Sushma Swaraj in a meeting with Khaleda Zia

Indian External Affairs Minister Sushma Swaraj, who is visiting Dhaka, met with BNP Chairperson Khaleda Zia.

He sat in the meeting at the capital's Hotel Sonargaon at 8 pm on Sunday after meeting Prime Minister Sheikh Hasina at Ganabhaban.

Apart from Khaleda Zia, 7 members including BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir, Standing Committee members Dr. Khandaker Mosharraf Hossain, Dr. Moin Khan, Amir Khasru Mahmud Chowdhury were present at the meeting.

Earlier, Sushma had a courtesy call with Prime Minister Sheikh Hasina in the evening. She is also scheduled to meet Opposition Leader Rowshan Ershad later in the night.




Fishermen prepare to resume hilsa fishing after ban ends

লক্ষ্মীপুর: ইলিশ শিকারে সরকার নির্ধারিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রোববার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টায়। প্রজনন মৌসুম শেষ হলে দেশের অন্য স্থানের মতো লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতেও জেলেদের মাছ শিকারে আর কোনো বাধা থাকবে না। ফের নদীতে ইলিশ শিকারে যাবে লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৬০ হাজার জেলে।
ইতোমধ্যে জেলেরা বেশ প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন। অবসর সময়ে ঠিকঠাক করিয়েছেন জাল-নৌকাসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে যাবেন।
১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। নিষেধাজ্ঞা থাকায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এসময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি ছিল নিষিদ্ধ। এ আইন আমান্য করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ জেলের জেল-জরিমানা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করা হয়েছে লাখ লাখ মিটার কারেন্ট জাল।
সরেজমিনে ঘুরে ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বিগত বছরের চেয়ে চলতি ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নির্বিঘ্নে পোনা ছাড়তে পেরেছে। জেলেরা নদীতে নামেননি। প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ ছিল অনেক বেশি তৎপর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষিদ্ধ সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও লক্ষ্মীপুরের ৬০ হাজার জেলে তা পায়নি। এসময় জেলেরা ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন, তবুও নদীতে মাছ শিকারে যাননি।
স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেঘনা নদীতে মাছ ধরাই তাদের একমাত্র পেশা। নদীতে মাছ ধরতে না পারায় তাদের অলস সময় পার করতে হয়েছে। নির্ধারিত এই ২২ দিন তাদের সংসার কষ্টে কেটেছে। মহাজনদের কাজ থেকে তাদের টাকা নিতে হয়েছে। হাট-বাজার থেকে বাকিতে চাল-ডাল কিনেছেন।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জেলেরা বলেন, সুযোগ থাকলেও নদীতে নামিনি। গত কয়েক বছর ডিমওয়ালা ইলিশ না ধারায় নদীতে প্রচুর ইশিল পেয়েছি। অতীতের ধার-দেনাও পরিশোধ করেছি।
চর কালকিনি গ্রামের জেলে রইজল মিয়া বলেন, অভিযানের সময় যদি সরকার আমাদের চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করতো তাহলে কেউ ঝুঁকি নিয়ে নদীতে শিকারে যেতো না।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে তারা নৌকা মেরামত, ছেঁড়া জাল ঠিকঠাক করে নবউদ্যোমে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানান।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা যায়, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমার আগের চার দিন, পূর্ণিমার দিন ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন সময়। এসময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ এসে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ডিম ছাড়ে। একটি বড় ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পারে। বেশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নিবিঘ্নে যাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে সে জন্যই ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমের নির্ধারিত সময় শেষ হবে ২২ অক্টোবর রাত১২ টায়। এর পর থেকে মাছ শিকারে কোনো বাধা থাকবে না। প্রজনন মৌসুমে আইন অআন্য করায় ১৪ জন জেলের জেল ও দুজনের জরিমানা করা হয়েছে।
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৩৭ হাজার ৩২৬ জন জেলেকে সরকার ভিজিএফ সহায়তা দেবেন বলেও জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।




UN Secretary-General calls Prime Minister

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তোনিও গুতেরেস টেলিফোনে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন। তারা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিতে এবং তাদের নিরাপদ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ থেকে মিয়ানমারকে চাপ দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

গেল মাসে জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেয়া ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া ফোন করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গা সংকটে ধারাবাহিকভাবে সম্পৃক্ত থাকা এবং সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, আপনি যথেষ্ট সচেতন আছেন এই সমস্যার মূল মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও পাওয়া যাবে মিয়ানমারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং এর বাস্তবতা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইর্য়ক সফর করবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার পাঠাচ্ছি।

এ সময় স্রোতের মতো লাখ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সেবার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রশংসাও করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে পক্ষে আনতে ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।

সাম্প্রতিক সময়ে আসা ৬ লাখ সহ ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওগুলোকে কক্সবাজার এলাকায় কাজ করতে পুরোপুরি প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান প্রধানমন্ত্রী।




3 shepherds missing in Kamalnagar, 700 cows and buffaloes washed away

 

