বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা রাখার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেস কর্তৃক জমা রাখা চাকুরিচ্যুত ব্যক্তির মূল সনদ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (৪ নভেম্বর) এ বিষয়টি শুনানির জন্য বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চের তালিকায় রয়েছে।
চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর বার বার আবেদন করেও সাড়া না পাওয়ায় মো. শাহান শাহ নামে এক ব্যক্তি গত ২৯ নভেম্বর রিট দায়ের করেন।
রিটকারির আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেসে চাকরি করতেন আমার মক্কেল মো. শাহান শাহ। গত বছর তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ তুলে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির পর তিনি তার মূল সনদ ফেরত চেয়ে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির কাছে।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তাকে জানায়, তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আছে, সেই অভিযোগ তদন্তের পরে তার সনদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপর আমার মক্কেল ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রোগ্রেসকে চিঠি দিয়ে মূল সনদ ফেরত দিতে কয়েক দফায় চিঠি পাঠায় কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
এ কারণে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। মো. শাহেন শাহ ২০১৭ সালে এনজিও প্রোগ্রেস এর ক্রেডিট অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগের সময় এনজিওটি তার কাছ থেকে এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও ব্ল্যাংক চেক জমা রাখে। চার বছর কাজ করার পর ২০২১ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ তুলে তার মূল সনদ আটকে রাখে।