Hijab notice of DU's Bengal department is against religious freedom

Disclosure:

Spread the love

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের এক নোটিসে বিভাগের সব প্রেজেন্টেশন, টিউটোরিয়াল, মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ভাইভায় কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নির্দেশনার নোটিসটি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আযহারী সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান।

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, বাংলা বিভাগের নোটিসটি ছিল ধর্মীয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত পরিপন্থী। নোটিসটির বিরুদ্ধে ঢাবির ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। চূড়ান্ত মীমাংসার জন্য তারা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট উক্ত নোটিসটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। চেম্বার জজ আদালতও এ স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে আপিল বেঞ্চ সেই স্থগিতাদেশ বাতিল করে দুই মাসের মধ্যে রিটটি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। বর্তমানে রিট নিষ্পত্তির শুনানি চলমান রয়েছে।

হেফাজত নেতারা ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে অভিযোগ করে বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো এই স্থগিতাদেশ বাতিল করাকে পুঁজি করে ঢাবির সর্বশেষ পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন বিভাগে হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জঘন্য আচরণ করা হয়েছে। বাংলা বিভাগের মেয়েদের ওই নোটিস মানতে বাধ্য করা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) চূড়ান্ত পরীক্ষার ভাইভায় অনেককে পুরো সময় মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েকজন মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন, কারও কারও ভাইভা নেওয়া হয়নি। অন্যান্য বিভাগের ব্যাপারেও অনুরূপ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা আশা করছি, হিজাব-নিকাবের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে পবিত্র কুরআন, হাদীস এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রেখেই আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে শিক্ষাঙ্গন থেকে মুসলিম নারীরা ঝরে পড়ার সর্বোচ্চ আশংকা রয়েছে। এতে করে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে পড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

হেফাজতে ইসলামের নেতারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা কক্ষে পরিচয় শনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দ্রুততম সময়ে সব অনুষদের সব বিভাগে হিজাব-নিকাব পরিধানকারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা বন্ধে নোটিস প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে, ভাইভা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার হলে নিকাব খুলতে বাধ্য করার মতো ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক বিচারের আওতায় আনতে হবে। হিজাব বা নিকাব পরিধান সংক্রান্ত ঘটনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় ফিরিয়ে এনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত জনতা মেনে নেবে না।

image_pdfimage_print

Latest

Public pressure leads to arrest announcement for blogger accused of blasphemy

0
গতকাল ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করে ব্লগার নাজিয়া জাহান অনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ব্লগার, যিনি তার কুরআন শিক্ষকের দ্বারা শিশুকালে যৌন নির্যাতনের শিকার...

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু

0
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া সংলাপ আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার...

একটি অর্থবহ নির্বাচন এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: রিজওয়ানা

0
রাজনৈতিক সহিংসতার শিকারদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘একটি...

হজ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি করলে আইনের আওতায় নিয়ে আসব: ধর্ম উপদেষ্টা

0
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা হজকে এবাদত হিসেবে গ্রহণ করেছি। এখানে কেউ দুর্নীতি করলে আমরা তাকে আইনের...

ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য কী?

0
ইতালি থেকে ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ইতালির প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে একটি সম্মতিপত্র সই করেছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)...