লক্ষ্মীপুর  : লক্ষ্মীপুরের কমলগনগরের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চর কাঁকরা থেকে জলোচ্ছ্বসে ৩ জন রাখাল নিখোঁজ হয়েছেন। এসময় ওই চর থেকে তীব্র জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ৬০০ মহিষ ও  ১০০ গরু। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে গরু-মহিষ রাখার কিল্লা। নদীতে ভাসতে দেখা গেছে মৃত গরু ও মহিষের বাচ্চা।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা কাঁকরার চরে ফিরোজ বাঘার মহিষ কিল্লা থেকে রাখাল ও গরু-মহিষ ভেসে যায়। এতে নিখোঁজ হয় তিন জন রাখাল।

নিখোঁজ রাখালরা হলেন- পাটারিরহাট ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবদুর জাহের (৫০), চর ফলকন গ্রামের কালু পলোয়ানের ছেলে হান্নান (৩৫) একই গ্রামের দুলালের ছেলে মো. বাহার (২৫)।

কমলনগর মহিষ খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান স্বপন তিনজন রাখাল নিখোঁজ ও ৭০০ গরু-মহিষ নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে পাটারিরহাট ইউনিয়নের মো. ফিরোজ বাঘার ২০০ মহিষ, ফলকন ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের ১০০ মহিষ, গরু ২০টি। একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ১০০ মহিষ, নুর নবী বাঘার ১০০ মহিষ, দুলাল বাতানের ৫০ মহিষ, ৩৫টি গরু, জসিমের ১০০ মহিষ, শাহ আলমের ২৫টি মহিষ, গরু ৩টি, সালাহ উদ্দিনের মহিষ ৫০টি, আলা উদ্দিনের ৩০ মহিষ ও গরু ৫টি, জামাল উদ্দিনের ২০টি মহিষ, গরু ৫টি জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায়। এর পর থেকে গরু ও মহিষগুলো নিখোঁজ রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মহিষ মালিক ও চরে কিল্লা স্থাপনকারী মো. ফিরোজ বাঘা বলেন, জেগে ওঠা ওই চরে ৭ লাখ টাকায় নির্মিত কিল্লা তৈরী করে ১০জন মালিক প্রায়  ১ হাজার মহিষ ও দুইশতাধিক গরু লালন-পালন করে আসছেন। শুক্রবার গভীর রাতে জলোচ্ছ্বাসে কিল্লা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এসময় ৩ জন রাখাল ও প্রায় ৭০০ গরু মহিষ ভেসে যায়। এর পর থেকে ওই ৩ জন রাখাল নিঁেখাজ রয়েছে। ভেসে যাওয়া গরু মহিষেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পাটারিরহাট, ফলকন  ও কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ের বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের সাথে বেশ কিছু মহিষের মৃত বাচ্চা ও গরু ভেসে যেতে দেখা গেছে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে কেউ এখনো থানায় জানায়নি।

 




Heavy rains, strong tides flood Kamalnagar-Ramgati

 

লক্ষ্মীপুর : নিন্মচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও তীব্র জোয়ারে রামগতি ও কমলনগরের অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে উপকূলীয় রাস্তাঘাট। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে ৪ হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬ শতাধিক কাঁচা ঘর, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২ শতাধিক পরিবার। তীব্র জোয়ারে মেঘনা জেগে উঠা চর আবদুল্লাহ থেকে ১৫০টি মহিষ নিখোঁজ হয়। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও উপড়ে পড়েছে গাছপাল। এদিকে মেঘনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ পড়েছে মারাতœক হুমকির মুখে। ভাঙনের শিকার হয়েছে অন্তত ৫০টি পরিবার।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকাল পর্যন্ত টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের উপকূলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

 

অতিবৃষ্টি, ঝড় ও তীব্র জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম ইউনিয়নগুলো হলো-রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর আলগী, চর আবদুল্লাহ, চর রমিজ, বড়খেরী, চর গাজী। কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, সাহেবেরহাট, চর কালকিনি, পাটারিরহাট, চর মার্টিন, চর লরেন্স, হাজিরহাট, চর কাদিরা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়। এসব ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ের প্রায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ জানান, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও তীব্র জোয়ারে রামগতির উপকূলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার চর আলগী, চর আবদুল্লাহ, চর রমিজ, বেড় খেরী ও চর গাজী ইউনিয়নের প্রায় ৬শ’ কাঁচা ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বসত ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে সুরাইয়া বেগম নামের এক নারী আহত হয়েছেন। চর আলগী ও রড়খেরী ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার দুইটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। চর আবদুল্লাহ থেকে তীব্র জোয়ারের প্রায় ১৫০টি মহিষ ভেসে গেছে। এর মধ্যে ১১টি মহিষ উদ্ধার করে বড় খেরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের জিম্মায় রাখা হয়। মাছ চাষিদের প্রায় শতাধিক মাছের ঘের জোয়ারে ভেসে গেছে। বেশ কিছু গাছ পালা উপড়ে পয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের মাঠ ও সবজি খেত।

এদিকে,কমলনগরের ফলকন, কালকিনি, পাটারিরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত দুই দিনের ভাঙনে ৫০ পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বিলীন হয়েছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীর রক্ষা বাঁধ। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে কমলনগরবাসী। এ উপজেলাতেও জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে দুই  হাজার পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।

কমলনগরে চরফলকন ইউনয়িন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ, সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৪টি ইউনিয়নের সব কয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্ধি হয়েছে শত শত পরিবার।




No electricity in Lakshmipur: Kamalnagar in darkness for 48 hours

Own Correspondent: Due to the low pressure of the ocean, there is no electricity in about 85 percent of the entire Lakshmipur district till 3 pm on Saturday (October 22), the third day of heavy rains. The common people are in darkness for hours. Among them, power supply has been cut off in Kamalnagar upazila since Thursday evening. On the other hand, power supply has been cut off in Ramganj, Chandraganj, Ramgati and Raipur upazilas since Friday evening.

 

Due to the lack of electricity, food stored in the refrigerators at home is being spoiled, people are waiting for hours for electricity to complete necessary tasks. When will the electricity come? But it is not there. No one knows why there is no electricity or when the electricity will be restored. Even after trying to find out, they are failing. Because the only way to get information is to call the Lakshmipur Rural Electricity help lines after calling, but no one is answering. The electricity department has not informed the people about the problem. This is increasing the level of anger among the common people.

 

On the other hand, electricity workers from Kamalnagar, Ramgati, Raipur and Ramganj have been seen in the field since morning.




6 shops gutted in Kamalnagar fire

Lakshmipur: Six shops have been gutted in a fire at Torabganj Bazar in Kamalnagar, Lakshmipur. Traders claim that the fire caused a loss of around Tk 50 lakh.

The fire broke out around 4 am on Saturday (October 21).

Torabganj Union Parishad (UP) Chairman and Market Management Committee President Faisal Ahmed Ratan said, "The fire broke out in the market early in the morning when there was no electricity and it was raining. On receiving the information, two units of the Lakshmipur and Ramgati Fire Service reached the spot and brought the fire under control. Six shops along with their goods were burnt to ashes in an instant."

He said that the affected traders are claiming that the fire caused a loss of Tk 5 million. The cause of the fire is not yet known.




Low pressure in Bay of Bengal, low-lying areas may be flooded by tidal surge

The seaports of Chittagong, Cox's Bazar, Mongla and Payra have been asked to hoist local warning signal number 3 due to a low pressure in the northern Bay of Bengal. This was stated in a warning message from the Meteorological Department on Friday morning.

It further said that under the influence of the low pressure, the low-lying areas of the coastal districts of Cox's Bazar, Chittagong, Noakhali, Lakshmipur, Feni, Chandpur, Bhola, Barisal, Patuakhali, Barguna, Jhalokati, Pirojpur, Khulna, Bagerhat, Satkhira and their nearby islands and chars may be inundated by wind-driven tidal surges of 1-2 feet higher than normal tides.

Therefore, all fishing boats and trawlers in the northern Bay of Bengal have been asked to remain in safe shelters until further notice.




Prize distribution of Bangabandhu Gold Cup Tournament in Lakshmipur

The final match and prize distribution of the Bangabandhu and Bangamata Begum Fazilatunnesa Mujib Gold Cup Primary School Football Tournament has been held in Lakshmipur. The prize distribution was organized by the District Primary Education Office after the final match of the tournament at the District Stadium ground on Thursday.

Laxmipur Deputy Commissioner Homayra Begum was the chief guest. Additional Deputy Commissioner (General) Sheikh Murshidul Islam presided over the function, while Advocate Nur Uddin Chowdhury Nayan, General Secretary of the District Sports Association and General Secretary of the District Awami League, was the special guest. At that time, teachers and students of various educational institutions including officials of the District Primary Education Office were present.

In the Bangabandhu Gold Cup, Kamalnagar defeated Lakshmipur Sadar 3-0 to become the champion. On the other hand, Raipur defeated Ramgati in a dry draw to become the champion in the Bangamata Gold Cup.




Journalist Julhas needs 5 lakh taka for treatment

Lakshmipur: Former Ansar Battalion soldier and journalist Hasnain Ahmed (Zulhas) (35), a resident of Kamalnagar in Lakshmipur, has been suffering from physical and mental illness for the past 7 years. He needs 5 lakh taka for his treatment. With everyone's financial support, he wants to get well and return to journalism.

Julhas is the son of the late Abu Sayeed Master of Charfalkon village in upazila. From 1997 to 2007, he served as the representative of Ramgati upazila in several local newspapers. Later, he served as a sepoy in the Ansar Battalion. He had to leave his job after a year due to illness. He sold the land of his homestead for treatment and continued his treatment until now. Currently, his treatment is stopped due to lack of money. Doctors have advised him to go to India for better treatment. His family has sought financial support and prayers from everyone for Julhas' treatment. Address to send help: Golenur Begum, Current Account Number 5115, Sonali Bank Kamalnagar Branch, Lakshmipur. Bikash 01745770905.