তিনি বেশ সাহসী। তথাপি প্রিয়াঙ্কাকে কখনও নির্বাচনের রাজনীতিতে দেখা যায়নি।
এবার কংগ্রেস ঘোষণা দিয়েছে, তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে লড়বেন। আসনটি থেকে তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী; প্রিয়াঙ্কার মা সোনিয়া গান্ধীও এ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি।
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রায়বেরেলিতে প্রিয়াঙ্কা দলের টিকিট পেলেও আমেথি ও কর্ণাটকের ওয়ানাড় থেকে যথারীতি ভোটে লড়বেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালে রাহুল আমেথিতে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। বর্তমানে ওয়ানাড় থেকে জিতে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।
তবে আসন্ন নির্বাচনে আমেথিতে তাঁর চোখ থাকবে। আসনটিকে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়। আমেথি থেকে গান্ধী পরিবারের অনেক নেতাই ভোট লড়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাহুল গান্ধীর বাবা রাজীব গান্ধী ও চাচা সঞ্জয় গান্ধী আছেন। আসনটি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীও। রাহুল নিজেও আমেথি থেকে দু’বার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন কিনা– এ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। ২০১৯ সালে বলা হচ্ছিল, তিনি নির্বাচন করবেন। তখন বারাণসী থেকে তিনি লড়বেন– এমন গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে। ওই আসনটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ভোট করেছেন। রায়বেরেলি থেকে এবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি পাঁচবার ওই আসনে জয় পান। সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এটিই ছিল উত্তর প্রদেশের একমাত্র আসন, যেখান থেকে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস।
প্রিয়াঙ্কা রায়বেরেলি থেকে নির্বাচনে লড়বেন– এমন সম্ভাবনার মধ্যে আসনটিতে কংগ্রেস সমর্থকরা পোস্টার প্রকাশ করেন। এতে লেখা ছিল– ‘কংগ্রেসের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যান। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রায়বেরেলি আপনাকে ডাকছে, আসুন।’
সূত্রের বরাত দিয়ে মিন্ট অনলাইন জানায়, ভোটের প্রার্থিতায় নাম ঘোষণার পরপরই রায়বেরেলিতে পৌঁছেছেন প্রিয়াঙ্কা। নির্বাচনী ইশতেহারে এবার ভারতের ক্রমবর্ধমান বেকারত্বকে প্রাধান্য দিয়েছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে এক জনসমাবেশে কংগ্রেস নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিতে পারেন। বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর ইশতেহারে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস।